দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করুন দুর্দান্ত ৪৫টি উপায়ে
দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো নিয়ে আজকে এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, আপনারা যারা অনলাইনে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় খোঁজাখুঁজি করছেন তারা সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
পোস্টসূচীপত্রঃ- কেননা, এই আর্টিকেলে আমরা দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো জনপ্রিয় উপায় রয়েছে। যে উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি অনায়াসে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। অনলাইন অথবা অফলাইনে দুইভাবে কাজ করে আয় করতে পারেন। ইন্টারনেটের যুগে টাকা ইনকামের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অনলাইন।
অনলাইন থেকে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন কাজ নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল জানা এবং তা প্রয়োগ করা। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন কতগুলো উপায় সম্পর্কে জানাবো যেগুলো শতভাগ কার্যকরী। অনলাইন সেক্টর গুলোকে বলা হয় " টাকার কুমির ".
সুতরাং, এজন্য আপনাকে সব সময় সহজ কাজগুলো তালাশ করতে হবে। যে কাজগুলো করতে সময় অল্প লাগে এবং পেমেন্ট পাওয়া যায় সহজে। অনলাইনে সেক্টরগুলোতে কাজ করে অনেকে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সুতরাং, আপনি যদি দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো জানতে চান ? তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ অব্দি পড়ুন।
আর অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পূর্বে অনলাইন সেক্টরের বাস্তবতা বোঝা খুবই জরুরী। কারণ, এই সেক্টরে কাজ করতে এসে অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনলাইন সেক্টরে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল, ধৈর্য এবং অধ্যাবসায়। এই তিনটি গুনাগুন যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনাকে পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না।
অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে এসে অনেকে ডলারের মালিক হচ্ছে,,আবার অনেকে নিঃস্ব হচ্ছে। এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সঠিক উপায় না জানার কারণ। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার সঠিক এবং সহজ উপায় গুলো জানাবো। কাজেই, আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১) ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
ইউটিউব সম্পর্কে জানে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইউটিউব শুধু ভিডিও দেখার জন্য নয়, এটা টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করে নিয়ে ইউটিউবিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। রাতারাতি ইউটিউবিং করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায় না।
ইউটিউবিং থেকে আয় করতে হলে সুন্দর করে ভিডিও তোলার দক্ষতা, এর পর ভিডিও এডিটিং করার কৌশল আপনার জানা থাকতে হবে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সপ্তাহে ২/৩ টি করে ভিডিও আপলোড করবেন, যখন আপনার ইউটিউবে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পূর্ণ হবে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
২) কুইজ খেলে ইনকাম
আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে কুইজ খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইন জগতে অসংখ্য অ্যাপস এবং সাইট রয়েছে যেখানে কুইজ খেলে অনায়াসে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার উপার্জিত অর্থ সরাসরি নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এই ওয়েসাইটে আমি কুইজ খেলে ইনকাম নিয়ে একাধিক পোস্ট পাবলিশ করেছি। সেগুলো পড়ে আসতে পারেন। তাছাড়া, আপনি ফ্রী কুইজ খেলে ইনকাম কীভাবে সেই বিষয়ে ও এই ওয়েবসাইটে আলোচনা করা হয়েছে।
৩) ডেলিভারি ম্যান এর কাজ
বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে। ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করে আপনি অনায়াসে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফুডপান্ডা, নাম তো শুনেছেন! আপনি ফুডপান্ডা কোম্পানির হয়ে ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করে আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 - দেরি করলে মিস !
