দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ২৫+ উপায়
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। কেননা, এই আর্টিকেলে আমরা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পোস্টসূচীপত্রঃ-অনেকে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে অনলাইনে সার্চ করে। তাদের জন্য আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম
আপনি যদি দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে বলব আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন। এই ওয়েবসাইটে আমরা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার বিশ্বস্ত অনেকগুলো মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করেছি। যে মাধ্যমগুলো আপনি যথাযথভাবে অনুসরণ করে অনায়াসে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অর্থ উপার্জনের জন্য চাকরি অথবা ব্যবসাকে অনেকে জীবিকার প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে, ঘরে বসে ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে আপনি দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনলাইন থেকে ইনকাম করা খুব একটা সহজ অথবা কঠিন নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন।
অনলাইনের সব থেকে জনপ্রিয় করার জন্য ফিন্যান্সিং। আপনি শিক্ষার্থী, গৃহিণী, ব্যবসায়ী, অথবা চাকরিজীবী হোন না কেন,, আপনার হাতে যদি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন সঙ্গে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারবেন। কম্পিউটার/ল্যাপটপ থাকলে ভালো হয়।
অধিকাংশ শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের প্রতি বেশি আগ্রহী। কারণ, এটি একটি মুক্ত পেশা। নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে তেমন কোন বড় অংকের অ্যামাউন্ট বিনিয়োগ করতে হয় না। আপনার হাতে থাকা অবশ্যই সময়কে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন জগতে ইনকামের অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে যেমনঃ- গেম খেলে ইনকাম, রিয়েল টাকা ইনকাম App, এড দেখে ইনকাম, ফ্রি কুইজ খেলে ইনকাম, লুডু গেম খেলে ইনকাম, সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট, বাবুল গেম খেলে ইনকাম, ডিপোজিট ছাড়া গেম খেলে ইনকাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করার পূর্বে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, অধিকাংশ মানুষ অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। এজন্য বিশ্বস্ত উপায় নির্বাচন করা খুবই জরুরী। এই আর্টিকেলে আমরা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার বিশ্বস্ত উপায়গুলো আপনাদের জানাবো।
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকামের জন্য যা প্রয়োজন
আপনি যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার একটা ভালো স্মার্টফোন, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার সঙ্গে একটি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। পাশাপাশি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার চালানোর সাধারণ নিয়ম কানুন আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি উপার্জন করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট একটি কাজের সেক্টরে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।
যদি আপনি নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস বা ওয়েবসাইট থেকে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু যদি আপনি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের মতো ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে কোন একটি বিষের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এবং আপনাকে সঠিক কৌশল রপ্ত করতে হবে। মনে রাখবেন, রাতারাতি অনলাইন থেকে ইনকাম করে কোটিপতি হওয়া কখনোও সম্ভব না। অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সময়, শ্রম, লেগে থাকার মানসিকতা ইত্যাদি।
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করা আদৌ সম্ভব ?
