ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার জানুন
আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার তা সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং কি ? এরকম নানান প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। তাই আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এই পোস্টের মাধ্যমে। এই পোস্টে আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার সে সম্পর্কে একটি সূক্ষ ধারণা দেয়া হবে।
মার্কেটিং শব্দটার সাথে আমরা সকলে কম-বেশি পরিচিত। ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে কোন প্রডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে মানুষকে জানানো হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় মুক্ত পেশাকে। এখানে কোন প্রকার কারও নিকট জবাবদিহিতা থাকে না। কাজের কোন নিদিৃষ্ট সময়সূচী থাকে না। দিনের যেকোন সময় কাজ করা যায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
যখন আপনি ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করবেন তখন বিভিন্ন ধরণের এড দেখতে পারবেন। এই যে আপনি আপনার ফোনে বিভিন্ন ধরণের এড দেখছেন এটা কিভাবে দেখা যাচ্ছে ? এর পিছনে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর টা অনেক বড়। মার্কেটিং এর কাজ হলো কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে মানুষকে জানানো। আগে মার্কেটিং পদ্ধতি ছিল মাইকিং করে। যেখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। যত-বেশি মানুষ আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানবে তত বেশি সেল বাড়বে। ব্যবসার এটাই নিয়ম। কিন্তু মাইকিং করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মার্কেটিং করা সম্ভব না।
তাই মার্কেটিং এর কাজকে আরোও গতিশীল, প্রানবন্ত করতে চলে এলো ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সজ্ঞা কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে ? ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ? এমন নানান প্রশ্ন আমরা জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করে থাকি। অনলাইন প্লাটফর্ম ( ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডিন, ই-মেইল সহ আরও অন্যান্য ) ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার পদ্ধতিকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কিঃ- বিস্তারিত জানুন ১ ক্লিকে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ইন্টারনেটের সাহায্যে পৌছে দেয়া সম্ভব। যা সনাতন পদ্ধতিতে মার্কেটিং করে সম্ভব নয়। যেহেতু ইহা ইন্টারনেটের যুগ। ভবিষ্যৎতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তাই লক্ষ,কোটি মানুষের নিকট কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস একসঙ্গে পৌছে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে ব্যবসার প্রচার, প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেরা প্লাটফর্ম হয়ে দাঁডিয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন
পূর্বে মার্কেটিং সিস্টেম ছিল এনালগ পদ্ধতিতে ( মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে, মুখে মুখে মানুষকে জানানো, পোস্টার টাঙ্গিয়ে )। এখন সময় পাল্টিয়েছে। মার্কেটিং এর ধরণও পাল্টিয়েছে। এখন অনলাইন প্লাটফর্ম ( ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডিন, ই-মেইল ) গুলোকে মার্কেটিং এর চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন ব্যবসার অগ্রগতির জন্য মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই। সনাতন পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতে গেলে একই সঙ্গে বহু মানুষের নিকট মেসেজ পাঠানো সম্ভব নয়।
একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গোটা-বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়। আগে ব্যবসা হতো কোন একটি এলাকাকেন্দ্রিক, এখন ব্যবসা হচ্ছে গোটা-বিশ্বব্যাপী। বর্তমান ব্যবসা অত্যন্ত প্রতিযোগিতা মূলক। প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় টিকে থাকতে শক্তিশালী মার্কেটিং পদ্ধতি গ্রহণ করা ছাড়া সেল বাড়ানো সম্ভব নয়। মানুষ এখন যেকোন কিছু ক্রয়ের পূর্বে ইন্টারনেটে সার্চ করে ঐ প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫ঃ- নতুন তথ্য
সনাতন মার্কেটিং পদ্ধতিতে ব্যবসা গ্রো করতে সময় বেশি লাগে, টাকা বেশি খরচ হয়, একইসঙ্গে লক্ষ কোটি মানুষকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানানো সম্ভব নয়। সনাতন মার্কেটিং পদ্ধতিতে মানুষের ইন্টারেস্ট যাচাই করা কঠিন, কিন্তু মার্কেটিং পদ্ধতিতে সেটা একেবারে সহজ। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে এমনভাবে পন্যের চমকপ্রদ ভিডিও তৈরি করা হয় যা মানুষকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করতে উৎসাহিত করা হয়। এভাবে ব্যবসার সেল বৃদ্ধি করা হয়।
উদাহারণস্বরুপ, ধরুণ বাজারে একটি নতুন ব্রান্ডের টিভির রিমোট এসেছে। এখন মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে, পোস্টার টাঙ্গিয়ে একদিনে কত জন মানুষের নিকট আপনার কোম্পানির টিভির রিমোটের তথ্য পৌছে দিতে পারবেন ? ধরে নিচ্ছি ১ লক্ষ মানুষের নিকট টিভির রিমোট সম্পর্কে পৌছে দিতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান ইন্টারনেটের যুগ, সবাই ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। ভবিষ্যৎতে ইন্টারনেট ব্যবহার কারীর সংখ্যা আরও বাড়বে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বিভিন্ন ধরণের পন্যের এড শো করে।
আরো পড়ুনঃ- মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি সেরা উপায়