আপনি যদি কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ ছাড়া আয় করতে চান তাহলে ফুডপান্ডা জব আপনার জন্য সেরা হতে পারে। তাছাড়া আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পণ্য বা সার্ভিস গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দেয়া থাকে। কাজেই, আপনাকে শুধু শ্রম বিনিয়োগ করতে হবে।
৪) ছবি বিক্রি করে আয়
আজকাল অনলাইন সেক্টর গুলোতে আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য অনেক গুলো ওযেবসাইট পাওয়া যাবে, যেখানে আপনার তোলা ছবি গুলো আপলোড করতে হবে। উক্ত ছবি গুলো ডাউনলোড করলে বিনিময়ে আপনার ইনকাম হবে। ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলোঃ- Shutterstock.com, Photodune.net, pinterest.com. তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো আপনার ছবি গুলো শতভাগ ইউনিক হতে হবে। এমনভাবে ছবি গুলো তুলে আপলোড করতে হবে ব্যবহারকারীরা যেন ছবি ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।
৫) ব্লগিং করে ইনকাম
ব্লাগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে হবে। আমি নিজেও একজন ব্লগার। অনেক শিক্ষিত বেকার তরুনেরা ব্লগিং পেশার সাথে সরাসরি জড়িত। ব্লগিং করে অনেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনারা একটি ব্লগার ওয়েবসাইট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ডোমেইন, হোস্টিং, থিম। blogger.com এই প্লাটফর্মে আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে আর্টিকেল লিখে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন।
আপনি যে ভাষা জানেন সে ভাষায় ব্লগিং করতে পারবেন। আমি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করি। তবে ইংরেজিতে ব্লগিং করলে ইনকাম বেশি হয়। ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে ১/২ টি করে কনটেন্ট লিখবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসবে তখন জনপ্রিয় অ্যাড নেটওয়ার্ক গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করিয়ে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। অনেকে ব্লগিং থেকে দিনে ১/২/৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম apps ২০+ ২০২৫ সালের জন্য দেখে নিন
তবে এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অধিক ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে। দিনে কমপক্ষে আপনার ওয়েবসাইটে ১ হাজার ভিজিটর আসলে ৮ - ১০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তবে google এডসেন্সে ইনকামের পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে বিজ্ঞাপনে ক্লিক এবং সিপিসি এর উপর। যত বেশি সিপিসি পাবেন তত ভালো ইনকাম হবে। কাজেই, ব্লগিং কে ব্যবসা হিসেবে নিন তবেই আপনি সফল হবেন।
৬) রিমোট জব করে আয়
রিমোট জব গুলো করার জন্য আপনার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা থাকলেই চলবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের হয়ে এ রিমোট জব গুলো করতে হয় যেমনঃ- Workupplace, remote.com Flexjob ইত্যাদি। এ সকল ওয়েবসাইটে আপনাকে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করতে হবে। যেগুলো আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। রিমোট জব এ কাজগুলো করে আপনি দিনে ৩০০ টাকা ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
৭) পার্ট টাইম জব করে আয়
অনেক শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্টটাইম জবের অনুসন্ধান করেন। পার্ট টাইম জব করে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন ধরণের পার্ট-টাইম জব রয়েছে যেমনঃ- কল সেন্টার, সেলসম্যান, কাস্টমার কেয়ার, ব্যবসা মনিটর ইত্যাদি। বর্তমান টাইম জব গুলো আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে। তাছাড়া, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে শীট তৈরির জন্য বাংলা, ইংরেজী টাইপিং করতে হয়। তো আপনি যদি কম্পিউটারে টাইপিং এর কাজ ভালো করে জানেন তাহলে মাসিক বেতনে কাজ করতে পারবেন।
৮) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কারো পন্য বিক্রি করিয়ে দেওয়া বিনিময় কমিশন লাভ করা এটাকে বলে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি সাইকেল বিক্রি করতে চাচ্ছেন,,, এখন আমি আপনার সাইকেলটির অন্য কারো নিকট বিক্রি করিয়ে দিলাম,,,,,এবং আপনি আমাকে কিছু টাকা দিলেন এটাকে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় এফিলেট মার্কেটিং বলে।
বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত অ্যাফিলিয়েট করে ইনকামের সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই কমার্স প্রতিষ্টান যেমনঃ- দারাজ, সেখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস অ্যামাজনে অ্যাফিলেট করে আয় করা যায়। অ্যাথলেট মার্কেটিং করে আয় করা খুবই সহজ।
তবে এর জন্য প্রয়োজন আপনার নিজস্ব ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট বা youtube চ্যানেল। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে ব্যাপক জনপ্রিত থাকতে হবে। আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যদি ভক্ত অনুরাগীর বা ডিজিটরের সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে ফেসবুক অথবা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করে আয় করা যাবে।
আরো পড়ুনঃ- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে
যদি শুধুমাত্র আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলেও অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর। আপনি যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টের লিংকগুলো আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো অথবা ওয়েবসাইটে শেয়ার করবেন।
উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন। এটাকে বলে এফিলেট মার্কেটিং করে আয়। মূলত এটা প্যাসিভ ইনকামের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। যেখানে শুধু প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করতে হয়, এই লিংকে ক্লিক করে কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাচ্ছেন এটাকেই বলা হচ্ছে এফিলেট মার্কেটিং। আপনি রেগুলার কাজ করেন বা না করেন এইরকম শত শত লিংক শেয়ার করা থাকলে আপনি দিনে অনায়েসে ৩০০ থেকে ৫০০ বা তার বেশি আয় করতে পারবেন।
৯) মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
সকলে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। মোবাইলে কথা বলার জন্য রিচার্জ করতে হয়। যে সকল এলাকায় মোবাইল রিচার্জ কোন সেন্টার নেই, সেখানে আপনি ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে মোবাইল রিচার্জ প্রদান করতে পারেন। মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা শতভাগ নিশ্চিত চলবে। মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করে আপনি দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি শিক্ষার্থী হয়ে থাকলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
১০) কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম
অনলাইন জগতে সবথেকে সহজ কাজ হল কনটেন্ট রাইটিং। আপনি যখন একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হবেন তখন দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার না। অনলাইন জগতে একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই যে আপনি আর্টিকেল টি পড়ছেন এটা একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার লিখেছে। কনটেন্ট রাইটিং বলতে আমরা বুঝে থাকি " আর্টিকেল লেখা ". বড় বড় ওয়েবসাইটগুলো তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার জন্য কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে মাসিক বেতনে।
আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজটি ১ - ৭ দিনের মধ্যেই শিখে ফেলতে পারবেন। যারা নতুন অবস্থায় রয়েছেন বা অনভিজ্ঞ তাদের কাছে আমার পরামর্শ হলো ছোট ছোট সহজ কাজ করে ইনকাম করুন। এর মধ্যে অন্যতম হলো কন্টেন্ট রাইটিং। কনটেন্ট রাইটিং এ কাজের জন্য আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলোতে মাসিক বেতনে চুক্তিভিত্তিক কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। সাধারণত কনটেন্ট রাইটারদের বেতন নির্ধারিত হয় " কত শব্দের আর্টিকেল লিখছে সেটার উপর " আর তাছাড়া এটা একান্তই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের বিষয়।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট ২০২৫ ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
সাধারণত একটি আর্টিকেল লেখার জন্য ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আর আপনি যত ভাল আর্টিকেল লিখবেন তত বেশি আপনার ভালো ইনকাম হবে। ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে পারলে আরো বেশি ভালো ইনকাম হওয়া সম্ভব। কারণ, ইংলিশ আন্তর্জাতিক ভাষা আর বাংলা আর্টিকেল এর চেয়ে ইংলিশ আর্টিকেলের চাহিদা বেশি। তাছাড়া জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমনঃ- ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক এ সকল মার্কেটেপ্লেসে ইংলিশ কনটেন্ট রাইটার এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি এই মার্কেটপ্লেসে ইংলিশ কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