জ্বি, অবশ্যই সম্ভব। যারা পর্যাপ্ত সময় দিয়েছে, দক্ষতা অর্জন করেছে, খারাপ সময়ও হাল ছাড়ে নি তারা অনায়সে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করছে। শুধু ৪০০ ৫০০ টাকা এটা তো অনেক কম বলা হলো, অনেকের ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে এটা বাস্তব সত্য। এজন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং লেগে থাকার মানসিকতা। অন্যথায় ফ্রিল্যান্সিং জগত থেকে ইনকাম করা একেবারে কঠিন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ- রিয়েল টাকা ইনকাম app & website ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
যারা স্কুল এবং কলেজে পড়াশোনা করছেন তারা জানেন পার্ট-টাইম জব পাওয়া কতটা কঠিন। তাই পার্ট-টাইম চাকরির পিছনের না ছুটে একটি সঠিক স্কিল শিখুন, যা সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে একটি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। যা পার্ট-টাইম জবের থেকেও অনেক কিছু।
যখন আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন, তখন আপনি নিজ হতে ফুলটাইম সময় দিতে বাধ্য হবেন। সুতরাং, ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমাদের উচিত অনলাইনে সেক্টরে কোন একটি বিষয় দক্ষতা অর্জন করা এবং আনলিমিটেড উপার্জন করা।
১) রেফার করে ইনকাম
অনেকগুলো অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অ্যাকাউন্ট খুললে একই রেফারেল লিংক বা কোড দেওয়া হয়। আপনি যদি উক্ত এপস এবং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেন তাহলে আপনি একটি রেফার লিংক বা কোড পাবেন। আপনার এই রেফারের লিংক বা কোড ব্যবহার করে কেউ যদি ওই অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। একে বলে রেফারেল বোনাস।
এভাবে রেফার করে আপনি দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এমন অ্যাপস বা ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে যেগুলোতে রেফার করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। যেমনঃ- আপনার বিকাশ একাউন্টের রেফার কোড দিয়ে কেউ বিকাশের নতুন একাউন্ট খুললে বিনিময়ে আপনি ৫০ টাকা বোনাস পাবেন। এটা মূলত রেফার করে ইনকাম করাকে বোঝায়।
আরো পড়ুনঃ- লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে 2025 জেনে নিন
তাছাড়া আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, অথবা একটি ওয়েবসাইট থাকে সেখানে রেফার কোড শেয়ার করবেন। কেউ যদি উক্ত রেফার কোড ব্যবহার করে ওই এপ্স অথবা ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিনিময়ে আপনি রেফারেল বোনাস পাবেন। তবে যাদের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগার ওয়েবসাইটে বেশি অডিয়েন্স রয়েছে তাদের রেফার করে ইনকাম করা খুবই সহজ। রেফার করে ইনকামের জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলোঃ- Swagbucks, bKash, InboxDollars, MyPoints
২) ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয়
আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে এবং সেখানে যদি প্রচুর Followers থাকে তাহলে সহজে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। তবে এজন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকতে হবে। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সহজে আপনি আপনার ব্যবসা Grow করতে পারবেন।
সহজে নিজের ব্যবসায়িক পন্যের প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে সেল বাড়াতে পারবেন। তাছাড়া আরেকটি সুবিধা হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি আপনার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অন্যের ব্যবসায়িক পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এখানে আপনি উক্ত পণ্য বা সেবার লিংক শেয়ার করবেন, ওই লিংকে কেউ ক্লিক করে যদি পণ্য বা সেবা ক্রয় করে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। তাছাড়া স্পন্সরশিপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে আপনি ভালো পরিমানে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
৩) ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
শুধু আর্টিকেল লিখে নয়, বরং আপনি আপনার ওয়েবসাইট বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি Wordpress অথবা Blogger এ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে, যার মূল্য মাত্র ২,০০০ টাকা। এরপর আপনাকে SEO Friendly থিম ছিল সেট-আপ করতে হবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে গুগল সার্চ কনসোল, গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করতে হবে।
এরপর আপনি আপনার ওয়েবসাইট নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে থাকবেন। আর্টিকেলগুলো যেন ভাল মানের হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ১০০ হবে, তখন গুগল এডসেন্সর জন্য আবেদন করবেন। যখন গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইট বিক্রি করে দিতে পারবেন। এভাবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় আপনি গুগল এডসেন্স যুক্ত ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন। যার দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার চেয়েও বেশি ইনকাম।
৪) অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
