মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কীভাবে করতে হয় তা অনেকে জানে না। এই আর্টিকেলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে

পোস্টসূচীপত্রঃ-যে উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কাজেই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

এখন তথ্য-প্রযুক্তির সময়। হাতে থাকা স্মার্টফোন মানুষের টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। বয়স কোন ফ্যাক্টর নয়। আপনি যে বয়সের মানুষ হোন না কেন মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের পথ আপনার জন্য খোলা রয়েছে। এই মোবাইল দিয়ে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণ শিক্ষার্থী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী সকলের জন্য অর্থ উপার্জনের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে প্রযুক্তি দুনিয়া। ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে সকলে ইনকাম করতে চায়। আপনি যদি ঘরে বসে প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

আরো পড়ুনঃ- দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ২৫+ উপায়

বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় যখন গোটা বিশ্ব লক-ডাউনে চলে গিয়েছিল, তখন মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য অনলাইন সেক্টর গুলোকে বেছে নিয়েছিল। ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের প্রবণতা মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। নারী-পুরুষ সকলে অনলাইন সেক্টরে কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য একটি স্মার্টফোন, সঙ্গে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই যথেষ্ট। অনলাইনে মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় অনেকে জানে না। ব্লগিং, ইউটিউবিং, ডাটা এন্ট্রি, সার্ভে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফটো বিক্রি সহ আরোও অন্যান্য কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। যেগুলো ধারাবাহিকভাবে এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।

১) গেমিং ভিডিও বানিয়ে আয়

অনেকে রয়েছে যারা গেম খেলতে খুবই পছন্দ করে এবং গেমের উপর তাদের ভালো দক্ষতা রয়েছে। দিনের অধিকংশ সময় তারা গেম খেলে কাটিয়ে দেয়। মোবাইল দিয়ে গেমিং ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়। যারা গেমিং ভিডিও দেখতে মানুষ প্রতিনিয়ত অনলাইনে সার্চ করে থাকে। আপনি যখন মোবাইলে গেম খেলবেন তখন রেকর্ড অপশন চালু করে দিবেন। যখন গেম খেলা শেষ হবে তখন রেকর্ড অপশন বন্ধ করে দিন। 

আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )

এরপর রেকর্ডেড গেমিং ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন হবে। এডিটিং সফটওয়্যার অথবা অ্যাপস দিয়ে আপনার গেমিং ভিডিও চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় করে তুলুন। এরপর তা ইউটিউব অথবা ফেসবুকে আপলোড করুন। যখন ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিউজ বাড়বে তখন গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে নিয়ে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। এভাবে আপনি গেমিং ভিডিও তৈরি করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন।

২) Freelancer. Com 

Fiverr, Upwork এর মত জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো Freelancer. Com। এখানে অনলাইনের কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা এ সকল মার্কেট-প্লেসে কাজ করে ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে যেমনঃ- ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও ইত্যাদি সহ আরো অন্যান্য। সুতরাং, আপনি যদি কোন একটি কাজে বিশেষভাবে দক্ষ হন তাহলে এ সমস্ত মার্কেটপ্লেস কাজ করে নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে পারেন। এ সকল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যে কত বড় তা ধারণার চেয়েও বাইরে। আশা করি, ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে এ সকল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আপনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।   

৩) ব্লগিং করে আয়

অনলাইন জগতে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের সব থেকে সহজ উপায় হলো ব্লগিং। ব্লগিং করার জন্য প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে ডোমেইন, হোস্টিং, থিম এর প্রয়োজন। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে গেলে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট লিখে, আয় করতে পারবেন। আপনি কনটেন্ট বাংলা, ইংরেজী, যে ভাষায় পারদর্শী হোন না কেন সেই ভাষায় আর্টিকেল লিখতে পারবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক আসবে তখন গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে নিয়ে ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )

