প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন ৪০টি দুর্দান্ত উপায়ে
এই পোস্টে আমি আপনাদের প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় জানাব। বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অনলাইনে, অফলাইনে অনেক উপায় রয়েছে। টাকা ইনকাম করার সিস্টেম একবার জেনে গেলে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই পোস্টে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। সুতারাং পোস্টটি ধৈর্য্য নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আইডিয়া গুলো আপনার কাজে দিবে।
প্রথমে আপনাকে টাকা ইনকামের সহজ মাধ্যম গুলো বাছাই করতে হবে। যখন আপনি টাকা ইনকাম করা শুরু করবেন তখনই আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে। টাকা ইনকামের সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে অনেক অর্থ উপার্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয়
- ভূমিকা
- আর্টিকেল লিখে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
- ইউটিউব থেকে ইনকাম
- ব্লগিং থেকে ইনকাম
- ফেসবুক থেকে ইনকাম
- অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম
- অনলাইনে ব্যবসা করে ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম
- লোগো ডিজাইন করে ইনকাম
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
- ব্যানার ডিজাইন করে আয়
- ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
- ডেটা এন্ট্রি করে ইনকাম
- টিকটক ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
- SEO থেকে ইনকাম
- ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করে ইনকাম
- ডেলিভারী কাজ করে ইনকাম
- রাইড শেয়ার করে ইনকাম
- হস্তশিল্পের কাজ থেকে ইনকাম
- স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা থেকে ইনকাম
- রেষ্টুরেন্টের ব্যবসা থেকে ইনকাম
- ফলের ব্যবসা থেকে ইনকাম
- বইয়ের ব্যবসা করে ইনকাম
- আরও অন্যান্য ব্যবসা যেগুলো থেকে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে অর্থ ছাড়া এক মুহূর্ত কল্পনা করা যায় না। বর্তমানে এ যুগে অর্থ যেন সোনার হরিণ। আপনার যদি অর্থ না থাকে তখন আপনি অনুভব করতে পারবেন জীবনটা কত কঠিন। অর্থ থাকলে জীবনে সব কিছু গতিশীল হবে, অর্থ না থাকলে জীবনে সবকিছু থেমে যাবে। অনলাইন বা অফলাইন যেভাবে অর্থ উপার্জন করতে চান না কেন শুরুর পথ আপনার জন্য মোটেও সহজ হবে না। অর্থ উপার্জনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য্য, পরিশ্রম দিয়ে একাধারে লেগে থাকতে হবে। যখনেই আপনি সফলতা পাবেন তখনই সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার না। এজন্য আপনাকে প্রথমে যেসকল কাজ করলে দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন ঐ সকল কাজ দিয়ে টাকা ইনকাম শুরু করতে হবে। হয়তো প্রথমের দিকে আপনার ইনকাম হবে না, খুবই হতাশ হবেন, তারপরেও আপনার স্বপ্নকে সব কিছুর উর্ধ্বে প্রাধান্য দিয়ে অন্ধের মতো কাজে লেগে থাকতে হবে। এখন আমরা জানব যে সকল কাজ শুরু করলে প্রতি সপ্তাহে আপনি ৪ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন সে সকল উপায় সম্পর্কে।
আর্টিকেল লিখে ইনকাম
অনলাইন থেকে ইনকামের সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো আর্টিকেল লিখা। আর্টিকেল লিখার জন্য বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। টাইপিং স্পিড, সাধারণ জ্ঞান থাকলেই আর্টিকেল রাইটিং পদে জব করা যায়। কোথায় আর্টিকেল রাইটিং এর জব করবেন ? বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইটে আপনি আর্টিকেল রাইটার হিসেবে জব করতে পারেন। যেমনঃ- ঢাকা পোস্ট, ঢাকা মেইল, NTV, ATN NEWS এগুলো হচ্ছে নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট। এখানে অনেকে আর্টিকেল রাইটার পদে কাজ করে থাকে।