আমরা অনেকে ছবি তুলতে পছন্দ করি। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার তোলা ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ অথবা তার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এই ফটোগ্রাফির কাজ করার জন্য আপনার যে উন্নত মানের DSLR Camera থাকতে হবে এমনটা নয়, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্যে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে অনলাইন থেকে অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।
ছবি বিক্রি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলো হলোঃ- Sutterstock, Adobe Stock, Fotomoto, Pixabay, iStock ইত্যাদি। আপনার মোবাইল দিয়ে তোলা ছবিগুলো উক্ত ওয়েবসাইটের গুলোর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। যখন কেউ আপনার তোলা ছবিগুলো উক্ত ওয়েবসাইট গুলো থেকে ডাউনলোড করবে তখন নির্দিষ্ট চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
আপনার উপার্জিত অর্থের একটি অংশ ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ রেখে দিবে, বাকি অংশটুকু আপনাকে দিয়ে দিবে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে পারেন যেমনঃ- গ্রামের ছেলেরা একসাথে ফুটবল খেলছে, জেলেরা মাছ ধরছে, আকাশে পাখি উড়ছে, চিড়িয়াখানার দৃশ্য ইত্যাদি। ছবি তোলার সময় লক্ষ্য করবেন ছবির কোয়ালিটি যেন সুন্দর হয়। ছবির কোয়ালিটি যত সুন্দর হবে ততো ভালো দামে বিক্রি করতে সক্ষম হবেন।
৫) ব্লগিং করে আয়
অনলাইন জগতে সব থেকে সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ হল ব্লগিং। এখানে নিজের জানা বিষয়গুলোকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গোটা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা যায়। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ব্লগিং এর চাইতে সহজ কাজ আর হয় না। এই যে আপনি আর্টিকেল টি পড়ছেন এটাও একটি ব্লগিং। আমি নিজে একজন প্রফেশনাল ব্লগার। ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হবে।
যারা বড় ব্লগার তারা ব্লগিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছে। ব্লগিং করার জন্য আপনার প্রযোজন একটি ওয়েবসাইট। আপনি সেখানে বিভিন্ন টপিক্সের এর উপর ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লাইফ স্টাইল, অনলাইন ইনকাম ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিষয় গুলোর উপর আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে। যেগুলো আমরা ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং বলে থাকি।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৪০+ বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট দেখে নিন
আপনি Word press অথবা Blogger এ ব্লগিং করতে পারবেন। এরপর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে, গুগল সার্চ কনসোল সেট-আপ করতে হবে। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে দৈনিক একটি করে আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার জন্য। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমান ভিজিটরা আসবে তখন Google adsense এপ্রোভ করে নিয়ে ব্লগিং থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
গুগল এডসেন্স হল একটি অ্যাড নেটওয়ার্ক। যেখানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্লগার রা আয় করে থাকে। যখন ভিজিট ওটা আপনার ওয়েবসাইটে এসে বিজ্ঞাপন দেখবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে সেখান থেকে আপনার ইনকাম হবে। যত বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। এভাবে আপনি দৈনিক ব্লগিং থেকে ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি pro-blogger হন তাহলে মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
৬) গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মার্কেটপ্লেস যে কতটা বড় তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। অনলাইন জগতে সবথেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। সকলের একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যতে ব্যবসার পরিধি যত বাড়বে গ্রাফিক্সের চাহিদা তত বাড়বে।
দেশ এবং বিদেশে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া বড় বড় কোম্পানিগুলো ভালো বেতনে গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে।আপনি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমনঃ- ফাইবার, upwork ইত্যাদি থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন, যদি আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন।
৭) আর্টিকেল লিখে ইনকাম
আপনার যদি লেখা-লেখির অভ্যাস থাকে অথবা আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে অনায়াসে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। লেখালেখির দক্ষতা এটাও এক ধরনের দক্ষতা। এজন্য আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি ভালো মানের আর্টিকেল লেখা জানতে হবে। তাহলে আপনি সেখানে আর্টিকেল নিচে একটি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অনেক ব্লগার ওয়েবসাইটের মালিকেরা তাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার জন্য আর্টিকেল রাইটার সন্ধান করে থাকে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমনঃ- ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি এ মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আর্টিকেল রাইটার হিসেবে জব করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ- সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে আয় করুন আনলিমিটেড
