গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা অনেকে জানতে চায়। এই পোস্ট থেকে আপনি গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা জানতে পারবেন। কেননা এই পোস্টে গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা আমাদের জানা দরকার। চলুন তাহলে আর দেরি না করে গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত সেগুলো জেনে নিই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকে ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাই কিন্তু ভালো মানের ল্যাপটপ কিভাবে চিনবো, চেনার উপায় কি তা আমরা জানি না। যে কারণে ল্যাপটপ ক্রয় করার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকি। ভালো মানের ল্যাপটপ চেনার উপায় জানতে হলে আপনাকে ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ পার্টস গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ পার্টস যেমনঃ সিপিইউ, র‌্যাম, হার্ডডিস্ক, ডিসপ্লে, ল্যাপটপের সাইজ, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি বিষয়ে আপনার একটি সুস্পষ্ট ধারণা থাকলে আপনি সহজে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। 

কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক সম্পর্কে আমাদের ধারণা না থাকার কারণে আমরা সেলসম্যানের তথ্যের ভিত্তিতে ল্যাপটপ ক্রয় করি। একসময় ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় আপনি জেনে গেলে আপনি নিজে নিজে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন সাশ্রয় মূল্যে। আজকের এই আলোচনা থেকে আমরা জানবো ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় গুলো কি কি কি।

প্রসেসরঃ ল্যাপটপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টস হল প্রসেসর। বাজারে অনেক কোম্পানির প্রসেসর পাওয়া যায়। কোন কোম্পানির প্রসেসর আপনার জন্য ভালো হবে যারা ল্যাপটপ সম্পর্কে কম জানে তাদের পক্ষে তা নির্বাচন করা কঠিন ব্যাপার। সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি প্রসেসের কোম্পানির নাম হল ইন্টেল ( Intel) এবং এএমডি (AMD)। এখন বিষয় হলো কোন কোম্পানির প্রসেসর আপনার জন্য ভালো হবে ইন্টেল ( Intel) কোম্পানির প্রসেসর নাকি এএমডি (AMD) কোম্পানির প্রসেসর। প্রসেসরের বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার বাজেটের উপর। 

আরো পড়ুনঃ- বালিশের নিচে ফোন রেখে ঘুমানোর কারণে যে বিপদ হচ্ছে

ধরুন, আপনার বাজেট ৩০,০০০ টাকা তাহলে আপনি এএমডি (AMD) প্রসেসর ক্রয় করুন। ৩০ হাজার টাকার বাজেটে আপনি যদি ইন্টেল ( Intel) প্রসেসর ক্রয় করেন তাহলে আপনার কম্পিউটার ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভালো হবে না। ৩০ হাজার টাকার বাজেটে  আপনি এএমডি (AMD) প্রসেসর ক্রয় করে নিন। আর আপনার বাজে যদি ৩০ হাজার টাকার উপরে হয় তাহলে আপনি ইন্টেল প্রসেসর ক্রয় করুন। এতে আপনার ল্যাপটপ এএমডি (AMD) প্রসেসরের চাইতে ভালো পারফরম্যান্স করবে।

প্রসেসরের কোরঃ প্রসেসরের কোর কত হবে তা নিয়ে আমরা অনেক দ্বিধার মধ্যে থাকি। মনে রাখবেন প্রসেসরের কোর যত বেশি হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ তত ভালো বা দ্রুত পারফম্যান্স করবে। হালকা পাতলা কাজ যেমনঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ্ইন্টারনেট ব্রাউজিং জন্য আপনি CORE i3 ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন। ভারী কোন কাজ যেমনঃ ভিডিও এডিটিং, ফটোশপ, গ্রাফিক্স এর জন্য আপনি CORE i5, CORE i7, CORE i9 ক্রয় করতে পারেন। কোর যত বেশি দাম তত বেশি হবে ল্যাপটপের পারফম্যান্স তত ভালো হবে।

