ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট ২৫টি এক নজরে দেখে নিন ২০২৫

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট সম্পর্কে জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে। আপনি এই আর্টিকেল থেকে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

পোস্টসূচীপত্রঃ-কেননা, আমরা এই পোস্টে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করেছি। কাজেই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ, চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

প্রযুক্তি দুনিয়ায় আমরা সকলে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চায়। কিন্তু, অধিকাংশ মানুষ সঠিক উপায় না জানার কারণে প্রতারণার শিকার হয়। এজন্য আপনাকে সঠিক প্লাটফর্ম বা সাইট নির্বাচন করতে হবে। অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য আমরা প্রায় ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট সম্পর্কে জানতে গুগল তালাশ করি। এমন অনেক বিশ্বস্ত সাইট রয়েছে যেখানে কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া আপনি অনলাইন থেকে কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন। আপনার কাছে যদি মোবাইল ফোন/পিসি, ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। অনলাইন থেকে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করাটা ভালো। এর অন্যতম কারণ হলো অনলাইন সেক্টরে অনেক প্রতারক চক্র প্রতারণার জাল পেতে রেখেছে। 

যখন অনভিজ্ঞ কেউ সেই ফাঁদে পা দেয়, তখন প্রতারক চক্ররা তাদের আর্থিকভাবে নিঃস্ব করে দেয়। অনলাইন সেক্টর গুলোতে পা দেয়ার পূর্বে শতভাগ সতর্ক হওয়া দরকার। এমন প্লাটফর্ম গুলো নির্বাচন করা দরকার যেগুলো থেকে বাস্তবে ইনকাম হয়। যাতে, আপনি প্রতারণার শিকার না হন এজন্য সব থেকে সহজ উপায় হলো ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট তালাশ করা। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্যাসিভ ইনকামের উপায় গুলো সন্ধান করা দরকার যেমনঃ- ব্লগিং, ইউটিউবিং, ফেসবুক থেকে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বর্তমানে প্যাসিভ ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট গুলো তুলে ধরা হলো।

১) YouTube.com

আমরা প্রতিনিয়ত ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকি। youtube শুধু ভিডিও দেখার জন্য নয়, এটা বর্তমানে টাকা ইনকামের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগে আমাদের সকলেরই YouTube.com এ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা ভিডিও দেখতে পারি। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের জন্য কোন প্রকার ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। 

আপনি যেকোনো ক্যাটাগরির ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন যেমনঃ- নিউজ, বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, পার্সোনাল ব্লগ ইত্যাদি। আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়েই ইউটিউবে ভিডিও আপনি তৈরি করতে পারবেন। যদি ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন হয় তাহলে ইউটিউব থেকে সাধারণ লেভেলের ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইউটিউবে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। কাজেই, ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকামের শ্রেষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম। 

২) Shutterstock.com

যেকোনো ধরনের কনটেন্ট বানিয়ে তা বিক্রি করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল:- Shutterstock.com. আপনি যদি একজন দেখো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন অথবা ফটোগ্রাফার হন তাহলে আপনার গ্রাফিক্সের কাজগুলো এবং তোলা ছবিগুলো Shutterstock.com এই অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। 

ছবি বিক্রি করে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার অন্যতম ওয়েবসাইট হলো Shutterstock.com. প্রথমে আপনি এ ওয়েব সাইটে ফ্রীতে একটা অ্যাকাউন্ট খুলবেন, এজন্য ওয়েবসাইটে নাম, ঠিকানা, জিমেইল এড্রেস সঠিকভাবে দিয়ে পূরণ করবেন। এরপর আপনার তোলা ছবিগুলো এই ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন, ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ সেগুলো যাচাই-বাছাই করবে। 

আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম apps ২০+ ২০২৫ সালের জন্য দেখে নিন

যদি ছবির কোয়ালিটি এবং গুণগত মান ভালো হয় তবে আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার অনুমতি পাবেন। আপনি নিজের মোবাইল ফোন অথবা DSLR ক্যামেরা দিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি তুলবেন এবং সেগুলো Shutterstock.com আপলোড করবেন। যদি কেউ আপনার আপলোডকৃত ছবি ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তখন আপনার ইনকাম হবে। 