বিভিন্ন টপিক্সের এর উপর আর্টিকেল লেখা যায় যেমনঃ- টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, খাদ্য, প্রোডাক্ট রিভিউ, স্পোর্টস ইত্যাদি। তবে আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করলে প্রতিটি ভালো মানের আর্টিকেল লেখার জন্য ৫ থেকে ১০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি নিজেও একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে সেখানে ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করে নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
৮) youtube চ্যানেলের মাধ্যমে আয়
ভিডিও দেখার জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হলে ইউটিউব। অনেকে মনে করে ইউটিউব শুধু ভিডিও দেখার জন্য, এটা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আজকাল অনেক বেকার যুবক ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করছে।
আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট নির্মাণ করতে পারবেন। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারেন যেমনঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, নিউজ, ফানি ভিডিও, ব্লগ ইত্যাদি। আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও নির্মাণ করার পূর্বে কোন কনটেন্ট এর উপর মানুষের চাহিদা বেশি তা আগে আন্দাজ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- ডিপোজিট ছাড়া গেম খেলে ইনকাম করুন এক ঝলকে
যে ধরনের ভিডিও দেখতে মানুষ বেশি পছন্দ করে, ওই ধরনের ভিডিও তৈরি করলে আপনি অল্প সময় দ্রুত সফলতা পাবেন। আপনার ভিডিও যেন মানুষ দেখতে পছন্দ করে, ভিডিওতে যেন ভিউজ বেশি হয়, সাবস্ক্রাইবার যেন বাড়ে সেভাবে আপনাকে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ করতে হবে।
যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হবে এবং ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘন্টা হবে তখন অ্যাড নেটওয়ার্ক যেমনঃ- গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মূলত ইউটিউব চ্যানেলের মালিকেরা গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করে থাকে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিউজ হবে এবং মানুষ যত বিজ্ঞাপন দেখবে তত বেশি ইনকাম হবে।
ইউটিউবে শর্ট ভিডিও আপলোড করলে দ্রুত সময়ের সফল হওয়া যায়। কারণ, মানুষ শর্ট ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে। তবে শুরুর দিকে আপনাকে অনেক সময় দেয়া লাগবে এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে পরিশ্রম করতে করতে আপনি একপর্যায়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
৯) সার্ভে করে ইনকাম
সার্ভে করার জন্য কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম হল যেমনঃ- Swagbucks, Timebucks, SurveyJunkie ইত্যাদি। আপনাকে প্রথমে এই ওয়েবসাইট গুলো রেজিস্টার করতে হবে। এরপর আপনাকে সার্ভে করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মতামত দেওয়া লাগবে। এই সার্ভের কাজ করে আপনি দৈনিক ২০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
যদি একাধিক ওয়েবসাইটে সার্ভের কাজ করেন তাহলে ইনকাম আরো বাড়বে। সার্ভে করার বিনিময়ে আপনার একাউন্টে point বা Coin জড়ো হবে। যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ point বা Coin আপনার একাউন্টে জড় হবে সেগুলো পরবর্তীতে আপনি ক্যাশ হিসেবে উত্তোলন করতে পারবেন। এভাবে আপনি সার্ভে করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
১০) অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয়
ইন্টারনেটে এ যুগে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় এটা একটি দারুণ সুযোগ। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ের উপর একটি অনলাইনে কোর্স তৈরি করে সে কোর্সগুলো বিক্রি করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন, আপনি অংক খুব ভালো জানেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংকে কতটা দুর্বল তা সবারই জানা। এজন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ শিক্ষকের।
আপনি যদি অংকে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অংকের উপর একটি অনলাইনে কোর্স তৈরি করুন। কোর্স তৈরি করা হলে অর্থের বিনিমেষে কোর্সগুলো অনলাইনে বিক্রি করুন। যারা পেমেন্ট করবে তাদের আপনি অ্যাক্সেস দিয়ে রাখবেন। এভাবে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
বর্তমানে অনেক শিক্ষকেরা অনলাইনে কোর্স বানিয়ে ভালো ইনকাম করছে। শুধু অংক নয়, যদি আপনি ইংরেজি, বিজ্ঞান, ড্রয়িংস এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেগুলোর অনলাইনে কোর্স ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার জ্ঞান অন্যদের নিকট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আপনি প্রাইভেট পড়িয়ে যে টাকা ইনকাম করবেন, অনলাইনে কোর্স ভিডিও বানিয়ে তার থেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। যে বিষয়টি জানতে মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে সার্চ করে, ওই বিষয়ের উপর কোর্স ভিডিও তৈরি করলে অল্প সময়ে দ্রুত সাফল্য পাওয়া যায়।
এজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় এবং শ্রম দেওয়া লাগবে। কোর্স ভিডিও তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে এবার বিক্রি করতে হবে। এজন্য কোর্সের প্রচার প্রচারণা করতে হবে। যে কোন কোর্সের প্রচার - প্রচারণার জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন youtube, twitter, instagram, Facebook etc.
