ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ঃ- নতুন তথ্য
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানতে চেয়ে আপারা প্রায় গুগলে সার্চ করে থাকেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর বিরাট বড়। বর্তমানে ব্যবসা প্রসারের জন্য সনাতনী মার্কেটিং পদ্ধতি ছেড়ে অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করে থাকে। তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনাকে জানতে হবে।
অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটের সরাসরি জড়িত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে। এই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আপনি বিভিন্ন ধরণের ডাটা কালেক্ট করতে পারেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর SEO, ভিডিও মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ গুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেওয়া যাক।
এসইও ( SEO ) কাজ
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম ভিত্তি হলো এসইও ( SEO ). মূলত এসইও এর কাজ হলো কোন একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুগলে, ইউটিউবে সবার আগে নিয়ে আসা। গুগল, বিং, ইউটিউবে প্রতিনিয়ত প্রচুর সার্চ হয়ে থাকে। তাই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সবাই যেন সার্চ করে পায় এজন্য এসইও করতে হয়। এসইও মূলত ২ ভাবে করা হয় যথাঃ- অন-পেজ অপটিমাইজেশন, অফ-পেজ অপটিমাইজেশন।
অন পেজ এসইও করার ক্ষেত্রে মূলত ওয়েবসাইটের ভিতরের কনটেন্ট, কোডিং পরিবর্তন করে তা সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করা হয় এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ করে তা সঠিকভাবে কনটেন্ট এর মধ্যে ইপ্লিমেন্ট করা।
অফ পেজ এসইও করার ক্ষেত্রে লিংক বিল্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং এর মাধ্যমে সাইটের অথোরিটি বৃদ্ধি করা হয়। এতে খুব সহজে কনটেন্ট গুগলে র্যাংক করে। এবং প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া যায়।
যারা এসইও কাজ করে থাকে তারা কিওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, লিংক বিল্ডিং এর কাজ করে ওয়েব-সাইটকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসে। এতে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া যায়। অর্গানিক ট্রাফিক পেতে এসইও এর কোন বিকল্প নেই। মনে রাখবেন সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। এসইও এক্সপার্টরা এই সকল সার্চ ইঞ্জিনের নীতিমালা মেনে এসইও করে থাকে।
লেখালেখি বা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ চাপ্টার হলো কনটেন্ট রাইটিং। বর্তমানে ব্যবসার সম্প্রসারণে সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ব্যবসার ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির জন্য আর্কষণীয় মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। ধরুণ, এখানে প্রোডাক্ট মোবাইল। এখন এই মোবাইলের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটি প্যারাগ্রাফ তৈরি করা। এটি মূলত কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ। আপনি যে এখন একটি আর্টিকেল পড়ছেন এটাও একটি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ। এখানে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বর্ণনা করছি। কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে এমন কনটেন্ট তৈরি করা যা সহজে প্রোডাক্ট বা সেবার ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ- বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ
একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার শুধু কিওয়ার্ড ইপ্লিমেন্ট করে না, তারা তাদের কনটেন্ট এর মূল কথা গ্রাহকের কাছে পৌছে দেয়। কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে এসইও গুরুত্বপূর্ণ। এসইও টেকনিক প্রয়োগ করে কনটেন্ট লিখতে তা গুগলে র্যাংক করে এবং প্রচুর অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া যায়। কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে রয়েছে ( ব্লগ লিখা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ছোট কনটেন্ট আপলোড করা, প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ লেখা )। কনটেন্ট রাইটিং এটা মার্কেটিং স্ট্রাটেজির একটি অংশ। বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছাড়া মার্কেটিং জগৎ কল্পনা করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে রয়েছে ( ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডিন, টুইটার, ইউটিউব সহ আরও অন্যান্য। এসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোম্পানি গুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণা চালিয়ে থাকে। ধরুণ, বাজারে একটি নতুন ক্যালকুলেটর এসেছে। এখন এই ক্যালকুলেটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি একদিনে কতজন মানুষের নিকট পৌছায় দিতে পারবেন ? ধরে নিচ্ছি ১ হাজার জনের নিকট এই ক্যালকুলেটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পৌছে দিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন ৪০টি দুর্দান্ত উপায়ে
