অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিন শ্রেষ্ঠ ৩৫টি উপায়ে
অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা গুগলে সার্চ করে অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
পোস্টসূচীপত্রঃ-কেননা, এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট
অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের অনেক গুলো সাইট রয়েছে। তবে অনলাইনে থাকা সব সাইট গুলো বিশ্বস্ত না। কারণ, উক্ত সাইট গুলো কাজ করিয়ে নিয়ে ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট দেয় না। এজন্য আপনাকে এমন সব সাইট গুলো নির্বাচন করতে হবে যে সাইট গুলো ব্যবহারকারীদের বাস্তবে পেমেন্ট করে থাকে।
এবং সেই সকল সাইটে টাকা ইনকাম করতে কোন প্রকার ডিপোজিট করার দরকার হয় না। এই সাইটগুলোতে কাজ করতে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সহজ কিছু প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানাবো, যেখানে কাজ করে আপনি খুব সহজে পেমেন্ট নিতে পারবেন এবং কাজ গুলো খুব ছোট ছোট। যে কেউ উক্ত কাজগুলো করতে পারে।
তবে মাথায় রাখতে হবে, এই সাইটগুলো থেকে আয় এর পরিমাণ খুবই কম হয়,,এজন্য আপনি চাইলে একাধিক সাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন আয় বৃদ্ধি করার জন্য। তবে এই সাইটগুলো থেকে ইনকামের একটি সুবিধা হল আপনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে এখন টাকা ইনকামের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
যেখানে আপনি টাইপিং করে, ডাটা এন্ট্রি করে, রেফার করে, ভিডিও দেখে, এড দেখে, ট্রানসলেশন করে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ইনকামের অর্থ আপনি বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে এই আর্টিকেলে আমরা খুঁটিনাটি আলোচনা করেছি। চলুন নিম্নে বর্ণিত উক্ত সাইটগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
1) Swagbucks site:
অনলাইন থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় মাইক্রো-টাক্স প্ল্যাটফর্ম হল Swagbucks. এ সাইটের জনপ্রিয়তা অনেক। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাহিরে অসংখ্য মানুষ এর সাইটের সাথে যুক্ত। বিভিন্নভাবে এই সাইট থেকে ইনকাম করা যায় যেমন সার্ভে করে, লটারি খেলে, গেম খেলে, রেফার করে, অ্যাড দেখে, অ্যাপ টেস্ট করে আয় করা যায়। এ সাইটে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে নাম, জিমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। Swagbucks সাইট সম্পর্কে আরো খুঁটিনাটি তথ্য জানতে ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন।
2) Taskbucks site:-
অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো Taskbucks. ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার দক্ষতা থাকলে যথেষ্ট। এই সাইটের কাজ গুলো খুব সহজ এবং অল্প সময়ের। যে কেউ তাদের অবসরে সময়ে এই কাজ গুলো বাড়তি ইনকাম করতে পারে। Taskbucks site টি প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর ছোট ছোট কাজ যেমনঃ- ভিডিও দেখে, গেম খেলে, অ্যাপস ইন্সটল করে, কুইজ খেলে আপনাকে ইনকাম করতে হবে। যখন আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ টাকা জড়ো হবে তখন আপনি তা উত্তোলন করতে পারবেন।
3) Expert option site:
যারা অনলাইনে ট্রেডিং করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ সাইটটি সেরা হতে পারে। মূলত, আপনাকে এ সাইটের টাকা বিনিয়োগ করে আয় করতে হবে। আপনারা যারা বিনিয়োগ করে টাকা ইনকাম করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই সাইটটি সেরা হতে পারে, আশা করা যায়। এই সাইটে নিজস্ব একটি এপস রয়েছে। আপনি যদি অ্যাপস এ কাজ করতে চান তাহলে উক্ত এপ্সটি আপনাকে মোবাইলে ডাউনলোড করতে হবে। যারা ট্রেডিং বুঝেন না,, তাদের জন্য এই প্লাটফর্ম টি উপযুক্ত নয়। কারণ, এতে আর্থিক লসের সম্ভাবনা থাকে।
4) Winzo site:
মূলত এটি একটি গেমিং সাইট। এই সাইটে ১০০+ গেমস রয়েছে। এখানে মূলত আপনাকে গেম খেলে আয় করতে হবে। গেম খেলার মাধ্যমে আপনার এখানে পয়েন্ট দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এ পয়েন্টগুলো ডলারে এক্সচেঞ্জ করে পেপালের মাধ্যমে বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনারা যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ প্লাটফর্মটি সেরা হতে পারে।
5) Timebucks site:-
এটাও Swagbucks সাইট এর মতো। Timebucks এর নিজস্ব অ্যাপস রয়েছে। এই প্লাটফর্ম থেকে ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারবেন। প্রথমে আপনা কে এই Timebucks অ্যাপস টি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এখানে কাজ করতে কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই। তবে এই অ্যাপস সম্পর্কে যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে তাহলে ইউটিউবে সার্চ করে বিস্তারিত ভিডিও দেখে নিতে পারেন এবং কিভাবে ইনকাম করবেন, কিভাবে পেমেন্ট উত্তোলন করবেন সেখানে বিস্তারিত দেয়া আছে।
6) Free cash site:
