ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার বিস্তারিত জেনে নিন
ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার জানতে চান ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেল থেকে আপনি ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার সহ আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র:ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার সে সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ দৃশ্যপট হল সিলেটের বিছানাকান্দি। এমনিতেই, বাংলাদেশের যতগুলো টুরিস্ট স্পট রয়েছে তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সিলেট একটি বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ ভূখণ্ড। কেননা, এখানে রয়েছে আল্লাহর অলি শাহজালাল ( রহ.) ও শাহ পরাণ ( রহ.) মাজার, যেখানে প্রতিদিন শত শত ভক্ত অনুরাগীরা জিয়ারত করতে যায়।
তাছাড়া, সিলেট জেলার অপরূপ সৌন্দর্য দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। সিলেট জেলার গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট স্পট হলো: চা বাগান, জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, সাদা পাথরের কেয়ারী ইত্যাদি। চারদিকে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির ডাক, নীল আকাশ, আকাশে বয়ে যাওয়া মেঘ ইত্যাদি এ সকল প্রাকৃতিক দৃশ্য সিলেটকে আলাদাভাবে পর্যটকদের নিকট চিনিয়েছে।
আরো পড়ুন: দিনাজপুর টু রংপুর ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা জেনে নিন
বিছানাকান্দি যার অর্থ একগুচ্ছ পাথর। এখানে যে পাথরগুলো রয়েছে সেগুলো একেবারে ন্যাচারাল যা পাহাড়ি ঢলের মাধ্যমে পানির সাথে নেমে আসে। এখানে যে পানির জলধারা রয়েছে সেটা খাসিয়া পর্বত থেকে নেমে হ্রদ তৈরি করেছে যা পিয়াইন নদীর সাথে একত্রিত হয়েছে। বিছানাকান্দি এটা একটি জায়গার নাম যা গোয়াইনঘাট উপজেলা, সিলেটে অবস্থিত।
বিছানাকান্দি এই জায়গাটার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হল: শীতল জলধারা, শিলা পাথর, আকাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সু-উচ্চ পাহাড়। এখানে যে পানিগুলো রয়েছে সেগুলো স্বচ্ছ, পানিতে থাকা পাথরগুলো নিজ চোখে দেখা যায়। পানির ফোয়ারা, আঁকাবাঁকা পাহাড় যা পর্যটকদের বিনোদনের খোরাক যোগায়।
এখানে যে পাহাড়টি রয়েছে সেটা খাসিয়া পাহাড়। যা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। সিলেটের পার্শ্ববর্তী জায়গাটার নাম হচ্ছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এখানে একটি নদী আছে সেই নদীটির নাম হল: পিয়াইন নদী। এখানে পাহাড় থেকে যে ঝর্ণার ধারা প্রবাহিত হয় পিয়াইন নদী হয়ে সিলেটের বিছানাকান্দি তে মিলিত হয়। এখানে আরেকটি আকর্ষণের জায়গা হল বিভিন্ন রঙের পাথর।
আরো পড়ুন: যশোর থেকে ঈশ্বরদী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা জেনে নিন
পর্যটকরা ভ্রমণের সময় এখান থেকে পাথর নিয়ে আসে। এ পাথরগুলো কোনোটা ধবধবে সাদা, আবার কতগুলো আস্ত ঘাসের আবরণের মত। এগুলো ঝরনার জলধারার সাথে এসে সিলেটের বিছানাকান্দি তে পৌঁছায়। এই জায়গাটা বর্ষাকালে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে। অনেকে
এই স্বচ্ছ পানিতে গোসল করে। আপনি যদি ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি যেতে চান ? তাহলে আপনাকে জানতে হবে ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার ? ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি দূরত্ব আনুমানিক ৫০ কিলোমিটার।
বিছনাকান্দি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
বিছনাকান্দি আপনি বছরের যে কোন সময় ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণে রয়েছে এক অন্যরকম আনন্দ এবং অভিজ্ঞতা। যা গ্রীষ্ম এবং শীতকালে থাকে না। এর কারণ হলো: বর্ষাকালে নদীর পানি বেশি থাকে এবং গ্রীষ্ম এবং শীতকালে নদীর পানি কমে যায়। ফলে, পর্যটকদের খানিক অসুবিধা হয়।
বিছনাকান্দি তে যেভাবে ভ্রমণ করবেন
বাংলাদেশে বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক উন্নত। বিশেষ করে টুরিস্ট স্পট গুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ। বিভিন্ন যানবাহনে আপনি বিছনাকান্দি তে ভ্রমণ করতে পারবেন।
- বাস
- ট্রেন
- বিমান
বিছনাকান্দি তে খাবারের কি ব্যবস্থা রয়েছে ?