প্রসেসরের জেনারেশনঃ চেষ্টা করবেন আপডেট জেনারেশনের প্রসেসর ক্রয় করার জন্য। প্রসেসরের জেনারেশন যত বেশি হবে প্রসেসর তত শক্তিশালী হবে, প্রসেসরের চিপগুলো ছোট হয়, ব্যাটারি কম চার্জ খরচ করে,  প্রসেসর শক্তির অপচয় কম হয়। তাই চেষ্টা করবেন আপডেট জেনারেশনের প্রসেসর ক্রয় করতে।

র‍্যামঃ ল্যাপটপ স্মুথলি কাজ করার জন্য আপনার ল্যাপটপে র‍্যাম থাকা জরুরী। র‌্যাম বেশি হলে আপনার ল্যাপটপে কাজ করার ক্ষমতা তত বাড়বে। র‌্যাম বেশি হলে আপনার ল্যাপটপ হ্যাং হবে না। যেকোনো প্রোগ্রাম আপনি সহজে প্রসেস করতে পারবেন। আপনার ল্যাপটপের র‍্যাম ৪ জিবি থেকে ৮ জিবি মধ্যে হলে ভালো হয়। (DDR4) র‍্যাম খুব দ্রুত এবং স্মুথলি কাজ করতে সক্ষম। 

আপনার ল্যাপটপের প্রসেসর খুব ভালো মানের কিন্তু আপনার র‌্যাম যদি কম হয় তাহলে আপনার ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভালো হবে না। আপনার ল্যাপটপে প্রসেসরের কোর বিবেচনা করে র‍্যাম লাগালে ভালো হয়। CORE i3 প্রসেসরের জন্য - ৪ জিবি র‌্যাম, CORE i5 প্রসেসরের জন্য -৮ জিবি, CORE i7- ১৬ জিবি র‌্যাম এবং CORE i9 বা তার উপরে জেনারেশনের জন্য আপনি DDR4 র‌্যাম এর ল্যাপটপ ক্রয় করুন।

হার্ডডিক্সঃ যেটা C DRive নামেও পরিচিত। এখানে সকল ফাইল সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন সিস্টেমের সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করা থাকে। হার্ডডিস্ক কে কম্পিউটারে স্থায়ী মেমোরি বলা হয়। শুধু বড় সাইজের হার্ডডিস্ক ক্রয় করলে চলবে না সেইসাথে ভালো মানের হার্ডডিস্ক ক্রয় করতে হবে। ল্যাপটপের স্পিড নির্ভর করে হার্ডডিক্স, প্রসেসর, র‌্যাম এ তিনটি হার্ডওয়ারের উপরে। দুই ধরনের হার্ডডিক্স আছে একটি হলো হার্ডডিস্ক ড্রাইভ (HDD) অন্যটি হলো সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD)। 

বাজারে নতুন একটি সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) বের হয়েছে যেটার স্পিড ৪জিবি এর বেশি। সেটার নাম হলো NVME M.2। নরমালি হার্ডডিস্ক ড্রাইভ (HDD) স্পিড ১০০ মেগা বাইট এর মতো অন্যদিকে সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) স্পিড ৬০০ মেগা বাইটের মতো। এজন্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর পাশাপাশি যদি সলিড স্টেট ড্রাইভ যুক্ত ল্যাপটপ আপনি ক্রয় করেন তাহলে আপনার ল্যাপটপের স্পিড অনেক বেড়ে যাবে।

