ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট ২০২৫ ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন। ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট পাওয়ার অনেক গুলো উপায় রয়েছে।
পোস্টসূচীপত্রঃ-যে উপায় গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট পেতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট
অনলাইনের এই যুগে টাকা ইনকামের অনেক গুলো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম রয়েছে। যে মাধ্যম গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। এখন প্রত্যেকের হাতে স্মার্টফোন রযেছে সাথে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। কেউ যদি ফ্রি টাকা ইনকাম করে নগদে পেমেন্ট কালেক্ট করতে চায় এটা তার জন্য সহজ হবে। এখন কি কি কাজ করে টাকা ইনকাম করবো সেই বিষয়ে অনেকে জানে না। আপনি অনলাইনে সেক্টর গুলোতে বিনিয়োগ করে অথবা ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম ঝুঁকি মুক্ত হয়ে থাকে।
এমন অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে যেখানে দৈনিক ৩০০ ৪০০ টাকা ইনকাম করে নগদে/বিকাশে পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারেন। যে গুলো নিয়ে আমরা একাধিক পোস্টে আলোচনা করেছি। অনলাইন থেকে ইনকামের অনেক অ্যাপস বা সাইট রয়েছে। তবে সবগুলো বাস্তব সম্মত নয়। এজন্য আপনাকে রিয়েল টাকা ইনকাম app & website তালাশ করা প্রয়োজন। যেখানে কাজ করে আপনি সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে নগদ বা বিকাশে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি যেন অনলাইন বা অফলাইন সেক্টর থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন এজন্য সঠিক/বিশ্বস্ত উপায় গুলো জানতে হবে। যে উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন জগতে ছোট ছোট কাজ করে ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট পাওয়ার অন্যতম উপায় গুলো হলোঃ- ডাটা এন্ট্রি করে, ভিডিও দেখে, অংক করে, গল্প লিখে আয়, এড দেখে, ছবি বিক্রি করে, কুইজ খেলে, গেম খেলে, রেফার করে, ক্যাপচা এন্ট্রি করে ইত্যাদি।
১) ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে
সাধারণত আমরা ফেসবুক অথবা ইউটিউব ব্যবহার করে থাকি বিনোদনের জন্য। আপনি কি জানেন এই ফেসবুক অথবা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করা যায় ? অনেকেই ইউটিউব অথবা ফেসবুকে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করলেন। আপনার ফেসবুক পেজের যদি জনপ্রিয়তা ভালো থাকে অথবা অধিক সংখ্যক লোক ভিজিট করে তাহলে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করিয়ে নিয়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। সেটা হলো ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করার পূর্বে ইউটিউবে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘন্টা হওয়া আবশ্যক। তবেই আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর আপনাকে নিয়মিত ভিডিও তৈরির কাজ করে যেতে হবে। যত বেশি ভিডিও তৈরি করবেন এবং যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে।
২) অনলাইনে পুরাতন প্রোডাক্ট বিক্রি
যেকোনো পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর সেগুলো বিক্রির প্রয়োজন পড়ে যেমনঃ- বই, ঘড়ি, সাইকেল, এমন আরো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয়ের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হলঃ- bikroy.com, Facebook, YouTube channel, website ইত্যাদি. এই কাজগুলো আপনি সাধারণ মানের স্মার্ট ফোন দিয়ে করতে পারবেন। উক্ত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ছাড়ুন এবং যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা দিয়ে দিন। এভাবে আপনি অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেন নগদ পেমেন্ট কালেক্ট করতে পারবেন।