বর্তমান সময়টা হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ। আমর ওতপ্রোতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে জড়িত আছি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার প্রচারণা চালালে একদিনে লক্ষ কোটি মানুষের নিকট ক্যালকুলেটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পৌছে দেওয়া সম্ভব। সুতারাং বোঝা গেল, ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অডিয়েন্সদের টার্গেট করা সহজ হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার এক্সপার্টরা ক্যাম্পেইন পরিচালনা, অ্যাডস রানিং, কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে সহজে অডিয়্যান্সদের টার্গেট করা যায় এবং ফিডব্যাক সংগ্রহ করা যায় এবং প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়। এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি করা যায়।
ই-মেইল মার্কেটিং এর কাজ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে পুরনো মাধ্যম হলো ই-মেইল মার্কেটিং। ইহা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কাছে সহজে প্রফেশনাল মেসেজ পাঠানো হয়। এই মার্কেটিং পদ্ধতিতে সহজে গ্রাহকের নিকটবর্তী হওয়া যায় যা অন্যান্য মাধ্যমে গ্রাহকদের এতটা নিকটবর্তী হওয়া সম্ভব নয়। এই মার্কেটিং এর কাজ হলো গ্রাহকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, প্রোডাক্টের প্রমোশন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করা। বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবসার নিত্য-নতুন অফার সরাসরি ই-মেইলের মাধ্যমে গ্রাহকের নিকট পৌছে দেয়। ই-মেইল মার্কেটিং এ এমন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। ই-মেইল মার্কেটারদের প্রধান কাজ হলো ( ইমেইল লিস্ট ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল কন্টেন্ট তৈরি, অটোমেশন )।
আরো পড়ুনঃ- মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি সেরা উপায়
ইমেইল লিস্ট ম্যানেজমেন্টঃ- এখানে যারা ব্যবসার নিত্য-নতুন প্রোডাক্ট, অফার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী মূলত তাদের তালিকা তৈরি করা হয়। কেবল আগ্রহী গ্রাহকদের নিকট এই ধরণের ই-মেইল পাঠালে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়।
ইমেইল কন্টেন্ট তৈরিঃ- এখানে কাজ হলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে একটি ভালো কনটেন্ট তৈরি করে তা গ্রাহকের নিকট পৌছানো। একটি ভালো কনটেন্ট তৈরি করা হলে গ্রাহকের নিকট প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পৌছায় এবং প্রোডাক্টে ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি হয়।
অটোমেশনঃ- এর মাধ্যমে সফটওয়্যারের সাহায্যে গ্রাহকের নিকট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল পাঠানো হয়।
এ পদ্ধতিতে সব থেকে খরচ কম। ই-মার্কেটিং এ নিদিৃষ্ট অডিয়্যান্স কে টার্গেট করা হয় যাতে ঐ সমস্ত অডিয়্যান্স কে টার্গেট করে বিক্রয় বৃদ্ধি করা যায়।
PPC (Pay-Per-Click) Advertising এর কাজ করে
PPC (Pay-Per-Click) Advertising এখানে কাজটা হলো এখানে ব্যবসায়ীরা তখনই টাকা প্রদান করে যখন কেউ তাদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। ইহা সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ ফেসবুক, ইউটিউব, পেইড অ্যাডস রান করার উপায়। এর মাধ্যমে দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া যায়। কারণ এখানে সরাসরি অডিয়্যান্সদের টার্গেট করা হয়।
PPC অ্যাডস এর চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধির কারণঃ
দ্রুত ফলাফল: এ পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীরা টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গ্রাহকদের নিকট পৌছে দেয়। যা ফলে দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হয়।
নিয়ন্ত্রণ: এ পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীর নিজস্ব বাজেট, টার্গেটেড অডিয়েন্স, অ্যাড টাইমিং সব কিছু নিজে নিয়ন্ত্রণ করে সমন্বয় করতে পারে। এর ফলে প্রোডাক্টের প্রচারণা অনেক বেশি ফল প্রসূ হয়।