৩) Blogger.com

আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল Blogger.com. এখানে মূলত আপনাকে লেখালেখি করে আয় করতে হবে। লেখালেখি করে আয় করার চাইতে সহজ কাজ ফ্রিল্যান্সিং জগতে আর হতে পারে না। ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকামের ফ্রি প্ল্যাটফর্ম হল Blogger.com. আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট আপনি আপনার ওয়েবসাইটে লিখতে পারেন যেমনঃ- অনলাইন ইনকাম, শিক্ষা, টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, নিউজ, রাজনীতি, খেলাধুলা, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। ব্লগার ওয়েবসাইট এ কাজ করে আপনি প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে

একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ডোমেইন, হোস্টিং, থিম ইত্যাদি। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল লিখবেন যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমান ভিজিটর আসবে তখন গুগল এডসেন্স অথবা এডস্ট্রা অ্যাড নেটওয়ার্ক চালু করার মাধ্যমে ব্লগিং করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স সেটআপ করলে যখন আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জড়ো হবে তবে আপনি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

আর যদি এডস্ট্রা এড নেটওয়ার্ক চালু করেন তবে অ্যাকাউন্টে ৫ ডলার অথবা ১০০ ডলার হলে উত্তোলন করতে পারবেন সেটির আলাদা একটি নিয়ম আছে। সুতরাং, ফ্রি টাকা ইনকামের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হল Blogger.com.

৪) Google Adsense.com

Google Adsense একটি অ্যাড নেটওয়ার্ক। যারা ব্লগার এবং ইউটিউবার রয়েছে তারা ইনকামের জন্য গুগল এডসেন্স অ্যাড নেটওয়ার্কটি তাদের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে সেটআপ করে।  ইন্টারনেট প্রযুক্তি যতদিন থাকবে ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের চাহিদা ততদিন থাকবে। গোটা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ গুগল এডসেন্স থেকে করছে।

আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট ২০২৫ ( বিস্তারিত গাইডলাইন )

বাংলাদেশে অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণেরা ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ঘরে বসে গুগল এডসেন্স থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। Google Adsense অ্যাড নেটওয়ার্ক চালু করতে কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। গুগল এডসেন্স সম্পর্কে এই আর্টিকেলের উপরের প্যারায় Blogger. com এবং YouTube.com  এ আলোচনা করেছি। কাজেই, ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট না করে এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেন। 

৫) SWAGBUCKS সাইট থেকে আয়

ঘরে বসে টাকা ইনকামের একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো SWAGBUCKS সাইট। গোটা-বিশ্বব্যাপী এই সাইটটির অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক বাংলাদেশী এই সাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করছে। এখানে কাজ করার পূর্বে এই সাইটের পেমেন্ট মেথড, নীতিমালা গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন। এখানে ছোট ছোট বিভিন্ন ধরণের কাজ করে ইনকাম করা যায় যেমনঃ- গেম খেলে, ভিডিও দেখে, রেফার করে, সার্ভে করে, অন্যান্য ছোট ছোট টাস্ক সম্পূর্ণ করে ইনকাম করা যায়।

আরো পড়ুনঃ- দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ২৫+ উপায়

যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন। যেহেতু এটা বাংলাদেশী সাইট নয়, আপনি সরাসরি নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যম টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। এখান থেকে পেমেন্ট উত্তোলনের জন্য Paypal  একাউন্ট থাকতে হবে। আপনি পেপাল এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।

৬) Freecash.com

এটা একটি মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম। যেখানে গেম খেলে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, সার্ভে করে, ছোট ছোট টাক্স সম্পূর্ণ করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। Freecash.com এই সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। মনে রাখবেন, এই সাইটে কাজ করে সরাসরি নগদ টাকা আপনি হাতে পাবেন না। 

এখানে কাজ করার বিনিময়ে আপনাকে Coin দেয়া হবে। যখন আপনার একাউন্টে ১ হাজার কয়েন জড়ো হবে তখন আপনি ১ ডলার পাবেন। এই সাইটের নীতিমালা মেনে আপনাকে কাজগুলো করতে হবে। আপনার হাতে টাকা মোবাইল দিয়ে আপনি এই কাজ গুলো করতে পারবেন। এই সাইট থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি ব্যাংক, বিটকয়েন, পেপাল এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