তাছাড়া, আপনার যদি নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করে মাসিক বেতনে জব করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ব্লগিং এর চাইতে সহজ কাজ আর হতে পারে না। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে না পারেন তাহলে অন্য কোন উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন না। যারা প্রফেশনাল ব্লগার তারা ব্লগিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। সব থেকে মজার বিষয় হলো আপনার হাতে থাকা সাধারণ মানের স্মার্ট-ফোন দিয়েই ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

৪) Shopify

একটি ই-কমার্স সাইট। যেখানে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা করা হয়। আপনি Shopify দিয়ে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার এর মাধ্যমে নিজস্ব একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। Shopify দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলে, ওই ওয়েবসাইটগুলো হাই কোয়ালিটির হয়। ফলে অনেক বেশি ট্রাফিক পাওয়া যায়। 

এখানে আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ভালো পরিবারের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজগুলো আপনি আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ড্রপশিপিং করে আয় করতে পারেন।

৫) Amazon

বিশ্ব বিখ্যাত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম Amazon. Amazon নাম শুনে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। এই প্লাটফর্ম থেকে মানুষ একাধিক ভাবে ইনকাম করতে পারে। আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে অ্যামাজনের কাজ করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্নভাবে আপনি এই আমাজন প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারেন যেমনঃ-

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ- আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট, অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে সেখানে অ্যামাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করবেন। উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ অ্যামাজনের প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। এটাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। 

ড্রপশিপিং করে আয়ঃ- ড্রপশিপিং করতে আপনার নিজের কাছে প্রোডাক্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এখানে প্রোডাক্ট শিপিং এর কোন ঝামেলা নেই। আপনার প্রোডাক্টের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকবে। সেখানে কাস্টমাররা প্রোডাক্ট অর্ডার করবে, আপনি অন্য একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে কাস্টমারদের নিকট পাঠিয়ে দিবেন। 

ধরুণ, আপনার ওয়েবসাইটে আপনি দিয়ে রাখলেন ফোনের ব্যাটারির দাম ৫০০ টাকা। এখন কেউ যদি আপনার কাছে ব্যাটারি অর্ডার করে, তখন অন্য একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যাটারি নিয়ে কাস্টমারদের দিবেন। ঐ ই-কমার্স প্লাটফর্মে ব্যাটারির দাম ৪৫০ টাকা। ( ৫০০ - ৪৫০ ) = ৫০ টাকা আপনার অতিরিক্ত লাভ।  এইভাবে যত বেশি সেল হবে তত আপনার অতিরিক্ত লাভ হবে।

Amazon এ লেখা বিক্রিঃ- আপনি যদি খুব ভালো লেখালেখি করতে পারেন, তাহলে আপনার লেখা বইগুলো অ্যামাজনের মাধ্যমে বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। 

৬) ট্রান্সলেশন করে ইনকাম

ট্রান্সলেশন মানে হচ্ছে একটি ভাষাকে অন্য ভাষায় রুপান্তর করা। ধরুণ, আপনি ইউটিউবে বাংলা ভাষায় একটি ভিডিও তৈরি করলেন, যারা বাংলা ভাষাভাষী মানুষ তারাই শুধু ঐ ভিডিও গুলো বুজবে। তো আপনি একজন ইউটিউবার হিসেবে চাইবেন আপনার ভিডিও যেন অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষ দেখে। এজন্য ট্রান্সলেশের প্রয়োজন পড়ে। আপনার যদি একাধিক ভাষার জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি ট্রান্সলেশন এর কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া গুগল ট্রান্সলেটর এর সহায়তা নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট-প্লেস গুলোতে ট্রান্সলেটর এর কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

