টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। বাংলাদেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বর্তমানে অনলাইন থেকে নানান ভাবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। এই আর্টিকেলে আমরা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে সবাই কোন না কোন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযুক্ত সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে, এই স্মার্টফোন দিয়ে ইনকাম করা এখন খুবই সহজ। চলুন তাহলে আর দেরি না করে তাকে ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
- ভূমিকা
- ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
- আর্টিকেল লিখে বা ব্লগিং করে আয়
- ইউটিউব থেকে আয়
- ফেসবুকের মাধ্যমে আয়
- ছবি বিক্রি করে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ইনকাম
- মোবাইলে অ্যাপস বানিয়ে ইনকাম
- অনলাইনে টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
- গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম
- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে প্রশ্নের উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
বর্তমানে স্মার্ট ফোন, পিসি, ইন্টারনেট ব্যবস্থা সহজলভ্য। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আধুনিক বিশ্ব অনেকটা এগিয়ে। বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য, অনলাইনে কেনাকাটা সবকিছু ঘরে বসে করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সুবিধা আধুনিক অর্থনীতির উপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করছে। আপনি যদি বেকার হয়ে ঘরে বসে থাকেন, তাহলে এ প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবেন।
আপনি এখন ঘরে বসে রিয়েল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ ইনকাম হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি বছর অনলাইনের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার রেমিটেন্স আসছে, এর পিছনে অন্যতম কারিগর হচ্ছে শিক্ষিত বেকার সমাজ যারা অনলাইনের মাধ্যমে এই টাকাও উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
এটা দেশের অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নিজেরাও অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে, অন্যদেরও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এতে লাখ লাখ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। আপনিও চাইলে এ অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন থেকে ইনকামের পূর্বে আপনাকে সহজ সহজ কাজগুলো বাছাই করতে হবে। যে সকল কাজ করে বাংলাদেশে বসে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়, ওই সমস্ত কাজ নিয়ে এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হল ফিনান্সিং। লক্ষ লক্ষ মানুষ এ ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গেলে বুঝা যায় ফ্রিল্যান্সিং কাজের কত চাহিদা। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকার তরুণেরা চাকরির পিছনে না ছুঁটে বাড়তি আয়ের আশায় ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে।
যেকোনো বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে উক্ত ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে দক্ষতা বিক্রি করে অনলাইন থেকে উপার্জন করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কেননা, এটি স্বাধীন এবং মুক্ত পেশা। দিনের যেকোনো সময় ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আরো পড়ুনঃ- ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ইউনিক আইডিয়া গুলো দেখুন
এখানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করানো হয়ে থাকে। এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চার্জ করা হয়। আপনি যত বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ জানবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এভাবে যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ইনকাম পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার উপর। ফ্রিল্যান্সিং এর মূল কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্টি অর্জন করা। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করার উপায় জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
অনেকে ফ্রিল্যান্সিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে। অনেক অভিজ্ঞ ফিন্যান্সারা ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে পার্টটাইম জব হিসেবে না নিয়ে, ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমনঃ- ডাটা এন্ট্রি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, টাইপিং জব, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান হ্যালো ছোট ছোট কাজ ( ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং ) করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ছোট ছোট কাজ শুরু করবেন, তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের বড় বড় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং তত বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। ফ্রিল্যান্সিং এ বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলোঃ- ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এ সকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সকল কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ নিরাপদ উপায়ে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলোঃ- Peopleperhour, Guru, Upwork, Freelancer, Fiverr ইত্যাদি। এ সকল মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা এ সকল মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে দক্ষ কোন আইটি সেন্টার থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং থেকে উপার্জিত অর্থ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে নেওয়া যায়। তবে আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সার হতে চাচ্ছেন এটা মাথায় রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং হতে ধৈর্যের পরীক্ষা। এখানে রাতারাতি কোন সফল হওয়া যায় না। যারা শেষ অব্দি লেগে থাকে তারাই কেবল সফল হয়।