মাদারবোর্ডঃ মাদারবোর্ড কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন মাদারবোর্ডে সকল ধরনের আপডেট ডিভাইস সাপোর্ট করে কিনা। প্রসেসরর‍, র‍্যাম, অন্যান্য পার্টসগুলো মাদারবোর্ডের সাথে সমন্বয় করে ক্রয় করবেন। কারণ আপনার ল্যাপটপের মাদারবোর্ড যদি সে পার্টসগুলো সাপোর্ট না করে তাহলে আপনি ল্যাপটপ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করতে পারেন না। মাদারবোর্ড একে প্রিন্টের সার্কিট বোর্ড বলা হয়। কম্পিউটারের মূল ফাউন্ডেশন হচ্ছে মাদারবোর্ড। মাদারবোর্ড থেকে কম্পিউটারের অন্যান্য ডিভাইস গুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ব্যাটারির ক্যাপাসিটিঃ ল্যাপটপের এত চাহিদা কেন ? এর একটা কারণ এটা যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় এবং ব্যাটারি চার্জ করে বিদ্যুৎ ছাড়া এর ল্যাপটপ চালানো যায়। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাকআপ পাওয়া যায় এমন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। ল্যাপটপ ক্রয় করার আগে ব্যাটারির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। কারণ আপনি অবশ্যই চাইবেন আপনার ল্যাপটপ বিদ্যুৎ ছাড়া যেন ৬-৮ ঘন্টা যেন চলে।

আরো পড়ুনঃ- নেটওয়ার্ক টপোলজি কি - টপোলজি কি কত প্রকার জেনে নিন

ল্যাপটপের ডিসপ্লেঃ ফুল এইচডি ডিসপ্লে ল্যাপটপ ক্রয় করুন। যেটার সাইজ হলো (১৯২০×১০৮০)। আপনার ডিসপ্লে যদি ভালো না হয় আপনি কাজ করে, মুভি দেখে, গেম খেলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন না। এইজন্য ফুল এইচডি ডিসপ্লে যুক্ত ল্যাপটপ ক্রয় করুন। সাথে গ্রাফিক্স কার্ড আছে কিনা সেটাও দেখে নিবেন। কারণ, যদি গ্রাফিক্স কার্ড না থাকে তাহলে আপনি ফুল এইচডি ডিসপ্লে সুবিধা আপনি পাবেন না। অন্তত ২ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড আছে এমন ল্যাপটপ ক্রয় করুন।

ল্যাপটপের সাইজ এবং ওয়েটঃ আপনি কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান আগে তা নির্ধারণ করুন। যদি আপনি বাহিরের কাজের জন্য ল্যাপটপ  ক্রয় করতে চাচ্ছেন বা ল্যাপটপ নিয়ে বিভিন্ন জাযগায় ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তাহলে ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি সাইজের ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন। কারণ এ সাইজের ল্যাপটপ গুলো হালকা হয় এবং বহন করাও সোজা হয়। আর আপনি যদি এক জায়গায় ল্যাপটপ রাখতে চান অথবা কোন প্রকার বহন করতে না চান তাহলে তাহলে আপনি ১৫ ইঞ্চি উপরের সাইজের ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন। এই সাইজের ল্যাপটপ গুলো ভারী হয়ে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেমঃ পুরোনো উইন্ডোজ ভার্সনের ল্যাপটপ ক্রয় করবেন না। সবসময় লেটেস্ট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর ল্যাপটপ ক্রয় করুন। কারণ পুরোনো উইন্ডোজ ব্যবহার করলে আপনার ল্যাপটপ ঠিকঠাক পারফম্যান্স নাও করতে পারে । কেননা এখানে অনেক বিষয় চেঞ্জ করা হয় যা লেটেস্ট উইন্ডোজ ভার্সনের সাথে নাও মিলতে পারে। ল্যাপটপ অতি দ্রুত এবং স্মুথলি রান করতে " Windows 10 Pro"  এবং "Windows 10 Home" এই লেটেস্ট ভার্সনের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেনা।

ল্যাপটপ এর নাম

আমরা অনেকে ল্যাপটপ ক্রয় করতে চাই। কোন কোন ব্রান্ডের  ল্যাপটপ বাজারে পাওয়া যায় তা আমরা অনেকে জানি না। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। আজকে আমরা জানবো বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ এর নাম । চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ এর নাম জেনে নেওয়া যাক।