৭) Daraz  

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট হল দারাজ। এখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাবেচা করা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। এখানে আপনি নিজস্ব পণ্য বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। এজন্য আপনার " পন্যের গুণগত মান ভালো হতে হবে, কম লাভ বিক্রি বেশি " এই নীতিতে আসতে হবে। গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। এই বিক্রির কাজটা আপনি আপনার ফোন দিয়ে পড়তে পারবেন। তাছাড়া আপনি দারাজের হয়ে এফিলেট মার্কেটিং করে, ড্রপশিপিং এর বিজনেস করে বাড়তি অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। 

৮) অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে আয়

বর্তমানে অনলাইনে বিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজী শিক্ষদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যে সাবজেক্টে দক্ষ উক্ত সাবজেক্টে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। আপনি অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচী ফেসবুক, ইউটিউব এর মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারেন। যখন পেমেন্ট করবে তখন আপনি তাদের অনলাইন ক্লাসের লিংক দিয়ে দিবেন। তারা নির্ধারিত সময়ে উক্ত লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাঠদান করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ- রিয়েল টাকা ইনকাম app & website ( বিস্তারিত গাইডলাইন )

তাছাড়া, যদি আপনার কারিগরি কোন বিশেষ জ্ঞান থাকে তাহলে নিয়মিত ফেসবুক, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে, অনলাইনে ক্লাস নিয়ে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজের জন্য ডেক্সটপ অথবা পিসি থাকলে ভালো হয়।

৯) Themeforest

দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম হল Themeforest. HTML, প্লাগিন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম বানিয়ে সেগুলো আপনি Themeforest এই সাইটে বিক্রি করতে পারবেন। এই সাইটে আপনি বিভিন্ন ধরনের CMS টেমপ্লেট বানিয়ে এই প্লাটফর্মে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। সুতরাং, আপনারা যারা ওয়েব ডেভেলপিং নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য Themeforest এ সাইটটি অর্থ উপার্জনের নতুন দিগন্ত/মাধ্যম। তাছাড়া, এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

১০) লেখালেখির জব করে আয়

লেখালেখির করে আয় করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, আপনি উক্ত ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, ঐ ওয়েবসাইটের নিচে যোগাযোগ অপশন দেয়া থাকে, সেখানে ক্লিক করলে যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন নিউজ পত্রিকা গুলো প্রতিনিয়ত আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে, আপনি সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন। নিউজ পত্রিকা গুলোর শেষের দিকে যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা দেয়া থাকে।

১১) Depositphotos

ছবি কেনা বেচার একটি প্ল্যাটফর্ম হল Depositphotos. আপনারা যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন তারা উক্ত তোলা ছবিগুলো এই প্লাটফর্মে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার তোলা ছবিগুলো এই প্লাটফর্ম এর সাহায্যে বিক্রি করতে হবে। আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে আপনি ছবি তুলতে পারেন। তবে ছবির কোয়ালিটি গুণগতমান যেন ভাল হয়, ব্যবহারকারীরা যেন ছবি কিনতে আগ্রহ দেখায় সেইভাবে ছবিগুলো তুলতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ নিরাপদ উপায়ে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন

প্রথমে Depositphotos এখানে একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন, এরপর সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে ছবির যাবতীয় বিবরণ দিয়ে ওয়েবসাইট আপলোড করুন। যখন কেউ আপনার ছবি ক্রয় করবে তখন আপনার একাউন্টের টাকা জড়ো হবে। এভাবে আপনি যত বেশি ছবি তুলবেন এবং যত বেশি ছবি আপলোড করবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। এই কাজগুলো আপনি আপনার হাতে থাকার স্মার্ট ফোন দিয়েই করতে পারবেন। 

১২) CPA মার্কেটিং করে আয়

এটা কিছুটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো। CPA মার্কেটিং এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাইতে আয় কিছুটা কম হয়। সাধারণত কোম্পানি গুলো তাদের টার্গেটেড কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে এই ধরণের CPA মার্কেটিং করে থাকে। সেখানে তারা বিভিন্ন অফার প্রদান করে কাষ্টমারদের নিকট থেকে মোবাইল নাম্বার, জি-মেইল আইডি সংগ্রহ করে থাকে। সাধারণত কোম্পানি গুলোর নিকট কাষ্টমারদের ব্যাক্তিগত কোন তথ্য থাকে না। অন্যদিকে CPA মার্কেটাররা নিদিৃষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এই কাজ গুলো করে থাকে। গোটা বিশ্ব-ব্যাপী জনপ্রিয় CPA নেটওয়ার্ক হলোঃ- AdWork Media, CrakRevenue.

