ফ্রি টাকা ইনকাম apps ২০+ ২০২৫ সালের জন্য দেখে নিন
ফ্রি টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে থাকে। ফ্রি টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে জানতে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
পোস্টসূচীপত্রঃ-কেননা, এই আর্টিকেলে ফ্রি টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে A to Z বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই, আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রি টাকা ইনকাম apps
ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা সকলে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের জন্য অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে। কিছু কিছু অ্যাপস রয়েছে, যেখানে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। আবার কিছু কিছু অ্যাপস রয়েছে, যেখানে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রি টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে আমরা সকলে জানতে চাই। এই অ্যাপস গুলো চালাতে সাধারণত মানের স্মার্ট-ফোন হলেই যথেষ্ট। অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের অনেক গুলো রিয়েল অ্যাপস রয়েছে।
উক্ত অ্যাপস গুলোতে আপনি ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- এড দেখে, ভিডিও দেখে, গেম খেলে, রেফার করে,সার্ভে করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। সুতারাং, এই কাজ গুলো করতে বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই। এই কাজ গুলো আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। এজন্য সঠিক বিশ্বস্ত অ্যাপস অথবা সাইট নির্বাচন করা দরকার। যেগুলো ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট করে থাকে। বিশ্বস্ত অ্যাপস অথবা সাইট নির্বাচনের পূর্বে রেটিং পয়েন্ট, প্রোডাক্ট রিভিউ, কমেন্টস গুলো চেক করে নিবেন।
১) FanFare app
আপনি এই অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না, কিন্তু রি-ওয়ার্ড জিততে পারেন ঘরে বসে। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন, এরপর জিমেইল দিয়ে সাইন আপ করে নিবেন। একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে নিচের দিকে ক্যামেরা আইকন দেখতে পারবেন, সেখানে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার সামনে থাকা বিভিন্ন প্রোডাক্টের যেমনঃ- বই, খাতা, কলম, জামাকাপড় ইত্যাদি সহ আরো অন্যান্য প্রোডাক্টের কোম্পানির নাম সহ ভিডিও তৈরি করুন। এবং লক্ষ্য রাখবেন ভিডিওগুলো যেন সুন্দর হয়। বেশি বেশি সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। এরপর FanFare কতৃপক্ষ আপনার ভিডিও রিভিউ করে এপ্রুভ করবে বিনিময়ে আপনি কিছু পয়েন্ট পাবেন।
এরপর এই সকল পয়েন্ট দিয়ে আপনি FanFare থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস যেমনঃ- ঘড়ি, চশমা, প্রসাধনী দ্রব্য সহ আরো অন্যান্য জিনিস অর্ডার করতে পারবেন। FanFare কতৃপক্ষ সরাসরি হোম ডেলিভারির মাধ্যমে আপনার বাসায় পৌঁছে দিবে। পন্য ক্রয়ের জন্য এটি একটি বিশ্বস্ত অ্যাপ।
২) Facebook
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করে না অথবা নাম শুনে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্তমানে ফেসবুক টাকা ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অনেকে শুধু মনে করে ফেসবুক হচ্ছে বিনোদনের জন্য যেমনঃ- লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদি.। আপনি ফেসবুক থেকে বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- বিজনেস পেজ খুলে, কনটেন্ট মনিটাইজেশনের মাধ্যমে, অ্যাফিলিয়ের মার্কেটিং করে, স্পন্সরশিপ এর কাজ করে ইত্যাদি।
কনটেন্ট মনিটাইজেশনের মাধ্যমেঃ- ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করবেন সেটা হতে পারেঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, স্পোর্টস, পার্সোনাল ব্লগ ইত্যাদি। যে ভিডিওগুলো মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে আপনি ঐ সকল ভিডিও গুলো তৈরি করার চেষ্টা করবেন। দৈনিক ১/২ ভিডিও আপলোড করবেন। আপনার ফেসবুকে যত বেশি ভিউজ হবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। যখন ভিউজ বাড়বে তখন অ্যাড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে আপনি ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। ফেসবুক থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন।