৭) Photodune.net

ছবি বিক্রি করে আয় করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হল:- Photodune.net. এখানে কাজ করতে আপনাকে কোন প্রকার টাকা ডিপোজিট করতে হবে না। আপনি এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন এবং তাদের নীতিমালা অনুযায়ী ছবি তুলে ছবি আপলোড করবেন। যখন ব্যবহারকারীরা আপলোডকৃত ছবি ডাউনলোড করবে তখন আপনার ইনকাম হবে। যত বেশি ছবি ডাউনলোড হবে তত বেশি ইনকাম হবে। 

ছবি তোলার সময় লক্ষ্য রাখবেন আপনার তোলা ছবিগুলো যেন সুস্পষ্ট, সুন্দর এবং বস্তু নির্ভর হয়। এমন ভাবে ছবিগুলো তুলুন যাতে ব্যবহারকারীরা ছবি ডাউনলোড করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনি বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে আপলোড করতে পারেন যেমনঃ- প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থানের দৃশ্য ইত্যাদি। যেকোনো সুন্দর দৃশ্য আপনি ক্যামেরাবন্দি করে তা Photodune.net এখানে আপলোড করতে হবে। ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য আরও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম হল যেমনঃ- Adobe stock, alamy.

৮) Upwork.com

Fiverr এর মত Upwork.com একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেস মূলত ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে থাকে। একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা এ মার্কেটপ্লেসে অনেক। ক্লায়েন্টরা এই মার্কেটপ্লেসে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তালাশ করে থাকে।  Upwork.com এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করা যায় যেমন আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। 

এই সাইটে আপনাকে জিমেইল, পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনাকে এখন একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সেখানে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা সুস্পষ্টভাবে অল্প শব্দে বর্ণনা করতে হবে। আপনার প্রোফাইল এমনভাবে সেটাপ করতে হবে যেন বায়াররা আকৃষ্ট হয়। 

আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )

কাজ কমপ্লিট হলে বায়াররা আপনাকে পেমেন্ট করবে। সর্বদা বায়ারদের সন্তুষ্টকে গুরুত্ব দিবেন। এই ওয়েবসাইটে যখন আপনার রেটিং পয়েন্ট বেশি হবে তখন আপনার কাজ পাওয়ার চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইনকাম করা অর্থ ব্যাংক, পেপাল, পেওনিয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি যদি স্বাধীনভাবে ডিপোজিট ছাড়া কাজ করতে চান তাহলে এ প্লাটফর্মে আপনার জন্য। ক্লায়েন্ট / বায়ার নারাজ হলে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা আপনার কমে যাবে। এদিকে লক্ষ্য রাখবেন। 

৯) 2CAPTCHA করে ইনকাম

ক্যাপচা সম্পর্কে আমরা মোটা-মুটি কম বেশি পরিচিত। কিন্তু ক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম করা যায় এটা অনেকে কাছে অবাস্তব বটে। ক্যাপচা বলতে এলোমেলো কিছু ডিজিট যেমনঃ- ইংলিশ ( a, b, c ) ক্যারেক্টার ( @, $, % ) গণিত ( 1,3,4 ) এই গুলো এলোমেলোভাবে দেয়া থাকে যা আপনাকে নিদিৃষ্ট বক্সে পূরণ করে বসাতে হবে। ক্যাপচা পূরণের এই কাজ গুলো করে আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে সহজে আপনি এই কাজ গুলো করতে পারবেন।

ক্যাপচা পূরণের এই কাজ গুলো করার জন্য জনপ্রিয় বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম হলোঃ- 2CAPTCHA . আপনার একাউন্টে যখনই ৫ ডলার জড়ো হবে তখনই Paypal বা Payoneer এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। তাছাড়া ক্যাপচা পূরণ করে ইনকামের জন্য আরও অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে যেমনঃ- Captcha typers, Kolotibablo.

