দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার জেনে নিন

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে আমরা সুন্দরভাবে দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার উপস্থাপন করেছি। 

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার

পোস্টসূচীপত্রঃ-চলুন তাহলে আর দেরি না করে দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক।

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার

গোটা পৃথিবী আজ প্রযুক্তির উপর সরাসরি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। চাইলেই প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে মানুষকে আলাদা করা সম্ভব না। বর্তমানে আমরা যে ডিজিটাল যুগে বাস করি তার পিছনে সব থেকে বড় অবদান হলো প্রযুক্তির। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনকে দ্রুত, সহজ, গতিশীল করে তুলেছে। 

মানুষ এখন প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে যেমনঃ- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা, উন্নয়ন ইত্যাদি। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করেছে উজ্জ্বল, সহজ, প্রাণবন্ত।  দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার নিম্নরূপঃ-

ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রযুক্তির কল্যাণে ব্যবসা আজ দেশ-বিদেশের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। আগের সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পন্ন হতো অফলাইনে। এখন গোটা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে অনলাইনে। অনেকে অনলাইনে ই-কমার্স প্রতিষ্টান দাঁড় করিয়ে ভালো পরিমাণে ইনকাম করছে। যে প্রোডাক্ট আপনি অফলাইনে পাচ্ছেন না, ঐ প্রোডাক্ট অনলাইন থেকে ক্রয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ- ব্যবসার অগ্রগতির কেন্দ্রে রয়েছে মার্কেটিং। আগে এনালগ পদ্ধতিতে মার্কেটিং ছিল জটিল। ধরুন, আপনি একটি নতুন ব্রান্ডের ক্যালকুলেটর বাজারে নিয়ে এসেছেন। আপনি যদি এনালগ পদ্ধতিতে মার্কেটিং করেন তাহলে এক দিনের লক্ষ কোটি মানুষের নিকট আপনার ব্রান্ডের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবেন না। 

কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কেটিং করার ফলে আপনার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লক্ষ কোটি মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুফল। মার্কেটিং এর কাজ কে আরো সহজ এবং গতিশীল করতে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম ক্ষেত্র হলো গুগল এডসেন্স, ইমেল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক বুষ্টিং ইত্যাদি। বর্তমানে এগুলোর মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন পণ্যের প্রচার প্রচারণা করে থাকে।

ই কমার্স প্ল্যাটফর্মঃ- বর্তমানে অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সেরা মাধ্যম হলো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। ই- কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে মানুষ অনলাইনে পণ্য বা সেবা অর্ডার করে। এই ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হয়ে থাকে। ই কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন দিনে দিনে বাড়ছে। মানুষ যে কোন পন্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য অনলাইনে ঝুঁকছে। জনপ্রিয় ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম হলঃ- অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, দারাজ ইত্যাদি। 

ব্যবসায়িক সফটওয়্যার ব্যবহারঃ- আগে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য খাতা কলমের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হতো। যা ছিল কষ্টসাধ্য এবং পরবর্তী সময়ে খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। ব্যবসায়িক সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যেমন দ্রুত হিসাব-নিকাশ করা সম্ভব হচ্ছে অনুরূপভাবে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সহজে যাবতীয় হিসাব সংরক্ষণ করা যাচ্ছে।

অনলাইন পেমেন্ট মেথডঃ- আগে দোকান থেকে অন্য কেনাবেচা করার পর হাতে হাতে নগদ টাকা লেনদেন করা হতো। যা ছিল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ যেমনঃ- ছিনতাই এর ভয়। এখন অনলাইন পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে মানুষ দোকান থেকে পণ্য কিনে নগদ, বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। 

যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- প্রযুক্তির সব থেকে বড় নেয়ামত হল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি। আগেকার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল ছিল যে, এক জাগার খবর অন্য জায়গায় পৌঁছাতে দিন/ সপ্তাহ/ মাস পর্যন্ত লেগে যেত। এখন ঘটে যাওয়া ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে তথ্য চলে যাচ্ছে। যা যোগাযোগ ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। আগেকার সময় যোগাযোগের জন্য মানুষ টেলিফোন থেকে ফোন থেকে স্মার্ট ফোন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সর্বশেষ সংযোজন হলো ইন্টারনেট।  যার মাধ্যমে দেশের এক প্রান্তে তথ্য অন্য প্রান্তে বিদ্যুতের গতিতে পৌঁছে যাচ্ছে। 