বিজনেস পেজ খুলে ইনকামঃ- বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রচার-প্রসারের জন্য ফেসবুক হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম। ধরুন, আপনার একটি পাখির খামার/ নার্সারি /অন্য বিজনেস রয়েছে। এখন আপনি একটি সুন্দর নাম বাছাই করে ওই নামে একটি পেজ খুলবেন ফেসবুকে। এবং আপনার ব্যবসায়ের নিত্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রতিনিয়ত ফেসবুক পেজে আপলোড করবেন। আপনার ফেসবুক পেজ যত গ্রো করবে, তত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে। কাস্টমাররা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য নিজ হতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন।
আরো পড়ুনঃ- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ- এর জন্য নিজের ফেসবুক পেজে ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করাটা আপনার জন্য সহজ হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলোঃ- অর্থের বিনিময়ে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়াকে বুঝায়। যেমন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই কমার্স প্রতিষ্ঠান হল দারাজ। আপনি দারাজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজের বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক আপনি আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করবেন। উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ দারাজের প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। এটাকে বলা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
স্পন্সারশীপ এর কাজ করেঃ- বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার-প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখদের অর্থের বিনিময়ে হায়ার করে থাকে। তবে এর জন্য আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত অর্জন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি যত পরিচিত অর্জন করবেন স্পনসর শীপের কাজ পাওয়া আপনার জন্য তত বেশি সহজ হবে। এবং এই কাজের জন্য আপনি ইচ্ছামত আর্থিক ডিমান্ড করতে পারবেন।
৩) Freecash: Earn money & Rewards
আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়ে সহজে আপনি এই অ্যাপস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে সাইন ইন করে নিন। সাইন ইন করলে নগদ বোনাস পাবেন। এই অ্যাপসে একাউন্ট খোলার পর ড্যাশবোর্ডে আপনি বিভিন্ন ধরনের গেমস দেখতে পারবেন। যেখানে আপনি গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া, গেমস খেলার পাশাপাশি অ্যাড দেখে, রেফার করে, সাইন ইন বোনাসের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার একাউন্টে ২ ডলার জড়ো হলেই paypal, বিটকয়েন অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
৪) Telegram app
এটি একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে ফেসবুক অথবা ইউটিউব এর মত ভিডিও আপলোড করা যায় না, তবে এখানে গ্রুপ খুলে সেই গ্রুপে মানুষ এড করতে হবে। মূলত এটি একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল যা গ্রুপের মতো কাজ করে। প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে Telegram app টি ডাউনলোড করে, প্রয়োজনীয় ডাটা বা তথ্য সাবমিট করে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। এরপর একটি গ্রুপ খুলবেন। সেখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইউটিউব অথবা ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদি সমস্ত এ ধরনের কাজ করে আয় করা যায়। মূলত আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যত বেশি মানুষ যুক্ত হবে তত বেশি ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সহজ হবে।
৫) TikTok app
TikTok app এর নাম শুনে নি অথবা দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা শুধু বিনোদনের জন্য এই tiktok অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান সময়ে এই প্ল্যাটফর্ম থেকেও বাড়তি টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে এই অ্যাপস টি ডাউনলোড করে জিমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
ফেসবুকের মত এখানে ছোট ছোট ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে হয়। শর্ট ভিডিও তৈরি বা দেখার জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হল TikTok. মানুষ সাধারণত লম্বা ভিডিও দেখতে পছন্দ করে না, এজন্য tiktok কোম্পানি শর্ট ভিডিও তৈরির জন্য এই এপ্স তৈরি করেছে। মূলত শর্ট ভিডিওর জন্য একটি বেস্ট প্লাটফর্ম হল TikTok.