  • অ্যাপল ব্রান্ডের ল্যাপটপ। ( Apple laptop)
  • আসুস ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Asus Laptop)
  • এসার ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Acer Laptop)
  • অ্যাভিটা ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Avita Laptop)
  • চুই ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Chuwi Laptop)
  • গিগাবাইট ব্রান্ডের ল্যাপটপ। ( Gigabyte Laptop)
  • ডেল ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Dell Laptop)
  • এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (HP Laptop)
  • হুয়াওয়ে ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Huawei Laptop)
  • আই-লাইফ ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (I-Life Laptop)
  • লেনভো ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Lenovo Laptop)
  • মাইক্রোসফট ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Microsoft Laptop)
  • এমএসআই ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (MSI Laptop)
  • রেজার ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Razer Laptop)
  • ওয়ালটন ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Walton Laptop)
  • শাওমি ব্রান্ডের ল্যাপটপ। (Xiaomi Laptop)
এই ব্রান্ড গুলোর মধ্যে এইচপি, ডেল, ্এসার, আসুস এই ব্রান্ডের ল্যাপটপ গুলো আমাদের বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। উপরে বর্ণিত বিভিন্ন ব্রান্ডের ল্যাপটপ গুলোর দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনাকে ল্যাপটপ পছন্দ করতে হবে।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

বর্তমানে ল্যাপটপের চাহিদা অনেক বেশি। এটার আকার আকৃতি ছোট এবং সহজে বহন করা যায় বিধায় অনেকে ল্যাপটপের পিছনে ঝুকছে। নতুন ল্যাপটপের দাম বেশি বিধায় অনেকে পুরাতন ল্যাপটপ বাছাই করে। কিন্তু পুরাতন ল্যাপটপ বা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বাচাই করতে কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হয়। বিভিন্ন মডেল বা কনফিগারেশনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। কোন মডেলের ল্যাপটপ বাজেট অনুযায়ী আপনার জন্য পারফেক্ট হবে তা আমরা জানি না। এই আলোচনা থেকে আমরা জানবো পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্যাটারি আয়ুষ্কালঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল চেক করে নিতে হবে। যখন নতুন কোন ডিভাইস আপনি ক্রয় করবেন তখন আপনাকে ব্যাটারি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যখন আপনি পুরাতন ডিভাইস ক্রয় করবেন তখন আপনাকে ব্যাটারি বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। পুরাতন ল্যাপটপে ব্যাটারির ব্যাক আপ পাওয়া সহজ নয়। ২ ঘন্টা ব্যাটারির ব্যাক আপ পাওয়া যাবে এমন ল্যাপটপ ক্রয় করুন।


ল্যাপটপের পোর্টসঃ ল্যাপটপের অনেক গুলো পোর্ট থাকে যেমনঃ চার্জার পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট, হেডফোনের পোর্ট এই বিষয়গুলো দেখে নিবেন। কারণ পুরাতন ল্যাপটপে এগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এগুলো যদি আপনি দেখে না নেন ভবিষ্যৎতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি আপনি হতে পারেন। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় এগুলোর পোর্টস ভালো করে চেক করে নিবেন।

ল্যাপটপের কী বোর্ড+টাচ প্যাডঃ পুরাতন ল্যাপটপে কীবোর্ড এবং টাচ প্যাড এই গুলো দেখে নিবেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় কী বোর্ডের কি ঠিক ঠাক কাজ নাও করতে পারে। পরবর্তীতে যেকোন প্রকারের ঝামেলা এড়াতে ল্যাপটপের কীবোর্ড এবং টাচ প্যাড দেখে নিন।