১১) অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয়
আজকাল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন ধরনের তৈরি করা কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। ধরুণ, আপনি ভিডিও এডিটিং খুব ভালো জানেন। আপনি ভিডিও এডিটিং এর একটি কোর্স অনলাইনে তৈরি করুন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ- ফেসবুকে তা প্রচার করুন। এই কোর্স গুলো বিক্রি করে আপনি দিনে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে অনলাইনে তৈরি করা কোর্স যত বেশি বিক্রি হবে আপনার ইনকাম তত বেশি বাড়বে। শুধু ভিডিও এডিটিং নয়, আপনি যদি অংক, ইংরেজী, বিজ্ঞান ভালো পারেন তাহলে অধ্যায়ভিত্তিক সেগুলোর কোর্স তৈরি করে ইনকাম করা যাবে।
১২) রেফারেল প্রোগ্রাম করে আয়
সাধারণত, বড় বড় ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীদের রেফার করে ইনকাম করার সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হল দারাজ। দারাজে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি দারাজের হয়ে রেফারেল প্রোগ্রামে অংশ নিতে চান তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। তারা আপনাকে একটি কোড দিবে। উক্ত কোডটি আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব, আত্নীয়- স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন।
কেউ আপনার ওই রেফারেল কোড ব্যবহার করে দারাজ থেকে পণ্য ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনাকে কিছু কমিশন দেয়া হবে, এটি মূলত আপনার আয়। এবং আপনার রেফারেল কোড ব্যবহার করার কারণে ক্রয়কৃত প্রোডাক্টের উপর সামান্য পরিমাণের ডিসকাউন্ট পাওয়া যেতে পারে। এভাবে আপনি রেফার করে আয় করতে পারেন।
১৩) বিজ্ঞাপন দেখে আয়
বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা যায়। মূলত বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের প্রচার-প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপন গুলো দেখিয়ে থাকে। তাছাড়া উক্ত অ্যাপস বা ওয়েবসাইট গুলো রেফার করেও বাড়তি ইনকাম করা যায়। আপনার উপার্জিত অর্থ সরাসরি নগদ, বিকাশ রকেট এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এড দেখে কিভাবে ইনকাম করা যায় ? এ বিষয়ে আমি একটি আর্টিকেল এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছি। সেই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
১৪) বিকাশের ব্যবসা
বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বিকাশ। আপনি নিজে বিকাশের এজেন্ট হয়ে কাজ করতে পারবেন। ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট এই সার্ভিস প্রদান করে আপনি বিকাশ থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বিকাশে যত বেশি লেনদেন তত বেশি ইনকাম। বিকাশের ব্যবসা বাংলাদেশে অধিক জনপ্রিয়। যেসব এলাকায় অধিক জনসমাগম হয় সেখানে বিকাশের ব্যবসা দারুণ চলবে।
১৫) ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
অনলাইন দুনিয়ায় আমরা সকলে চায় ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে। ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। দিনের যেকোন সময় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অর্থ ইনকাম করতে পারেন। এজন্য যেকোন বয়স বা পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে আগ্রহ দেখায়। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলোঃ- আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার.কম । আপনি এই সকল মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও, টাইপিং, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি এই সকল কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
১৬) সার্ভে করে আয়
মূলত বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে থাকে, আর এ কাজটিকে বলে সার্ভে। সার্ভে করে ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে, তারমধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় কয়েকটি সার্ভের ওয়েবসাইট হলোঃ- SwagBucks, TimeBucks, InboxDollars ইত্যাদি। এখানে সার্ভে করে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া সার্ভে করার পাশাপাশি এই সকল প্লাটফর্মে রেফার করে, কুইজ খেলে, গেম খেলে ইনকাম করা যায়। আপনি এখানে ফ্রিতে অথবা ডিপোজিট করেও সার্ভে করতে পারেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হল ফ্রিতে সার্ভে করে ইনকাম করাটাই ভালো। কারণ, এটা আর্থিক লসের সম্ভাবনা কম।
১৭) গেম খেলে ইনকাম
