তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা - শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে চায়ের জুড়ি নেই। তবে সেটি যদি হয় তুলসী পাতার চা তাহলে কেমন হয় ? এই আর্টিকেলে আমরা তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা - শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। তুলসী কে বলা ভেষজ কুইন ( রানী )। চা এর মধ্যে তুলসী পাতার চা সবার থেকে সেরা। শিশুরা তুলসী পাতা কিভাবে খাবে তা নিয়েও এই পর্বে আলোচনা হবে। সুতারাং তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা - শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম আমাদের জানা দরকার।
প্রাচীনকাল থেকে এই ভেষজ ঔষধি উদ্ভিদ তুলসী পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। এর গুণাগুণের অন্ত নেই। চা, জুস বানিয়ে অথবা রান্নায় তরকারি হিসেবে ব্যবহার করে আপনি তুলসী পাতার স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা - শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
- তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
- তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা | তুলসি পাতার উপকারিতা | তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
- তুলসী পাতার ব্যবহার
- লেখকের মন্তব্য
তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা
তুলসী পাতার চা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় আমরা হয়তো অনেকেই জানি না। আপনি যদি তুলসী পাতার চা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানতেন তাহলে অবশ্যই তুলসী পাতার চা পান করতে আগ্রহী হতেন। তুলসী হচ্ছে সমস্ত ভেষজ ওষধি গাছের রাণী। তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা নিম্নরুপঃ-
- আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে অনেকের জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লেগে যায়। জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা দূর করতে তুলসী পাতার চা অব্যর্থ মহাঔষধ
- যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা তুলসী পাতার চা পান করলে আরাম পাবেন
- তুলসী পাতার চা আপনার মানসিক চাপ, উদ্বিগ্ন দূর করবে
- দেহে ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত করবে
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে
- যাদের মুখ দিয়ে দূর্গন্ধ বের হয় তারা তুলসী পাতার চা পান করুন। কেননা, ইহা মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে
- ইহা মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। কেননা তুলসী পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।
সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ-
- গর্ভবর্তী নারী অথবা শিশু যদি মায়ের বুকের দূধ পান করে ঐ সমস্ত নারীরা তুলসী পাতার চা পান করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- কিছু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইহা প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে ইচ্ছুক তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- ইহা রক্ত পাতলা করে ফেলে। ফলে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না। অস্ত্রোপচার করার পূর্বে তুলসী পাতা চা সেবন পরিহার করুন।
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা | তুলসি পাতার উপকারিতা | তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিকই রয়েছে। বড় বড় মরণঘাতী ব্যাধি বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম তুলসী পাতা। প্রাচীন কাল এই ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার হয়ে আসছে। তুলসী পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। চলুন তাহলে একনজরে তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
সর্দি-কাশি নিবারণঃ- যারা সর্দি, কাশি, জ্বরে ভূগছেন তারা তুলসী পাতার রস খান। কেননা, ইহা দ্রুত কাজ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসী পাতা + আদা + চা-পাতা সুন্দর করে ফুটিয়ে নিয়ে সঙ্গে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করলে বুকে জমে থাকা কফ দূর হয়।
গলা-ব্যথা দূরঃ- যাদের গলা-ব্যথা তারা তুলসীর উপর ভরসা রাখতে পারেন। কারণ, ইহা গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ- মরনঘাতী এক অসুখের নাম ক্যান্সার। ইহা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। কেননা, তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ, ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান। যা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। ইহা ক্ষতিকর টিউমার গুলো ধ্বংস করে এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
আরো পড়ুনঃ- ওলট কম্বল গাছের ৭টি উপকারিতা - ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুলসী পাতা অনন্য। তুলসী পাতা + এলাচ পানি সেবন করলে দ্রুত বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ- তুলসী পাতা খেলে ইহা ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করে। ইহা কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ- ইহা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করে এবং অ্যান্টি ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতাঃ
তুলসী পাতার উপকারি এবং অপকারি উভয় দিক রয়েছে। কি কি অপকারিতা রয়েছে তা আমাদের জানা দরকার। চলুন তাহলে এক নজরে তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়ার কারণে মূত্র ও কাশির সঙ্গে রক্ত নির্গত হতে পারে।
- গর্ভবর্তী মহিলাদের গর্ভপাতের আশংকা থাকে।
- গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়ার ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
- যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন তারা তুলসী পাতা সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেন।
- তুলসী পাতা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার কারণে দাঁতে কালচে দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে। কেননা তুলসী পাতায় পারদ থাকে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসী পাতা সেবনের কারণে রক্ত পাতলা হয়ে যায় ফলে রক্ত জমাট বাঁধে না। এজন্য বড় কোন ধরনের সার্জারি করার দুই সপ্তাহ আগে তুলসী পাতা সেবন করা বন্ধ রাখুন।
- যাদের নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা খাবেন না। কারণ, তুলসী পাতায় পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি। এর ফলে রক্তচাপ জনিত সমস্যা হয়।
- অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসী পাতা সেবনের কারণে ইহা নারীদের বন্ধুত্বের কারণ হতে পারে, কোন কোন বিশেষজ্ঞদের মতে।
- স্তন্যদানকারী মায়েদের তুলসী পাতা খাবার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে সরাসরি তুলসী পাতার রস সেবন না করে তুলসী পাতার ভেজানো পানি পান করতে পারেন। প্রাচীন এই ভেষজ উদ্ভিদের আজ অব্দি অনেক কদর রয়েছে। যেকোনো ধরনের শারীরিক জটিলতা উপশমের জন্য তুলসী পাতা চা করে, পানিতে ভিজিয়ে রেখে অথবা সবজির সাথে ব্যবহার করে আমরা খেয়ে থাকি। সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা সহ আরো অন্যান্য রোগের সমাধান হতে পারে এই তুলসী পাতা। খালি পেটে তুলসী পাতা ভেজানো পানি পান করলে যেসব উপকার মিলবেঃ-
- কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। যে সকল রোগীদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তারা সকালে রোজ নিয়ম করে খালি পেটে তুলসী পাতা ভেজানো পানি পান করলে মূত্রনালীর মাধ্যমে কিডনির পাথর অপারেশন করতে পারবে।
- রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলসী পাতা বিশেষভাবে কার্যকরী। তাছাড়া ইহা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- তুলসী পাতা ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করে। ইহা আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
- তুলসী পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস। ইহা ফ্রী রেডিক্যাল দূর করে। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
- ইহা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিশুরাও এ থেকে মুক্ত নয়। তুলসী পাতার গুণাগুণের কথা আমরা সকলেই জানি। উপরের প্যারাগুলোতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি কিভাবে আপনার শিশুকে তুলসী পাতা খাওয়াতে পারেন চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ-
- তুলসী পাতা + আদা পেষ্ট করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- তুলসী পাতা + মধু একসাথে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- তুলসী পাতার ভেজানো পানি খাওয়াতে পারেন।
- রান্নার তরকারিতে কয়েকটি তুলসী পাতা ছিটিয়ে দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- গরম পানিতে তুলসী পাতা + আদা কুচি + দারুচিনি গুড়া দিন। এই বিশেষ পানীয় খাওয়াতে পারেন।
কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
কাশির জন্য তুলসী পাতা অব্যর্থ মহাওষুধ। অনেকে প্রশ্ন করে যদি কাশি হয় তাহলে তুলসী পাতা কিভাবে খাবে ? এখন আমি কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়া নিয়ম আলোচনা করব।
উপকরণঃ
- ৪/৫ টি তুলসী পাতা
- ৩ টেবিল চামচ মধু
- আধা চিমচি হলুদের গুড়া, লং, কালো গোলমরিচ নিন
- এর সুন্দর করে ব্লেন্ড করুন। এখান থেকে রস বের হবে। যা সরাসরি আপনাকে খেতে হবে।
খাওয়ার নিয়মঃ-
দিনে ২ বার ৫ মিলি করে খাবেন। এই রস সকালে খালি পেটে সরাসরি খাবেন না। এই রস খাওয়ার ১০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি পান করবেন। এভাবে ১০ দিন পর্যন্ত খাবেন। কাশি ভালো হয়ে গেলে আর খাওয়ার দরকার নেই। যেহেতু এই রস গরম, তাই অনেক দিন যাবৎ খাবেন না।
তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
কয়েকভাবে তুলসী পাতার রস খাওয়া যায়। আপনি চাইলে এই নিয়ম মেনে তুলসী পাতার রস সেবন করতে পারেনঃ-
- তুলসী পাতার রস + মধু যোগ করে খেতে পারেন।
- তুলসী পাতার রস + আদা কুচি যোগ করে খেতে পারেন।
- তুলসী পাতার চা এর সাথে মধু, লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- তুলসী পাতার ভেজানো পানি পান করতে পারেন।
তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতা যে শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এমনটা নয়। ইহা ত্বক ও চুলের যত্নেও বিশেষভাবে উপকারী। আপনারা যারা রুপচর্চার কথা ভাবছেন তারা তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। রুপচর্চার কাজে তুলসী পাতা সেরা হতে পারে আপনার জন্য।
ত্বকের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহারঃ-
ত্বকে পিম্পল দূর করার জন্যঃ- তুলসী পাতা + চন্দন বাটা + নিমপাতা সুন্দর করে বেটে নিয়ে এই পেষ্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে পিম্পল খুব দ্রুত দূর হবে।
পিম্পলের দাগ দূর করার জন্যঃ- তুলসী পাতা সুন্দর করে বেটে নিয়ে সাথে বেসন মিস্ক করুন। এরপর এই পেস্টটি ১৫ মিনিট ধরে ত্বকে লাগান। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে পিম্পলের দাগ চলে যাবে।
ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ দূরঃ- তুলসী পাতা বেটে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ মিস্ক করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট ধরে। এইভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ ছোপ দূর হয়ে যাবে।
ত্বকের জ্বালাপোড়া রোধঃ- তুলসী পাতার বাটা সরাসরি মুখে লাগিয়ে দিলে ত্বকের লালচে ভাব, ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর হবে।
ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেঃ- বাটা তুলসী পাতা + আধা চামচ গুড়া দুধ দিয়ে ঘন করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ২০ মিনিট ধরে ত্বকে ব্যবহার করুন। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি কিছুদিন ব্যবহার করলে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জল হয়ে ফুটে উঠবে।
ব্রণ কমাতেঃ- তুলসী পাতা বাটা + নিমপাতা বাটা + আধা চন্দন গুড়া + গোলাপ জল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে ব্রণ কমে যাবে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূরঃ- তুলসী পাতা বাটা + টক দই দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পর আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।
চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নেও তুলসী পাতা ব্যবহার করা যায়। এতে চুল পড়া, চুলের খুশকি, চুুলকানি, ড্রাই স্কাল্প এর সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহারঃ-
তেল + তুলসীর রস মিশিয়ে চুলে লাগান
শুকনো তুলসী পাতা ও শুকনো আমলকীর গুড়া সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই ভেজানো পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা তুলসী পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে পাবলিশ করে থাকি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন টপিকস নিয়ে । সে পর্যন্ত ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url