ল্যাপটপের ডিসপ্লেঃ পুরাতন ল্যাপটপে ডিসপ্লে এবং ডিসপ্লে কন্ডিশন চেক করুন। ডিসপ্লে তে কোন স্পট আছে কিনা, ডিসপ্লে দেখতে কেমন ইত্যাদি বিষয় চেক করে নিবেন। পুরাতন ল্যাপটপে ডিসপ্লে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেসকল ডিসপ্লেতে ত্রুটি আছে যেমনঃ স্পট, স্ক্র‌্যাচ, বা ঘোলা দেখা গেলে সে সকল ল্যাপটপ ক্রয় না করা ভালো। কারণ ডিসপ্লে যে কোন সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ল্যাপটপের ওজনঃ বেশির ভাগ মানুষ ল্যাপটপ ক্রয় করে এজন্য যে ল্যাপটপ সহজে বহন করা যায় এবং যেকোন স্থানে বসে ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়। তাই চেষ্টা করবেন হালকা ওজনের ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাতে সহজে বহন করা যায়। যদি ল্যাপটপের ওজন বেশি হয় তাহলে ল্যাপটপ বহন করতে আপনার অসুবিধা হবে। এজন্য ওজনে হালকা এমন ল্যাপটপ ক্রয় করুন।

কনফিগারেশনঃ ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের কনফিগারেশন যাচাই করা অনেক জরুরী। আপনি যদি ল্যাপটপের কনফিগারেশন সম্পর্কে না জানেন তাহলে অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিয়ে ল্যাপটপ ক্রয় করুন। কোন কাজের জন্য আপনি ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন সে বিষয়টি আপনি মূল্যায়ন করুন। আপনার কাজের চাহিদা অনুযায়ী আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করুন। অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিয়ে ল্যাপটপ ক্রয় করলে আপনি ঠকবেন না।

ল্যাপটপের পারফম্যান্সঃ ল্যাপটপের দাম নির্ভর করে ল্যাপটপের পারফম্যান্স এর উপর। পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয়ের আগে ল্যাপটপ চালিয়ে দেখবেন । তাহলে বুঝা যাবে ল্যাপটপের পারফম্যান্স কেমন। হাই গ্রাফিক্সের ভিডিও বা গেম চালু করলে বুঝা যাবে ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার কিংবা সফটওয়্যার অবস্থা। তাই ল্যাপটপ নতুন হোক কিংবা পুরাতন হোক অবশ্যই ক্রয়ের পূর্বে ল্যাপটপের পারফম্যান্স যাচাই করবেন।

ল্যাপটপের সার্ভিসিং হিস্টোরি যাচাইঃ অধিকাংশ পুরাতন ল্যাপটপ সার্ভিসিং করা হয় অথবা সেগুলোর পার্টস পরিবর্তন করা হয়। তাই ল্যাপটপ ক্রয়ের আগে অবশ্যই সার্ভিসিং হিস্টরি জেনে নেবেন। যদি সার্ভিসিং হয়ে থাকে তাহলে কতবার সার্ভিসিং হয়েছে তা জেনে নিবেন। তাহলে ল্যাপটপ সম্পর্কে আপনি একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

ল্যাপটপের হার্ডওয়ার আপডেট সুবিধা: ল্যাপটপ কেনার আগে আপনি যাচাই করে নিবেন যে ল্যাপটপের হার্ডওয়ার আপডেট করা যাবে কিনা।  যে সকল ল্যাপটপের হার্ডওয়ার আপডেট করা যায় এমন ল্যাপটপ আপনি কেনার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি আপনার চাহিদা মত হার্ডওয়ার পরিবর্তন করতে পারবেন এবং ল্যাপটপে নতুন পার্টস যুক্ত করতে পারবেন চাহিদার মত। ল্যাপটপের হার্ডওয়ার যত লেটেস্ট হবে তত ল্যাপটপ দ্রুত এবং স্মুথলি কাজ করবে। ল্যাপটপের ভালো পারফরমেন্সের জন্য আপনি এসএসডি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাপটপের বডি কন্ডিশন দেখুন: সুন্দর এবং পরিপাটি জিনিস কে না পছন্দ করে। সবাই সুন্দর এবং পরিপাটি জিনিস কে সবকিছুর উধ্বে প্রাধান্য দেয়। তাই ল্যাপটপের বডি যেন স্ট্রং হয় এবং সুন্দর পরিপাটি হয়। ল্যাপটপের বডি দুর্বল হওয়ার কারণে বাইরে থেকে কোন আঘাত আসলে ল্যাপটপের ভিতর পার্টস ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চেষ্টা করবেন পুরাতন ল্যাপটপের মধ্যে সুন্দর পরিপাটি এবং স্ট্রং বডি দেখে ল্যাপটপ ক্রয় করার জন্য।

