মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ- ৩০ টি আইডিয়া
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের মাসে ২০ হাজার আয় করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। আমরা অনেকে ঘরে বসে অলস সময় পার করছি। আপনি চাইলে আপনার এই অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে পারেন। আপনি হয়তো এখন ভাবছেন কি কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। চিন্তার কোন কারণ নেই। এ পোস্টে আমরা মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বর্তমান সময়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। তারপরেও আমরা অনেকে এটাকে ইনকাম করতে হিমশিম খেয়ে যায়। এখন আমি আপনাদের অনলাইনে, অফলাইনে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা মুক্ত পেশাকে বুঝে থাকি। বর্তমানে তরুণ সমাজের অনেকে এই ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে এবং সফলভাবে টাকা ইনকাম করছে। অনলাইন জগত থেকে টাকা ইনকামের সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজের পরিধি অনেক বড়। আপনি যেকোনো একটি সেক্টরের দক্ষ হয়ে আরনিং শুরু করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সকল কাজ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ- কনটেন্ট রাইটার এসইও এক্সপার্ট ভিডিও এডিটর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্লগিং গ্রাফিক্স ডিজাইনার ওয়েব ডেভলপমেন্ট সহ আরো অন্যান্য।
আরো পড়ুনঃ- প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন ৪০টি দুর্দান্ত উপায়ে
এ সকল কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং জগতে রয়েছে। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে আপনার মধ্যে ধৈর্য ধরে লেগে থাকা এবং নিয়মিত কাজ করে যাওয়ার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করতে প্রথমের দিকে অনেক সময় লাগে। এ সময়টা আপনার হাতে থাকতে হবে এবং আপনাকে প্রচন্ড রকমের ধৈর্যশীল হতে হবে।
ব্লগিং করে আয়
অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো ব্লগিং। এ কাজ শুরু করতে হলে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে, আপনাকে এসইও বেসিক ধারণা থাকতে হবে, এবং নিয়মিত আর্টিকেল লিখে যেতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেক ফ্রিল্যান্সার ব্লগিং করে সফল হচ্ছে। প্যাসিভ ইনকামের সেরা উপায় হল ব্লগিং। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে তখন গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভ হলে এবং ওয়েবসাইটে ভিজিটের সংখ্যা বেশি হলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি ইনকাম সাইট ২০২৫ | ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম করুন
ধরুন, আপনার একটি বিল্ডিং রয়েছে। আপনি সেই বিল্ডিং ভাড়া দিচ্ছেন এবং প্রতি মাসে টাকা উপার্জন করছেন। এখানে আপনার কোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। ব্লগিং থেকে ইনকামের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সেরকম। একবার ইনকাম শুরু হলে আজীবন ঘরে বসে বসে খেতে পারবেন। অধিকাংশ মানুষ ব্লগিং করতে এসে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ব্লগিং থেকে শুরুর দিকে ইনকাম করা কষ্টসাধ্য। শুরুর দিকে ইনকাম হতেই চায় না।
একপর্যায়ে মানুষ ধৈর্য হারিয়ে ফেলে এবং ব্লগিং করা ছেড়ে দেয়। আপনি যদি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে মাসে ৫০ হাজার ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি বিশ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিংয়ে ইনকাম টা নির্ভর করে আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করছেন, আপনার কনটেন্ট এর গুণগতমান কেমন হচ্ছে, কোন দেশ থেকে আপনার কন্টেন্টে ভিজিটর আসছে, আপনার ওয়েবসাইটে কোন কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হচ্ছে এ সকল বিষয়ের উপরে।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়
স্টুডেন্ট বা যেকোনো পেশাজীবী মানুষদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ খুবই সহজ। আমাদের অনেকের রয়েছে যারা লেখালেখির কাজ করতে ভীষণ পছন্দ করে তাদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ সেরা হতে পারে। এই আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ আপনার জীবনকে পাল্টে দিতে পারে। এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে আর্টিকেল লেখার কৌশল জানতে হবে। একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং অধ্যায় ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ
এত করে আপনার আর্টিকেল লেখার দক্ষতা আরো বাড়বে। প্রত্যেকটি বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। তারা তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। কনটেন্ট রাইটাররা ওই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে ওয়েবসাইটে লিখে থাকে। এত করে কাস্টমাররা তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে গুগলের সার্চ করে জানতে পারে। তাছাড়া আর্টিকেল রাইটিং কাজ করার জন্য বড় বড় মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমনঃ- আপ-ওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এ সকল মার্কেটপ্লেসে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করে, গীগ উপস্থাপন করে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে আয়