আপনি সরাসরি গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। গেম খেলে ইনকাম করার জন্য কিছু অ্যাপস বা প্লাটফর্ম রয়েছে, সেখানে আপনাকে গেম খেলে ইনকাম করতে হবে। গেম খেলে ইনকাম এই ওয়েবসাইটে আমি একাধিক আর্টিকেল লিখেছি সেগুলো পড়ে আসতে পারেন। একটি অ্যাপস বা প্লাটফর্মে গেম খেলে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনাকে একাধিক অ্যাপস বা প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ভাবে গেম খেলে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- বাবুল গেম খেলে ইনকাম, ডিপোজিট ছাড়া গেম খেলে ইনকাম, লুডু খেলে ইনকাম, গেম খেলার অ্যাপস সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল গুলো পড়ুন।
১৮) ট্রান্সলেশন সার্ভিস
ট্রান্সলেশন বলতে ভাষার অনুবাদ কে বোঝায়। ব্যবসা এখন গোটা বিশ্ব-ব্যাপী। অন্য দেশে ব্যবসা কন্টিনিউ করতে হলে ঐ দেশে ভাষা, সাংস্কৃতি, মানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানার প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ে। ট্রান্সলেশন করে ইনকাম করার জন্য একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে আপনি যদি ইংরেজী ভাষাতে দক্ষ হন তাহলে ট্রান্সলেশন করে আপনি ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
১৯) ডাটা এন্ট্রি জব
এখানে মূলত টাইপিং করে ইনকাম করতে হয়। আমরা সকলে কম-বেশি টাইপিং করে থাকি। ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো খুবই সহজ, আপনি মোবাইল দিয়ে এই কাজ গুলো করতে পারবেন। কম্পিউটার থাকলে এই ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করা খুবই সহজ। ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে। ডাটা এন্ট্রির কাজের জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেমনঃ- ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি।
২০) মোবাইল সার্ভিসিং করে আয়
মোবাইল সার্ভিসিং এটা একটি জনপ্রিয় পেশা। তরুণ বয়সের অনেকে এই মোবাইল সার্ভিসিং পেশার সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত। মোবাইল সার্ভিসিং এই পেশার মার্কেট অনেক বড়। দেশে-বিদেশে এই পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য আপনাকে একটি ভালো মোবাইল সার্ভিসিং ইন্সটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সেখানে ভালো ভাবে কাজ শিখতে হবে। এই কাজ করে দৈনিক হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
২১) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
মূলত বড় বড় কোম্পানি গুলো অনলাইনে তাদের পন্যের প্রচার প্রচারণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই কাজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার কাজে আপনাকে দক্ষ হতে হবে যেমনঃ- ফেসবুজ পেজ পরিচালনা করা, ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ইত্যাদি। এরকম সাধারণ লেভেলের জ্ঞান গুলো আপনার থাকতে হবে। আপনি মাসিক বেতনে চুক্তিভিত্তিক কাজ গুলো করতে পারেন।
২২) প্রোডাক্ট রিসেলিং বিজনেস
মূলত এখানে পাইকারি দামে প্রোডাক্ট ক্রয় করে তা পুনরায় অনলাইনে প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করা, একে বলে প্রোডাক্ট রিসেলিং বিজনেস। মূলত অনলাইনে মাধ্যমে এই কাজ গুলো মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রোডাক্ট রিসেলিং এর জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলোঃ- দারাজ, Meesho ইত্যাদি।
২৩) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জব
অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়ত কাষ্টমারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। এখানে মূলত আপনার কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কাষ্টমাররা যেন সেবা পেয়ে উপকৃত হয় সেই ভাবে সেভাবে দিতে হবে। এখানে মূলত ঘন্টা প্রতি ইনকাম হিসেব করা হয়। আবার কোথাও কোথাও মাসিক বেতনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়।
অফলাইনে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
আমরা এতক্ষণ অনলাইনে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম টাকা কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই বিষয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করেছি। অনেকে অফলাইন থেকে ইনকাম করাটা উপযুক্ত মনে করে। অফলাইনে কি কি কাজ করে ইনকাম করা যায় তা অনেকে জানে না। তবে অফলাইনে এই সকল কাজ করতে হলে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। নতুবা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না। এখন আমরা অফলাইনে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেঃ-