১০) Freelancer.com

এটিও একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে নিজ দক্ষতা এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ পাওয়া যায়। বিনিয়োগ ছাড়া সরাসরি কাজ করে এখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে চান তাহলে Freelancer.com এ একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। এরপর নিজ দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা সম্মিলিত একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। ইতিপূর্বে আপনি যে কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন সেই কাজ গুলো পোস্ট করুন। ক্লায়েন্টরা এসে আপনার প্রোফাইল চেক করবে। 

এমনভাবে প্রোফাইল তৈরি করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি আগ্রহ দেখায়। আপনি যে কাজগুলো করবেন ওই কাজের বিড করুন এবং কিভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন তা উল্লেখ করুন। সকল ধরনের কাজের চাহিদা এই মার্কেটপ্লেস এ রয়েছে যেমনঃ- ভয়েস আর্টিস্ট, লোগো ডিজাইন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদিসহ আরো অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ। সুতরাং, আপনি যদি কোন একটি কাজে বিশেষ ভাবে দক্ষ হন তাহলে এই মার্কেটপ্লেসের কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )

এই মার্কেটপ্লেসে আপনাদের ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকতে হবে। যখন আপনি লেগে থাকবেন নিশ্চিত আপনি কাজ পাবেন। সুন্দরভাবে আপনার কাজের পোর্টফলিও তৈরি করুন। এবং বায়ারদের আস্থা অর্জনে চেষ্টা করুন। যখন এই মার্কেটপ্লেসে আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করবেন তখন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে। এই মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি ব্যাংক, পেপাল, পেওনিয়ার মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

১১) Linkedin.com

যারা প্রফেশনাল ব্যক্তি তারা মূলত কাজের সন্ধানে Linkedin.com এ প্রোফাইল সেটআপ করে থাকে। মূলত, কাজের অনুসন্ধানের জন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হল Linkedin.com. ধরুন, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ খুব ভালো জানেন। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ তালাশ করছেন। এখন আপনি Linkedin.com এ একটি অ্যাকাউন্ট খুলে,,, আপনার ছবি, প্রফেশনাল দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিন। নিজ প্রোফাইল এমন ভাবে সেটআপ করুন যাতে বায়াররা আপনার প্রোফাইল দেখে আকৃষ্ট হয়। যখন বায়াররা আপনাকে নক দিবে তখন তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। মূলত, অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মত আপনি এখনো কাজ করে আয় করতে পারবেন।  

১২) ySense.com

ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার প্ল্যাটফর্ম হল ySense.com. সাধারণত বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে জানতে সার্ভে করে থাকে। আপনি এই প্লাটফর্মে ঐ সকল পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে মতামত প্রদান করে আয় করতে পারবেন। শুধু সার্ভে নয় একাউন্ট খুলে, গেম খেলে, অ্যাড দেখে, ভিডিও দেখে এই প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করা যায়। 

তাছাড়া এই সাইটটি অন্যদের নিকট রেফার করে, প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন কমপ্লিট করে ইনকাম করতে হয়। ySense.com থেকে ইনকাম করা অর্থ গিফট কার্ড, পেপাল, পেইনিয়ার এর মাধ্যমে উত্তোলন করে নগদ, বিকাশ, রকেটে ট্রান্সফার করা যাবে। 

১৩) Fiverr - ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা ফাইবার মার্কেটপ্লেস নাম অবশ্যই শুনে  থাকবেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে বড় এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো ফাইবার।  এই মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা ইনভেস্ট করতে হয় না। কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজে আপনি দক্ষ হলে এ মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যতম একটি সহজ কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি। টাইপিং করার দক্ষতা থাকলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল এর কাজ জানেন তাহলে সহজে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমনঃ- কপি পেষ্ট জব, ডাটা মাইনিং, ডাটা স্ক্রাপিংসহ অন্যান্য। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজের সন্ধানের জন্য প্রতিনিয়ত বায়ার হান্ট করতে হয়। ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য ফাইবারে একাউন্ট খুলে গিগ তৈরি করতে হবে। এরপর ক্লায়েন্ট হান্ট করতে হবে। সর্বদা ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিতে হবে নতুবা ব্যান হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ- রিয়েল টাকা ইনকাম app & website ( বিস্তারিত গাইডলাইন )

ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি ব্যাংক, পেপাল, পেওনিয়ার এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। তাছাড়া, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, ভিডিও এডিটিং, ওযেব ডিজাইন ইত্যাদি এই সমস্ত কাজের ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য মার্কেটপ্লেস যেমনঃ- আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম ইত্যাদি।