সবাই কেন ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইঃ-
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। যে কেউ ( ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, গৃহিণী ) ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারে।
- ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে দিনের যেকোনো সময় এ কাজগুলো করা যায়।
- উক্ত ফ্রিল্যান্সিং কাজে দক্ষ হলেই ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনাী ইংলিশ সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকলেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অন্যদের থেকে সহজ হবে।
- সময়ের সীমাবদ্ধতা নেই। দিনের যেকোনো সময় এ ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো করা যায়।
আর্টিকেল লিখে বা ব্লগিং করে আয়
আর্টিকেল লিখে ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং জগতের সব থেকে সহজ কাজ। আপনি যে পোস্টটি পড়ছেন এটা একটি আর্টিকেল। নিজ মাতৃ ভাষায় আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। তবে ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখলে সেটার ব্রান্ড ভ্যালু রয়েছে। কেননা, ইংলিশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাষা। আপনার হাতে থাকা মোবাইল বা কম্পিউটারের দিয়ে টাইপিং করে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
হাতের টাইপিং করতে সময় বেশি খরচ হয়, এজন্য আপনি ভয়েস টাইপিং করতে পারেন মোবাইলের মাধ্যমে অথবা কম্পিউটারে। অনেকে বাংলা আর্টিকেল লিখে ২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। আপনি যত ভালো আর্টিকেল রাইটার হবেন এবং যত বেশি আর্টিকেল লিখবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। আর্টিকেল আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে অথবা নিজের ওয়েবসাইটে লিখতে পারেন। আর্টিকেল লিখার জন্য একটি ওয়েবসাইটের দরকার।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ গেম খেলে টাকা আয় app দেখে নিন
অনেকে মনে করে বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার সম্ভব নয়, এটা তাদের ভুল ধারণা। বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার পূর্বেঃ- আপনাকে সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে, সঠিক নিশ সিলেক্ট করতে হবে, SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি যদি নিজস্ব ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে ডোমেন, হোস্টিং, থিম ক্রয় করতে হবে। ব্লগার অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে একাউন্ট খুলে ডোমেন এবং হোস্টিং সেট আপ করতে হবে।
আমি যেহেতু ব্লগার ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি, আমি সর্বপ্রথম bloger.com এ অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এরপর ডোমেইন, হোস্টিং, থিম সেট আপ করে আর্টিকেল লিখছি। আপনার ওয়েবসাইটে যদি নিয়মিত ভালো পরিমাণে ভিজিটর আসে তাহলে অ্যাড নেটওয়ার্ক যেমন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করিয়ে নিয়ে আর্টিকেল লিখে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। ভিজিটর/ ট্রাফিক হচ্ছে ওয়েবসাইটের প্রাণ।
আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করা গেম পেমেন্ট বিকাশ বাংলাদেশ
আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি থেকে বেশি ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এভাবে যত বেশি ভিজিটর নিয়ে আসবেন অনলাইন থেকে তত বেশি ইনকাম হবে। তাছাড়া একটি ওয়েবসাইটে এড নেটওয়ার্ক ছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, স্পন্সরশীপ করে, ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়। এমনভাবে আর্টিকেল লিখবেন যেন পাঠকরা লম্বা সময় ধরে আপনার ওয়েবসাইটে অবস্থান করে। বিস্তারিত ডাটা বা তথ্য পেয়ে যেন পাঠকরা উপকৃত হয়।
ইউটিউব থেকে আয়
আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় ইউটিউবে ভিডিও দেখে কাটিয়ে দিই। ভিডিও দেখার অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। ইউটিউব শুধু ভিডিও দেখার জন্য নয়, এখানে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে ইনকাম করা যায়। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, নিউজ, অনলাইন টিউটোরিয়াল, ফানি ভিডিও ইত্যাদি।
বাংলাদেশে বসে অনেকে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে এই ইউটিউবিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। আপনি যদি ইউটিউব থেকে একবার ভালো পরিমাণে আরনিং করতে পারেন তাহলে এটা আপনার ক্যারিয়ারের নতুন মোড় ঘুরিয়ে দিবে। যারা ইউটিউবিং করে আয় করে তাদেরকে অন্য কোন পেশার দিকে ঝুঁকতে হয় না। ভবিষ্যতে এই ইউটিউব মার্কেটপ্লেস যে কত বড় হবে তা কল্পনারও বাহিরে।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি কুইজ খেলে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিন এখনই
কারণ, ইন্টারনেট যতদিন থাকবে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। ইউটিভি ভিডিও দেখবে এবং ভিডিও আপলোড করবে। অর্থ ইনকামের অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউবিং। একজন সফল ইউটিউবার প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমাদের প্রত্যেকেরই ইউটিউবে একটি একাউন্ট খোলা রয়েছে। যেটাকে ইউটিউব চ্যানেল বলা চলে।
সেখানে শুধু আমরা ভিডিও দেখি, কিন্তু যারা প্রযুক্তি সচেতন ব্যক্তি তারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করছে। আপনি যে বিষয়ের উপর পারদর্শী সে বিষয়ের উপর ইউটিউবে ভিডিও বানাতে পারবেন। বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ধরুন, আপনি যদি গণিতে দক্ষ হন তাহলে গণিতের বিভিন্ন শ্রেণীর অধ্যায় ভিত্তিক ভিডিও youtube আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