ই-মেইলঃ- যোগাযোগের অফিসিয়াল মাধ্যম হল ইমেইল। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য এবং প্রসাশনিক বা দাপ্তরিক তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং, এটা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একটি আশীর্বাদ স্বরুপ।

ভিডিও কলঃ- আগে দূরবর্তী স্থান কে অডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও এখন দূরবর্তী স্থান থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ফেস টু ফেস যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের এই সুফল মানুষ ভোগ করছে। ভিডিও কলে যোগাযোগের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ইমো, whatsapp ইত্যাদি। 

সোশ্যাল মিডিয়াঃ- আগে মানুষ স্যাটেলাইট মিডিয়া উপর নির্ভরশীল হলেও এখন প্রত্যেকের হাতে রয়েছে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ- facebook whatsapp টুইটার ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। আপনার বাড়ির পাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো মারাত্মক ঘটনা স্যাটেলাইট মিডিয়ায় আসার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।ফলে মানুষ খুব সহজে তথ্য দ্রুত পাচ্ছে। এ কারণে প্রত্যেক দেশে কমবেশি সকল নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল।   

ভয়েস কলঃ- ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়। ধরুন, আপনি এমন একটা এলাকায় রয়েছেন যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা নেই। ওই এলাকা থেকে যেকোনো ধরনের ঘটে যাওয়া ঘটনা  ভয়েস কলের মাধ্যমে প্রদান করতে পারেন।

শিক্ষা-ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ার কারণে, শিক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতি আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীতে আক্রান্ত, তখন অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়েছে। যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণেই সম্ভব হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা অনেক নিরাপদ বোধ করেছে।

ই লার্নিং প্ল্যাটফর্মঃ- যেকোনো স্কিল শেখার সেরা প্ল্যাটফর্ম হল ই-লার্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি সহজে যে কোন ধরনের স্কিল ই-লার্নিং প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে শিখতে পারেন। সুতরাং, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। 

ভিডিও টিউটোরিয়ালঃ- আগের সময়ে ক্লাস রেকর্ড করা যেত না। কোন কারনে একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হতে না পারলে ঐদিন তার পড়া মিস হয়ে যেত। এখন কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হতে না পারলেও রেকর্ডেড ভিডিও দেখে সে ক্লাস গুলো করে নিতে পারে।

প্রজেক্টের মাধ্যমে পাঠদানঃ- অনেক জটিল এবং কঠিন বিষয় রয়েছে যা সরাসরি হাতে কলমে বোঝানো সম্ভব হয় না, এক্ষেত্রে লাইভ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে শিক্ষকেরা বুঝিয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুততা বুঝতে পারে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে।

অনলাইনে পাঠদানঃ- এখন ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ার জন্য সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হতে হয় না। প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করা যায়।  প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ কোন কারণে যদি অফলাইনে ক্লাস বন্ধ থাকে তখন শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারে, যা তাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। 

লার্নিং অ্যাপঃ- যেকোনো বিষের উপর বর্তমানে অ্যাপস পাওয়া যায়। আপনি যদি ভাষা শিখতে চান ভাষা শিখার জন্য অ্যাপস রয়েছে। আপনি যদি ম্যাথ শিখতে চান ম্যাথ শিখার জন্যও অ্যাপস রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যা কিছু শিখতে চান সব বিষয়ের উপর এপ্স পাওয়া যায়। যা মানুষের জীবনকে সহজ করেছে এবং জটিল কাজগুলো সহজ সমাধান বের করেছে।