এই এড গুলো কোটি কোটি মানুষের নিকট ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের সাহায্যে পৌছে যাচ্ছে। আপনি যদি আপনার টিভির রিমোটের ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তাহলে এভাবে ১ দিনে কোটি কোটি মানুষের নিকট টিভির রিমোট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলে যাচ্ছে। এভাবে মানুষ আপনার টিভির রিমাট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানল। কারোও রিমোট কেনার প্রয়োজন হলে তারা এই ব্রান্ডের রিমোট ক্রয় করবে। এভাবে আপনি আপনার ব্যবসা গ্রো করতে পারেন। মার্কেটিং কৌশল যত শক্তিশালী হবে তত বেশি সেল বাড়বে এবং ব্যবসা গ্রো করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার | ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কী কী | ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরণ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর অনেক বড়। মার্কেটিং এর একাধিক পদ্ধতির সমন্বয়ে তৈরি হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে যেকোন একটি কাজে দক্ষ হতে হবে। পাশাপাশি মার্কেটিং এর অন্যান্য নিয়ম গুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে সহজ কাজ হলো কনটেন্ট মার্কেটিং যেটি আপনি এখন পড়ছেন অর্থ্যাৎ লেখালেখির কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরণ গুলো নিম্নরুপঃ-
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( এসইও )- ধরুণ, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। এখন আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে এসইও কোন বিকল্প নেই। কারণ, আপনার মতো বহু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ওই কনটেন্ট কাজ করে গুগলের প্রথম পেজে রয়েছে। যেসকল ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে পেজে রয়েছে ঐ সকল ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বেশি পাওয়া যায়। তাই আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য এসইও করতে হবে।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ- এটা দুই সিস্টেমে করা যায়। যথাঃ- পেইড সিস্টেম অর্থ্যাৎ গুগলকে টাকা দিয়ে। যখন আপনি গুগল কর্তৃপক্ষকে টাকা দিবেন তখন আপনার ঐ কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে থাকবে। ঐ কনটেন্টে ট্রাফিক বেশি পাওয়া যাবে। পেইড সিস্টেমে লক্ষ করলে দেখবেন পাশে ছোট করে (ad) লিখা থাকে। আর আনপেইড সিস্টেমে এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ঐ কনটেন্টকে সবার উপরে নিয়ে আসা হয়।
কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ- কনটেন্ট মার্কেটিং করতে আপনার নিজস্ব বা কোম্পানির ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। প্রতিটি বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। তারা তাদের ব্যবসার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে তারা তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার জন্য কর্তৃপক্ষ কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে সহজ কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং। আপনি যে পড়াটা পড়ছেন এটাও একটি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ। ডোমেইন, হোস্টিং, থিম কিনে আপনি নিজেও লেখালেখির কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ- ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সহ আরও অন্যান্য এগুলো হলো সব থেকে জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া। মানুষ কনটেন্ট পড়ার থেকে ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে। ভিডিওতে পন্য বা সার্ভিসকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় মানুষকে ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করে তা এনালিটিক্স বা ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে জানা যায়। এতে করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজে টার্গেটেড অডিয়েন্সদের নিকট প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের এড দেখাতে পারেন।
পে-পার-ক্লিক এডভার্টাইজিংঃ- ধরুণ, আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকেন, যেমনটা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে করে থাকি। একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ হচ্ছে ট্রাফিক। ধরে নিচ্ছি, আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক আসে। এত সংখ্যক ট্রাফিকের দ্বারা ইনকাম করতে হলে আপনাকে গুগলে এডসেন্স এপ্রোভ করাতে হবে। একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের অন্যতম সোর্স হচ্ছে গুগল এডসেন্স। গুগলে এডসেন্স এপ্রোভ হলে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরণের এড দেখাবে। ভিজিটররা ঐ এডে ক্লিক করলে তার বিনিময়ে টাকা পাবেন এটাকে বোঝাচ্ছে পে-পার-ক্লিক এডভার্টাইজিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ- ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম সহজ পদ্ধতি গুলোর একটি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিয়ে টাকা উপার্জনকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে, সহজভাষায়। সাধারণভাবে বোঝায়, আপনি আপনার সাইকেল বিক্রি করে দিয়েছেন খুশি হয়ে আমি আপনাকে টাকা দিলাম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এটা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।
বর্তমানে দারাজ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। ধরুণ, আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এখন আপনি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের কোন একটি প্রোডাক্টের লিংক আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল শেয়ার করলেন। এখন আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলের ভিজিটররা যদি ঐ লিংকে ক্লিক করে দারাজের কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে তার বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন এটা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।