- ডিমের ব্যবসা ( হাঁস, মুরগি, কোয়েল, কবুতর )
- কলম চারা বিক্রির ব্যবসা ( ছোট-খাটো নার্সারী )
- লুঙ্গি, গামছা, গেঞ্জি ব্যবসা
- সবজির ব্যবসা ( যদি নিজের সবজি বাগান থাকে )
- বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ব্যবসা ( কলা, আমড়া, জাম, পেয়ারা )
- কফি শপ বা টি স্টল এর ব্যবসা
- তেলে ভাজা খাবার ব্যবসা ( সিঙ্গারা, পুরি, পিয়াজু, জিলাপি, বেগুন/আলুর চপ, মুড়ি মাখা )
- সার্ভিসিং এর ব্যবসা ( মোবাইল, ঘড়ি )
- লন্ড্রি ব্যবসা
- কনটেন্ট বা আর্টিকেল বিক্রির ব্যবসা
- পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা
- বই, খাতা, বাইন্ডিং এর কাজ
- সেলুন এর ব্যবসা
- মাছ বিক্রির ব্যবসা ( মাছের আড়ৎ থেকে মাছ কিনে পাড়া, মহল্লায় বিক্রি )
- সেলাই এর ব্যবসা যেমনঃ- দর্জি
- ফুলের দোকান
- বুটিক হাউজ
- ডেলিভারী ম্যান এর কাজ ( ফুডপান্ডা, অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের )
- রেষ্টুরেন্টে ওয়েটার এর কাজ করে
- প্যাকেজিং ব্যবসা
- শপিং ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
- বিউটি পার্লার
দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম অ্যাপস
এমন কতগুলো অ্যাপস রয়েছে যে অ্যাপস গুলোতে কাজ করে আপনি অনায়াসে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। অ্যাপস গুলো হলোঃ-
Taka Income:- টাকা ইনকাম করার একটি সহজ অ্যাপস এটি। এখানে আপনি গেম খেলার পাশাপাশি রেফার করে, কুইজ খেলে ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। এরপর ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে আপনাকে পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে। নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট একাউন্টে যুক্ত হলে তবে তা উত্তোলন করতে পারবেন। উক্ত পয়েন্ট গুলো আপনি টাকায় রুপান্তর করতে পারবেন।
Daily Taka:- ইহা একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপস। গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে সার্চ করলে অ্যাপসটি সহজে পেয়ে যাবে। এরপর তা ইনস্টল করে নাম, জিমেইল, ফোন নাম্বার, পাসওয়ার্ড দিয়ে একটিভ করতে হবে। এই অ্যাপসে এড দেখে, ভিডিও দেখে, ছোট ছোট টাস্ক সম্পূর্ণ করে আয় করা যায়। উক্ত অ্যাপসটি অন্যদের সাথে রেফার করলে ১৫% বোনাস পাওয়া যায়। আপনার উপার্জিত অর্থ নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )
Taka Income Bd:- এটি একটি বাংলাদেশী সাইট। এখানে আপনি ভিডিও দেখে, পিন করে, ডেইলি চেকিং করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যত বেশি এই সাইটে সময় দিবেন তত বেশি ইনকাম হবে। কাজেই, প্লাটফর্মটি বাংলাদেশীদের উপযুক্ত। এখন পর্যন্ত এই সাইটের পজিটিভ রিভিউ এসেছে।
Free Money:- এখানে আপনি অ্যাপস ডাউনলোড করে, রেফার করে, ভিডিও দেখে, কুইজ খেলে আয় করতে পারেন। এই অ্যাপসে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পূর্ণ করে ইনকাম করতে হয়। এই অ্যাপসে যে পেমেন্ট মেথড রয়েছে উক্ত মেথডের মাধ্যমে আপনাকে টাকা উত্তোলন করতে হবে।
অন্যান্য অ্যাপসঃ-
- Coin Taka
- Tapswap
- Khelaghor
- Ludu King
- Neobux
- Raz Tune
- InboxDollars
- CashKaro
- TaskBucks
- Alamy
- Daraz
- Irazoo
- Adsterra
দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম সাইট
এখন আমি আপনাদের এমন কতগুলো সাইট সম্পর্কে জানাব, যে সাইট গুলোতে দৈনিক ১/২ ঘন্টা দিয়ে সময় ব্যয় করে ইনকাম করা যায়। উক্ত সাইট গুলো হলোঃ-
- Freelancer.com
- Upwork.com
- Toptal.com
- Fiverr.com
- Freecash
- 99 Desings.com
- Guru.com
- Clickworker
- People Per Hour.com
- Getacoder.com
- Adsterra
- Ysense
লেখকের মন্তব্য - দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
অ্যাপস বা সাইটে কাজ করার আগে অবশ্যই উক্ত অ্যাপস বা সাইটের রিভিউ, রেটিং স্কোর ভালো করে চেক করে নিবেন। যদি অ্যাপস বা সাইটটি আপনার কাছে বিশ্বস্ত মনে হয় তবে কাজ করবেন, নিজ দায়িত্বে। আপনার আর্থিক ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়।
Freelancer.com, Upwork.com, Fiverr.com, Adsterra, google adsense এগুলো বিশ্বস্ত মাধ্যম। কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়া এসব সাইটে কাজ শিখে কাজ করতে পারবেন। অ্যাপস বা সাইট বাদে আরো অন্যান্য উপায় গুলো এই আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরেছি, যেগুলো শতভাগ বিশ্বস্ত যেমনঃ- ব্লগিং, ইউটিউবিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং সহ আরোও অন্যান্য।

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url