বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে জেনে নিন
এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানব বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে। জীবিকার তাগিদে অনেক প্রবাসী দেশের বাহিরে থাকে। তারা তাদের প্রিয়জনের কাছে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে অনেকে জানে না। তো তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই আর্টিকেলটি তৈরি করছি।
বাংলাদেশে অধিকাংশ বেকার যুবক-যুবতী দেশে ভালো কিছু করতে না পারলে জীবিকার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। যারা প্রথমবার বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন তাদের মাথায় প্রায় ঘুরপাক খায় বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে ? এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
- বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে | রেমিট্যান্স আসতে কত সময় লাগে
- বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি
- বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিদেশ থেকে ডলার আনার নিয়ম
- ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- লেখকের মন্তব্য
বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে | রেমিট্যান্স আসতে কত সময় লাগে
বিদেশ থেকে টাকা আসতে কমপক্ষে ২-৩ দিন সময় লাগে। বাংলাদেশে ব্যাংক শুক্রবার, শনিবার ২ দিন বন্ধ থাকে। এখন আপনি যদি ব্যাংকে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এই বার গুলোতে টাকা ব্যাংকে পাঠান তাহলে টাকা হাতে পাবেন মঙ্গলবারে ( রবিবার, সোমবার এই ২ দিনে টাকা প্রসেস হবে )। এখন আপনি যদি বিদেশ থেকে টাকা ব্যাংকে সোমবারের দিন পাঠান তাহলে টাকা হাতে পেতে পরবর্তী ২ দিন সময় লাগবে। এই ভাবে আপনাকে সময় হিসেবে করে বিদেশ থেকে টাকা ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় অনেকে জানে না। প্রবাসীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের মূল চালিকা শক্তি। অনেক প্রবাসী দেশে টাকা-পাঠানোর সময় দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকে যে এত টাকা এক সাথে পাঠানো যাবে কিনা ? আমরা পরিবার টাকা গুলো হাতে পাবে কিনা ? নাকি টাকা গুলো মাইর যাবে এমন নানান প্রশ্ন তাদের মনে ঘুরপাক খায়। এই আর্টিকেল থেকে আমরা বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় তা জানব।
একক লেনদেন
- উপায়ঃ- ৫০,০০০ টাকা
- নগদঃ- ৫০,০০০ টাকা
- রকেটঃ- ৫০,০০০ টাকা
- এম-ক্যাশঃ- ৫০,০০০ টাকা
- বিকাশঃ- ২৫০,০০০ টাকা
মাসিক সীমা
- এম ক্যাশঃ- ২,০০,০০০ টাকা
- নগদঃ- ২,০০,০০০ টাকা
- উপায়ঃ- ২,০০,০০০ টাকা
- রকেটঃ- ২,০০,০০০ টাকা
- বিকাশঃ- ৫০০,০০০ টাকা
বিদেশ থেকে কোন ব্যাক্তি একক লেনদেনে ২৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত দেশে পাঠাতে পারবে এবং সাথে ২.৫% সরকারি প্রণোদনা যুক্ত হবে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি
যারা প্রবাসী তারা প্রায় গুগলে সার্চ করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম কোনটি তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর বেশ কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে সেই মাধ্যম গুলো সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। আপনি সেই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
ব্যাংক ট্রান্সফারঃ- আপনি চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে। এই লেনদেন নিদিৃষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ- স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন
বিকাশ ( bKash ):- বিকাশের পরিষেবা দেশের ভিতরে এবং বাহিরে বিস্তৃত। অনুমোদিত তালিকাভুক্ত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ, মানি এক্সচেঞ্জ অরগানাইজেশন, ফরেইন ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি বিকাশে টাকা পাঠাতে পারেন। বিকাশে টাকা লেনদেন করতে আলাদা একটি চার্জ দেয়া লাগে যা অনেকে ব্যয়বহুল মনে করে।
ওয়াইজ ( Wise ):- ইহা যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানি ট্রান্সফার অরগানাইজেশন। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সব থেকে জনপ্রিয় সার্ভিস হচ্ছে ওয়াইজ। এখানে সার্ভিস চার্জ খুবই কম। বাংলাদেশে যেকোন ব্যাংক থেকে ওয়াইজ ব্যবহার করে মানি ট্রান্সফার করা যায়। ওয়াইজ এর মাধ্যমে অনেক দেশ ( ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ) অনেক দেশ থেকে বৈধ উপায়ে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায়।
বিকাশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এই ২টি প্রতিষ্ঠান ওয়াইজ ব্যবহার করে। যারা ওয়াইজ ব্যবহার করে রেমিট্যান্স পাঠাবে বাংলাদেশ সরকার তাদের ২.৫% প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাসপোর্ট ব্যবহার করে ওয়াইজ একাউন্ট খুলতে পারে। ওয়াইজ একাউন্ট খুলতে মোবাইল নাম্বার, ইমেইল, জন্ম তারিখের প্রয়োজন।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ( Western Union ):- বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর আরও একটি সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহারকারী নিজেই টাকা পাঠাতে পারে অথবা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এজেন্টের কাছে গিয়েও টাকা পাঠাতে পারবে।
রেমিটলি ( Remitly ):- কম খরচে এর মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা যায়। ইহা টাকা ট্রান্সফারের জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি একটি ডিজিটাল রেমিট্যান্স সার্ভিস ব্যবস্থা। এক্সপ্রেস ও ইকোনমি এই দুই নামে রেমিটলি ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো যায়। কম সময়ে দ্রুত টাকা ট্রান্সফারের জন্য রেমিটলি সেরা। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি লোকাল ব্যাংক রেমিটলি পার্টনার হয়ে কাজ করছে তার মধ্যে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ আরও অন্যান্য। রিসিভারের নাম, ঠিকানা, পেমেন্টের যাবতীয় তথ্য প্রদান করে রেমিটলির মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে।
আরো পড়ুনঃ- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে জানুন
স্ক্রিল ( Skrill ):- ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্ক্রিল অনন্য। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট ভোগান্তি দূর করার জন্য স্ক্রিল অসাধারণ। কেননা, বাংলাদেশে পেপাল সার্ভিস নেই। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য স্ক্রিল অনন্য এবং লাভজনক মাধ্যম। পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্ক্রিল ব্যবহার করে পেমেন্ট পাঠানো সম্ভব হয়।
মানিগ্রাম ( MoneyGram ):- মানিগ্রাম এই শব্দটির সাথে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত। মানিগ্রাম ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোন স্থানে টাকা লেনদেন করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীরা টেলিগ্রাম এই চ্যানেল ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা বাংলাদেশে পাঠাতে পারে। আপনি চাইলে ব্যাংক অথবা মোবাইল ওয়ালেটে মানিগ্রাম চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সময় ব্যাংকের নাম, একাউন্ট নাম্বার প্রয়োজন।
জুম ( Xoom ):- বাংলাদেশে সরাসরি পেপাল সার্ভিস চালু না থাকলে পেপাল চালিত ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার সার্ভিস হলো জুম। পেপাল কর্তৃক পরিচালিত হওয়ার কারণে টাকা ট্রান্সফারে জুম কে নিরাপদ মনে করা হয়। জুমের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ সহজে খুবই কম সময়ে গ্রাহকের নিকট পৌছে যায়। তবে জুমে মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ফিস একটু বেশি।
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
গ্রাহকদের চাহিদা কথা মাথায় রেখে ইসলামি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম চালু করেছে। একজন গ্রাহক খুব সহজে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ ইসলামী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারে। সুতারাং আপনি চাইলে আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্নীয়-স্বজনদের নিকট ইসলামী ব্যাংকের সাহায্যে টাকা পাঠাতে পারেন। এখন আমরা বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানবঃ-
- আপনাকে সরাসরি ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে অথবা আপনি চাইলে সেলফিন অ্যাপস এর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খুলতে পারেন।
- এরপর আপনাকে বিদেশে অবস্থানরত ইসলামী ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স হাউসে টাকা নিয়ে যাবেন। সেখানে পাসপোর্ট সহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। বাংলাদেশে যার নিকট আপনি টাকা পাঠাবেন তার পুরো নাম এবং সঠিক মোবাইল নাম্বার সাবমিট করবেন।