১৪) Dreamstime.com

যারা ফটো গ্রাফার, ভিডিও গ্রাফার এ প্লাটফর্মটি তাদের জন্য। এই সাইটে আপনি ফটো তুলে এবং ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইট থেকে অর্থ উপার্জন জন্য প্রথমে আপনাকে এ সাইটটি নাম, জিমেইল আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

এই সাইটে কাজ করতে কোন প্রকার টাকা ডিপোজিট করতে হয় না। যখন কেউ আপনার তোলা ছবি এবং ভিডিও কনটেন্ট ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম হবে। যখন আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জড়ো হবে তখন পেপাল, পেওনিয়ারের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। 

১৫) Facebook.com

আমরা সকলে কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই সহজ। কেউ এই ফেসবুক ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য,  আবার কেউ এ ফেসবুক ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন এর জন্য। জ্বী, ঠিকই শুনেছেন। আপনি ফেসবুকে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে সেখান থেকে ভালো পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসতে পারলে অ্যাড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার ইনকামের টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে জড়ো হবে। 

তাছাড়া আপনার যদি নিজস্ব কোন বিজনেস থাকে তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা কন্টিনিউ করতে পারবেন। ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার কাজ হচ্ছে ব্যবসায়িক পণ্যের প্রচার-প্রচারণা করা, এবং আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি বৃদ্ধি করা। তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও Facebook.com থেকে আপনি আয় করতে পারেন। 

১৬) Telegram.com

আপনি যদি ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে টেলিগ্রাম একটি গ্রুপ খুলতে হবে। সেখানে মেম্বারদের সংখ্যা থাকবে আনলিমিটেড। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপের মতো কাজ করবে। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের এফিলেট মার্কেটিং করে, ব্রান্ড প্রমোশন করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং, আশা করি এ প্লাটফর্মে আপনার জন্য কার্যকরী হবে। 

১৭) Jumptask.com 

আপনি কি অনলাইন প্লাটফর্মে ছোট ছোট কাজ করে ইনকামের কথা ভাবছেন ? Jumptask.com   এ প্লাটফর্মে আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এখানে আপনি ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের টাস্ক সম্পূর্ণ করে আয় করতে পারবেন যেমনঃ-

  1. রেফারেল প্রোগ্রাম করে 
  2. অ্যাপস ডাউনলোড করে 
  3. সার্ভে করে 
  4. বিজ্ঞাপন অথবা ভিডিও দেখে 

এখানে প্রতিটি কাজের বিনিময়ে আপনাকে ক্রিপ্টো-কারেন্সি দেওয়া হবে। আপনার অ্যাকাউন্টের নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্সি জড়ো হওয়ার পর trust wallet, Binance এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। 

১৮) FanFare.com

এখানে কাজের বিনিময়ে সরাসরি আপনি টাকা পাবেন না। এখানে মূলত বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ দিয়ে আয় করতে হয়। এখানে থাকা বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ দিবেন, এডমিন যদি সেটাকে সঠিক মনে করে বিনিময়ে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট দেওয়া হবে। যখন আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জড়ো হবে তখন উক্ত পয়েন্টের বিনিময়ে আপনি শপিং করতে পারবেন। মূলত FanFare.com প্রোডাক্ট কেনা বেচার একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। 

১৯) affiliate marketing 

ঘরে বসে ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার ফেসবুক পেজ, youtube, ব্লগার ওয়েবসাইট, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম থাকতে হবে। যে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্টানের অ্যাফিলেট মার্কেটিং করা যায় উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করবেন। উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন, একে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোন প্রকার টাকা ডিপোজিট করতে হয় না।

২০) Bkash App থেকে আয়

বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ইনকাম করা যায় না। তবে আপনি এখানে রেফার করে অথবা বিভিন্ন ক্যাশ ব্যাক অফার এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপস একটা একাউন্ট খুলতে হবে এরপর উক্ত লিংকটি অন্যদের নিকট রেফার করে বিকাশে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই লিংক শেয়ার করে আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকে দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  

