ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে জানুন
এই আর্টিকেলে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা জানব। বাংলাদেশে যত গুলো বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় ব্যাংক হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক। এখানে অর্থ লেনদেন শতভাগ নিরাপদ। তো আপনারা যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তারা প্রায় গুগলে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে জানতে চেয়ে সার্চ করে থাকেন।
তো ধারাবাহিকতায় আমরা এই পোস্টে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে ? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে খুঁটি-নাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
- ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ
- লেখকের মন্তব্য
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
যেকোন বয়সের মানুষ এই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারে। শিক্ষার্থী, গৃহিনী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী সবাই এই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলে অর্থ সঞ্চয় করতে পারে। আপনারা প্রায় গুগলে সার্চ করে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে তা জানতে চেয়েছেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা দিয়েও খোলা যায়। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতেঃ-
- শিক্ষার্থীদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে - ১০০ টাকা লাগে।
- আপনি যদি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, গৃহিনী হন বা সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান - ৫০০ টাকা লাগবে।
- যদি ভিআইপি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে - ৫০০০ টাকা লাগবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে আমরা অনেকে জানি না। যারা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে আগ্রহী তাদের ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তা জানা দরকার। চলুন তাহলে এক নজরে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে জেনে নেওয়া যাকঃ-
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- যদি আপনি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি।
- নমিনি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি বা জন্ম সনদের ফটোকপি।
- নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি।
- আবেদনকারী শিক্ষার্থী হলে মাতা-পিতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং স্টুডেন্ট আইডির ফটোকপি।
- ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- আপনার স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি।
- একটি সচল ফোন নাম্বার।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- উপরের প্যারায় বর্ণিত কাগজ পত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যান।
- সেখান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফরম দিবে। সেই ফরম পূরণ করুন।
- এরপর একাউন্ট চালু করতে ১০০/৫০০/৫০০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট চালু করুন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা অনেক। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন। এখন আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা সম্পর্কে জানবঃ-
- দেশ ব্যাপী ডাচ বাংলা ব্যাংকের রয়েছে অসংখ্য শাখা। আপনি সেই শাখার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এতে আপনার ভোগান্তি কম হবে।
- সারা দেশে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৫ হাজারেরও বেশি এটিএম বুথ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আপনার কাছে টাকা না থাকলেও আপনি এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এই ব্যাংক ফাস্ট ট্র্যাক নামে কিছু বুথে কিছু মৌলিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যার মাধ্যমে আপনি সহজে টাকা জমা, উত্তোলন, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ট্রান্সফার করতে পারেন।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি ব্যাংকের ব্যাংক ব্যালেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠাতে পারবেন।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুললে একটি নেক্সাস কার্ড পাওয়া যায়। এই কার্ডের ফি মাস্টার কার্ডের চেয়ে কম। এই কার্ড দিয়ে আপনি সহজে কেনাকাটা করতে পারবেন, বিভিন্ন দোকান বা রেস্তারায় অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন।
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো রকেট। রকেট থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন বা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই যারা নিয়মিত ডাচ বাংলা ব্যাংকে লেনদেন করবে তারা অতিরিক্ত সুবিধা পাবে।
- তাছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন ধরণের সেভিংস একাউন্ট সুবিধা রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার সে বিষয়ে আমরা নিচের পর্বে আলোচনা করেছি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন ধরণের একাউন্ট রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক সবার প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই ধরণের একাউন্ট সেবা চালু করেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে ২ ধরণের একাউন্ট সেবা চালু আছে যেমনঃ সেভিংস একাউন্ট, চেকিং একাউন্ট ইত্যাদি। এই গুলোর মধ্যে ভাগ রয়েছে। এখন আমরা জানব ডাচ বাংলা ব্যাংকে কি কি ধরণের একাউন্ট রয়েছে সে সম্পর্কে।
সেভিংস ডিপোজিট প্লাস অ্যাকাউন্টঃ- এটি প্রিমিয়াম সেভিংস একাউন্ট। এই একাউন্টে নূন্যতম ৫০০০ টাকা থাকলে প্রথমে বছরে বিনামূল্যে একটি ডেবিট কার্ড সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে।
সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্ট্যান্ডার্ডঃ- এটি সাধারণ সেভিংস একাউন্ট। যে কেউ এই একাউন্ট খুলতে পারে। প্রথম বছরে বিনামূল্যে একটি ডেবিট কার্ড সুবিধা রয়েছে।
এক্সেল সেভিংস অ্যাকাউন্টঃ- এই একাউন্টের ফিস কম। এই একাউন্টে আপনি ডেবিট কার্ড পাবেন এবং কোন চেক দেয়া হবে না।
সুদ–মুক্ত সঞ্চয় অ্যাকাউন্টঃ- ইহা সাধারণ সেভিংস একাউন্ট। যারা তাদের একাউন্টে সুদ চান না তাদের জন্য এই একাউন্ট ভালো।
চেকিং অ্যাকাউন্টঃ- ইহা সাধারণ চেকিং একাউন্ট। এখানে কোন প্রকার সুদ পাওয়া যাবে না।