ই-বুক এর মাধ্যমে পাঠদানঃ- অনলাইনে এখন ই-বুক এর মাধ্যমে পাঠদান করা যায়। মূল বই এর কপির প্রয়োজন হয় না। শিক্ষার্থীরা এখন অনলাইন থেকেই ই-বুক ডাউনলোড করে তা মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটারের মাধ্যমে পড়তে পারে।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান, জটিল রোগ নিরাময় এর ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মানুষের দেহের যেকোনো ধরনের জটিল রোগ দ্রুত সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। আগের থেকেও বর্তমানে চিকিৎসা সেবার মান অনেক উন্নত। এর পিছনে রয়েছে প্রযুক্তির অবদান। 

স্বাস্থ্য সেবার অ্যাপঃ- দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের নিকট স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে চালু হয়েছে ' সুখী অ্যাপ '। যে অ্যাপের মাধ্যমে রোগীরা সরাসরি ডাক্তারের নিকট থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। ইহা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারঃ- অনেক জটিল রোগগুলো সহজে ধরা পড়ে না। যার ফলে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। জটিল রোগগুলো নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যেগুলোর সাহায্যে জটিল রোগ গুলো খুব সহজে সনাক্ত করার সম্ভব হয়। 

রোগের তথ্য সংরক্ষণঃ- EMR এর মাধ্যমে রোগীর রোগের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। ফলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়।

টেলিমেডিসিন সেবাঃ- তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দূর দূরান্তে গ্রামেগঞ্জে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এখন গ্রামের একজন ব্যক্তি এমন একটি রোগে আক্রান্ত, যে রোগের চিকিৎসক ওই গ্রামে নেই। শহরের ডাক্তারের নিকট রোগী আসতেও পারছে না এক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে রোগী এবং ডাক্তার সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছে। এবং রোগীরা প্রয়োজনীয় সমাধান নিতে পারছে। মূলত টেলি মেডিসিন সেবাগুলো প্রদান করা হয় ভিডিও কলের মাধ্যমে। 

মেডিকেল ডিভাইস পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রণঃ- মেডিকেল ডিভাইস গুলো মূলত কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। হলে যাবতীয় ডাটা তথ্য রেকর্ড বা সংরক্ষণ করা খুব সহজে সম্ভব হয়। যখন প্রয়োজন তখনই সে ডাটাগুলো সংগ্রহ করা যায়। 

বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে বিনোদন জগতে চলছে রমরমা ব্যবসা। আগেকার সময়ে মানুষ বিনোদনের জন্য টিভির পর্দার উপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে বিনোদনের জন্য হাতে থাকা স্মার্ট ফোনই যথেষ্ট। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে মানুষ ঘরে বসে বিনোদন নিতে পারে। অনলাইনে আড্ডা দেওয়া, লাইভ স্ট্রিমিং করা, সিনেমা দেখা সবই এখন অনলাইনে সম্ভব হচ্ছে। 

ভিডিও দেখাঃ- বর্তমানে ভিডিও দেখার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। ধরুন, আপনি খবর দেখতে চান। ইউটিউবে সার্চ দিলে উক্ত খবর আপনার সামনে চলে আসবে। ফলে আপনি সহজে ইউটিউব থেকে খবর দেখে নিতে পারছেন। আপনার যা কিছু জানার প্রয়োজন সবকিছু ইন্টারনেটে সার্চ দিলে তা আপনি সামনে চলে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে। 

গেম খেলাঃ- আজকাল অনেকে অনলাইনে গেম খেলে। অনলাইন গেমিং হচ্ছে গেম খেলার সেরা প্ল্যাটফর্ম। অবসর সময়ে হাতে মোবাইল থাকলে মানুষ গেম খেলে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় অনলাইনে গেম খেলা মোটেও উচিত নয়। প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষ এখন মোবাইলে গেম খেলতে সক্ষম হচ্ছে।

লাইভ ভিডিও করাঃ- রাস্তায় চলার পথে আপনার সাথে অপ্রত্যাশিত কোন কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুকে লাইভ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি সহায়তা নিতে পারেন। 

কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- প্রযুক্তির সফলতার কারণে কৃষি ক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা দেখা দিয়েছে। আগের সময়ে একটি জমি থেকে যে পরিমাণ ফসল উৎপাদন হতো বর্তমান সময়ের তার থেকে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এটা সম্ভব হচ্ছে প্রযুক্তির কৌশল প্রয়োগের কারণে। এতে করে দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাস নির্ণয়ঃ- আগের সময়ে আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস নির্ণয় করা যেত না। এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কখন রোদ বা কখন বৃষ্টি হবে তা অনুমান করা যাচ্ছে। কৃষকেরা সে অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করার ফলে ভালো পরিমাণে ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। 

মাটির পরীক্ষা করাঃ- একেক মাটির মধ্যে একেক গুনাগুন রয়েছে। আগের সময় মাটির সঠিক গুনাগুন নির্ণয় করা সম্ভব হতো না। আর সব মাটিতে সব ধরনের ফসল ভালো উৎপাদন হয় না। এখন আধুনিক ডিভাইসের দ্বারা মাটির সঠিক গুনাগুন পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোন মাটিতে কোন ধরনের ফসল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। 

অনলাইন থেকে কিছুই ভিত্তিক পরামর্শ নেওয়াঃ- এখন কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যেখানে কৃষকেরা তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করতে পারে এবং সঠিক পরামর্শ নিতে পারে। 

রোগ নির্ণয়ঃ- ফসলের গাছে নানান ধরনের রোগ হতে দেখা যায়। যার কারনে ফসল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। প্রযুক্তির অসাধারণ উদ্ভাবনের ফলে যে কোন ফসলের রোগ দ্রুত সনাক্ত করা যাচ্ছে। এবং সঠিক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে সে রোগ থেকে মুক্তি মিলছে। 

ফসল বিক্রিঃ- আগে কৃষকদের ফসল বিক্রি করা কঠিন ছিল। এখন বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে কৃষকেরা সহজে অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে। বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের অনলাইন প্লাটফর্ম এর সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে কৃষি পণ্যের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়বে এবং কৃষকেরা ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি করতে পারবে। 

সরকারি কাজে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- ইন্টারনেট পূর্ব সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি কাজ গুলো ছিল ধীর গতির। এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে অনলাইনে প্রত্যেকটি কাজ করা সম্ভব হচ্ছে যেমনঃ- পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন, সরকারি ট্যাক্স, জমির খাজনা, নাগরিক সেবা ইত্যাদি প্রত্যেকটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির পূর্ব সময়ে এ কাজগুলো ছিল সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। 

নাগরিক সেবার ওয়েবসাইটঃ- আগে সরকারী সেবা পাওয়ার জন্য মানুষ এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতো। কিন্তু এখন সরকারি সেবা পাওয়া খুবই সহজ। আপনি যে বিষয়ে সেবা চাচ্ছেন সে বিষয়ে লিখে গুগলে সার্চ দিলে সরকারি সেবার ওয়েবসাইটগুলো আপনার সামনে উপস্থিত হবে। সেখান থেকে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি সেবা নিতে পারেন।  যেমনঃ- জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন, বৃত্তির জন্য আবেদন, চাকরির জন্য আবেদন ইত্যাদি। 

পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনঃ- পাসপোর্ট এটি নাগরিক অধিকার। পূর্বের সময়ে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা ছিল খুবই জটিল। আপনি এখন খুব সহজে অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত পাসপোর্ট আপনি পেয়ে যাচ্ছেন। এটা শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির সকলের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। 

তথ্য প্রচারঃ- আগে সরকারের যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল BTV তে প্রদান করা হতো। এখন অনলাইনে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে সরকারি যাবতীয় তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। ফলে মানুষ খুব সহজে সরকারি তথ্য সম্পর্কে জানতে পারছে।  

অ্যাপসের ব্যবহারঃ- সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস চালু রয়েছে। যে অ্যাপসগুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজে দ্রুত সরকারি সেবা সংগ্রহ করতে পারছেন। এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে।  

যাতায়াত ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারঃ- বর্তমানে পরিবহন সেক্টরে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। প্রযুক্তি ছাড়া পরিবহন সেক্টর গুলো পুরোপুরি অচল। প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ অপরিচিত স্থানে করতে সক্ষম হচ্ছে। সুতরাং বলাই যাচ্ছে প্রযুক্তি সেবা ছাড়া পুরো পৃথিবী বর্তমানে অচল। 