১৩) Fiverr

Upwork এর মতো একটি বিশাল মার্কেটপ্লেস হলো Fiverr. নতুন ফ্রিল্যান্সারদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু Fiverr মার্কেটপ্লেস। অধিকাংশ নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজের জন্য Fiverr মার্কেটপ্লেস মূল্যবান সময় ব্যয় করে। Upwork এর মতো Fiverr মার্কেটপ্লেসে কাজের চাহিদা ব্যাপক। এখানে কাজ করার জন্য আপনি যে কাজ জানেন সেই কাজের জন্য গিগ তৈরি করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ গেম খেলে টাকা আয় app দেখে নিন

এরপর বায়ার হান্ট করতে হবে। আপনি যদি এই মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে আয় করতে চান তাহলে " বায়ারের চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া লাগবে ". বায়ার খুশি হলে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে,  আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আগের থেকে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। Fiverr মার্কেটপ্লেস যে কত বড় তা কল্পনারও বাইরে। এই মার্কেটপ্লেস এ কাজ পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করতে হয়। ফাইবার থেকে উপার্জিত অর্থ পেওনিয়ার এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি নিজস্ব ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এটি একটি বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস। 

১৪) ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখন ফেসবুকও অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁডিয়েছে। ইউটিউবের মতো ফেসবুকে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে এড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া, আপনার যদি একটি বিজনেস তাহলে ফেসবুকে বিজনেস পেজ খুলে সেই বিজনেস পেজের মাধ্যমে প্রোডাক্ট কেনা-বেচা করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করা গেম পেমেন্ট বিকাশ বাংলাদেশ

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক চালানো সম্ভব। আপনি যদি ফেসবুক প্লাটফর্মে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তখন ইনফ্লুযেন্সার হিসেবেও কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট করে, স্পন্সরশীপ এর কাজ করে ফেসবুক থেকে আয় বাড়তি ইনকাম করা সম্ভব। কাজেই প্রযুক্তি সেক্টর ‍গুলো কাজে লাগিয়ে আশা করি তরুণ-প্রজন্ম এগিয়ে যাবে।

১৫) Flippa

ডিজিটাল পণ্য বিক্রির বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম এটি। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। ধরুন, আপনার একটি নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট, ডোমেইন, গুগল এডসেন্স রয়েছে আপনি সেগুলো বিক্রি করতে চান। তাহলে Flippa এই প্লাটফর্ম টি আপনার জন্য সেরা হবে। কারণ, এসব প্লাটফর্ম গুলো তে উচ্চ মূল্যে ডিজিটাল প্রোডাক্ট কেনা - বেচা করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

১৬) ডেলিভারী সার্ভিসের কাজ

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক অনলাইন বিজনেস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে কাষ্টমারদের নিকট প্রোডাক্ট পৌছে দেয়ার হোম ডেলিভারীর প্রয়োজন হয় যেমনঃ- ফুড পান্ডা। তাহলে আপনি এই ফুড পান্ডা অ্যাপস ডাউনলোড করে ডেলিভারী বয় এর কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এই কাজ গুলো করার জন্য হাতে থাকা স্মার্টফোন যথেষ্ট হবে। এই কাজ গুলো করে আপনি প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। যত বেশি প্রোডাক্ট ডেলিভারী তত বেশি ইনকাম হবে।