আরো পড়ুনঃ- দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ২৫+ উপায়
যখন আপনার tiktok ভিডিও গুলো দর্শকেরা পছন্দ করবে এবং ভিউজ বেশি হবে তখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিজের TikTok চ্যানেলে এড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে বাড়তি টাকা উপার্জন যায়। তাছাড়া, যখন আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করবেন তখন কোম্পানির ব্রান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ এমন ব্যক্তিরা অর্থের বিনিময়ে সাধারণত কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করে।
৬) Daily Taka অ্যাপস
ফ্রি টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় অ্যাপস এটি। প্রথমে এই অ্যাপসটি ইনস্টল করে একাউন্ট খুলে VPN চালু করে Country USA সিলেক্ট করতে হবে। এই অ্যাপসে কুইজ খেলে, স্পিন করে, স্ক্রাচ করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার একাউন্টে ১০০ টাকা জড়ো হবে তখন Paytm, Paypal এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
৭) YouTube app
আমাদের সকলেরই YouTube চ্যানেল রয়েছে। তবে সেটি হচ্ছে শুধুমাত্র ভিডিও দেখার জন্য। ভিডিও তৈরি করে আয় করার জন্য নয়। আপনি কি জানেন ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেও ইনকাম করা যায় ? হ্যাঁ, সঠিক শুনেছেন। আজকাল ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে বাড়তি উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
যারা প্রফেশনাল ইউটিউবার তারা youtube থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যাবসায়। ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় এবং সেরা বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন যেমনঃ- শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, নিউজ, অথবা ব্যাক্তিগত ব্লগ ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )
যখন আপনার ইউটিউবে ভিউজ বেশি হবে তখন আপনি এড নেটওয়ার্কের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জনপ্রিয় অ্যাড নেটওয়ার্ক হলো গুগল এডসেন্স। তবে ইউটিউবে গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য শর্ত হলোঃ- ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘন্টা হতে হবে। ইউটিউবে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে নিয়ে এখান থেকে আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ইউটিউবে যত বেশি ভিউজ হবে তত বেশি ইনকাম হবে। আপনি এড নেটওয়ার্ক চালুর পাশাপাশি নিজের ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা করে, অন্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এফিলেট মার্কেটিং করে, কোন কিছু রেফার করে, একজন ব্রান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সুতরাং, বর্তমানে এ সকল সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি নিজে চাইলেও এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।
৮) Shutterstock App
অনেকে রয়েছে যারা ছবি তুলতে পছন্দ করে অথবা ছবি তোলা যাদের শখ তারা এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে বাড়তি টাকা উপার্জন করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার পছন্দমত ছবি তুলে Shutterstock App এর মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সুতরাং, আপনারা যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন তারা এই অ্যাপসের মাধ্যমে তা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এই কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনার ছবি যত বেশি ডাউনলোড হবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করুন, এরপর জিমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন, ঠিকমতো নিজের প্রোফাইল সেটআপ করুন। এই ছবি তোলার কাজটি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারবেন। এমন ভাবে ছবিগুলো তুলুন ছবিগুলো যেন দেখতে ভাল হয় এবং মানুষ যেন তা ডাউনলোড করতে ইচ্ছুক হয়।
আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
এরপর উক্ত তোলা ছবিগুলো Shutterstock এই সাইটে আপলোড করুন। বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতে পারেন যেমনঃ- প্রাকৃতিক দৃশ্য, সুন্দরবনের বাঘের দৃশ্য, মাছ ধরার দৃশ্য, অর্থাৎ এমন সব ছবিগুলো তুলুন যা মানুষকে আকৃষ্ট করবে। যখনই মানুষ আপনার ছবিগুলো ডাউনলোড করবে তখনই আপনার ইনকাম হবে। আর আপনার ইনকামের একটি অংশ Shutterstock কর্তৃপক্ষ রেখে দিবে এবং বাকি অংশটুকু আপনাকে দিয়ে দিবে। অনায়েসে আপনি ফ্রিতে এই কাজগুলো করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৯) Make Money: Play & Earn Cash
১০ মিলিয়নের বেশি বার এই অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড হয়েছে। কাজেই, বুঝতে পারছেন এই অ্যাপসটি কতটা জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। ফ্রী তে টাকা ইনকামের জন্য এই অ্যাপসটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিজের নাম, জিমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে ছোট ছোট টাক্স সম্পূর্ণ করে আপনাকে আয় করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে গেম খেলে, রেফার করে, সার্ভে করে ইত্যাদি সহ আরো অন্যান্য ছোট ছোট টাক্স সম্পন্ন করে আপনাকে ইনকাম করতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে জড়ো হলে, Paypal এর মাধ্যমে উত্তলোণ করতে পারবেন।
১০) MathChamp – Games & Rewards
সহজ সহজ অংক করে ফ্রিতে টাকা ইনকামের একটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো এটি। এখান থেকে টাকা ইনকামের জন্য যে গণিতে এক্সপার্ট হতে হবে এমনটা নয়। সাধারণ লেভেলের বেসিক গণিত ( যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ) জানলে হবে। এখানে আপনি গণিতের সমাধান করে পয়েন্টস কালেক্ট করতে পারবেন। যখন আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জড়ো হবে তখন সেটি আপনি ডলারে রুপান্তর করে পেপাল এর মাধ্যমে উইড্রো করে নিতে পারবেন। অংক করার পাশাপাশি উক্ত অ্যাপসটি রেফার করেও বাড়তি ইনকাম করা যাবে। তবে বলে রাখা ভাল, এই অ্যাপস গুলো থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় না।
১১) Love Taka
এটিও একটি টাকা ইনকামের অ্যাপস। বহু জনপ্রিয় একটি অ্যাপস ইহা। যা ১ লক্ষেরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। এই অ্যাপস থেকে আপনি অংক করার পাশাপাশি ভিডিও দেখে, এড দেখে, স্পিন করে নানান উপায় ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপস গুলোতে কাজ করার পূর্বে VPN চালু করে নিবেন। এই সকল কাজ করার বিনিময়ে আপনার একাউন্টে পয়েন্টস দেয়া হবে। যখন আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্টস জড়ো হবে তখন বিকাশ, নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পাারবেন।
১২) Quizys: Play Quiz & Earn Cash
নাম শুনে বুঝতে পারছেন এটা একটি কুইজ খেলার এপস। যেখানে আপনি গণিত, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করতে পারেন ফ্রিতে। বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে এই অ্যাপস থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইহা বহু জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। এখান থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি পেপাল অথবা বিকাশের মাধ্যমে উইড্রো করতে পারবেন।
১৩) Microjob paltfrom
ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার জন্য অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। সেগুলো হলোঃ- আর্টিকেল লেখা, ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইবার, পেজ ফলো এই সকল কাজ গুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ বিকাশ, নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। জনপ্রিয় Microjob paltfrom হলোঃ- workupplace.com, workupjob.com.