টিকেট বুকিংঃ- আগেকার সময়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পরিবহনের জন্য টিকিট কাটতে হত। যা ছিল যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ভোগান্তির বিষয়। এখন আপনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারছেন ঘরে বসে। সুতরাং অনলাইনে টিকিট বুকিং সেবা প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হচ্ছে। 

অচেনা স্থানে যাতায়াতঃ- আগেকার সময়ে অচেনা স্থানে যাতায়াত ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে গুগল ম্যাপস এবং জিপিএস এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে অচেনা স্থানে যাতায়াত করতে সক্ষম হচ্ছেন। এগুলো তথ্যপ্রযুক্তির সুফল যা মানুষ ভোগ করছে। 

বাইকে ভাড়া নেওয়াঃ- যেটাকে বলে রাইড শেয়ারিং। এখন রাইট শেয়ারিং এর মাধ্যমে মানুষ দৈনিক হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারছে। রাইড শেয়ারিং এর জন্য বিশেষ এপ্স রয়েছে। যে অ্যাপসগুলোর সাহায্যে খুব সহজে বাইকে ভাড়া নেওয়া যায়। 

ট্রাফিক পরিষেবাঃ- বর্তমানে দূরবর্তী স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তায় কি পরিমান যানজট রয়েছে তা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা সম্ভব হচ্ছে। 

দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রযুক্তি ব্যবহারঃ- প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত জীবন পুরোপুরি অচল। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের অধিকাংশ মুহূর্ত প্রযুক্তির সাথে সরাসরি জড়িত। আমরা কোন কিছুর প্রয়োজন বোধ করলে তা জানতে সরাসরি অনলাইনে সাহায্য নিয়ে থাকি। যেমনঃ-

আপনি কোন বিষয়ে জানেন না কোন অসুবিধা নাই। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে সহজে গুগল ক্রোমে/ ইউটিউবে সার্চ দিলে প্রয়োজনে তথ্য আপনি সংগ্রহ করতে পারছেন। 

আপনি যদি অফিসে বসে বাড়ির সবকিছু দেখভাল করতে চান তাহলে গুগল হোম আপনার জন্য যথেষ্ট। এর মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার বাড়ি যাবতীয় কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। যেমনঃ- আপনার বাড়িতে কে আসলো ?  আপনার বাড়ির সদস্যরা এখন কি করছে ?  ইত্যাদি। 

আমরা বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বাসা বাড়ি অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রত্যেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে থাকি। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং নিরাপত্তাবোধ করি। মূলত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক উন্নতির কারণে মানুষ এত আধুনিকভাবে জীবন যাপন করতে পারছে। 

গবেষণা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারঃ- প্রযুক্তির সুবিধা ছাড়া গবেষণা পুরোপুরি অচল। গবেষণার মাধ্যমে আমরা কোন একটি বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। আর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষণার প্রয়োজন হয়। এই গবেষণার কাজকে আরও সহজ এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে তথ্য প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। 

গবেষণার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেখানে গবেষকরা তাদের গবেষণার যাবতীয় মতামত প্রদান করে থাকে। 

ব্যবহারকারীরা অনলাইন জার্নাল থেকে গবেষণা রিলেটেড বিস্তারিত ডাটা এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

তাছাড়া ডিজিটাল ল্যাবে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়। যে আর্টিকেলগুলো থেকে  গবেষণার যাবতীয় তথ্য ব্যবহারকারীরা সংগ্রহ করতে পারে।। 

কর্মক্ষেত্রের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার 

কর্মক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অবিস্মরণীয়। আজকাল অফিসিয়াল প্রতিটি কাজ তথ্য প্রযুক্তির উপর সরাসরি নির্ভরশীল। এতটাই নির্ভরশীল যে, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া অফিসিয়াল এই কাজগুলো করা মোটেও সম্ভব নয়।  কর্মক্ষেত্রের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার নিম্নরুপঃ-