ই-মেইল মার্কেটিংঃ- মূলত টার্গেটেড অডিয়েন্সদের নিয়ে ই-মেইল মার্কেটিং করা হয়। অর্থ্যাৎ যারা ঐ প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করতে আগ্রহী। ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কাষ্টমারদের কাছাকাছি অবস্থান করা যায়। ব্যবসা সংশ্লিষ্ট যেকোন তথ্য, ডিসকাউন্ট, অফার ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ- সোশ্যাল জনপ্রিয় ব্যাক্তি ( ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ) তাদের দ্বারা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যখন তাদের কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার-প্রচারণা চালায় তাদের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার বলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ব্যাক্তিদের ফলোয়ার সংখ্যা অনেক। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের সেল বাড়ানোর জন্য কিছু অর্থের বিনিময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ব্যাক্তিদের দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালায়। এতে ঐ প্রোডাক্টের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ে সেলও বেশি হয়। এটা হলো ইনফ্লুযেন্সার মার্কেটিং সিস্টেম।
ভিডিও মার্কেটিংঃ- এই কাজের জন্য সব থেকে জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। এখানে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের এমন চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয় যা অডিয়েন্সদের বাধ্য করে ঐ প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করতে। অনেক প্রতিষ্ঠান ভিডিও মার্কেটিং করে তাদের ব্যবসার-প্রচার প্রচারণা চালিয় থাকে।
এগুলো ছাড়াও আমরা টেলিভিশনে বিভিন্ন প্রোডাক্টের আমরা বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। এগুলো দেশের সকলকে টার্গেট করে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে পন্যের ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করা হয়। অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ফোনে এসএমএস করে সেবা সম্পর্কে অডিয়েন্সদের জানিয়ে থাকে। এতে করে অডিয়েন্সদের কাছাকাছি রিচ করা যায়। এটাকে ফোন মার্কেটিংও বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং পুরো সিস্টেমটি ইন্টারনেট কেন্দ্রিক। তাই বলা যায় যতদিন ইন্টারনেট থাকবে ডিজিটাল মার্কেটিং সিস্টেম তত দিন থাকবে। এটা প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে। ডিজিটাল মার্কেটিং নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করছে। ইহা নতুন নতুন সম্ভাবনার দাঁড় তৈরি করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রি প্রদান করছে। অদূর ভবিষ্যৎতে ব্যবসা যত প্রসারিত হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর তত চাহিদা বাড়বে।
অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এই সেক্টরের অনেক গুলো অংশ রয়েছে। যেগুলোকে একত্রিত করে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। যেকোন একটি কাজে আপনি দক্ষ হতে পারলে আশা করা যায় আপনি এই সেক্টর থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী তাহলে নিজ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। একটি সফল ব্যবসা দাঁড় করাতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই।
অদূর ভবিষ্যৎতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা এতটাই বাড়বে যে আপনি কৃষক হোন, শিক্ষক হোন, ব্যবসায়ী হোন, ছাত্র হোন সকলকে এই পেশার সাথে সম্পৃ্ক্ততা বাড়াতে হবে। কারণ, মাইকিং করে মার্কেটিং করার প্রথা এখন বিলুপ্তির পথে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে সহজ কাজ হলো কনটেন্ট মার্কেটিং। আপনি ডোমেইন, হোস্টিং, থিম ক্রয় করে নিজেই একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে আমাদের মতো কনটেন্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠার সহিত কাজ করে যেতে হবে। সাফল্য আসুক কিংবা না আসুক। এই সেক্টরে চাপ অনেক বেশি। বাংলাদেশে আনুমানিক প্রায় ৮০% শতাংশ যুব সমাজ এই পেশার দিকে ঝুঁকছে। এখান থেকে টাকা উপার্জন করতে হলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। কোন ইন্সটিটিউট থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কোর্স করতে হবে। ওয়েবকোডার আইটি, ক্রিয়েটিভ আইটি, এসআর ড্রিম আইটি, সিবিএ আইটি এ ধরণের ইন্সটিটিউট থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করতে পারেন।
প্রথমে ইনকাম হতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু ধৈর্য্য হারা হলে চলবে না। প্রচন্ড রকমের আত্নবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। একবার যদি ইনকাম শুরু হয় তাহলে আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করেই আপনি আপনার স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রুপ দিতে পারবেন। এই কাজ করে লক্ষ, লক্ষ, কোটি, কোটি টাকা ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর নাম
এখন আমি যেসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর নাম বলব এসব মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব মার্কেটপ্লেসে অনেক বাংলাদেশী কাজ করে তারা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর নাম নিম্নরুপঃ
- Fiverr
- Upwork
- People Per Hour
- Freelancer.com
- Guru
- Dribble
- Simply Hired
- Aquent
- 99 Designs
ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবেন
- কোর্স করে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য জনপ্রিয় কিছু প্রতিষ্ঠান ( ওয়েবকোডার আইটি, এসআর ড্রিম আইটি, ক্রিয়েটিভ আইটি, অর্ডিনারি আইটি, সিবিএ আইটি )
- ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে
- ব্লগ পড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ বেসিক জ্ঞান লাভ করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার জানুন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই রকম ডিজিটাল মার্কেটিং সংশ্লিষ্ট পোস্ট আমরা আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত আপলোড করে থাকি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url