৩) মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেমনঃ- Canva, PicsArt এগুলো দিয়ে আপনার ছোট ছোট গ্রাফিক্সের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি লোগো অথবা ব্যানার তৈরি করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে লোগো, ব্যানার এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে উক্ত এপ্লিকেশন গুলো চালাতে পারবেন। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এই কাজে মোটামুটি দক্ষ তারা খুব সহজে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া লোকাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে গ্রাফিক্সের সেবা দিয়ে নগদ, বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে পেমেন্ট কালেক্ট করতে পারবেন। তবে গ্রাফিক্সের কাজের জন্য পিসির অথবা ডেক্সটপ হলে ভালো হয়। যখন আপনি গ্রাফিক্সের কাজে খুব ভালো দক্ষ হয়ে যাবেন তখন মোবাইল দিয়েও কাজ করতে পারবেন। শুরুর দিকে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্সের কাজ করা নতুনদের জন্য কঠিন হবে।
৪) ডাটা এন্ট্রি করে
সকলে আমরা কম-বেশি টাইপ করে থাকি। হয় মোবাইলে নতুবা কম্পিউটারে। মূলত ডাটা এন্ট্রি এক ধরণের টাইপিং জবের মতো। এই ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো খুবই সহজ। ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো যেমনঃ- ওয়েবসাইট রিসার্চ করে, কপি পেস্ট করে এন্টি করতে হয়। যে কাজ গুলো করে আপনি মাসে সহজে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হলোঃ- ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম ইত্যাদি।
যেহেতু ডলার মুদ্রার মান বড়, তাই ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আপনি সহজে ডলার ইনকাম করতে পারছেন। আপনার উপার্জিত অর্থ Payoneer এর মাধ্যমে উত্তোলন করে স্থানীয় ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। সুতারাং, ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো খুবই সহজ। অনেক বাংলাদেশেী বাংলাদেশে বসে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারে।
৫) গল্প লিখে আয়
অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো গল্প লিখে অথবা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়। আপনি যে ভাষায় পারদর্শী সেই ভাষায় গল্প লিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। বিশেষ করে ইংরেজীতে গল্প লিখে পাবলিশ করলে সেটার চাহিদা বেশি। কারণ, ইংরেজী হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাষা। আর আন্তর্জাতিক ভাষার চাহিদা বেশি।
আরো পড়ুনঃ- গল্প লিখে টাকা আয় করার সুবর্ণ সুযোগ লুফে নিন
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেমনঃ- ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম এখানে গল্প লিখে ইনকাম করা যায়। এজন্য আপনাকে ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করতে হবে। তাদের নিকট থেকে কাজ সংগ্রহ করে কাজ করতে হবে। কাজ শেষে তারা আপনাকে পেমেন্ট ক্লিয়ার করে দিবে। আপনার উপার্জিত ইনকাম ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে নগদ, বিকাশ, রকেটে সংগ্রহ করতে পারবেন।
৬) অনলাইনে পাঠদান
এখন তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে শিক্ষা সেক্টরে। আগে অফলাইনে কোচিং অথবা প্রাইভেট পড়ানো হতো, বর্তমানে অনলাইনে পাঠদান করানো হচ্ছে। অনলাইনে পাঠদানের কারণে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ক্লাস করতে পারছে এবং ক্লাস গুলোর রেকর্ডিং পরবর্তীতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, অফলাইনে কেউ যদি ক্লাস মিস করে তাহলে ওই ক্লাসগুলোর রেকর্ডিং পরবর্তীতে পাওয়া যায় না। ঠিক এই কারণে অনলাইন কোচিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন কোচিংয়ের কারণে একদিকে যেমন সময় সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে অতিরিক্ত যাতায়াত ভাড়া বেঁচে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের যারা অনলাইনে কোচিং করিয়ে থাকে তারা