১৭) Upwork

Upwork নাম শুনে নি এমন কোন ফ্রিল্যান্সার নাই। এটি একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। যে কাজ গুলোর রয়েছে হাই ভ্যালু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এই প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। এ সকল প্লাটফর্ম গুলো তে কাজের চাহিদা ব্যাপক। অধিকাংশ বায়াররা ইউরোপ, আমেরিকার মতো অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের হয়।

আপনি যদি তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারেন বা কাজের মাধ্যমে তাদের সন্তুুষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। আর প্রতিটি কাজের বিনিময়ে ভালো পরিবারের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখানে ডাটা এন্ট্রি,  SEO,  ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি এ সমস্ত কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেগুলো হালকা কাজ সেগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন, আর ভারী কাজের জন্য ডেক্সটপ অথবা ল্যাপটপ থাকলে ভালো হয়। 

১৮) Peopleperhour

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য  Peopleperhour এই সাইটটি সেরা হতে পারে। যেখানে আপনি নিজের ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটে SEO, ডাটা এন্ট্রি,  ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি সহজ সহজ কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করে ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এ সাইটটি এক নতুন আশার আলো। 

১৯) ক্যাপচা করে আয়

ক্যাপচা বলতে এলোমেলা কিছু ডিজিট বা অক্ষর বা ক্যারেক্টার দেয়া থাকবে। যেগুলো একটি নিদিৃষ্ট ফাঁকা বক্সে সিকুয়েন্স মেইনটেইন করে টাইপ করে বসাতে হবে। ক্যাপচা করার জন্য নিদিৃষ্ট কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। অনেকে এরকম অভিযোগ করে ক্যাপচা পূরণ করেও টাকা পায় নি। এজন্য বিশ্বস্ত সাইট বা প্লাটফর্ম খুঁজে বের করুন। কাজ করার পূর্বে উক্ত সাইট বা প্লাটফর্মে রিভিউ, রেটিং স্কোর এগুলো যাচাই করে নিবেন। এমনও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে ক্যাপচা পূরণ করে দৈনিক ৫ থেকে ৭ ডলার ইনকাম করা যায়।

২০) ইউটিউবিং করে আয়

ভিডিও দেখার অন্যতম প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। দিনের অধিকাংশ সময় আমরা ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখে সময় কাটাই। বাংলাদেশে থেকে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের টপিকসের উপর যেমনঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, নিউজ, ফানি ভিডিও, ব্যাক্তিগত ব্লগ ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয়ের অন্যতম নেটওয়ার্ক হলো গুগল এডসেন্স।

আরো পড়ুনঃ- ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিন এখনই

তবে ইউটিউবে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকামের শর্ত হলোঃ- ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হওয়া লাগবে। তবে আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার ইউটিউবে যত বেশি ভিউজ হব তত বেশি ইনকাম হবে। মানুষ লং ভিডিও দেখতে পছন্দ করে না। এজন্য ইউটিউব থেকে সফল হওয়ার টিপস হলো শর্ট ভিডিও বানানো। আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভালো পারফমেন্স করলে স্পন্সরশীপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমেও অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন। ইউটিউবে ভিডিও বানানো এই কাজ গুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

২১) Seoclerks

এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আর্টিকেল লিখে, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, virtual assistant, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ মার্কেটপ্লেসে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। আপনার উপর যত অর্থ খুব সহজে ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

২২) Pond5

এটি এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে আপনি নিজের ফোন দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকামের জন্য বিশেষ কোনো ক্যামেরার প্রয়োজন নেই। আপনার মোবাইলে থেকে ক্যামেরা ফোনই যথেষ্ট। তবে লক্ষ্য রাখবেন ছবির কোয়ালিটি যেন ভাল হয়। যত ভালো ছবি তুলবেন এবং যত বেশি ছবি বিক্রি হবে তত বেশি ইনকাম হবে। সুতরাং, আপনাদের যাদের ফটো তোলার অভ্যাস রয়েছে তারা এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। 