ল্যাপটপের ব্রান্ড দেখুনঃ সাধারণত বাজারে অনেক ব্রান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। সবগুলো ব্রান্ডের ল্যাপটপ যে বেস্ট এমনটা নয়। যে ব্রান্ডের ল্যাপটপের পার্টস খোজ করলে সহজে পাওয়া যায় এমন ব্রান্ডের ল্যাপটপ বাচাই করুন। বাজারে অনেক জনপ্রিয় ব্রান্ডের ল্যাপটপ রয়েছে যেমনঃ এইচপি, ডেল, এসার, লেনেভো, মাইক্রোসফট ইত্যাদি ব্রান্ডের ল্যাপটপ অনেক জনপ্রিয়। চেষ্টা করবেন এই ব্রান্ডের ল্যাপটপ গুলো ক্রয় করার জন্য। তাহলে আপনি ল্যাপটপের পার্টস গুলো সহজে খোজে পাবেন।

আশা করি আলোচনা থেকে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত নিয়ম ‍গুলো অনুসরন করে আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করলে আপনি ঠকবেন না। আশা করবো আমি উপরোক্ত নিয়ম গুলো অনুসরন করে ল্যাপটপ ক্রয় করবেন।

গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

বর্তমানে ল্যাপটপ বা পিসি  আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। মানুষ ডেক্সটপ এর চাইতে ল্যাপটপকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ ডেক্সটপ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বহন করা যায় না কিন্তু ল্যাপটপ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যায়। আজকের এই আলোচনা থেকে আমরা জানবো গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত।

ব্যাটারি লাইফঃ ল্যাপটপ কেনার আগে ব্যাটারি লাইফ জেনে নেওয়াটা অতীব জরুরি। বিদ্যুৎ চলে গেল ল্যাপটপ ব্যাটারির সাহায্যে চলে। এজন্য অনেকে ল্যাপটপ বেশি পছন্দ করে। তবে লক্ষ্য রাখবেন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাকআপ পাওয়া যাবে এমন ব্যাটারি ল্যাপটপ ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি ব্যাটারির চার্জিং ক্ষমতা, ব্যাটারির স্পিড কেমন, ব্যাটারির ভোল্টেজ কত, ব্যাটারির ম্যানুফেকচার ব্রান্ড জেনে নিন। 

ল্যাপটপের স্ক্রিণ ও আকারঃ ল্যাপটপের ক্রিন ফুল এইচডি  হতে হবে। এজন্য (১৯২০*১০৮০) পিক্সেলের ক্রিন কাজরে জন্য ভালো হবে। ক্রয়ের আগে ল্যাপটপটি একবার চালিয়ে দেখেবেন। সহজে বহন করা যায় এমন আকারের ল্যাপটপ ক্রয় করুন। সাধারনত ১৪/১৫ ইঞ্চি সাইজের ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। তাছাড়া আপনি কেমন সাইজের ল্যাপটপ চান সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর।

প্রসেসরঃ বাজারে দুই ধরনের প্রসেসর পাওয়া যায়। একটি হলো এএমডি ( AMD) এবং অন্যটি হলো ইন্টেল ( Intel)। চেষ্টা করবেন লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর ক্রয় করতে। লেটেস্ট জেনারেশনের প্রসেসর ক্রয় করলে আপনার ল্যাপটপ ভালো পারফম্যান্স করবে। যদি দেখা যায় আপনার বাজটে কম তাহলে আপনি কয়েক বছর আগের জেনারেশনের প্রসেসর ক্রয় করতে পারেন। ইন্টেলের ক্ষেত্রে CORE i3, Core i5, Core i7 প্রসেসর আপনার ল্যাপটপের জন্য ভালো হবে।