স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট অ্যাকাউন্টঃ- এই একাউন্ট শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা বড় অংকের অর্থ লেনদেন করে।
DBBL স্কুল সেভার অ্যাকাউন্টঃ- এই একাউন্ট টি শিক্ষার্থীদের জন্য। সর্বনিম্ন ১০০ টাকা দিয়ে আপনি এই একাউন্টটি খুলতে পারেন। এই একাউন্টে সম্পূর্ণ সেবা বিনামূল্যে দেয়া হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর কি কি সুবিধা রয়েছে এই পর্বে আমরা জানব। ডাচ বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুললে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় আমরা অনেকে জানি না। স্টুডেন্ট একাউন্ট এর চেয়ে সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা অনেক বেশি।
- যখন প্রয়োজন হয় তখন টাকা লেনদেন করা যায়।
- সেভিংস একাউন্টে চেক ইস্যু করা খুবই সহজ।
- সেভিংস একাউন্ট ভেঙ্গে ডিপিএস চালু করা সুযোগ রয়েছে।
- লেনদেনের ক্ষেত্রে তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে টাকা উত্তোলনে ব্যাংকের নীতিমালা মানতে হবে।
- দেশে সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে ডাচ বাংলা ব্যাংক। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে রাউটার একাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
- যদি কখনোও আপনার লোনের প্রয়োজন হয় তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- এখানে আপনি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
- যেহেতু ইহা ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে তো আপনি ঘরে বসেই ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
- কম খরচে লেনদেনের সুযোগ রয়েছে।
- জমাকৃত টাকার উপর মুনাফা পাওয়া যায়।
- আপনার একটি সেভিংস একাউন্ট থাকলে প্রথম বছরে ডেবিট কার্ড একদম ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন।
- বাংলাদেশের যেকোন শাখা টাকা জমা, উত্তোলন করতে পারবেন।
- যৌথভাবে আপনি এই একাউন্ট চালু করতে পারেন।
- সেভিংস একাউন্টে RTGS, BEFTIN সুবিধা পাওয়া যায়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি সেভিংস একাউন্ট খুলেন এর বিপরীতে আপনাকে একাউন্ট চার্জ দিতে হবে। কত টাকা একাউন্ট চার্জ দিতে হবে সে বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নাই। এই পর্বে আমরা আপনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে জানাব।
ডাচ বাংলা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট চার্জ ৬ মাস পর পর কাটা হয়।
- ০ - ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত কোন মেইনটেইনস চার্জ নেই।
- ১০,০০০ - ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয় - ১০০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট।
- ২৫,০০০ - ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয় - ২০০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট।
- ২,০০,০০০ - ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয় - ২৫০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট।
- ১০,০০,০০০ লক্ষ টাকার বেশি হলে মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয় - ৩০০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট।
স্টুডেন্ট একাউন্ট মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয়ঃ-
- ০ - ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কোন মেইনটেইনস চার্জ নেই।
- ২৫,০০০ টাকার উপরে ব্যালেন্স থাকলে উপরে বর্ণিত ( সেভিংস একাউন্ট ) নিয়ম অনুসারে মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক কার্ড মেইনটেইনস চার্জ ধার্য করা হয়ঃ-
- ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ ধার্য করা হয় ৪৬০ টাকা।
- ভিসা বা মাস্টার কার্ডের বাৎসরিক চার্জ ধার্য করা হয় ৮৬৩ টাকা।
- এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যতবার টাকা উত্তোলন করবেন ততবার - ১০ টাকা + ভ্যাট চার্জ কর্তন করা হবে।
- ডাচ বাংলা ব্যাংক ছাড়া অন্য যেকোন ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে যতবার লেনদেন করবেন ততবার ২.৫০% সরকার কর্তন করবে।
- সিঙ্গল কারেন্সি কার্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোন ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট করা যায়।
- এটিএম কার্ড, সিঙ্গল কারেন্সি কার্ড, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহারে ভিন্ন ভিন্ন বাৎসরিক চার্জ ধার্য করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক চেক বুক চার্জ করা হয় (সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে)ঃ-
- চেক বই প্রতি চার্জ - ৬০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট
- এমাইসিআর চেক বই চার্জ - প্রতি পাতা ৩ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট।
- একাউন্ট হোল্ডাররা ১০ বা ২০ পৃষ্টার চেক বুক অর্ডার করতে পারেন।
আবগারি শুল্কের উপর সরকারি চার্জঃ-
- ব্যালেন্স ১ লক্ষ টাকার বেশি হলে - ১৫০ টাকা চার্জ
- ব্যালেন্স ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে - ৫০০ টাকা চার্জ
- ব্যালেন্স ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে - ৩,০০০ টাকা চার্জ
- ব্যালেন্স ১ কোটি টাকার বেশি হলে - ১৫,০০০ টাকা চার্জ
- ব্যালেন্স ৫ কোটি টাকার বেশি হলে - ৪০,০০০ টাকা চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস, স্টুডেন্ট একাউন্ট বন্ধের চার্জঃ-
- নরমাল একাউন্ট + স্টুডেন্ট একাউন্ট এর চার্জ - ২০০ টাকা + ১৫% সরকারি ভ্যাট
ডাচ বাংলা ব্যাংক সুদের হারঃ-
নরমাল সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ২% সুদ দেয়া হয়। ব্যাংক তার গ্রাহককে কি পরিমাণ মুনাফা দিবে তা নির্ভর করবে গ্রাহকের একাউন্টে কি পরিমাণ মুনাফা রয়েছে তার উপর। সুদের হার দেয়া হয় জুন এবং ডিসেম্বর মাসে। একাউন্ট করার সময় টিন সার্টিফিকেট প্রদান করা হলে সুদের টাকার উপর ১০% ট্যাক্স কর্তন করা হয়। টিন সার্টিফিকেট প্রদান করা না হলে সুদের টাকার উপর ১৫% ট্যাক্স ধার্য করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ
ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের চার্জ প্রথম বছর থেকে কর্তন করা হবে না। কিন্তু ২য় বছর থেকে কর্তন করা হবে।
- ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম কার্ড চার্জ - ৩৪৫ টাকা ধার্য করা হবে ( ভ্যাটসহ )।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম ব্যাংক সংশ্লিষ্ট পোস্ট আমরা আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত পাবলিশ করে থাকি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url