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অদূর ভবিষ্যতেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন সেক্টর কে ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে ব্যবসার পরিধি দিন দিন বাড়ছে। প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব লোগো, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লোগো তৈরিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি বাজার থেকে একটি গেঞ্জি কিনেন তখন ওই গেঞ্জিতে ও বিভিন্ন ধরনের লোগো দেখতে পারবেন। এই যে লোগো এগুলো তৈরি করে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
গ্রাফিক্স বলতে আপনার চিন্তা বা কল্পনাকে দৃশ্য বা ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করা। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার কাষ্টমারকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। বর্তমানে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেক্টরে চাহিদা বেশি। আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে কোন একটি ইনস্টিটিউট থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করে নিজেকে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনের হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
অ্যাফিলেট মার্কেটিং করে আয়
অনলাইন থেকে আয় করার আরো একটি সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলেট মার্কেটিং। এখানে কাজটা হলো অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করিয়ে দিয়ে টাকা ইনকাম করা। বাংলাদেশে বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারমধ্যেও অন্যতম হলো দারাজ। আপনি চাইলে দারাজ এ প্রতিষ্ঠানের সাথে অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন। এখন আপনি এফিলেট মার্কেটিং এর কাজটা কিভাবে করবেন ? অ্যাফিলেট মার্কেটিং এর কাজ করা খুবই সহজ।
ধরুন, আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ রয়েছে। আপনি আপনার সেই ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে দারাজ ওই কোম্পানির কোন একটি প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করবেন। এখন কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেইজে প্রবেশ করে দারাজের ঐ লিংকের প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। এটা হচ্ছে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ। এভাবে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকরা দারাজ থেকে যত বেশি প্রোডাক্ট কিনবে সেই অনুপাতে আপনি কমিশন পেতে থাকবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয়
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো facebook। ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণী সকলেরই ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনেকে হয়তো জানেন না যে ফেসবুকে মার্কেটিং করে ডলার ইনকাম করা যায়। আপনি আপনার ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও যেমনঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, ধর্মীয় কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনার ফেসবুক পেজে যত বেশি ভিউজ বাড়বে তত বেশি ইনকাম হবে। অনেকে ফেসবুকে নিত্যনতুন কনটেন্ট তৈরি করে ভালো টাকা উপার্জন করছে। তাছাড়া আপনার ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আপনার নিজস্ব প্রডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে বাড়তি ইনকামের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া আপনি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আপনি যদি আপনার মার্কেটিং সিস্টেমে এই ডিজিটাল চ্যানেল গুলো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে এখান থেকে বাড়তি ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ তো রয়েছি। তাই ঘরে অলস ভাবে বসে না থেকে ফেসবুক মার্কেটিং করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এখান থেকে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম করা কোন ব্যাপার নয়।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়
ভিডিও দেখার অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। এজন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং নিত্য নতুন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা খুবই সহজ এটা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। তবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। ধৈর্যের সহিত লেগে থাকতে হবে। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক কনটেন্ট তৈরি হবে ভিজিটের সংখ্যা বাড়বে তখনই আপনার পরিশ্রম সার্থক হবে।
এখন আপনি বলতে পারেন আপনার তো ভালো কোন ক্যামেরা নেই। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েই সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করুন। বাংলাদেশের অনেক ইউটিউব চ্যানেলে ওয়াজ মাহফিলের ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, বিনোদনমূলক ভিডিও কন্টেন্ট, নিউজ আপলোড করে মাসি ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি ইনকাম করছে। যেগুলো বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল সেগুলো প্রতিমাসের লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের শর্ত হলো আপনাকে লাস্ট ১২ মাসের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। তখনই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে টাকা ইনকাম করতে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