গ্রাফিক্স কার্ডঃ আপনি যদি নরমাল কাজের জন্য ল্যাপটপ ক্রয় করেন যেমনঃ (মাইক্রেসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট বা হালকা সফটওয়্যার) কাজের জন্য গ্রাফিক্স কার্ড দরকার হবে না। তবে আপনি যদি ভারী কোন কাজের জন্য ল্যাপটপ ক্রয় করেন যেমনঃ( হাই রেজ্যুলেশনের গেম, ভিডিও এডিটিং, ফটোশপ) ইত্যাদি ভারী সফটওয়্যার সম্বলিত কাজের জন্য আপনার গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে।

র‌্যাম নির্বাচনঃ ল্যাপটপের পারফম্যান্স এই র‌্যামের উপরে নির্ভর করে। স্বাভাবিক কাজের জন্য ৪ জিবি র‌্যাম যথেষ্ট । ৮জিবি র‌্যাম হলে আপনার জন্য ভালো। তাছাড়া গেমিং, এডিটিং, গ্রাফিক্সের জন্য ১৬ জিবি র‌্যামের ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারেন।

অপারেটিং সিস্টেমঃ পুরনাে উইন্ডোজ ভার্সনের ল্যাপটপ ক্রয় না করাই ভালো। চেষ্টা করবেন লেটেস্ট ভার্সনের ল্যাপটপ ক্রয় করার জন্য। এজন্য "Windows 10 pro" এবং "Windows 10 Home" অপারেটিং সিস্টেমের ল্যাপটপ ক্রয় করাটা শ্রেয়।

হার্ডডিস্কঃ ২ ধরনের হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়। একটি হলো এইচডিডি (HDD) এবং অন্যটি হলো সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD)। এইচডিডি হার্ডডিস্ক এর চেয়ে সলিড স্টেট ড্রাইভ হার্ডডিস্ক অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই চেষ্টা করবেন সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) ক্রয় করার জন্য।

গেমিং পিসিঃ গেমিং পিসি কে না পছন্দ করে। তবে গেমিং পিসি কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। সেগুলো হলোঃ পিসির সাইজ, প্রসেসর, জিপিইউ, স্টোরেজ, মনিটরসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত।

গেমিং পিসির সাইজঃ আপনার গেমিং পিসির সাইজ কেমন তা নির্ভর করবে আপনার উপর। বড় সাইজের গেমিং পিসি রাখার মতো যদি আপনার জায়গা না থাকে তাহলে ছোট সাইজের গেমিং পিসি বাছাই করাটা শ্রেয়। ছোট সাইজের গেমিং পিসির একটা সমস্যা হলো পিসির কুলিং সিস্টেম ছোট হওয়ায় তা শব্দ তৈরী করে। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া পিসিতে যেকোন ধরণের পার্টস লাগানো যাবে বা পিসি আপডেট  করা সহজ হবে এমন সাইজের পিসি নির্বাচন করুন।

প্রসেসরঃ গেমিং পিসির জন্য প্রসেসর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার পিসির পারফম্যান্স কেমন হবে তা প্রসেসর এর উপর নির্ভরশীল। এজন্য লেটেস্ট প্রসেসর বাচাই করাটা ভাল। বাজারে ২ থেকে ১৬ কোর এর প্রসেসর রয়েছে। প্রসেসরের কোর নির্ভর করবে আপনার বাজেটের উপর। সর্বনিম্ন ৪ কোর এর প্রসেসর আপনার গেমিং পিসির জন্য ভালো। কোর সংখ্যা আরও বেশি হলে আপনার জন্য ভালো। 

জনপ্রিয় ২টি প্রসেসর কোম্পানি হলো ১) AMD (এ.এম.ডি) প্রসেসর 2) Intel ( ইন্টেল) প্রসেসর। গেম ভালোভাবে রান করার জন্য ভালো মানের প্রসেসর বাছাই করাটা উত্তম। কেননা কিছু অ্যাপ সিঙ্গেল এবং মাল্টি উভয় কোরে চলে। ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে যদি লেটেস্ট প্রসেসর থাকে তাহলে আপনার গেমিং পিসির পারফম্যান্স অনেক উচ্চ লেভেলের হবে।

