সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস - সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ

সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস, সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পবিত্র কোরআন মাজীদের বিশেষ ফজিলত পূর্ণ সূরা হলো সূরা ওয়াকিয়া। প্রত্যেক মুসলমানের সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস - সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ জানা দরকার।

সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস - সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ

আমরা অনেকে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করি কিন্তু এর ফজিলত সম্পর্কে আমরা অবগত নই। অনেকে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ ঠিক মতো পারে না। তাদের জন্য এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস - সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস

মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়ার ফজিলত | সূরা ওয়াকিয়া এর ফজিলত | সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত হাদিস | সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত | সূরা ওয়াকিয়া ফজিলত আল কাউসার | সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস | সূরা ওয়াকিয়া আমল

সূরা ওয়াকিয়া এর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। ইসলামিক চিন্তাবিদরা রোজ নিয়ম করে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াতের উপদেশ দেন। পবিত্র কোরআন মাজীদের প্রতিটি সূরার  মাহাত্ম্য ও ফজিলত রয়েছে। তেমনি সূরা ওয়াকিয়া এর রয়েছে বিশেষ ফজিলত।

ফজিলতঃ- যে ব্যাক্তি মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তাকে দারিদ্রতা কখনো গ্রাস করতে পারবে না। এই সূরা পাঠ করলে অভাবী ব্যাক্তির অভাব দূর হয়। যারা আর্থিক কষ্টে জর্জরিত, দারিদ্রতা ভয়াল ছোবল থেকে বের হতে পারছেন না তারা রোজ মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করুন। এই সূরাকে ধন-লাভের সূরাও বলা হয়।

সূরা ওয়াকিয়া সম্পর্কিত হাদিসঃ-

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে তার ওপর অভাব আসবে না। (বায়হাকি, হাদিস : ২৪৯৭, তাফসিরে রুহুল মাআনি : ২/১২৮)

সূরা ওয়াকিয়া সম্পর্কিত একটি ঘটনাঃ-

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন শেষ বয়সে উপনীত হন তখন ওসমান (রা.) তাকে দেখতে গেলেন। ওসমান (রা.) সরকারি বায়তুল মাল থেকে কিছু সম্পদ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) কন্যাদের দেওয়ার কথা বলেন। জবাবে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তার প্রয়োজন নেই। আমি আমার কন্যা শিশুদের প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াতের উপদেশ দিয়েছি। রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, অভাব তাকে কখনো স্পর্শ করবে না। (তাফসিরে জালালাইন আরবি-বাংলা : ৬/৩৫৩)।

সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ | সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ | সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ ছবি | সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থসহ | সূরা ওয়াকিয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ

আপনারা যারা সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ পড়তে চাচ্ছেন তারা এই লিংকে প্রবেশ করে বিস্তারিত পড়ে নিন। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি বাংলা অুবাদের দিকে লক্ষ্য রাখা এতে করে আপনি মূল বিষয় জানতে পারবেন। যদি আপনি বাংলা অনুবাদ নাও বুঝেন,  নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করলে তার সওয়াব অবশ্যই আপনি পাবেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের ‍উচিত এই সূরার গুরুত্ব অনুধাবন করা এবং নিয়মিত তেলাওয়াত করা।

সূরা ওয়াকিয়া সম্পূর্ণ |  সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ PDF | সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত | সূরা ওয়াকিয়া আরবি pdf | সূরা ওয়াকিয়া আরবি উচ্চারণ | সূরা ওয়াকিয়া আরবি 

সার্চকৃত প্রশ্নের উত্তর পেতে এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি ডাউলোড করতে পারেন অথবা এই লিংকে প্রবেশ করে বিস্তারিত পড়তে পারেন।

সূরা ওয়াকিয়া কত পারায় আছে

এই ফজিলত পূর্ণ সূরা পবিত্র কোরআন মাজীদের ২৭ তম পারায় রয়েছে। এই সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। যারা মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছে তাদের জবাব দেয়া হয়েছে। এই সূরা তে হাশরের দিনের ভয়াবহতা, অগ্রবর্তী দলের অবস্থান, ব্যাক্তির আমল অনুযায়ী নিয়ামত, আজাব ভোগের বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে, কিয়ামত দিবসের ঘটনা সূক্ষভাবে উঠে এসেছে।

সূরা ওয়াকিয়া পড়ার নিয়ম | সূরা ওয়াকিয়া কখন পড়তে হয়

প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সকাল-সন্ধ্যা জিকির, কোরআন তিলাওয়াতে অভ্যস্ত হওয়া। যে কোন সময় কোরআন তিলাওয়াত করা যায়। সূরা ওয়াকিয়ার একটি বিশেষ ফায়দা রয়েছে। কোন মুসলিম যদি মাগরিবের নামাজের পর রোজ নিয়ম করে সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করে তাহলে সে দারিদ্রতা, অভাব-অনটন থেকে মুক্ত থাকবে। দারিদ্রতা কত ভয়াবহ যারা দারিদ্রতা ভোগ করেছেন তারাই ভালো জানেন। ইসলামিক স্কলারগণ মাগরিবের পরে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াতের উপদেশ দিয়ে থাকেন।

সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ১৯ বাংলা উচ্চারণ

কোরআন তেলাওয়াত করতে হলে আপনাকে আরবি পড়া জানতে হবে। বাংলায় কোরআন তেলাওয়াত করা যায় না, এতে অশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। অশুদ্ধ তেলাওয়াত করলে অর্থ পাল্টিয়ে যায়, এতে গুণাহ হবে। তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ আরবি পড়া শিখে নিন।

আরবি ঃ-         لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنْزِفُونَ

বাংলা উচ্চারণঃ- লা-ইয়ুছোয়াদ্দা‘ঊনা ‘আন্হা-অলা- ইয়ুন্যিফূন

অর্থঃ- তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে

সূরা ওয়াকিয়া আয়াত ৮৩ বাংলা উচ্চারণ | সূরা ওয়াকিয়া ৮৩ নং আয়াত বাংলা উচ্চারণ

আরবি না জানলে কোরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ হয় না। আমি আমার পাঠক বন্ধুদের বলব, অনুগ্রহ করে কোরআন তিলাওয়াত করা শিখে নিন। ইহা আপনা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ বয়ে আনবে।

আরবিঃ         فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ

বাংলা উচ্চারণ ঃ- ফালাওলা য় ইযা-বালাগতিল্ হুল্ক্বুম্

অর্থঃ     সুতরাং কেন নয়- যখন রূহ কণ্ঠদেশে পৌঁছে যায়?

সূরা ওয়াকিয়ার তাফসীর | সূরা ওয়াকিয়ার ব্যাখ্যা

সূরা ওয়াকিয়ার তাফসীরঃ- মুসলিম হিসেবে সূরা ওয়াকিয়ার তাফসীর জানা খুবই জরুরি। আপনি যখন তাফসীর বুঝবেন তখন সূরা ওয়াকিয়ার মূল আলোচ্য বিষয় উঠে আসবে। এতে করে আপনার আমল করা সহজ হবে। সূরা ওয়াকিয়ার তাফসীর, ব্যাখ্যা জানতে এই লিংকে প্রবেশ করে বিস্তারিত পড়ে নিন।

সূরা ওয়াকিয়া আয়াত সংখ্যা | সূরা ওয়াকিয়া কত আয়াত

সূরা ওয়াকিয়া আয়াত সংখ্যাঃ- পবিত্র কুরআন মাজীদের ৫৬ তম সূরার নাম হলো সূরা ওয়াকিয়া। এই সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৯৬ টি। রুকু রয়েছে ৩টি।

সূরা ওয়াকিয়ার শানে নুযুল

অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বরকতময় সূরা হলো সূরা ওয়াকিয়া। এই সূরায় কিয়ামতের দিনে মানুষের অবস্থান কি হবে তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

কেয়ামতের দিনে মানুষ ৩টি দলে বিভক্ত হবেঃ-

  • আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তরা ( ভালো কাজে অগ্রগামীরা )
  • ডান হাতের সঙ্গীরা ( সৌভাগ্যবান ) 
  • বাম হাতের সঙ্গীরা ( দুর্ভাগা )

এ সূরায় যে সকল বিষয় উঠে এসেছেঃ-

  • আল্লাহর অসীম ক্ষমতার বিবরণ
  • কেয়ামতের ভয়াবহতা
  • ভূমিকম্প, বজ্রপাত, ঝড়ঝঞ্ঝা ইত্যাদি
  • জান্নাতিদের  অবস্থান কেমন হবে
  • জাহান্নামীদের অবস্থান কেমন হবে
  • যারা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে তার জবাব দেয়া হয়েছে
  • আপনি যদি সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অনুবাদ করেন তাহলে এর বিস্তারিত বিবরণ জানতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা সূরা ওয়াকিয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অনুধাবন করতে পেরেছেন। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত রোজ নিয়ম করে সূরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করা।

এই রকম তথ্যবহুল ইসলামিক পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত ইসলামিক পোস্ট পাবলিশ করা হয়। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং অজানা তথ্য জানতে পারছেন। আজ এ পর্যন্ত, এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি, আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Dr Abid
    Dr Abid November 30, 2025 at 11:48 PM

    Surah Waqiah holds numerous virtues, inspiring faith, gratitude, and hope. Many believe its recitation brings spiritual comfort and sustenance. Learn more for deeper spiritual understanding.

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url