তাছাড়া মার্কেটপ্লেসে ( ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম ) আর্টিকেল রাইটার হিসেবেও জব করার সুযোগ রয়েছে। যদি আপনি ইংরেজী ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এই সব মার্কেটপ্লেস থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- অনলাইনে ইনকাম করার ১৩টি উপায় ২০২৫ঃ ১ ক্লিকে জানুন
অনেক কোম্পানি বা সার্ভিস প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে থাকে। এই সকল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেখানে ভালো বেতনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং আমরা যতটা সহজ মনে করি অতটা সহজ নয়। ঘরে বসে টাকা ইনকাম তার মানে এই নয় আপনি কোন কাজ করবেন না কিন্তু টাকা আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে। ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমের দিকে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। এ সময় আপনার মাঝে হতাশা, কাজে অমনোযোগীতা দেখা দিতে পারে। তাই সব কিছু বাদ দিয়ে আপনার স্বপ্নকে সামনে রেখে কাজ করে যেতে হবে।
অনেক স্টুডেন্ট, গৃহিনী, চাকরিজীবী ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে। যেকোন একটি কাজের উপর আপনার দক্ষতা থাকলে এই সেক্টর থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেসকল কাজ রয়েছে যেমনঃ- এসইও, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং সহ আরও অন্যান্য।
কোথাও থেকে কয়েক মাসের কোর্স করার পর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আপনার ইনকাম হওয়া শুরু করবে বিষয়টি এমন নয়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে ধৈর্য্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। এই ভাবে কাজ করতে থাকলে এক পর্যায়ে আপনা আপনি সফলতা পেয়ে যাবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম
বর্তমানে যতগুলো সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। ইউটিউব ব্যবহার করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। ইউটিউবে নিউজ, ওয়াজ-মাহফিল, ফানি ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবাররা প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।
ভবিষ্যৎতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যাও তত বাড়বে। ইউটিউব থেকে কয়েক ভাবে ইনকাম করা যায়। যেমনঃ- বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
শুরুর দিকে ইউটিউব থেকে ইনকাম কম হবে। ভিডিও সংখ্যা যত বাড়বে, ভিউজ যত বাড়বে তত ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। এই জন্য সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। যাতে আপনার ঐ ভিডিও মানুষের উপকারে আসে।
ব্লগিং থেকে ইনকাম
আর্টিকেল রাইটিং এবং ব্লগিং প্রায় একই। ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাইলে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার ডোমেইন, হোস্টিং এর প্রয়োজন হবে। আপনি গুগল ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
এখানে কাজ হলো প্রতিদিন আর্টিকেল লিখে আপনি আপনার সাইটে পাবলিশ করবেন। এই আর্টিকেল গুলো যত ভিউজ হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে যত ট্রাফিক আসবে তত আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এর ইনকাম অর্গানিক ট্রাফিক এর উপর নির্ভর করে।
ব্লগিং থেকে আপনি কয়েকভাবে ইনকাম করতে পারেন। যথাঃ- গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ওয়েবসাইট বিক্রি করে। ব্লগিং থেকে শুরুর দিক ইনকাম হতে আপনার সময় লাগবে। যখন ইনকাম শুরু হবে তখন আপনি একদিনেই ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য্য, একাগ্রতা থাকতে হবে। তাহলে এই কাজ করে আপনি সফল হবেন।
ফেসবুক থেকে ইনকাম
বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বিরল। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিজনেস করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া ফেসবুকে রিলস ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করা যায়, ফেসবুকে লাইভ ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করা যায়। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্টের ব্যবসা করে আপনি ছোট-খাটো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম
অনলাইনে সার্ভে করার কিছু সাইট, অ্যাপস রয়েছে। যেখানে আপনি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে প্রচুর সার্ভে সাইট রয়েছে যেখানে কাজ করে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
সার্ভে করার জন্য তেমন বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। যে সকল সাইটের মাধ্যমে সার্ভে করা যায় তার কিছু নাম দেয়া হলোঃ- SurveyMonkey, Inbox dollars, Free cash, SurveyBot, Surveyplanet ইত্যাদি। এই সাইট গুলোতে আপনি সার্ভের কাজ করে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তবে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই রিভিউ দেখে নিবেন।
অনলাইনে ব্যবসা করে ইনকাম
ধরুণ, আপনার কোয়েল পাখির খামার রয়েছে। এখানে আপনি ফেসবুকে একটি পেজ খুললেন। সেখানে কোয়েল পাখি সম্পর্কে তথ্য আপলোড করবেন। আপনি যদি কোয়েল পাখি, কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করতে চান তাহলে ফেসবুক পেজে কোয়েল পাখির ডিমের দাম, কোয়েল পাখির ওজন কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিবেন।
bikroy.com এখানে পুরনো জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে। ধরুণ, আপনার বাড়ির পাশে কেউ পুরনো জিনিস বিক্রি করবে আপনি তার কাছ থেকে ঐ পুরনো জিনিস কিনে নিলেন এবং পুনরায় বিক্রির জন্য bikroy.com ছবি, পোস্ট ছাড়লেন। এভাবে আপনি bikroy.com ছোট-খাটো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
বাংলাদেশে বহু ই-কমার্স অনলাইন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা অনলাইনে তাদের পন্য, সার্ভিস বিক্রি করে থাকে। যেমনঃ দারাজ এটা হলো অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনার একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থাকতে হবে।
ধরুণ, আপনার একটি ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল। এখন আপনি দারাজের কোন একটি প্রোডাক্টের ছবি, লিংক আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল শেয়ার করলেন। আপনার এই লিংকে প্রবেশ করে যারা দারাজের ঐ প্রোডাক্ট কিনবে দারাজ কর্তৃপক্ষ এর বিনিময়ে আপনাকে কমিশন দিবে। এটা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম
বর্তমানে অনলাইনে রেকর্ড ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়। ধরুণ, আপনি শিক্ষকতা করতে পছন্দ করেন। এখন আপনি ঐ ক্লাসের ভিডিও রেকর্ড করলেন। এখন এই রেকর্ড করা ভিডিও গুলো অনলাইনে কোর্স আকারে বিক্রি করলেন। ধরুণ, এই রেকর্ড ভিডিও দাম ৫,০০০ টাকা। আমি আপনার নিকট থেকে এই ভিডিও ক্রয় করতে চাই। তাহলে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে আপনি আমার কাছে ঐ রেকর্ড ভিডিও বিক্রি করলেন। এটা হলো অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম।
তাছাড়া ইউটিউব, ফেসবুকে অনলাইনে পাঠদানের ভিডিও আপলোড করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার এই ভিডিও তে যত ট্রাফিক আসবে তত ইনকাম হবে। এইভাবে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
লোগো ডিজাইন করে ইনকাম
এটা মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ। দেখবেন আপনার এলাকায় অনেকে লোগো ডিজাইনের কাজ করে থাকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি যত বাড়বে লোগো ডিজাইনের চাহিদা তত বাড়বে। তো আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজ ভালো জানেন তাহলে এই পেশাটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। লোগো ডিজাইন করে ভালো টাকা চার্জ করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন জগৎতে আপনার শক্ত অবস্থান থাকতে হবে। কারণ, ইন্টারনেটের এই যুগে মানুষ অফলাইনের চাইতে অনলাইনে বেশি সক্রিয়। আপনার কোম্পানি বা দোকানের প্রোডাক্ট বা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস একই সময়ে লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌছে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন।