নগদ, বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে পেমেন্ট কালেক্ট করে। যখন পেমেন্ট করা হয় তখন অনলাইন কোচিং এর লিংক শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়। অনলাইন জগতে যারা বিশ্বস্ততার সহিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান সেবা দিয়ে এসেছে তাদের কাছে ভর্তি হবেন নতুবা প্রতারণার শিকার হতে হবে। তাছাড়া, আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে নিয়ে বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং, অনলাইন জগতগুলো বর্তমানে অর্থ উপার্জনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
৭) ভিডিও দেখে
অবসর সময় গুলো আমরা ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভিডিও দেখে পার করে দিই। কিন্তু অনলাইন সেক্টর গুলো এতটাই উন্নত হয়েছে যে, যেখানে আপনি ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও দেখে ইনকাম আপনি দৈনিক ২০০ - ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। যত বেশি অ্যাপস বা সাইটে ভিডিও দেখবেন তত বেশি ইনকাম হবে। সব অ্যাপস বা সাইটে ভিডিও দেখে ইনকাম করা যায় না। ভিডিও দেখে ইনকাম করার জন্য নিদিৃষ্ট কিছু অ্যাপস বা সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ- ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেট সংযোগ এবং হাতে থাকা আপনার স্মার্টফোন হলেই অনায়াসে আপনি ভিডিও দেখে আয় করতে পারেন। বড় বড় জায়েন্ট টেক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের কোম্পানির বিভিন্ন পন্যের প্রচার-প্রচারণা করে থাকে। উক্ত পন্যের ইতিবাচক বিভিন্ন দিক নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ করে। উক্ত ভিডিও গুলো দেখার বিনিময়ে ব্যবহারকারীরা আয় করে থাকে। আপনার উপার্জিত অর্থ গুলো আপনি সহজে নগদের মাধ্যমে কালেক্ট করতে পারবেন।
৮) রেফার করে
আপনি যে অ্যাপস বা সাইটে কাজ করছেন উক্ত অ্যাপস বা সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনাকে একটি কোড দিবে। কেউ যখন অ্যাপস বা সাইট রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার কোডটি ব্যবহার করবে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। এটাকে বলে রেফার করে ইনকাম।
রেফার করে ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হলো Swagbucks. এই সাইটটি অন্যদের নিকট রেফার করে আপনি কমিশন আয় করতে পারেন। তাছাড়া অন্য সাইট যেমনঃ- Mistplay, Freecash. যা অন্যদের নিকট রেফার করে আয় করা যায়।
৯) কুইজ খেলে
কুইজ একটি জনপ্রিয় খেলা। এখানে মূলত সাধারণ জ্ঞান রিলেটেড প্রশ্ন করা হয়। এটা আপনার জ্ঞানের জায়গা কে আরো সমৃদ্ধ করবে। আজকাল অনলাইনে কুইজ খেলেও ইনকাম করা যাচ্ছে। কুইজ খেলে ইনকাম করার অনেক গুলো অ্যাপস এবং সাইট রয়েছে। আপনি উক্ত অ্যাপস এবং সাইট গুলোতে কুইজ খেলে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিন এখনই
কুইজ খেলে ইনকাম করার জনপ্রিয় অ্যাপস হলোঃ- Quizys: Play Quiz & Earn Cash. যেখানে কুইজের সঠিক উত্তর দিয়ে জিতে নিতে পারেন অর্থ এবং পুরষ্কার। কাজেই, বুঝতেই পারছেন এটা কতটা মজাদার খেলা। কুইজ খেলে উপার্জিত অর্থ পেপাল এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন।
১০) মাইক্রো জব সাইট থেকে ইনকাম
ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার জন্য কতগুলো বিশ্বস্ত সাইট রয়েছে সেগুলো হলোঃ- Clickworker, Workupjob, Picoworkers, Microworkers, Workupplace ইত্যাদি যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকামের সুযোগ রয়েছে। এই নাম গুলো লিখে গুগলে সার্চ করলে ওয়েবসাইট চলে আসবে। সেখানে একাউন্ট খুলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই সকল সাইট গুলোতে এড দেখে, ভিডিও দেখে, ইউটিউবে ভিজিট করে, ফেসবুকে ফলো করে, কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করা যায়। এখানে আপনি কাজ করে পেমেন্ট নগদ, বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। বিদেশী সাইট গুলোতে কাজ করে ডলার ইনকাম করে নগদ, বিকাশের মাধ্যমে উইড্রো করতে পারবেন।