২৩) ইন্সটাগ্রাম

অনেকে মনে করে ইন্সটাগ্রাম হলো ছবি এবং ভিডিও শেয়ারিং এর প্লাটফর্ম। আজকাল ইন্সটাগ্রাম থেকে অনেকে ইনকাম করছে। ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি সুন্দর প্রোফাইল দাঁড় করাতে হবে। যেখানে আপনার বিস্তারিত ডাটা, তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা থাকবে। এরপর নিত্য-নতুন পোস্ট তৈরি করে পাবলিশ করবেন।

আরো পড়ুনঃ- লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে 2025 জেনে নিন 

আপনি যে বিষয়ের উপর প্রোফাইল তৈরি করেছেন উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট পোস্ট তৈরি করবেন। আপনার পোস্ট যারা পড়বে এবং কমেন্ট করবে তারা হবে আপনার ফলোয়ার। আপনি ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ বাড়াবেন, তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করবেন। এখানে বিভিন্নভাবে আয় করা যায় যেমনঃ- বিজ্ঞাপন দিয়ে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, অর্থের বিনিময়ে প্রোফাইল প্রমোট করে, প্রোডাক্ট বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।

২৪) অনলাইনে রিসেলার হিসেবে জব

দিনের অধিকাংশ সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে সময় কাটাই। অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইনে রিসেলার হিসেবে কাজ করে বাড়তি টাকা উপার্জন করা যায়। আপনি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লিংক শেয়ার করবেন। উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে নিদিৃষ্ট পরিমানে টাকা দেয়া হবে। এভাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লিংক শেয়ার করে যত বেশি প্রোডাক্ট সেল হবে তত বেশি ইনকাম হবে। কাজেই, অনলাইন দুনিয়ায় এই সুযোগ গুলো বেশি বেশি কাজে লাগানো দরকার।

২৫) পুরনো জিনিস বিক্রয় কর আয়

ধরুণ, আপনার ব্যবহৃত কোন ঘড়ি, সাইকেল বা নিত্য-প্রয়োজনীয় এমন কিছু যা বিক্রি করতে চাচ্ছেন। এরকম পুরাতন জিনিস বিক্রি করে আয় করার জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলাঃ- Bikroy.Com, OLX  ইত্যাদি। আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়েই এই কাজটি আপনি করতে পারবেন। এরপর Bikroy.Com, OLX এই প্লাটফর্মে একটি একাউন্ট খুলুন। যে প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে চান ঐ প্রোডাক্টের ছবি তুলুন। এরপর আপলোড করুন এবং দাম নির্ধারণ করুন। দাম নির্ধারণের পূর্বে আপনি পন্যের মালিকের নিকট থেকে পন্যের দাম জেনে নিবেন। যখন প্রোডাক্ট বিক্রি হবে তখন পন্যের মালিকের নিকট থেকে আপনি কমিশন আয় করতে পারেন।

মোবাইলে টাকা আয় করার apps

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অনেক গুলো অ্যাপস রয়েছে যেখানে গেম খেলে, ভিডিও দেখে, এড দেখে, সার্ভে করে, ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করা যায়। তবে আপনি যদি অনলাইন থেকে কোন অ্যাপস বা সাইট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে উক্ত অ্যাপস বা সাইট গুলোর বিশ্বস্ততা যাচাই করা প্রয়োজন। উক্ত অ্যাপস বা সাইটের রিভিউ, রেটিং স্কোর এগুলো চেক করে নিবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অ্যাপস হলোঃ-

  • RozDhan
  • Google opinion rewards
  • Neobux
  • Cash App
  • Slidejoy App
  • Workup job
  • Swag Bucks
  • Free Cash
  • Inboxdollars
  • Jump task
  • QuickRewards

লেখকের মন্তব্য - মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পরবর্তীতে আলোচনা হবে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত ভিন্ন কোন আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 10.11.25

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url