ধরুণ, আপনার কোম্পানি বাজারে একটি কলম লঞ্চ করেছে। এখন এই কলম সম্পর্কে একদিনে কত মানুষের কাছে তথ্য পৌছে দেয়া সম্ভব ? ধরে নিচ্ছি ১ দিনে ১ হাজার জনের নিকট এই কলম সম্পর্কে তথ্য পৌছে দেয়া সম্ভব হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নিলে ১ দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এই কলম সম্পর্কে তথ্য পৌছে দেয়া সম্ভব হবে।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম
আমরা যে ফোনে নগদ, বিকাশ, রকেট, ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ব্যবহার করি এগুলো সবই অ্যাপস। এই অ্যাপস তৈরি করে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে অ্যাপস ডেভেলপাররা। ভবিষ্যৎতে এই কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানির জন্য অ্যাপস ডেভেলপার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
ব্যানার ডিজাইন করে আয়
রাস্তাঘাটে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্যানার দেখতে পায়। এই ব্যানারের চাহিদা দিন দিন বাড়বে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সম্মেলনে এই ব্যানার প্রয়োজন হয়। তো বুঝাই ব্যানারের চাহিদা বর্ধনশীল। আপনি যদি ভালো ব্যানার ডিজাইন করতে পারেন তাহলে এই পেশা থেকে ভালো টাকা উপার্জন করার সুযোগ থাকছে।
ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম সব জায়গায় ভিডিও আপলোড করা হয়। সকলে ভিডিও করতে পারলো ভিডিও এডিটিং সবাই করতে পারে না। অনলাইন জগৎতে সব থেক বড় সেক্টর হলো ভিডিও এডিটিং এর সেক্টর। দক্ষ এডিটর চাহিদা অনেক বেশি। এই কাজ করে মার্কেটপ্লেস বা মার্কেটপ্লেসের বাইরে ভালো টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকছে।
ডেটা এন্ট্রি করে ইনকাম
এই কাজটি খুবই সহজ। এই কাজ করে লোকাল অথবা মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো অর্থ উপার্জনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই কাজটি যদি ছোট কিন্তু কাজের পরিধি অনেক বড়। এই কাজে ভালো দক্ষ হতে পারলে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করার সুযোগ থাকছে।
টিকটক ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় মাধ্যম হলো টিকটক। এই টিকটক ভিডিও বানিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করা যায়। তারা বিভিন্ন ধরণের প্রডাক্টের রিভিউ দিয়ে মানুষকে প্রডাক্ট কিনতে আকর্ষণ করে। ভিডিওতে যত ভিউজ হয় তত বেশি ইনকাম হয়।
SEO থেকে ইনকাম
গুগলে বা ইউটিউবে কোন একটি কনটেন্ট সবার উপরে নিয়ে আনতে হলে SEO করার প্রয়োজন পড়ে। যেসকল কনটেন্ট সবার উপরে থাকে ঐ সকল কনটেন্ট এর ভিউজ বেশি হয়। SEO শিখে লোকাল, মার্কেটপ্লেসে ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। প্রায় বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য SEO এক্সপার্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে।
ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করে ইনকাম
ইনফ্লুয়েন্সাররা বলতে তাদের বুঝায়, যাদের আশ্বাস বা কথা এবং কাজ হাজার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আপনি যদি ইনফ্লুয়েন্সার হতে চান তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আপনার শক্ত অবস্থান থাকতে হবে।
বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করার জন্য ইনফ্লুয়েন্সার ভাড়া করে থাকে। ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করার বিনিময়ে একটি নিদিৃষ্ট পরিমাণ চার্জ করে থাকে। ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আপনার ভক্ত, অনুরাগী সংখ্যা বেশি থাকতে হবে।
ডেলিভারী কাজ করে ইনকাম