১১) মোবাইল রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট এর ব্যবসা
শুরুর দিকে অনেক সময় লাগলেও যত বেশি মোবাইল রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট হবে তত বেশি আপনি কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। এখানে ইনকাম পুরোপুরি নির্ভর করে লেনদেনের উপর। যত বেশি লেনদেন হবে তত বেশি ইনকাম হবে। অফলাইনে একটি ছোট দোকান দিন। শুরু করে দিন মোবাইল রিচার্জ এবং ক্যাশ ইন ক্যাশ আউটের ব্যবসা। এই কাজগুলো আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে করতে হবে। যত বেশি গ্রাহক লেনদেন করবে তত বেশি আয় হবে।
১২) সার্ভে করে ইনকাম
সার্ভে করে ইনকামের কতগুলো জনপ্রিয় সাইট রয়েছে যেমনঃ- Survey junkie, Toluna, ySense, Swagbucks ইত্যাদি। এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ দিয়ে ইনকামের সুযোগ রয়েছে। সার্ভে করার জন্য আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন যথেষ্ট। এ সকল সার্ভে করার বিনিময়ে উক্ত সাইটগুলো ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট করে থাকে। সার্ভের প্রশ্ন গুলো বিভিন্ন ভাষা তে করা হয়ে থাকে। তবে আপনারা যারা ইংরেজি ভাষা মোটামুটি জানেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ হবে। সাইটগুলোতে সার্ভে করার পূর্বে, ওই সকল সাইটগুলো ব্যবহারকারীদের বাস্তবে পেমেন্ট করে থাকে কি না সে বিষয়ে যাচাই করে নিবেন।
১৩) আর্টিকেল লিখে ইনকাম
আমরা অনেকে কম্পিউটার অথবা মোবাইলের টাইপিং করে থাকি। এই আর্টিকেল আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে অথবা নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন। আর্টিকেল রাইটিং এটা খুবই সোজা, ফ্রিল্যান্সিং জগতে এর মত সহজ কাজ আর হতে পারে না। আপনার যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে, সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। ভালো পরিমাণে ভিজিটর আসলে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করিয়ে নিয়ে ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন।
আপনি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, গৃহিণী, শিক্ষার্থী যেই পেশায় নিয়োজিত থাকুন না কেন এই আর্টিকেল রাইটিং এ কাজটি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে যেমনঃ- ডোমেইন, হোস্টিং, থিম এগুলোর প্রয়োজন হয়। আর্টিকেল রাইটিং এ কাজ করে আপনি প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দৈনিক ৩/৪ ঘন্টা সময় দিলে আপনি একটি আর্টিকেল লিখতে সক্ষম হবেন। সুতারাং, বুঝতে পারছেন আর্টিকেল লিখা কতটা সহজ।
১৪) ক্যাপচা এন্ট্রি করে
ক্যাপচা বলতে এখানে অনেক গুলো অক্ষর, ডিজিট, স্পেশাল ক্যারেক্টার এলোমেলোভাবে দেয়া থাকবে, সেগুলো আপনাকে একটি ফাঁকা বক্সে টাইপ করে বসাতে হবে। ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি সাইট হলোঃ- 2Captcha . এখানে সঠিকভাবে ক্যাপচা পূরণ করে আপনার উপার্জিত অর্থ নগদে উত্তোলন করে নিতে পারেন।
১৫) সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ মার্কেটিং করে আয়
যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে ও সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেজ ম্যানেজমেন্টের জন্য জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। উক্ত পেজে ব্যবসার সংশ্লিষ্ট আপডেট প্রকাশিত করা হয়ে থাকে, বিভিন্ন ধরনের নিত্যনতুন কনটেন্ট তৈরি করা হয়, কাস্টমারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। অর্থাৎ, একটি পেজ ম্যানেজমেন্ট এর জন্য মডারেটরের ভূমিকা পালন করতে হয়। আপনার যদি অনলাইন সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা থাকে, অর্থাৎ কিভাবে বিজনেস পেজ ম্যানেজমেন্ট করতে হয় তাহলে এ কাজগুলো করা আপনার জন্য সহজ হবে। এ কাজগুলো করে আপনি একটি হ্যান্ডসাম এমাউন্ট উপার্জন করতে পারবেন।
১৬) সোশ্যাল মিডিয়ার পণ্য রিসেলিং করা