যখন মানুষ আপনার কোর্স সম্পর্কে জানবে তখন মানুষ কোর্সগুলো কেনার জন্য আপনাকে নক দিবে। তখন আপনি তাদের নিকট কোর্সগুলো বিক্রি করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কোর্স বিক্রি করে আয় এটি অনলাইন থেকে ইনকামের একটি দুর্দান্ত কৌশল।
১১) ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
বর্তমানে চাকরির বাজার কতটা মন্দা তা আমাদের সকলেরই জানা। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে চাকরি পাওয়াটাও খুব মুশকিল। তাছাড়া চাকরির বাজারে ঘুষ বাণিজ্য তো আছেই। এরকম সংকটময় সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে জীবিকার অন্যতম মাধ্যম। আমাদের বাংলাদেশ অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেদের ভাগ্য বদলেছে। তাই আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন একটি স্কিল শেখাটা আপনার জন্য সর্বোত্তম।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এপ্স ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে প্রথমের দিকে আপনার ইনকাম শুরু হতে দেরি হতে পারে। কিন্তু যখন ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন তখন কাজ পাওয়াটা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
মার্কেটপ্লেস এবং মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেট যুগে এ কাজ করে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলঃ- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। এজন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং শিখায় এমন ইনস্টিটিউট থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন। তারপর মার্কেটপ্লেসে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করুন। ক্লায়েন্ট হান্ট করুন। মনে রাখবেন, সর্বদা ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি কে প্রাধান্য দিবেন। তাহলে অল্প সময়ে দ্রুত সাফল্যতা অর্জন করার সহজ হবে।
১২) ক্যাপচা তৈরি করে ইনকাম
অনলাইন জগতে অ্যাপ থেকে সহজ কাজ আর হতে পারে না। ক্যাপচা বলতে অগোছালো কিছু ইংরেজি অক্ষর ( a,g,h), ক্যারেক্টার (&, @, # ), নাম্বার ( 1,3,6 ) দেওয়া থাকবে। এবং একটি ফাঁকা বক্স থাকবে। ওই ফাঁকা বক্সে এলোমেলো ইংরেজি অক্ষর ক্যারেক্টার নাম্বার গুলো বসাতে হবে। যেগুলো ক্যাপচা নামে পরিচিত।
ক্যাপচার তৈরি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন। যে কেউ এই ক্যাপচার কাজগুলো করে ইনকাম করতে পারে। ক্যাপচার কাজগুলো করতে যে আপনাকে বিশেষভাবে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এমনটি নয়। ক্যাপচার কাজ করে ইনকাম করার কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলোঃ- Kolotibablo, ProTypers, 2Captcha ইত্যাদি। এই কাজগুলো করে আপনি অনায়াসে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারেন।
১৩) Translator এর কাজ করে আয়
বর্তমানে ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আগের সময় ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হত কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল কে কেন্দ্র করে। এখন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে গোটা বিশ্বব্যাপী। সব দেশের ভাষা এক রকম নয়। সব দেশের মানুষ ইংরেজি ভাষাতেও পারদর্শী নয়। তাছাড়া সব দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এক রকম নয়।
কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলকে টার্গেট করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে ওই অঞ্চলের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, চাহিদা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। এজন্য প্রয়োজন হয় একজন দক্ষ Translator এর।Translator হিসেবে আপনি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এগুলোতে কাজ করতে পারেন।
১৪) এপ্স তৈরি করে ইনকাম
মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা এটি একটি জনপ্রিয় কাজ। এই কাজের চাহিদা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। কারণ, অ্যাপসগুলো তৈরি করা হয় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। ভবিষ্যতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা আরো বাড়বে। যত বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়বে তত বেশি অ্যাপস তৈরি করার চাহিদা ও বাড়বে।
মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে সেখানে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ভালো পরিমাণে আর্নিংস করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কোডিং এর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাছাড়া, ইন্টারনেটে এমন কিছু অ্যাপস তৈরীর ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কোন প্রকার কোডিং এর দক্ষতা ছাড়াই অ্যাপস নির্মাণ করা যায়।