অনলাইন জগতে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি। এই কাজ শিখতে পারলে ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে এই সব কাজে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। দক্ষ হতে পারলে ক্লায়েন্ট হান্ট করে কাজের অর্ডার নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সব থেকে জনপ্রিয় বিশাল বড় মার্কেট প্লেস হলোঃ- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম। একবার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে আনলিমিটেড ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
ভবিষ্যৎতের জন্য আপনি এই সকল কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এই সকল কাজ থেকে টাকা ইনকাম করতে আপনাকে প্রথমত দক্ষ হতে হবে। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এর কাজে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার না। কেননা, এই সকল কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি। ভবিষ্যৎতেও এর চাহিদা আরও বাড়বে।
এসইও এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম
গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট যেনো সবার উপরে থাকে এজন্য এসইও করতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে এসইও জানতেই হবে। এসইও এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এসইও অ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। যারা এসইও এক্সপার্ট তারা এই পরিবর্তনের সাথে নিজেদের প্রতিনিয়ত আপডেট করে। তারা নিদিৃষ্ট পরিমাণ টাকা চার্জের বিনিময়ে ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলে এসইও করে থাকে। এসইও এর পূর্নরুপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ভবিষ্যৎতে এসইও চাহিদা বাড়বে। সুতারাং একজন এসইও এক্সপার্ট এসইও কাজ করে মাসে অনায়াসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। তাছাড়া ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে এসইও কাজ করেও টাকা ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে বই বিক্রি করে
আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে বই বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। Amazon Kindle, Google Books এই সমস্ত জায়গায় আপনাকে বই লিখে আপলোড দিতে হবে। যখন কেউ আপনার বইয়ের হার্ডকপি বা সফট কপি ক্রয় করবে তখন আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে।
ফটোগ্রাফি কাজ করে ইনকাম
ছবি তোলা আমাদের অনেকের নেশা। আপনি কি জানেন আপনার এই নেশাকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় ? এখন হয়তো আপনি ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব। হ্যাঁ, এটা সম্ভব। প্রথমে আপনাকে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে হবে। সেটা হতে পারে যেকোন ধরণের দৃ্শ্যের ছবি যেমনঃ- বাংলাদেশের পর্যটক স্পট গুলোর ছবি, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান গুলোর ছবি সহ আরও অন্যান্য। আপনার হাতে থাকা ফোন দিয়েই আপনি এই ছবি তুলতে পারেন। এরপর এই ছবিগুলো Istock, Gettyimage, Pond5, Alamy.com, Deramstime.com, Sutterstock.com, Etsy.com, Adobestock.com ইত্যাদি মার্কেটে আপলোড করতে হবে। কেউ যদি আপনার ঐ ছবি গুলো ক্রয় করে তখন আপনার একাউন্টে টাকা জড়ো হবে।
ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম
এখানে মূলত আপনার হাতের টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে। আপনার টাইপিং স্পিড যদি ভালো হয় তাহলে এই ডাটা এন্টি কাজটি আপনার জন্য। Upwork.com, Fiver.com, Freelancer.com, Guru.com এই সকল সাইটে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে টাকা ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই কাজ করতে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। কেননা, বর্তমানে বিশ্বে প্রতিযোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ক্লায়েন্টরা আপনাকে তাদের কাজের ধরণ বলে দিবে আপনাকে ক্লায়েন্টদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই কাজ করে অনায়াসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমানে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং সেন্টারে ক্লাস ঐ দিন বিলুপ্তির পথে। এখন প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং সবই হচ্ছে অনলাইনে। অনলাইনের মাধ্যমে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের একই সঙ্গে ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে। সেই ক্লাস গুলো ফেসবুক, ইউটিউবে আপলোড করে একদিকে যেমন আপনি ফেসবুক, ইউটিউব থেকে টাকা ্ ইনকাম করতে পারছেন। অন্যদিকে অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে টাকা ইনকামের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এজন্য আপনাকে যেকোন একটি সাবজেক্টে দক্ষ হতে হবে।
আরও অন্যান্য পেশা যেখান থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়
- রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা
- মুদি দোকানের ব্যবসা
- নার্সারি ব্যবসা
- খামারের ব্যবসা ( মাছ, মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল, ভেড়া )
- গার্মেন্টসের ব্যবসা
- জুতার ব্যবসা
- কসমেটিক, প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবসা
- স্টেশনারি বা মনিহারী ব্যবসা
- ফার্মেসী ব্যবসা
- বইয়ের ব্যবসা
- বিউটি পার্লার ব্যবসা
- সেলুন ব্যবসা
- টেইলার্স এর ব্যবসা
- চা, স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- সার্ভিসিং ব্যবসা
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ইনকাম সংক্রান্ত পোস্ট প্রতিনিয়ত পাবলিশ করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা করব ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আমরা সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url