২১) ফুডপান্ডা থেকে আয়

তৈরি করার খাবার ডেলিভারীর জন্য ফুডপান্ডা অধিক জনপ্রিয়। ফুডপান্ডার এই কাজটি বাংলাদেশে থেকে করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন আপনার নিজস্ব একটি সাইকেল। আপনি ফুডপান্ডা অ্যাপস ডাউনলোড করে কাষ্টমাররা যখন খাবারের অর্ডার করবে তখন খাবার গুলো কাষ্টমারদের বাসায় পৌছে দিতে হবে। এটা ডেলিভারী বয় এর কাজ। ফুডপান্ডা তে বাংলাদেশী অসংখ্য বেকার তরুণেরা কাজ করছে। আপনি চাইলে এখানে কাজ করতে পারেন।

২২) লেখালেখির কাজ করে ইনকাম

আমরা অনেকে লেখালেখি করতে পছন্দ করি। লেখা-লেখি করা অনেকের কাছে প্যাশন। আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে চান তাহলে অন্যের ওয়েবসাইটে মাসিক বেতনে কাজ করতে পারবেন। এখানে শুধু লেখালেখি করে আয় করবেন। এজন্য আপনি ওয়েবসাইট মালিকদের সাথে যোগাযোগ করবেন। ওয়েবসাইটের যোগাযোগ পেজে যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা দেয়া থাকবে। তাছাড়া, আপনি নিউজ ওয়েবসাইটে বা পত্রিকায় আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন যেমনঃ- ঢাকা পোস্ট, যুগান্তর, সমকাল, সময় নিউজ, বাংলা ট্রিবিউন, জাগো নিউজ ইত্যাদি নিউজ প্লাটফর্ম গুলোতে লেখালেখি করে আয় করতে পারেন।

২৩) TRUELANCER সাইট থেকে আয়

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো TRUELANCER. যেখান থেকে ইনকাম করতে কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। আমরা সকলে কম-বেশি টাইপিং জব করে থাকি। টাইপিং করে ইনকাম করার জন্য সেরা প্লাটফর্ম এটি বলা চলে। এখান থেকে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন যেমনঃ- ডকুমেন্ট লিখে, এক্সেল শীট বানিয়ে, ট্রান্সক্রিপশন বানিয়ে ইত্যাদি। ইউরোপ, আমেরিকার দেশ গুলোতে এই সমস্ত কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ- ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ইউনিক আইডিয়া গুলো দেখুন

প্রথমে এই সাইটে প্রবেশ করে জিমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। এরপর নিজ প্রোফাইল সেটআপ করুন। এরপর ক্লায়েন্ট হান্ট করুন। যখন আপনি এই সাইটে দীর্ঘদিন যাবত বিশ্বস্ততার সহিত কাজ করবেন তখন আপনার কাজ পাওয়া সহজে হয়ে যাবে। এই সাইট থেকে আপনার উপার্জিত অর্থ ব্যাংক, পেপাল এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।

২৪) নিজস্ব অনলাইন বিজনেস

আপনি যদি একটি নিজস্ব অনলাইন বিজনেস দাঁড় করাতে চান তাহলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার প্রচার-প্রচারণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রথমে আপনি ফেসবুকে একটি পেজ খুলবেন, উক্ত পেজে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট গুলো প্রকাশিত করবেন। যখন বিজনেস পেজ অধিক জনপ্রিয় হবে তখন আপনার বিক্রি ততো বাড়বে।

ধরে নিন, আপনার একটি নার্সারী অথবা কোন খামার রয়েছে অথবা কোন ফুডকার্ট অথবা বিজনেস শপ রয়েছে। এখন আপনি আপনার ব্যবসা প্রচার প্রচারণা করতে চান তাহলে একটি ফেসবুক পেজ খুলুন। আপনার ব্যবসার নিত্য দিনের তথ্য সেখানে পাবলিশ করুন। গ্রাহকদের সঠিক তথ্য দিয়ে উপকার করুন। অনলাইনে একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে হলে ইনভেস্ট করতে হবে যা আপনাকে পরবর্তীতে উদ্যোক্তা হতে সাহায্যে করবে।