যারা দূরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে চান তারা প্রায় প্রশ্ন করে থাকেন ওখানে কোন খাবারের হোটেল রেস্টুরেন্ট আছে কিনা। বিছনাকান্দি তে কিছু অস্থায়ী খাবারের হোটেল রয়েছে। এ সকল রেস্টুরেন্টে ভাত, ভর্তা, ভাজি, খিচুড়ি, মাছ, শুকনো খাবার, পানি ইত্যাদি এগুলো পাওয়া যায়। ১৫০ - ২০০ টাকার মত খরচ হবে। তাছাড়া, বিছানাকান্দি ছেড়ে সিলেটের মূল শহরে আসলে আরো অনেক বড় বড় রেস্টুরেন্ট দেখতে পারবেন। সেখানে আপনি খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারবেন।
বিছনাকান্দি তে থাকার জায়গা রয়েছে ?
বিছানাকান্দি তে থাকার মত তেমন কোন জায়গা নেই। তবে থাকার জন্য আপনাকে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট শহর থেকে বিছানাকান্দি খুব দূরে নয়, আনুমানিক প্রায় 40 কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা )। আপনি যদি কম খরচে হোটেল ভাড়া চান তাহলে
আরো পড়ুন: সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এক নজরে দেখে নিন
দরগা রোডে কিছু মানসম্পন্ন ভালো হোটেল রয়েছে সেখানে থাকতে পারবেন ( রূম প্রতি খরচ: ৫০০ - ১,০০০ )। যদি আপনি কোন লাক্সারি হোটেল খুঁজেন তাহলে হোটেল হোলি গেট, লা ভিস্তা হোটেল, হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল, রোজ ভিউ হোটেল, হোটেল নূরজাহান গ্র্যান্ড ইত্যাদি। ( সেখানে রূম প্রতি খরচ: ৩ - ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত )।
বিছনাকান্দি ভ্রমণের পূর্বে কিছু নির্দেশনা
- যানবাহনে ভ্রমণের পূর্বে ভাড়া দামাদামি করে নিবেন।
- দলগতভাবে ভ্রমণ করলে খরচ কিছুটা কম হয়।
- বর্ষার সময়, যারা সাঁতার জানেন অথবা জানেন না, পানিতে নামবেন না। কারণ, পানির স্রোত বেশি থাকে।
- পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন সকল কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
- এখানে চারদিকে পাথর, সুতরাং হাঁটার সময় একটু সতর্ক থাকবেন। যাতে অসুবিধা না হয়।
- স্থানীয়দের সাথে উত্তম ব্যবহার করুন।
- যদি কোন কারনে অসুবিধা হয় তাহলে স্থানীয় টুরিস্ট পুলিশদের সাথে যোগাযোগ করুন।
- এ সকল জায়গায় দিনের বেলা ভ্রমণ করুন। রাত্রি হলে নারী সদস্য অথবা শিশুদের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
সিলেট থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
সিলেট থেকে বিছানাকান্দি আনুমানিক ৪১.৬ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট )
জাফলং থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
জাফলং থেকে বিছানাকান্দি আনুমানিক ৫৬.৩ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ২ ঘন্টা )
রাতারগুল থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
জাফলং থেকে বিছানাকান্দি আনুমানিক ৪১ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট )
জাফলং থেকে রাতারগুল কত কিলোমিটার
জাফলং থেকে রাতারগুল আনুমানিক ৪৯ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট )
জাফলং থেকে ভোলাগঞ্জ কত কিলোমিটার
জাফলং থেকে ভোলাগঞ্জ আনুমানিক ৬০ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ২ ঘন্টা )
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ কত কিলোমিটার
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ আনুমানিক ৪০ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট )
সিলেট থেকে রাতারগুল কত কিলোমিটার
সিলেট থেকে রাতারগুল আনুমানিক ২০ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ১ ঘন্টা )
সাদা পাথর থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
সাদা পাথর থেকে বিছানাকান্দি আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ৫০ মিনিট )
সিলেট থেকে জাফলং কত কিলোমিটার
সিলেট থেকে জাফলং আনুমানিক ৫৯ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ২ ঘন্টা )
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর কত কিলোমিটার
সিলেট থেকে জাফলং আনুমানিক ৩৪ কিলোমিটার ( যাতায়াত সময়: ৫০ মিনিট )
লেখকের মন্তব্য - ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা ভোলাগঞ্জ থেকে বিছানাকান্দি কত কিলোমিটার সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ ধরনের ভ্রমণ সম্পর্কিত টিপস আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে ভ্রমণ সম্পর্কিত অন্য কোন আর্টিকেল নিয়ে। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। 18.12.25

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url