র‌্যাম নির্বাচনঃ আপনি যদি আপনার গেমিং পিসি স্মুথলি রান করাতে চান তাহলে ১৬ জিবি র‌্যাম হলে ভালো। অন্যান্য পার্টস এর চেয়ে র‌্যাম এর দাম তুলনামূরক কম।

জিপিইউঃ গেমিং পিসির ভালো পারফম্যান্স এর জন্য সিপিইউ এবং জিপিইউ দুটো ভালো মানের হওয়া লাগবে। সুবিধাটা হলো ভালো গ্রাফিক্স এবং ফ্রেমরেট পাওয়া যাবে। মডেল নাম্বার দেখে আপনি জিপিইউ কার্যকারিতা যাচাই করতে পারেন। জিপিইউ সংখ্যা যত বেশি হবে পারফম্যান্স তত ভালো হবে। গ্রাফিক্স কার্ড না থাকলে সেটা নরমাল পিসির মতো পরাফম্যান্স করবে। 

তাই গেমিং পিসির জন্য অবশ্যই ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড ক্রয় করবেন। লক্ষ্য রাখবেন আপনার গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে আপনার কম্পিউটারের বিদ্যমান উপাদান গুলো এডজাস্ট হচ্ছে কিনা। আপনার গ্রাফিক্স কার্ড মাদারবোর্ডে সাপোর্ট করে কিনা সেটা আপনাকে দেখতে হবে। মাদারবোর্ড এর সাথে সমন্বয় করে গ্রাফিক্স কার্ড ক্রয় করুন।

স্টোরেজঃ স্টোরেজ এর জন্য SSD ডিভাইস ভালো হবে। কারণ হার্ডডিস্ক এর চেয়ে এসএসডি তে ভাল স্পিড পাওয়া যায়। তবে এসএসডি দাম হার্ডডিস্ক এর চেয়ে তুলানামূলক বেশি। যদি আপনার স্টোরেজ বেশি দরকার হয় তাহলে এসএসডি পাশাপাশি এক্সট্রা হার্ডওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

মাদারবোর্ডঃ আপনার গেমিং পিসির জন্য মাদারবোর্ড গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক গুলো মাদারবোর্ড এর উপর থেকে কাজ করে থাকে। প্রসেসর, র‌্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড, স্টোরেজ এগুলো মাদারবোর্ড সাপোর্ট করে কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। মাদারবোর্ড এর সাথে সমন্বয় করে কম্পিউটারের অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলো ক্রয় করুন।

মনিটরঃ গেমিং পিসির জন্য হাই রিফ্রেশ রেট এর মনিটর ক্রয় করুন। ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন ও রিফ্রেশ রেট ্এই দুটি বিষয় মনিটর ক্রয় করার সময় মূল্যাযন করতে হবে। ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন এইচডি+ হলে আপনার জন্য ভালো।

অন্যান্য পার্টসঃ আরও কিছু পার্টস রয়েছে যেমন কী বোর্ড, মাউস, হেডফোন এগুলো আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী করতে পারেন। কী বোর্ড, মাউস, হেডফোন দামি হলে যে আপনার গেমিং পিসির পারফম্যান্স খুব ভালো হবে বিষয়টি এমন নয়। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কী বোর্ড, মাউস, হেডফোন ক্রয় করতে পারেন।

উপসংহার

উপরোক্ত নিয়ম গুলো অনুসরন করে আপনি গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ ক্রয় করলে আপনি ঠকবেন না। আশা করি উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরন করে আপনি ল্যাপটপ ক্রয় করবেন।

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরা পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায়, ল্যাপটপ এর নাম, পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়, গেমিং পিসি বা ল্যাপটপ কেনার সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষন  সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url