ডেটা ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যারঃ- Oracle, Mysql এগুলো হলো গুরুত্বপূর্ণ ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে আপনি তথ্য খুব সহজে সংগঠিত করন এবং সংরক্ষণ করতে পারেন।

ই-মেইলঃ- অফিসিয়াল যেকোনো কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা ই-মেইল ব্যবহার করে থাকি। এর মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুত অফিসিয়াল ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারি। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপনাঃ- প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস ব্যবহার করা হয় যেমনঃ- Asana, Trello ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে আপনি প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা এবং সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন। এতে করে খুব সহজে আপনি প্রকল্পের টার্গেট বাস্তবায়ন করতে পারেন। 

ভিডিও কলঃ- আগে নির্দিষ্ট স্থানে বসে দূরবর্তী স্থানের মানুষের সাথে অডিও কল করা সম্ভব হলেও ভিডিও কল করা যেত না। আমরা এখন অফিসিয়াল যেকোন কাজ ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারি। ভিডিও কনফারেন্সিং এর জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলঃ- Zoom, Microsoft terms.

ডাটা বিশ্লেষণঃ- সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডাটা বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরী। ডাটা বিশ্লেষনের জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলোঃ- Power BI.

অনলাইন প্রশিক্ষণঃ- কর্ম ক্ষেত্রে অগ্রগতি বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। অফলাইনের পাশাপাশি আজকাল অনলাইনে কর্মের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। অনলাইনে প্রশিক্ষণের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলোঃ- Udemy.

ফাইল শেয়ারিংঃ- আগে ফাইলের হার্ডকপি অফলাইনে হাতে হাতে লেনদেন করা হত। এখন google drive এর মাধ্যমে অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল শেয়ারিং করতে পারছেন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমঃ- বর্তমানে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ- facebook, youtube, twitter, instagram এগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের সাথে মুহূর্তে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারছে। আপনি যদি অনলাইনে একটি পন্যের প্রচার প্রচারণা চালান তাহলে মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক সে বিজ্ঞাপনটি দেখছি। এইভাবে আপনি একটি স্ট্রং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেন। 

অটোমেশন টুলসঃ- কর্ম ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অটোমেশন টুলস গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছু জনপ্রিয় অটোমেশন টুলস গুলো হলঃ- Zapier.

সাইবার সিকিউরিটি টুলসঃ- তথ্য সুরক্ষার জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। যেগুলো সাইবার সিকিউরিটি টুলস নামে পরিচিত। 

কর্মক্ষেত্রে ICT ১০টি ব্যবহার

কর্মক্ষেত্রে আইসিটি যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে তা অবিস্মরণীয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া পুরো কর্মক্ষেত্র অচল। কর্মক্ষেত্রে ICT ১০টি ব্যবহার নিম্নরুপঃ-

  • খুব দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। 
  • তথ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে।
  • যেকোনো পরিকল্পনা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। 
  • ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। 
  • অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে যেকোন সমস্যার দ্রুত সমাধান পাওয়া যাচ্ছে। 
  • কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বিশেষ ভূমিকা রাখছে। 
  • রুটিন মাফিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য রোবট বা সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। 
  • দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ডেটা বিশ্লেষণ টুলস ব্যবহার।
  • সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রচার প্রচারণা করা।
  • তথ্যের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার। 

১০ টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম 

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছে এবং তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এমন কতগুলো প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলো পাঠদান প্রক্রিয়াকে সহজ, তথ্য নির্ভর এবং আনন্দদায়ক করে তুলেছে। ১০ টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম নিম্নরুপঃ-

  • Edmodo
  • Moodle
  • Duolingo
  • Prezi
  • Kahoot
  • Flipgride
  • google classroom
  • Zoom
  • Coursera
  • Quizlet

লেখকের মন্তব্য 

প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া মানুষের পুরো জীবনটাই বর্তমানে অচল। কেননা, মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভর জীবন যাপনে অভ্যস্ত। 

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। 

এরকম প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট পোস্ট আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 21.10.25

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url