অনলাইন জগৎতে সবাই এখন ঘরে বসে পন্য ক্রয় করতে চায়। যেসকল প্রোডাক্ট অফলাইনে পাওয়া যায় না কাস্টমাররা ঐ সকল পন্য অনলাইনে অর্ডার করে থাকে। বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের অর্ডারকৃত পন্য মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই ডেলিভারী কাজ করে আপনি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
রাইড শেয়ার করে ইনকাম
বর্তমানে শহরে যেভাবে জান-যট তৈরি হচ্ছে মানুষ দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌছানোর জন্য রাইড শেয়ার ব্যবহার করছে। মোটর সাইকেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌছানো যায়। আপনি যদি মোটর-সাইকেল চালানো জানেন তাহলে তাহলে এই রাইড শেয়ারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
হস্তশিল্পের কাজ থেকে ইনকাম
হস্তশিল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অন্যরকম। সেটি হতে পারে কাপড়, ব্যাগ, ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র। এই হস্তশিল্পের পন্য গুলো মানুষকে মুগ্ধ করে। তাই আপনি যদি হস্তশিল্পের কাজ জানেন তাহলে এই পেশা থেকে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা থেকে ইনকাম
রাস্তাধারে, ফুটপাতে অনেক মুখরোচক খাবার দেখতে পাওয়া যায়। যে খাবার গুলো খেতে ভোজন রসিক মানুষেরা দলবেঁধে ভিড় জমায়। এখানে তারা মুড়ি মাখা, পেয়ারা-আমড়া মাখা, বিভিন্ন ধরণের ফলের জুস, ভাজা-পোড়া ( সিঙ্গারা, পুরি, সমুচা ) বিক্রি করে থাকে। এই স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা থেকেও ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।
রেষ্টুরেন্টের ব্যবসা থেকে ইনকাম
বাইরে বের হলেই বহু নামী-দামী রেষ্টুরেন্টের দেখা মিলে। এই সকল রেষ্টুরেন্টে বহু মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে ফাস্ড ফুডের জন্য মানুষ এখানে ভিড় জমায়। এই সব খাবারে মধ্যে রয়েছেঃ- পিৎজা, বার্গার, ফালুদা, নুডুলস, কাচ্চি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এই ধরণের ব্যবসা যদি আপনি শহর এলকায় দাঁড় করাতে পারেন তাহলে আশা করা যায় এই ব্যবসা থেকে ভালো রেজাল্ট পাবেন।
ফলের ব্যবসা থেকে ইনকাম
শহরের এলাকায় রাস্তার ধারে ফলের অস্থায়ী দোকান গুলো দেখা যায়। ফলের ব্যবসা কিন্তু লাভজনক। এই ফল দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। দাম বেশি হওয়ায় কয়েক কেজি ফল প্রতিদিন বিক্রি করে ভলো টাকা ইনকাম করা যায়। তো আপনি যদি ব্যবসা করতে পছন্দ করেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।
বইয়ের ব্যবসা করে ইনকাম
দেখবেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বহু বইয়ের দোকান দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা বই কেনার জন্য এই সকল দোকানে ভিড় জমায়। এই বইয়ের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। সারা-বছরেই এই ব্যবসার কদর রয়েছে। বিশেষ করে বছরের শুরুতে এই ব্যবসা দুর্দান্ত চলে। আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে এই ব্যবসা আপনি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।
আরও অন্যান্য ব্যবসা যেগুলো থেকে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়
- কাপড়ের ব্যবসা
- ফার্মেসী ব্যবসা
- কসমেটিকস ব্যবসা
- মুদি দোকানের ব্যবসা
- নার্সারী ব্যবসা
- বিউটি পার্লারের ব্যবসা
- ফেক্সিলোডের ব্যবসা
- ফটোগ্রাফির ব্যবসা
- মনিহারী, স্টেশনারি ব্যবসা
- অনলাইনে সার্ভিসের ব্যবসা
- সিমের অফারের ব্যবসা
- অস্থায়ী টি স্টল ব্যবসা
- মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা
- কোচিং সেন্টার ব্যবসা
- ডিলারশিপের ব্যবসা
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা অনলাইন, অফলাইনে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারছেন।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে অনলাইন সংক্রান্ত ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url