আমরা সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ- ফেসবুক, ইউটিউব, whatsapp সকালে কমবেশি ব্যবহার করে থাকি। পণ্যের প্রচার-প্রচারণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া best platform। যারা অনলাইনে বিজনেস করে তারা তাদের পণ্যের প্রচার-প্রচারণার জন্য অনলাইন শপ রিসেলার নিয়োগ দেয়। আপনি উক্ত অনলাইন বিজনেস প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে, বন্ধুদের নিকট প্রচার করবেন। আপনার পণ্যের প্রচার-প্রচারণার বিনিময়ে যতটা বিক্রি হবে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। কমিশন থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি নগদ অথবা বিকাশের মাধ্যমে কালেক্ট করতে পারবেন। আপনি এ কাজগুলো নিঃসন্দেহে আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়েই করতে পারবেন। আপনার পন্যের প্রচার-প্রচারণা যত বেশি ভালো হবে, তত বেশি সেল হবে।
১৭) ছবি বিক্রি করে
আপনারা যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন, আপনার তোলা ছবি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে করতে পারবেন। এটা খুবই সহজ একটি কাজ। ছবি তুলতে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন যথেষ্ট। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার তোলা ছবি Depositphotos এই সাইটে বিক্রি করতে পারেন। এই সাইটে আপনাকে একাউন্ট খুলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনার তোলা ছবি যেন চমকপ্রদ আকর্ষণীয় হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
আপনি যত ভালো ছবি তুলবেন এবং উক্ত ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। এমন ভাবে ছবি গুলো তুলবেন যাতে মানুষ তা ডাউনলোড করতে ইচ্ছুক হয়। আপনার ছবি যত বেশি ডাউনলোড হবে তত বেশি ইনকাম হবে। আপনার ইনকামের একটি অংশ ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ রেখে দিবে, বাকী টাকা আপনাকে দিয়ে দিবে। এভাবে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নগদে ট্রান্সফার করে নিতে পারেন।
১৮) লিংক শেয়ার করে ইনকাম
কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর রেফারেল লিংক ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রামে শেয়ার করে ইনকাম করা যায়। উক্ত ওয়েবসাইট গুলো হলোঃ- adsterra.com, Linkvertise.com ইত্যাদি। কেউ যদি শেয়ারকৃত লিংকে ক্লিক করে তবেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। প্রতি ১০০০ জন লিংকে ক্লিক করলে আপনি ২০০ - ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে যত বেশি লিংক শেয়ার করবেন, যত বেশি ক্লিক আসবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে।
১৯) অংক করে
এখন অনলাইনে অংক করে ইনকাম করার জন্য একাধিক অ্যাপস বা সাইট রয়েছে। যেখানে আপনি গণিত শিখিয়ে অথবা গণিতের সহজ সমাধান বের করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে গণিতে ভীষণ কাঁচা, গণিত শেখার জন্য অনেকে বিশ্বস্ত অ্যাপস বা সাইট তালাশ করে থাকে। আপনি যদি গণিত ভালো বুঝেন, তাহলে গণিতের সহজ সমাধান বের করে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- অংক করে টাকা ইনকাম করার ২৭টি অ্যাপস দেখে নিন
তাছাড়া, গণিতের উক্ত অ্যাপস বা সাইট অন্যদের নিকট রেফার করে অংকের পাশাপাশি বাড়তি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ পেপাল এর মাধ্যমে স্থানীয় ব্যাংকিং সিস্টেম নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
২০) গেম খেলে
আগের সময়ে গেম ছিল সময় কাটানোর একটি সেরা মাধ্যম। কিন্তু আজকাল অনলাইনে গেম খেলেও টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। গেম খেলে টাকা ইনকামের অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে। সেই অ্যাপস গুলোতে গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বিশ্বস্ত অ্যাপস নির্বাচন করতে হবে। গেম খেলে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় অ্যাপস হলোঃ- Bitcoin Pop – Get Bitcoin!
আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
তাছাড়া আপনি অনলাইন থেকে লুডু গেম খেলে, ডিপোজিট ছাড়া গেম খেলে, বাবুল গেম খেলে, নগদে গেম খেলে , কুইজ খেলে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান অনলাইন সেক্টর গুলো টাকা ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এখানে মূলত গেম খেলে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে পেপাল এর মাধ্যমে নগদে পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন।
২১) এড দেখে
এখন বিভিন্ন ধরণের এড দেখে ইনকাম করা যায়। যে এজন্য সঠিক প্লাটফর্ম নির্বাচন করা জরুরি। আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। এগুলো মূলত বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পন্যের প্রচার-প্রচারণার জন্য এড দিয়ে থাকে। উক্ত এড গুলো থেকে ব্যবহারকারীরা আয় করে থাকে।এজন্য আপনাকে সঠিক অ্যাপস এবং সাইট নির্বাচন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ নিরাপদ উপায়ে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন
এড দেখে ইনকাম করার জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হলোঃ- Paidwork: Make Money . কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রি তে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এই অ্যাপসটি আপনাকে গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। নিদিৃষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট আপনার একাউন্টে জড়ো হলে তবেই উত্তোলন করতে পারবেন। পেপাল এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটে ট্রান্সফার করা যায়।
ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট অ্যাপস
এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেখানে আপনি ফ্রি তে টাকা ইনকাম করে নগদে পেমেন্ট কালেক্ট করতে পারবেন। অনলাইনে অনেক অ্যাপস পাবেন যেগুলো শতভাগ বিশ্বস্ত নয়। এই আর্টিকেলে এমন কত গুলো অ্যাপসের নাম আমি আপনাদের জানাবআর্টিকেল থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন যেখানে ফ্রিতে কাজ করে নগদে পেমেন্ট কালেক্ট করতে পারবেন। অ্যাপস গুলো হলোঃ-
Daily Income:- ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় সেরা মাধ্যম এটা। এখানে ছোট ছোট কাজ করে যেমনঃ- কুইজ খেলে, রেফার করে, স্পিন করে ইনকাম করা যায়। এজন্য আপনাকে গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম শুরু করে দিতে হবে। আপনার উপার্জিত অর্থ নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন।
Khela Hoba:- এই অ্যাপসে ফ্রিতে কাজ করে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নেয়া যায়। এখানে রেফার করে, কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করতে হবে। প্রথমে অ্যাপসটি গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করে ডাউনলোড করে নিবেন। এরপর একাউন্ট খুলে মোবাইলে VPN চালু করে USA সিলেক্ট করবেন। একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ টাকা জড়ো হলে নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে তা উত্তোলন করতে পারবেন।
Swagbucks:- ছোট ছোট মাল্টি টাক্স কমপ্লিট করে ইনকাম করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এটি। আপনি যদি এই অ্যাপস থেকে ইনকাম করতে চান গুগল প্লে স্টোর থেকে সর্বপ্রথম অ্যাপসটি ইন্সটল করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে যেখানে আপনি সার্ভে করে, গেম খেলে, ভিডিও দেখে, অনলাইনের শপিং করে, অ্যাপ ইন্সটল করে, রেফার করে, কুইজ খেলে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে জিমেইল এড্রেস দিয়ে এই অ্যাপসের একাউন্টটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ২৫+ উপায়
এরপর আপনাকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট - আপ করতে হবে। অ্যাকাউন্টটি ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনি যে জিমেইল এড্রেস বসিয়েছেন ওই জিমেইল এড্রেসে মেসেজ দেখতে পারবেন। " Confirm " অপশনে ক্লিক করলে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। যখন আপনার অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার SB পয়েন্ট যুক্ত হবে তখন ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার মেথড ( paypal, Cash via, অন্যান্য গিফট কার্ডের মাধ্যমে ) উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে paypal, Cash via, অন্যান্য গিফট কার্ডে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