আপনাকে এমন অ্যাপস তৈরি করতে হবে যা মানুষের উপকারে আসে। মানুষ যদি অ্যাপস ডাউনলোড না করে বা মানুষ যদি ব্যবহার না করে তাহলে কিন্তু ইনকাম হবে না। আপনি যদি নিজে নিজে এপ্স তৈরি করতে না পারেন তাহলে একজন দক্ষ এপ্স ডেভেলপারের সাহায্য নিতে পারেন। তবে এখানে বিনিয়োগ করতে হবে।
অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করুন এবং নতুন নতুন আইডিয়া অনুসন্ধান করুন। এপ্স তৈরি করার পর এড নেটওয়ার্ক যেমন এডমব সেটাপ করতে হবে। এরপর গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করতে হবে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপনার তৈরি করতে অ্যাপস সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা চালাবেন। যাতে মানুষ আপনার অ্যাপ সম্পর্কে জানে এবং ডাউনলোড করতে উৎসাহিত হয়। যখন মানুষ আপনার অ্যাপস ডাউনলোড করবে এবং বিজ্ঞাপন দেখবে তখন আপনার অ্যাকাউন্টের ডলার জমা হবে।
১৫) গেমিং ভিডিও তৈরি করে ইনকাম
অনেকে রয়েছে যারা গেম খেলতে খুবই পছন্দ করে। তারা গেম খেলে পুরো সময় কাটিয়ে দেয়। যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন বা যাদের গেমিং নলেজ খুব ভালো তারা গেমিং ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনি মোবাইলে গেম খেলবেন তখন স্কিন রেকর্ডার অন রাখবেন।
এরপর গেমিং ভিডিও রেকর্ড করা হয়ে গেলে, এডিটর সফটওয়্যার ইন্সটল করে নিবেন। যাতে করে গেমিং ভিডিও গুলো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। এরপর তা আপনি আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসবে তখন গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করি নিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। তাছাড়া, গেম খেলে টাকা আয় App, কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে, টাকা ইনকাম করার গেম পেমেন্ট বিকাশ বাংলাদেশ নিয়ে আমি আর্টিকেল লিখেছি। আপনারা পড়ে আসতে পারেন।
১৬) ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম
আমরা সকলে কম বেশি মোবাইলে টাইপিং অথবা কম্পিউটারের টাইপিং করে থাকি। আপনি যদি এতোটুকু কাজ করতে পারেন তাহলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা আপনার জন্য খুবই সহজ হবে। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে যে ভারী ডিভাইসের প্রয়োজন এমনটা নয়। আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে খুব সহজে ইনকাম করা যায়।
ডাটা এন্ট্রির মধ্যে যে সকল কাজ রয়েছে যেমনঃ- ওয়ার্ড টু এক্সেল, ডাটা কালেক্ট, ডাটা মাইনিং, কপি পেস্ট ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজে খুব ভালো পারদর্শী হন তাহলে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক বাংলাদেশী ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।
১৭) এড দেখে ইনকাম
ইন্টারনেটের যুগে আমরা সকলে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে চাই। তার মধ্যে একটি সহজ এবং জনপ্রিয় কাজ হলো অ্যাড দেখে ইনকাম। অ্যাড দেখে ইনকাম করতে বিশেষ কোনো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। আমি অন্য একটি আর্টিকেলে অ্যাড দেখে ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা উক্ত লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন।
১৮) ভিডিও দেখে ইনকাম
এটি হুবহু অ্যাড দেখে ইনকাম করার মত। আজকাল ভিডিও দেখেও ঘরে বসে অবসর সময় কি কাজে লাগে ইনকাম করা যায়। অনেকে ভিডিও দেখে মোটামুটি ভালো পরিমাণে ইনকাম করছে। অন্য একটি আর্টিকেলে আমি ভিডিও দেখে ইনকাম সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। উক্ত লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন।
১৯) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জব করে ইনকাম
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর জব করে খুব সহজে ইনকাম করা যায়। যে সকল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করে ইনকাম করা যায় তা হলঃ- আর্টিকেল রাইটিং, কপি-পেস্ট জব, সার্ভার ম্যানেজমেন্ট, youtube ভিডিওর জন্য ডেসক্রিপশন, থাম্বনেইল তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমনঃ- ফাইবার, upwork, freelancer.com ইত্যাদি সাইট গুলোতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর জবগুলো করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ অথবা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২০) ড্রপ শিপিং করে ইনকাম
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার একটি অভিনব কৌশল। ড্রপ শিপিং করতে নিজের কাছে পন্য থাকতে হবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। এজন্য আপনার একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকতে হবে। যেখানে পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া থাকবে। এরপর ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলোতে মার্কেটিং করতে হবে।