- এরপর ২/১ দিনের মধ্যেই রিসিভারের একাউন্টে টাকা চলে আসবে।
বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আপনারা যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে লেনদেন করতে পছন্দ করেন তারা প্রায় গুগলে সার্চ করে বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানতে চায়। বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো খুবই সহজ। কিছু নিয়ম অনুসরণ করে আপনি বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারেন। নিয়ম গুলো নিম্নরুপঃ-
- ডাচ বাংলা ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করুন।
- এরপর আপনাকে ঐ দেশে অবস্থানরত ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউসে যেতে হবে।
- তারপর ওখানে KYC ফরম ( এখানে ব্যাক্তিগত তথ্য যেমনঃ- পাসপোর্ট, ভিসা পারমিট তথ্য, বাংলাদেশের যে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান ঐ ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চ নাম্বার, ব্যাংক লোকেশন দিয়ে ) পূরণ করে টাকা জমা দিবেন।
- এর পর আপনার ফোনে কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন। আপনার টাকা সঠিকভাবে পাঠানো হয়েছে বলা হবে।
- এরপর যার কাছে টাকা পাঠাবেন তার কাছে ফোন দিয়ে জেনে নিবেন তার একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা।
- বিদেশ থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স এটিএম বুথ এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা যাবে।
বিদেশ থেকে ডলার আনার নিয়ম
বিদেশ থেকে ডলার আনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা বিদেশ থেকে ডলার আনার নিয়ম সম্পর্কে জানব।
বিদেশ থেকে ডলার আনতে যা প্রয়োজনঃ- পাসপোর্ট, ভিসা, বিমান টিকিট, ডলার কেনার প্রমাণ ইত্যাদি।
বিদেশ থেকে ডলার আনার পরিমাণ
নিবাসী বাংলাদেশীঃ- সর্বোচ্চ ১০,০০০ মার্কিন ডলার বা সমমূ্ল্যের অন্য বৈদেশিক মুদ্রা ঘোষণা ছাড়াই আনতে পারবে।
অনিবাসী বাংলাদেশীঃ- আনলিমিটেড, ১০,০০০ মার্কিন ডলার এর বেশি হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট ঘোষণা করতে হবে।
বিদেশ থেকে ডলার আনার প্রক্রিয়া
- বিমান থেকে নামার পর যাত্রীরা লাল চ্যানেল ব্যবহার করে অভিবাসন ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট যাবেন।
- নিবন্ধন ফরম পূরণ করে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবে।
- ডলারের পরিমাণ ঘোষণা করবে। এরপর স্ক্যানারের মাধ্যমে যাচাই করবে।
- শুল্ক কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র সব কিছু যাচাই বাচাই করার পর শুল্ক কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- ডলার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, নগদ, ট্রাভেলার্স চেক এর মাধ্যমে আনা যাবে।
- ডলারের পরিমাণ সন্দেহজনক হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট জবাবদিহি হতে হবে।
- বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে আনতে হবে এবং রেমিট্যান্স আনলিমিটেড আনা যাবে।
- বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স ব্যবহার করতে পারবে।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
দেশের বাহির থেকে বিকাশ, রকেট, নগদ চালানো সম্ভব না। এটা শুধু বাংলাদেশেই চলে। তবে বিকাশের যাতে যাদের ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ আছে তাদের মাধ্যমে আপনি বাহিরের দেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং রিসিভ করতে পারবেন নিজ বিকাশ একাউন্ট থেকে। বৈধ উপায়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিকাশ চালানো সম্ভব না।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় তারা বাংলাদেশি সিম অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে এবং তারা বিকাশ একাউন্ট চালায়। বিকাশের সাথে ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ রয়েছে এমন মাধ্যম যেমনঃ- Wise, Western Union, Paytm এগুলো ব্যবহার করে আপনি ভারত থেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। আর এই টাকা আপনি বাংলাদেশে নিজ একাউন্ট থেকে রিসিভ করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট পোস্ট পাবলিশ করে থাকি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url