daily taka apps:- বিশ্বস্ত উপায়ে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল এটি। এখানে মোবাইল নাম্বার, জিমেইল এড্রেস, পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে। এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরণের কাজ করে ইনকাম করা যায় যেমনঃ- ভিডিও দেখে, কুইজ খেলে, রেফার করে দৈনিক ২০০ - ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। এখানে টাকা উত্তোলনের কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি আপনার একাউন্টে ২০০ টাকা জড়ো হয় তবেই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
Free Cash apps:- Google Play Store থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর জিমেইল এড্রেস দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরণের কাজ রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণ করত পারলে বিনিময়ে ডলার ইনকাম করা যায়। এখানে ডলারের পরিমাণ খুব বেশি নয়। প্রতিটি কাজের বিনিময়ে ৫/৭/১০ টাকা ইনকাম করা যায়। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম হবে। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মোতাবেক কাজ করতে পারবেন যেমনঃ- সার্ভে করে, রেফার করে, গেম খেলে ইত্যাদি।
এই অ্যাপস থেকে টাকা সরাসরি নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে ইন্টার-ন্যাশনাল অনলাইন পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করতে হবে যেমনঃ- Paypal, Bitcoin ইত্যাদি। আপনি এই অনলাইন পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
Paid-worker apps:- এই অ্যাপস থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। টাকা ইনকামের একটি বিশ্বস্ত অ্যাপস ইহা। এখানে প্রোডাক্টের রিভিউ দিয়ে, গেম খেলে, সার্ভে করে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, রেফার করে ইনকাম করা যায়। সুতারাং, নতুন অ্যাপস ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম। এই অ্যাপসের মাধ্যমে একাউন্টটি সাইন ইন করার পর আপনার জিমেইলে একটি মেসেজ আসবে। সেখানে " Verify " লেখা থাকবে। ঐ অপশনে ক্লিক করলে আপনার অ্যাপসটি ভেরিফাই হয়ে যাবে। একাউন্টে $1 জড়ো হলে তবেই আপনি পেপাল অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। টাকা উত্তোলনের জন্য যাবতীয় ঠিকানা সঠিকভাবে যুক্ত করবেন।
Clip Claps apps:- এই অ্যাপসে কাজ করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। এখানে স্পিন করে, আর্টিকেল লিখে, কুইজ খেলে, ডেইলি টাস্ক সম্পন্ন করে ইনকাম করা যায়। সব থেকে বড় বিষয় হলো ব্যবহার কারীরা নিজেরদের ইচ্ছেমতো কাজ করে উক্ত অ্যাপস গুলো থেকে ইনকাম করতে পারে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে নিবেন। এই অ্যাপস থেকে AirTm, Paypal, Coinbase টাকা উত্তোলন করতে হবে। আপনার একাউন্টের Reward, Wallet অপশনে ক্লিক করলে ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। জিমেইল অথবা ওয়ালেট এড্রেস বসিয়ে " Withdraw " অপশনে ক্লিক করলে ৭ দিনের মধ্যে আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে।
আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )
Pawns apps:- Play Store থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে জি-মেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর একাউন্টটি ভেরিফিকেশন করার জন্য যে জি-মেইল দিয়ে একাউন্ট খুলেছেন উক্ত জিমেইল একাউন্টে একটি ভেরিফাইড লিংক আসবে উক্ত লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। এই অ্যাপস থেকে আপনি Bandwidth শেয়ার করে, পেইড সার্ভে করে, রেফারেল প্রোগ্রাম করে ইনকাম করা যায়। এখানে সরাসরি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। পেপাল, বিটকয়েন, অন্যান্য গিফট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট উইড্রো করে নগদ, বিকাশের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
Toloka apps:- প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করে জিমেইল এড্রেস অথবা ফেসবুক দিয়ে সাইন ইন করে নিবেন। এরপর এই অ্যাপসে ডাটা সংগ্রহ করে, ভিডিও দেখে, অডিও ট্রান্সক্রিপশন, সার্ভে করে, প্রোডাক্টের রিভিউ দিয়ে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। যখন একাউন্টে $5 জড়ো হবে তখন Paypal এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
Time Bucks apps:- ছোট ছোট কাজ করে নগদে পেমেন্ট উত্তোলন করার জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো Time Bucks apps. এখানে ভিডিও দেখে, এড দেখে, ক্যাপচা পূরণ করে, ইনস্ট্রাগ্রামে টাস্ক কমপ্লিট করে, গেম খেলে এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করে জি-মেইল আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে এটা সাইন ইন করতে হবে। আপনার একাউন্টে যখন ১০ ডলার জড়ো হবে তখন Payoneer এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