যখন কেউ প্রোডাক্টের জন্য আপনার কাছে অর্ডার করবে, তখন অন্য কোন ই কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে কাস্টমারদের নিকট পৌঁছে দিবেন। এই কাজ করতে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। আপনি ঘরে বসে অনলাইনে এ কাজ করতে পারবেন। যারা অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য ড্রপ শিপিং সেরা বিজনেস হতে পারে।
২১) ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম
ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলতে ওই সকল ওয়েবসাইটকে বুঝায় যার সাহায্যে আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করা হয়। গোটা বিশ্বব্যাপী অনলাইনে পণ্য কেনা বেচার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলোঃ- অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট ইত্যাদি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই কমার্স ওয়েবসাইট হলোঃ- দারাজ। ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়েব ডেভলপার হওয়া জরুরী নয়। Wix, Shopify, Sqarespace ইত্যাদির মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি বিভিন্নভাবে এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ-
ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়ঃ- ওয়েবসাইট বিক্রি করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল Flippa.com.
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসঃ- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসঃ- ফাইবার, upwork, freelancer.com. এখানে আপনি ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
নিজস্ব পণ্য বিক্রি করেঃ- আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে নিজেই পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন, একজন ব্যবসায়ীর মত।
২২) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
ইন্টারনেটের এ যুগে প্যাসিভ ইনকামের সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে এখানে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির পন্য বা সার্ভিসের প্রোমোশন চালানো হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যে নিজস্ব পণ্য বা সার্ভিস থাকতে হবে এমনটা নয়। আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সার্ভিসের প্রোমোশন চালিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব অথবা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। সেখানে উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস এর লিংক শেয়ার করবেন। ওই লিংকে ক্লিক করে কেউ উক্ত ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সার্ভিস কিনলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন যা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামে পরিচিত।
অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস এর প্রচার প্রচারণা চালিয়ে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করিয়ে দেয়া। এজন্য আপনাকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। যদি আপনার ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর আসে তাহলে আপনি এফিলেট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন
২৩) Apps থেকে ইনকাম
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় অ্যাপস হলোঃ- Clip Claps, serf bux, Swagbucks ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলো থেকে টাকা ইনকাম করা খুবই সোজা। যে কেউ এই অ্যাপস গুলো থেকে ইনকাম করতে পারে। আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে অনলাইনে সার্চ করলে এই ওয়েবসাইট গুলো পেয়ে যাবেন।
এরপর আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এখান থেকে ছোট ছোট কাজগুলো করে যেমনঃ- সার্ভে করে, অ্যাড দেখে, ভিডিও দেখে, রেফার করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। আপনার একাউন্টে যখন ১০ ডলার জবা হবে তখন আপনি উত্তোলন করতে পারবেন।
এজন্য আন্তর্জাতিক মধ্যস্থকারী পেমেন্ট সিস্টেম Paytm, payoneer এর প্রয়োজন হতে পারে। তবে কাজ করার পূর্বে পেমেন্ট মেথড ভালো করে দেখে নিবেন। এরপর আপনি আপনার উপর যত অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। সেখান থেকে নগদ, বিকাশ বা রকেটে পেমেন্ট নেওয়া যায়।
২৪) কুইজ খেলে ইনকাম
