সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত কি জেনে নিন
এখন আমরা সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত কি তা জানব। পবিত্র কোরআন মাজীদের ৩৬ তম সূরা হলো সূরা ইয়াসিন। এই সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা ৮৩, রুকুর সংখ্যা ৫ টি। যারা এই সূরা নিয়মিত তেলাওয়াত করবে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ লাভ করবে। আপনারা গুগলে সার্চ করে সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত কি জানতে চেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই পোস্টটি তৈরি করেছি। কাজেই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সূরা ইয়াসিন কে বলা কুরআন মাজীদের হৃদয়/কুরআনের রূহ/ হৃৎপিণ্ড। সূরা ইয়াসিন ১ বার তেলাওয়াত করলে ১০ বার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত কি জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত
- সূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার ফজিলত | সূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার নিয়ম | সূরা ইয়াসিন ৭ বার পড়ার ফজিলত
- সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত
- সূরা ইয়াসিন খতমের নিয়ম
- সূরা ইয়াসিন প্রথম ৯ আয়াতের ফজিলত
- সুরা ইয়াসিন কখন পড়তে হয়
- ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত | সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠের ফজিলত | সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস | সূরা ইয়াসিন খতমের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত আল কাউসার
- লেখকের মন্তব্য
সূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার ফজিলত | সূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার নিয়ম | সূরা ইয়াসিন ৭ বার পড়ার ফজিলত
নিদিৃষ্ট সংখ্যক ( ৭, ৪১ ) বার সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে মনের আশা পূরণ হয় বা এর এই এই ফজিলত পাওয়া যাবে বিজ্ঞ আলেমদের নিকট থেকে এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে সূরা ইয়াসিনের রয়েছে বিশেষ বিশেষ ফজিলত। কোন মুসলমান যদি সূরা ইয়াসিন নিয়মিত তেলাওয়াত করে তাহলে অবশ্যই সেই সওয়াব পাবে। ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ লাভ করবে। সূরা ইয়াসিন পড়লে কি কি লাভ হয় তা নিচের পর্ব থেকে আমরা জানব।
সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত
সূরা ইয়াসিনের ৫৮ নং আয়াত এর বিশেষ কোন ফজিলত এর কথা পাওয়া যায় না। সূরা ইয়াসিন এর ৫৮ নং আয়াতে যা বলা হয়েছেঃ-
আরো পড়ুনঃ- মহিলারা আযানের আগে নামাজ পড়া যাবে কি জেনে নিন
আরবিঃ- سَلٰمٌ ۟ قَوۡلًا مِّنۡ رَّبٍّ رَّحِیۡمٍ
উচ্চারনঃ- সালামুন কওলাম মীর রাব্বির রাহিম
অর্থঃ- পরম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে সালাম ( সাদর বা সম্ভাষণ, নিরাপত্তা )।
আল্লাহর এই সালাম ফেরেশতাগন জান্নাতীগণের নিকট পৌছে দিবেন আবার অনেকে বলে আল্লাহ নিজেই জান্নাতীদের এই সালাম দিবেন।
সূরা ইয়াসিন খতমের নিয়ম
সূরা ইয়াসিন খতমের বিশেষ কোন নিয়ম নেই। বিজ্ঞ আলেমদের নিকট থেকে সূরা ইয়াসিন খতমের নিয়ম সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। আপনি যেভাবে ওযূ করে দরুদ শরীফ পাঠ করে কুরআন তেলাওয়াত করেন সেই ভাবে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবেন। সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের ব্যাপারে যে সকল নিয়ম আমরা শুনে থাকি তা শুদ্ধ নয়।
সূরা ইয়াসিন প্রথম ৯ আয়াতের ফজিলত
দুনিয়ার জমিনে আপনি যদি কোন বিপদের মুখোমুখি হন, অভাব-দারিদ্রতা-টেনশন অথবা যেকোন ধরণের সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হন সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য সূরা ইয়াসিনের প্রথম ৯ আয়াত তেলাওয়াত করতে পারেন। আশা করা যায় আল্লাহ আপনাকে ঐ সকল সংকটময় পরিস্থিতি, বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
সুরা ইয়াসিন কখন পড়তে হয়
কুরআনের হৃৎপিণ্ড বলা হয় সূরা ইয়াসিনকে। দিনের যেকোন সময় ( সকাল, দুপুর, রাত ) সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা যায়। যেহেতু সকাল, সন্ধ্যা কুরআন তেলাওয়াত করা উত্তম, এ সময় আমাদের হাতে সময় থাকে সেহেতু সকাল, সন্ধ্যায় যে কোন সময় সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ- হায়েজ অবস্থায় মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে কি জেনে নিন
দিনের এই সময় সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করতে হবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। সামনে রমজান মাস আসছে আমাদের উচিত এই সময় বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
ফজরের পর সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত | সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠের ফজিলত | সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস | সূরা ইয়াসিন খতমের ফজিলত | সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত আল কাউসার
আপনারা সূরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কোরআন তিলাওয়াত মানুষের ঈমান বৃদ্ধি করে। মানুষের অস্থির অন্তর প্রশান্ত করে। ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কুরআন তিলাওয়াত করে। কোরআনের কিছু কিছু সূরা রয়েছে যেগুলোর সওয়াব, ফজিলত অতুলনীয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো সূরা ইয়াসিন। এখন আমরা সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতে ফজিলত জানবঃ-
- যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন একবার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে দশবার পুরো কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন।’ (তিরমিজি)
- সূরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতম করার নেকী হয় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়। (তিরমিজি)
- রাতে সূরা ইয়াছিন পাঠ করলে নিস্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
- যে ব্যক্তি সূরা ইয়াছিন বেশি বেশি পড়ে থাকে কেয়ামতের দিন এই সূরাই তার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে।
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াছিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
- হজরত আবু যর (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সা.) এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)।
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)
- ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-শান্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)।
- হজরত ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বায়হাকি,আবু দাউদ)
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার ওই রাতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (দারেমি)
- তাফসিরে জালালাইনের হাশিয়ায় এসেছে, ‘যদি কোনো মুসলমানের মৃত্যুর সময় হয়, আর সে সময় তার পাশে কেউ সূরা ইয়াসিন পাঠ করে, তবে বেহেশত থেকে রেদওয়ান ফেরেশতা জান্নাতের সুসংবাদ না দেয়া পর্যন্ত রূহ কবজকারী ফেরেশতা (মালাকুল মাউত) ওই ব্যক্তির রূহ কবজ করেন না। রূহ কবজের সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি অবস্থান হয় রাইয়্যান নামক জান্নাতে।
SOURCE: www.news24bd.tv
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা সূরা ইয়াসিন ৫৮ নং আয়াত ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ইসলামিক পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url