১৪) ClipClaps Apps
ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম হলো ClipClaps Apps. এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি ফ্রিতে কাজ করতে পারবেন। এই কাজ করে আপনি ফ্রি তে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে নিবেন এরপর জিমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন। সেখানে আপনি প্রতিদিনের ছোট ছোট টাস্ক সম্পূর্ণ করে, রেফার করে, কুইজ খেলে, স্পিন করে, আর্টিকেল পড়ে ইত্যাদি এই সমস্ত ছোট ছোট কাজ করে দৈনিক ২০০ - ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। সুতারাং, ফ্রি টাকা ইনকামের জন্য এই অ্যাপসটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে।
১৫) Paidwork: Make Money
রিয়েল টাকা ইনকামের একটি জনপ্রিয় অ্যাপস। যেখানে আপনি কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া কাজ করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইনস্টল করে নিবেন এরপর ভিডিও দেখে, সার্ভে করে, ছোট ছোট মাইক্রো টাক্স সম্পূর্ণ করে আয় করা যাবে। যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন ব্যাংক অথবা পেপালের মাধ্যমে উইড্রো করে নিতে পারবেন। ১০ মিলিয়নের বেশি বার অ্যাপসটি ডাউনলোড হয়েছে ইন্টারনেট থেকে, সুতরাং এই অ্যাপসটি কতটুকু কার্যকরী তা বুঝতেই পারছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে থাকে।
১৬) Pawns app
এই অ্যাপসে কাজ করার পূর্বে প্রথম গুগল প্লে-স্টোর থেকে Pawns app টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। এরপর রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জিমেইল, পাসওয়ার্ড নাম্বার দিন। এরপর আপনার একাউন্টটি ভেরিফিকেশন করার জন্য উক্ত জিমেইল একাউন্টে একটি মেসেজ আসবে। উক্ত লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। এরপর ড্যাশবোর্ডে গিয়ে আপনি এখান থেকে সার্ভে করে, রেফার করে ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন Withdraw অপশনে ক্লিক করে পেপাল, বিটকয়েন, গিফট কার্ড এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। ২৪ - ৭২ ঘন্টার মধ্যে পেমেন্ট আপনার একাউন্টে চলে আসবে।
১৭) Toloka app
গুগল প্লে-স্টোর থেকে Toloka app টি ইনস্টল করার পর জিমেইল, ফেসবুক, লিংকডিন এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। যেই মাধ্যমে আপনি ইন্সটল করবেন ওই মাধ্যমে একটি লিংক পাঠানো হবে ভেরিফিকেশনের জন্য উক্ত লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে অথবা ফোন নাম্বার দিলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাতে পারে, ওই কোডটি সাবমিট করলে Toloka app টি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। এরপর এই অ্যাপসে ডেটা লেবেলিং করে, Text Categorization করে ইনকাম করা যায়। যখন কাজ করতে করতে আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন পেপাল, পেওনিয়ার মাধ্যমে নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে উইড্রো করতে পারবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ ৩ দিনের মধ্যে আপনার একাউন্টে জড়ো হয়ে যাবে।
১৮) TimeBucks app
ইহা SwagBucks app এর মতো। ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি অ্যাপস ইহা। এই অ্যাপস গুলো মূলত সার্ভে করার জন্য বিখ্যাত। সার্ভে করার পাশাপাশি রেফার করে, কুইজ খুলে অতিরিক্ত ইনকাম করা যায়। যখন আপনার একাউন্টে ১০ ডলার জড়ো হবে তখন Payoneer, LiteCoin ইত্যাদির মাধ্যমে পেমেন্ট উইড্রো করতে পারবেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে আপনার একাউন্টে পেমেন্ট চলে আসবে।
১৯) ySense app
এই অ্যাপসে কাজ করার জন্য প্রথমে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। যে জিমেইল দিয়ে আপনি একাউন্ট খুলেছেন উক্ত জিমেইলে ভেরিফাইড লিংক আসবে উক্ত লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাইড হবে অথবা যদি ফোন নাম্বার ব্যবহার করে তাহলে একটি কোড উক্ত কোড সাবমিট করলে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাইড হয়ে যাবে। এরপর উক্ত অ্যাপসটি রেফার করে, সার্ভে করে, ভিডিও দেখে ইনকাম করতে হবে। একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হলে পেপাল, গিফট কার্ড, স্ক্রিল এর মাধ্যমে উইড্রো করে নিতে পারবেন।