২৫) Tutor.com - ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

অনলাইনে পাঠদান করিয়ে ফ্রি টাকা ইনকামের জনপ্রিয় একটি সাইট হলো:- Tutor. com আপনি যে সাবজেক্টে দক্ষ ওই সাবজেক্টে পাঠ দান করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। একজন ভালো গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান শিক্ষকের ব্যাপক ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া, আপনি যদি কোন কারিগরি কাজ অথবা ফ্রিল্যান্সিং কাজ জানেন তবে আপনি এই সেক্টরে কাজ করে আয় করতে পারবেন। 

এজন্য আপনি প্রথমে Tutor. com এই সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। এরপর এখানে অনলাইনে পাঠদান করিয়ে ইনকাম শুরু করে দিন। আপনার উপার্জিত অর্থ আপনি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলণ করতে পারবেন। অনলাইনে পাঠদানের শিক্ষা দিয়ে অর্থ উপার্জনের আরো অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম হলঃ- Cambly, preply  ইত্যাদি। 

ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকামের ফ্রিল্যান্সিং কাজ 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, অনলাইনে ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের একাধিক উপায় রয়েছে। যে উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ ছাড়াই শুধুমাত্র আপনার দক্ষতা দিয়ে টাকা ইনকাম করে লাভবান হতে পারবেন। ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকামের ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলোঃ-

  1. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  2. রেফারেল প্রোগ্রাম 
  3. ভিডিও এডিটিং 
  4. গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  5. এসইও 
  6. ইউটিউবিং 
  7. ব্লগিং
  8. কনটেন্ট রাইটিং 
  9. ডিজিটাল মার্কেটিং 
  10. পডকাস্ট
  11. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  12. সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

অনলাইনে এই সমস্ত কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একবার এই কাজগুলো ভালো করে শিখে নিতে পারলে সারা জীবন এ কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া। প্রযুক্তির এ যুগে ইন্টারনেট সুবিধা কাজে লাগিয়ে সবাই এগিয়ে যাচ্ছে।  আমাদের উচিত তাদের সাথে তাল মিলানো এবং প্রতিযোগিতা করা। 

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম অ্যাপস 

ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের জন্য অনলাইনে অনেকগুলো অ্যাপস পাওয়া যায়। তবে সবগুলো অ্যাপস থেকে ইনকাম করা যায় না। এজন্য আপনাকে সঠিক বিশ্বস্ত apps নির্বাচন করতে হবে। অ্যাপস নির্বাচন করার আগে ফিডব্যাক, রিভিউ, কমেন্ট চেক করে নিবেন। যে সকল অ্যাপসগুলো ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সুযোগ করে দেয় ঐ সকল অ্যাপসগুলো বাছাই করবেন। যে সকল অ্যাপসে কাজ করে টাকা পাওয়া যায় না ওইগুলোতে পুনরায় কাজ করবেন না। আমি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে কিছু ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম অ্যাপস নির্বাচন করেছি সেগুলো হলোঃ-

  1. Picoworkers
  2. Workup job
  3. Pollpay
  4. Taka income pro
  5. Daily taka
  6. InboxDollars 

শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম অ্যাপস 

অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করতে চাই। যে অ্যাপসগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা সহজে ইনকাম করতে পারবে ওই অ্যাপসগুলো নিয়ে কাজ করাটা ভালো। যেখানে ছোট ছোট কাজ করে যেমন সার্ভে করে, অ্যাড দেখে, গেম খেলে, অ্যাপস ডাউনলোড করে ইনকাম করতে হয়। এই সকল কাজগুলো করতে খুব বেশি সময় লাগে না। শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম অ্যাপস গুলো হলঃ-

  1. Swagbucks
  2. Skill Cash
  3. Tulona
  4. Givvy Games

এই অ্যাপসগুলো আপনি অন্যদের নিকট রেফার করেও ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাপসগুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নীতিমালা গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন। এই অ্যাপসে ছোট ছোট কাজ করে আপনি প্রতিমাসে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একাধিক অ্যাপস নিয়ে কাজ করলে ইনকাম বাড়বে। 

যে কারণে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করবেন 

অনেকে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করাটাকে শ্রেয় মনে করে। আমার ব্যক্তিগত মতামত, ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করাটা ভালো। অনলাইনে অ্যাপস বা সাইটে  ডিপোজিট করে টাকা ইনকাম এটা জুয়া বা হারামের পর্যায়ে গিয়ে পড়ে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত হালাল রুজি রোজগার করা। এ কারণে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করাটা ভালো। 

ডিপোজিট করে ইনকাম করলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। আমরা কেউ অনলাইনে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে চাই না। সকলে আমরা চাই কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়া অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। 

অনলাইনে অ্যাপস বা সাইটগুলো যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অনলাইনে অ্যাপস বা সাইট গুলো স্থায়ী নয়। আপনি যদি টাকার ডিপোজিট করেন আর অ্যাপস বা সাইড যদি বন্ধ হয়ে যায় তখন আপনি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। 

ডিপোজিট ছাড়া কি বাস্তবে ইনকাম হয় ? 