ফ্লেক্সিবিলিটি: এ পদ্ধতি অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল। গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস এগুলোর মাধ্যমে সহজে ব্যবসায়ীরা তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে এবং নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে।
PPC এক্সপার্টদের কাজ হলো সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা, অ্যাড ক্যাম্পইন অপটিমাইজ করা এবং কনভার্সন রেট বাড়ানো। বর্তমানে PPC এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দ্রুত ফলাফল পেতে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর কাজ
যখন কোন জনপ্রিয় ব্যাক্তিদের দ্বারা কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনা চালানো হয় তাকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলে। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং সিস্টেমের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি পদ্ধতি। যেমনঃ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্যাক্তি। তার মাধ্যমে যেসকল প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার প্রচারণা চালানো হয় সেটাকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলে। এর মাধ্যমে প্রোডাক্টের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ানো যায়। এর মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার তাদের ফলোয়ারদের কাছে ঐ প্রোডাক্টটি সম্পর্কে জানায় ফলে ঐ প্রোডাক্টটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধির কারণঃ-
দ্রুত গ্রাহকদের নিকট প্রোডাক্ট পৌছানোঃ- সাধারণত যারা ইনফ্লুয়েন্সাররা তারা ফলোয়ারদের আস্থা অর্জন করে। যখন তারা কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রশংসা করে তখন তাদের ফলোয়াররা ঐ প্রোডাক্ট ক্রয় করতে আগ্রহী হয়। এতে ঐ প্রোডাক্টের প্রচার-প্রচারণা যেমন বাড়ে তেমনি বিক্রয় বৃদ্ধি পায়।
কম খরচে প্রচারণা: এ পদ্ধতিতে ব্যয় কম, দ্রুত প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়ায় লাভ করা সম্ভব হয়।
ভিডিও মার্কেটিং এর কাজ
এখন অনলাইন প্লার্টফর্ম গুলোতে ভিডিও মার্কেটিং সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে শক্তিশালী মাধ্যম হলো ভিডিও কনটেন্ট। মানুষ স্বাভাবিকভাবে আর্টিকেল পড়ার চাইতে ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে। ভিডিও মাধ্যমে সহজে গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম এগুলো ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এগুলোর মাধ্যমে প্রোডাক্টের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি এবং প্রোডাক্টের সেল বৃদ্ধি করা যায়।
ভিডিও মার্কেটিং এর চাহিদার কারণঃ-
দৃশ্যমান উপস্থাপনা: ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিভিন্ন দিক গুলো দৃশ্যমানভাবে উপস্থাপন করা যায়। যা গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
বেশি এঙ্গেজমেন্ট: মানুষ কনটেন্ট পড়ার চাইতে ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে। এর মাধ্যমে অনেকক্ষণ মানুষের মনোযোগ ধরে রাখা যায়। বড় বড় কোম্পানি গুলো তাদের কোম্পানির প্রচার-প্রচারণার জন্য ভিডিও কনটেন্ট এর দিকে বেশি ঝুঁকছে।
ট্রেন্ডিং কন্টেন্ট: সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোন ধরণের কনটেন্ট দ্রুত প্রচার করতে ভিডিও কনটেন্ট এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর মাধ্যমে সহজে যেকোন ধরণের কনটেন্ট ভাইরাল করা যায়। এবং গ্রাহকদের দৃষ্টি দ্রুত আকর্ষণ করা যায়।
যারা ইউটিউবিং বা ভিডিও মেকিং এর কাজ করে থাকে তাদের কাজ হলো একটি আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করা যা ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির পাশাপাশি কোম্পানির সেল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
Affiliate Marketing এর কাজ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং করে কমিশন আয় করা। একটু বুঝিয়ে বলি, ধরুন আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ডেসক্রিপশন বক্সে দারাজের কোন একটি প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করবেন। আপনার এই লিংকে ক্লিক করে যারা দারাজের ঐ প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তার বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। এভাবে আপনার লিংকে ক্লিক করে যারা যত বেশি প্রোডাক্ট দারাজ থেকে ক্রয় করবে তার বিনিময়ে আপনি নিদিৃষ্ট হারে কমিশন পেতে থাকবেন। ইহাকে পারফমেন্স-বেসড মার্কেটিংও বলা হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার কারণঃ
এখানে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করে আয় করতে পারবেন। এটি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা বটে। এখানে আপনাকে প্রোডাক্ট ক্রয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে না।
অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় এখানে খরচ কম। এখানে শুধুমাত্র আপনার নিজস্ব মিডিয়া চ্যানেলে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে হয়।
ইহা একটি স্বাধীন পেশা। এখানে তেমন কোন বাধ্য-বাধকতা নেই।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবার, ব্লগার তারাই মূলত বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রমোশন করে এবং ঐ প্রোডাক্টের লিংক ব্যবহার করে প্রোডাক্ট সেল হলে তার বিনিময়ে কমিশন পায়। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
Conversion Rate Optimization (CRO) এর কাজ
CRO মূলত এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের ক্রেতায় কনভার্ট করা হয়। এখানে সাইটকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, এমনভাবে কনটেন্ট তৈরি করা হয় যেখানে গ্রাহকরা ঐ সার্ভিস বা প্রোডাক্ট ক্রয় করতে অনুপ্রানিত হয়।
Data Analytics এর কাজ
এখানে মূলত মার্কেটিং এর কৌশল। এর মাধ্যমে জানা যায় আপনি যে মার্কেটিং করলেন তা কতটুকু কার্যকর হলো ? গ্রাহকরা কেমন সাড়া দিচ্ছে ? এক্সপার্টরা বিভিন্ন মার্কেটিং কেম্পেইন থেকে ডাটা কালেক্ট করে তা বিশ্লেষণ করে নিত্য-নতুন কৌশল ঠিক করে।
মোবাইল মার্কেটিং এর কাজ
এ মার্কেটিং পদ্ধতিতে মোবাইলে ডিভাইসের সাহায্যে কাস্টমারদের টার্গেট করা হয়। আমরা সকলে জানি বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। এ পদ্ধতিতে মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল অ্যাডস, এসএমএস মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্রান্ডের বার্তা গ্রাহকদের নিকট পৌছানো হয়। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা সহজে কাষ্টমারদের নিকটবর্তী হয় এবং গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
অটোমেশন মার্কেটিং এর কাজ
এটি একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রসেস। যার মাধ্যমে মার্কেটিং কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। ইমেইল মার্কেটিং, ওয়েব কনটেন্টের প্রচারণা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে দ্রুত মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এখানে খরচ, সময় সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো অটোমেশন মার্কেটিং পদ্ধতি হাতে নেয়।
ধরুণ, কোন একটি ই-কমার্স সাইটে কাষ্টমার একটি প্রোডাক্ট দেখেছে কিন্তু তা ক্রয় করে নি। পরবর্তীতে অটোমেশন টুলস ব্যবহার করে কাষ্টমারকে ফলো-আপ ইমেইল পাঠানো হয়। যখন কোন ক্যাম্পইন চলে তখন ই-মেইল নটিফিকেশনের মাধ্যমে কাষ্টমারদের জানিয়ে দেয়া হয়। এতে সুবিধা হলো কাষ্টমারদের সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। এতে ব্যবসায়ী এবং কাস্টমারদের সম্পর্কের জায়গা মজবুত এবং শক্তিশালী হয়।
ই-কমার্স মার্কেটিং এর কাজ
ই-কমার্স মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং জানতে হবে। এখানে কাজ ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দেখানো এবং গ্রাহকদের কাছাকাছি অবস্থান করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করা। বর্তমানে ই-কমার্স সেক্টরের প্রসার দ্রুত বাড়ছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গোটা বিশ্ব-ব্যাপী পৌছে দেয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, PPC, ইমেইল মার্কেটিং এর সহায়তা নেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে প্রোডাক্টের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ে, সাথে বিক্রয়ও বাড়ে। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম হলোঃ-AliExpress, Amazon, Daraz, Flipkart ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এ কোন স্কিলগুলোর চাহিদা বেশি
- SEO
- Google Ads
- Facebook Ads
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- পেইড অ্যাড ক্যাম্পেইন
- ইমেইল মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ডাটা অ্যানালিটিক্স
কোন ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
- Google Ads
- Facebook Ads
- Email Marketing Automation
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন কাজগুলো সবচেয়ে বেশি
- SEO
- Google Ads Campaign Management
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ডাটা অ্যানালিটিক্স
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃ্ন্দ এই পোস্টে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম তথ্যবহুল পোস্ট আমরা চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত আপলোড করার জন্য।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url