ySense Apps:- পেইড সার্ভে, রেফারেল প্রোগ্রাম, মাইক্রো টাস্ক সম্পূর্ণ করে, ক্যাশ-ব্যাক অফার ইত্যাদির মাধ্যমে এই অ্যাপস থেকে ব্যবহারকারীরা ইনকাম করতে পারে। জিমেইল আইডি ব্যবহার করে অ্যাপসটি ইনস্টল করতে হবে। আপনার জিমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে উক্ত লিংকে ক্লিক করে আপনার জিমেইল একাউন্টটি ভেরিফাইড করতে হবে। যখন আপনার একাউন্টে $5 জড়ো হবে তখন Paypal, Gift Card, Payoneer এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদে ট্রান্সফার করে নিতে পারেন।
Work up job:- এখানে লাইক করে, ফলো করে, শেয়ার করে, কমেন্ট করে, ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইনকাম করতে হয়। এখানে প্রতিদিন ছোট ছোট কাজ করে ২০০ - ৩০০ টাকা ইনকাম করা যায়। যখন আপনার একাউন্টে ১৫০০ টাকা জড়ো হবে তখন Wallet অপশনে ক্লিক করে পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করে ৩ দিনের মধ্যে নগদে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
Toffee app:- নগদ টাকা উপার্জনের সেরা অ্যাপস হলো Toffee. এখানে কুইজ খেলে, ভিডিও দেখে, কনটেন্ট তৈরি করে, রেফার করে, গেমস খেলে ইত্যাদিভাবে নগদে ইনকাম করা যায়। যেহেতু এটা একটি বাংলাদেশী প্লাটফর্ম, নিদিৃষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট একাউন্টে জড়ো হলে, এখানে সরাসরি নগদ অথবা বিকাশে পেমেন্ট নেয়া যাবে। ড্যাশবোর্ডে Wallet অপশনে ক্লিক করে " Withdraw " অপশন সিলেক্ট করলে নগদ অথবা বিকাশে ক্যাশ-আউট করা যাবে।
WowBox App:- মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি অ্যাপস হলো WowBox. এখানে ছোট ছোট টাস্ক যেমনঃ- বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে, নিউজ, গেমস খেলে আপনি রি-ওয়ার্ড কালেক্ট করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি তা নগদ টাকায় ট্রান্সফার করতে পারবেন। এই অ্যাপসের হোম পেজে প্রবেশ করলে আপনি এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাবেন ( সার্ভে করে, রেফার করে, অ্যাপস ডাউনলোড করে ) ইচ্ছেমতো কাজ করে আপনি আয় করতে পারেন। আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পযেন্ট জড়ো হলো মোবাইল রিচার্জ, নগদের মাধ্যমে উইড্রো করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
Nagad Rewards:- এটা এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে ছোট ছোট কাজ করে, বিভিন্ন অফার সম্পন্ন করে রিওয়ার্ড পযেন্ট কালেক্ট করা যায়। এরপর নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট একাউন্টে জড়ো হলে মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানির মাধ্যমে উইড্রো করতে পারবেন।
CashZine:- এই অ্যাপসে নিউজ পড়া, কুইজ খেলা, অ্যাপস ডাউনলোড করা ইত্যাদি কাজ গুলো করে পয়েন্ট আর্ন করতে পারেন। যখন আপনার একাউন্টে ১০ হাজার পয়েন্ট জড়ো হবে তখন আপনি তা নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। ১০ হাজার পয়েন্ট সমান ১ ডলার হিসেব করা হয়।
ফ্রি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
যে সকল ওয়েবসাইটে কাজ শিখে, কাজ করে, কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন ঐ সকল ওয়েবসাইটের নাম হলোঃ-
- Google AdSense
- Fiverr
- Upwork
- Freelancer.com
- YouTube
সতর্কবার্তা - ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট
- যেকোন অ্যাপস এবং সাইট নিয়ে ইনকাম করার পূর্বে রেটিং পয়েন্ট, রিভিউ চেক করে নিবেন, আপনি যে মাধ্যমে কাজ করছেন তা কতটুকু বিশ্বস্ত তা যাচাইয়ের জন্য।
- যদি কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে বলে বিনিয়োগ করবেন না।
- আপনি ব্যাক্তিগত তথ্য চাইলে তা দিবেন না।
- প্লে-স্টোর ব্যাতীত অন্য কোন মাধ্যম থেকে অ্যাপস ইনস্টল করবেন না।
- অবশ্যই বিশ্বস্ততা যাচাই করে নিবেন। কোন প্রকার আর্থিক লোক-সানে/ ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়।
- মূলত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্য জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে। তাদের জানানোর জন্য মূলত আমরা আর্টিকেল লিখে থাকি।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত পোস্ট আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে পাবলিশ করে থাকি।
এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত ভিন্ন কোন টপিকস নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল। 02.11.25

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url