২০) Swagbucks অ্যাপস
ফ্রি টাকা ইনকাম করার একটি বিশ্বস্ত অ্যাপস এটি। এখানে কোন প্রকার বিনিয়োগ করতে হয় না। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করছে। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ইন্সটল করে প্রয়োজনীয় বিস্তারিত তথ্য সাবমিট করে অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিবেন। এর পর ড্যাশবোর্ড থেকে ছোট ছোট কাজ যেমনঃ- স্পিন করে, সার্ভে করে, কুইজ খেলে, এড দেখে, ভিডিও দেখে ইত্যাদি এই সকল কাজ করে আপনাকে পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- রিয়েল টাকা ইনকাম app & website ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
যখন আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জড়ো হবে তখন তা ডলারে কনভার্ট করে নগদ টাকায় ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনি সরাসরি টাকা নগদ, বিকাশ, রকেটে ট্রান্সফার করতে পারবেন না। যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন Paypal এর মাধ্যমে উইড্রো করে নগদ টাকায় ট্রান্সফার করতে পারবেন।
২১) Work Up Job app
প্লে-স্টোর থেকে আপনাকে অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিবে। নিজের নাম, জিমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে এটা ভেরিফাই করে নিতে হবে। আপনি এই প্লাটফর্মে অসংখ্য কাজ পাবেন যেই কাজ গুলো করে দৈনিক ২০০ - ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন মোবাইল দিয়ে। উক্ত কাজ গুলো হলোঃ- ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব, এড/ভিডিও দেখে আয় করতে হয়। যে কাজ গুলো খুবই সহজ।
যেকোন বয়সের মানুষ এই কাজ গুলো করতে পারে। যখন আপনার একাউন্টে ১৫০০ টাকা জড়ো হবে তখন " Wallet " অপশনে ক্লিক করলে উইড্রো অপশন দেখতে পারবেন। আপনি যে মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চাচ্ছেন উক্ত মাধ্যমটি সিলেক্ট করে উইড্রো অপশনে ক্লিক করলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে।
সতর্কবার্তা - ফ্রি টাকা ইনকাম apps
অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের অনেক অ্যাপস পাবেন। তবে বিশ্বস্ত অ্যাপস নির্বাচন করা কঠিন। আমি অনলাইন থেকে রিসার্চ করে যেই সকল অ্যাপস গুলো বিশ্বস্ত হতে পারে সেগুলো এই আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। তবে অনলাইনে অ্যাপস থেকে টাকা ইনকামের পূর্বে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। যেভাবে সতর্ক থাকবেন তা হলোঃ-
১) অ্যাপস ব্যবহারের রিভিউ, রেটিং স্কোর, কমেন্টস চেক করে নিবেন।
২) যদি কাজ করার পর ঠিক মতো পেমেন্ট না করে তাহলে ঐ অ্যাপসে ২য় বার কাজ করবেন না।
৩) যদি কোন প্রকার টাকা ডিপোজিট করতে বলে ঐ অ্যাপস গুলোতে কাজ করবেন না।
৪) কোন পার্সোনাল তথ্য যেমনঃ- ক্রেডিট কার্ড অর্থ্যাৎ কোন পার্সোনাল তথ্য সাবমিট করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৫) প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করবেন না।
৬) প্রত্যেকটি অ্যাপস বা সাইট নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন। আপনার আর্থিক ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়। ইন্টারনেটে ফ্রি টাকা ইনকাম apps নিয়ে প্রচুর সার্চ হয়, সেই ধারাবাহিকতায় এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে, অ্যাপস সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য।
৭) অ্যাপস গুলোর সাধারণ সমস্যাঃ- খুব বেশি ইনকাম করা যায় না, যেকোন সময় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে ফেসবুক, ইউটিউব থেকে ভালো ইনকাম হয়, বাস্তব।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রি টাকা ইনকাম apps সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের কাজ হলো অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আইডিয়া পাঠকদের সাথে শেয়ার করা। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও আমরা ফ্রি টাকা ইনকাম apps নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।
আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আরো তথ্যবহুল পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে, আজ এখানে শেষ করছি। 12.11.25

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url