জ্বী, ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করা যায়। তবে খুবই অল্প টাকা। ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের জন্য আপনাকে সঠিক এবং বিশ্বস্ত সাইট নির্বাচন করতে হবে। অনেকে সাইট নির্বাচন করতে ভুল করে। অনেক কাজ করেও অনেক সময় টাকা তারা পায় না। বিশ্বস্ত সাইট নির্বাচন করার জন্য আপনাকে রিভিউ, রেটিং স্কোর, কমেন্টস চেক করে নিবেন। উক্ত সাইটের নীতিমালা গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন। 

ডিপোজিট করে ইনকাম কি হালাল  ?

না, অনলাইন সেক্টরে অ্যাপস বা সাইটে ডিপোজিট করে ইনকাম করা সম্পূর্ণ হারাম। যদি এরকম হয় টাকা বিনিয়োগ করলে টাকা বাড়বে আবার যেকোন সময় লস হয়ে যেতে পারে, এখানে আপনার যদি কোন দক্ষতা বিনিয়োগ করতে না হয় তাহলে হারাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  সাধারণ একটি উদাহারণ, গুগল এডসেন্স ইনকাম হালাল হতে পারে আবার হারাম হতে পারে। 

  1. যদি হালাল বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় হয় তবে তা হালাল হবে। 
  2. আর যদি মদ, জুয়া, অশ্লীল ভিডিও থেকে ইনকাম হয় তাহলে সম্পূর্ণ হারাম হবে।

অনলাইন সেক্টর গুলো থেকে ইনকামের পূর্বে হালাল এবং হারামের মধ্যে পার্থক্য করা উচিত। কারণ, হারাম উপার্জন ‍মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। কাজেই সতর্ক থাকা জরুরি।

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর 

১) ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম বলতে কি বুঝায় ? 

উত্তরঃ- যেখানে কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ না করে ফ্রিতে ইনকাম করা যায় এমন উপায় কে বোঝায়। 

২) ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট থেকে দৈনিক কত টাকা ইনকাম করা যায় ? 

উত্তরঃ- আনলিমিটেড। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম

৩) ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম কোন গুলো ? 

উত্তরঃ- কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউবিং, ব্লগিং ইত্যাদি। 

৪) ডিপোজিট ছাড়া ইনকামের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম কোনগুলো ? 

উত্তরঃ- Blogger.com, google adsense, youtube.com, Facebook.com, Fiverr, upwork, freelancer.com

 ৫) ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট থেকে ইনকাম শুরু করতে কতদিন সময় লাগতে পারে ? 

উত্তরঃ- এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে, ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। 

৬) ঘরে বসে ইনকামের সহজ উপায় কি ?

উত্তরঃ- অনলাইন বিজনেস। যে গুলো আপনাকে ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হবে। তাছাড়া আপনি ব্লগিং করে, ইউটিউবিং করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে তো পাচ্ছেন।

লেখকের মন্তব্য - ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট

অনলাইনে থেকে ইনকাম শুরু করার পূর্বে উক্ত প্লাটফর্ম টি কতটুকু বিশ্বস্ত তা যাচাই করা আপনার দায়িত্ব। উক্ত প্লাটফর্মে রিভিউ, রেটিং স্কোর, পয়েন্ট, কমেন্টস চেক করে নিবেন। অনলাইনে ডিপোজিট করে টাকা ইনকামের চেষ্টা করবেন না। যদি বিশ্বস্ত মনে হয় তাহলে কাজ করতে পারেন, নিজ দায়িত্বে। 

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এই আর্টিকেলে আমরা ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টে পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টে উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে ভিন্ন কোন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। 15.11.25

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url