এজন্য আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খোলা না জানেন, তাহলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখে নিন। ইউটিউবে চ্যানেল খোলার পর আপনাকে ওই চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনি মোবাইল দিয়ে ভিডিও শুট করে, মোবাইলে থাকা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার টুল দিয়ে ভিডিও এডিট করে আপলোড করতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে যেগুলো দিয়ে এডিট করা যায়।
আরো পড়ুনঃ- লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে 2025 জেনে নিন
তাছাড়া ইউটিউবে অনেক ভিডিও এডিটিং টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেখানে টিউটোরিয়াল দেখে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে তখন আপনি google এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স হচ্ছে একটি জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে ইউটিউবে ওরা ইনকাম করে থাকে।
গুগল এডসেন্স ছাড়াও ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, স্পন্সরশীপের মাধ্যমে, নিজের ব্যবসায়ের পণ্যের প্রচার প্রচারণা মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। ইন্টারনেটের এই যুগে ইউটিউবিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে লাখ লাখ ডলার ইনকাম করা যায়। তাই, প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে আজই ইউটিউবিং শুরু করে আয় করুন।
ফেসবুকের মাধ্যমে আয়
ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। কোটি কোটি মানুষ এ ফেসবুকের সাথে জড়িত। আমরা অনেকে ফেসবুক কে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি, কিন্তু যারা প্রযুক্তি সচেতন ব্যক্তি তারা ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করছে এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা যায় এবং ফেসবুক থেকে ভালো ইনকাম হয়। অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে এই প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন।
ইউটিউবের মতো ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে হয়। ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের ছবি, রিলস ভিডিও, লিখিত আর্টিকেলে প্রচুর ভিউজ হয়। আপনি যে ধরনের ভিডিও বানাতে আগ্রহী যেমনঃ- খবর, বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, অনলাইন টিউটোরিয়াল, ফানি ভিডিও ইত্যাদি ফেসবুকে আপলোড করে হাজার হাজার ভিউজ নিয়ে আনতে পারেন। মোটামুটি ভালো পরিমাণে ভিউজ নিজ ফেসবুক পেজে নিয়ে আনতে পারলে অ্যাড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ- ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট
যত ভিউজ হবে তত বেশি ইনকাম হবে। তাছাড়া আপনার যদি নিজস্ব ব্যবসা থাকে এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি হবে তখন ইনফ্লুয়েঞ্জার হিসেবে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক থেকে উপার্জিত অর্থ সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। এজন্য অযথা ফেসবুকে সময় অপচয় না করে ফেসবুক কে ইনকামের মাধ্যমে বানানো শ্রেয়।
ছবি বিক্রি করে আয়
ছবি বিক্রি করে ইনকাম শুনতে অবাক লাগলেও এখন তা বাস্তব। আপনার নিজ হাতে তোলা ছবি বিক্রি করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা ছবি তুলে, তা বিক্রি করে ইনকাম করে। এজন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি একটু ভাল হতে হবে। যাতে ভালো ভালো ছবি তোলা যায়। বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলা যায় যেমনঃ- প্রাকৃতিক দৃশ্য, চিড়িয়াখানার দৃশ্য, মাছ ধরার দৃশ্য, আকাশে পাখি উড়ে যাচ্ছে তার দৃশ্য ইত্যাদি।
ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলোঃ- iStock, Gettyimages ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রথমে একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। ছবিগুলো যেন আকর্ষণীয় হয়, দর্শকরা যেন তা পছন্দ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দর্শকরা যখন ছবি ডাউনলোড করবে তখন আপনার ইনকাম হবে। আপনার ইনকামের একটি অংশ ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ কেটে নিবে। কেননা, তাদের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করার কারণে।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৪০+ বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট দেখে নিন
শুরুর দিকে ইনকাম কম হলেও ধীরে ধীরে এই ইনকাম বাড়বে। এজন্য আপনাকে নিয়মিত ছবি তুলতে হবে এবং তা ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে। এভাবে যত বেশি ছবি তুলে ওয়েবসাইট আপলোড করবেন এবং যত বেশি ছবি ডাউনলোড হবে তত বেশি ইনকাম হবে। এটি প্যাসিভ ইনকাম এর মত। এভাবে আপনি দৈনিক ১০০০ টাকার বেশিও ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়
মোবাইলে অ্যাপস বানিয়ে ইনকাম
অনলাইনে টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে প্রশ্নের উত্তর
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এই আর্টিকেলে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। উপরোক্ত যে সকল কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অনলাইন জগতে এ সকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যেকোনো একটি কাজ শিখলে আপনার ক্যারিয়ারের নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবেন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত ভিন্ন কোন আর্টিকেল এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হবে। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন। 03.10.25
আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url