আজকাল কুইজ খেলে ইনকাম করা যায় এমন অনেক জনপ্রিয় অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে কুইজ খেলে খুব সহজে ইনকাম করা যায়। আপনারা যারা কুইজ খেলতে পছন্দ করেন, তারা খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। আমি অন্য একটি আর্টিকেলে ফ্রি কুইজ খেলে ইনকাম, কুইজ খেলে ইনকাম করার App & website সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।উক্ত লিংকে ক্লিক করে জেনে নিন ।
২৫) টি শার্ট ডিজাইন করে আয়
টি শার্ট ডিজাইন করে আয় করা খুবই সহজ। এখানে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া লাগবে না। তাছাড়া কোন অ্যাপের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি ফাঁকা টি-শার্ট নিয়ে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে কালার, লোগো বসিয়ে টি শার্ট ডিজাইন করতে পারেন।
এই টি শার্ট ডিজাইন করে আপনি দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এটা অনলাইন অথবা অফলাইনে ডিজাইন করার টি-শার্ট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। টি শাট ডিজাইন করার জনপ্রিয় কয়েকটি ওয়েবসাইট হলোঃ- Printful, Spreadshirt, Threadless ইত্যাদি।
এই ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করে আপনি start selling অপশনে ক্লিক করবেন। এরপর আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে নিজের ডিজাইন করার শার্ট বিক্রি করবেন নাকি তাদের ডিজাইন করার শার্ট বিক্রি করবেন মার্কেট প্লেসে তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । এরপর আপনি টি-শার্টের লেখা দিয়ে অথবা লোগো ডিজাইন করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। যত বেশি সেল হবে আপনার তত বেশি ইনকাম হবে।
২৬) অফলাইনে যে সকল কাজ করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম
আমরা এতক্ষন অনলাইনে যে সকল কাজ করে দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায় সে সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন অফলাইনে দৈনিক 400 500 টাকা ইনকাম করা যায় এমন কতগুলো বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, যা আপনাদের উপকারে আসবেঃ-
- বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ব্যবসা
- স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- অস্থায়ী টি স্টল
- কলম চারার নার্সারি
- ফুলের নার্সারি
- ডিম বিক্রির ব্যবসা
- কোন কারিগরি কাজ জানা থাকলে যেমনঃ এসি মেরামত, সেলাই, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি।
- ছোট খাটো কাপড়ের দোকান ( গামছা, লুঙ্গি, গেঞ্জি, রুমাল ) ইত্যাদি।
- কোন কিছু ডেলিভারী দেয়া ( খাদ্য, ঔষধ, পন্য )
- স্টেশনারী বা মনিহারি দোকান ( খাতা, কলম, পেনসিল )
দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার সহজ মাধ্যম
আপনি যদি অল্প সময়ে ভালো পরিমাণ ইনকাম শুরু করে দিতে চান তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য সেরা হতে পারে। ব্লগিং এর চাইতে সহজ কাজ আর হতে পারে না। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে না পারেন তাহলে সিলেন্স নিয়ে অন্য কোন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন না। কারণ, ব্লগিং এর চাইতে ওই কাজগুলো আরো বেশি কঠিন।
ব্লগিং করতে আপনার শুধু ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হয়। যার মূল্য মাত্র ২ হাজার টাকা। এরপর আপনি আপনার একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেখানে নিয়মিত ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারেন। যেকোনো বয়সের মানুষ এই ব্লগিং করতে পারে।
আপনি যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটাও একটি ব্লগিং। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো পরিমাণে ভিজিটর আসে তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং রেফার করে ইনকামের সুযোগ তৈরি হবে। তাছাড়া গুগল এডসেন্সের অ্যাড নেটওয়ার্ক চালু করে আপনি ব্লগিং থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং, আমার ভাষ্যমতে ব্লগিং আপনার জন্য সেরা হবে।
লেখকের মন্তব্য - দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম
এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের অনলাইন এবং অফলাইন ইনকাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে সকল ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমরা এই পোস্টে উপস্থাপন করেছি তার সবগুলো কার্যকরী।
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্ট পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এরকম ইনকাম সম্পর্কিত পোস্ট আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আলোচনা হবে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত অন্য কোন আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 27.10.25 ( abid )

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url