Freecash সাইট সম্পর্কে অনেকে ইতিবাচক রিভিউ দিচ্ছে। এই সাইটে টাকা ইনকাম করতে কোন প্রকার টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না। এখানে আপনি সার্ভে করে, ছোট ছোট টাক্স সম্পূর্ণ করে আয় করতে পারবেন। অর্থ উপার্জনের জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হল Freecash. তাছাড়া এ সাইটে নিজস্ব একটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যেটা আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ডাউনলোড করে গেম খেলে, app টেস্ট করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে এই সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর টাকা ইনকাম করে আপনার আয়কৃত অর্থ বিকাশে নিতে পারবেন।
7) Gigclickers site:-
ইহা মাল্টি টাস্ক প্লাটফর্ম। সব ধরণের কাজের চাহিদা এই প্লাটফর্মে রয়েছে। এখানে আপনি ভিডিও দেখে, সার্ভে করে, এড দেখে, অ্যাপস ডাউনলোড করে আয় করতে পারবেন। আপনার আয়কৃত টাকা বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। কাজেই এই সাইটটি নিজে যাচাই করে দেখতে পারেন।
8) Sproutgigs site:
অনেকে Sproutgigs site কে ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর সাথে তুলনা করে। কারণ, ফাইবার মার্কেটপ্লেসে যেভাবে গিগ তৈরি করতে হয়, Sproutgigs এই সাইটে সেভাবে গিগ তৈরি করতে হয়। গিগে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে, ডাটা এন্ট্রি করে, আর্টিকেল লিখে, রিলস ভিডিও তৈরি করে, ইউটিউবের থাম্বনেইল তৈরি করে, এসইও করে আয় করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের কাজের চাহিদা অনেক। যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার জড়ো হবে তখন পেওনিয়ার এর মাধ্যমে উত্তোলন করে বিকাশে উইড্রো করতে পারবেন।
9) Slidejoy site:-
ভিডিও দেখে ইনকাম করার একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম হলো Slidejoy site. মূলত এই সাইটে এড/ভিডিও চালু হবে উক্ত এড/ভিডিও তে ক্লিক করে আপনাকে ইনকাম করতে হবে। তো আপনারা যারা ভিডিও দেখে ইনকাম করতে আগ্রহী তারা এই প্লাটফর্মটি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। এখানে আপনাকে কাজের বিনিময়ে পয়েন্ট দেয়া হবে যখন আপনার একাউন্টে নিদিৃষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট জড়ো হবে তখন আপনি তা ডলারে এক্সচেঞ্জ করে বিকাশে উইড্রো নিতে পারবেন।
10) Clickworker site:
ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার একটি বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো Clickworker. এই মার্কেটপ্লেস এ আপনি টেক্সট তৈরি করে, সার্ভে করে, রিসার্চ করে, রেফার করে আয় করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে Clickworker এ সাইটটি সাইন আপ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট শর্ত মোতাবেক কাজ করার পর তবে আপনি পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। কাজ করার পূর্বে উক্ত ওয়েবসাইটের নীতিমালা গুলো পড়ে নিবেন। আপনি আপনার আয়কৃত টাকা বিটকয়েন এর মাধ্যমে উত্তোলণ করে বিকাশে সংগ্রহ করতে পারবেন।
11) Kucoin site:-
এটি একটি ইনভেস্ট সাইট। আপনারা যারা বিনিয়োগ করে ইনকাম করতে আগ্রহী তারা Kucoin site টি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। তবে এখানে আপনাকে ট্রেডিং কিভাবে করতে হয় তা শিখতে হবে। যেহেতু এই প্লাটফর্মে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, তো আপনারা যারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা ভেবে দেখতে পারেন। তবে ইনকামের পাশাপাশি আর্থিক লসের সম্ভাবনা রয়েছে, এই সাইটে। তাই পুরোপুরি ট্রডিং না জানলে এই প্লাটফর্মটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে না।
12) Gotranscript site:
মূলত এটা টাইপিং করে ইনকাম করার একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি বিভিন্নভাবে ইনকাম করা যায় যেমনঃ- অনুবাদক হিসেবে, এডিটর হিসেবে, টাইপিং জব করে ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। এজন্য প্রথমে এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে সাইন আপ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটের কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে সহজ সহজ কিছু কাজের টেস্ট দেওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ- দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করুন দুর্দান্ত ৪৫টি উপায়ে
যদি আপনি উক্ত কাজের জন্য সিলেক্টটেড হন তবে আপনি কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম করে Gotranscript থেকে ইনকাম করা যায়। আপনার উপর যত অর্থ সহজে পেপাল অথবা পেওনিয়ার এর মাধ্যমে উত্তোলন করে বিকাশে উইড্রো নিতে পারবেন। কাজেই, এই ওয়েবসাইট কে টাকা ইনকামের জন্য একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম বলা চলে।
13) ySense site:-
এই সাইটে আপনি ফ্রি সার্ভে করে, পেইড সার্ভে করে আয় করতে পারেন। তাছাড়া, আপনি ভিডিও দেখে, গেম খেলে এই সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ছোট ছোট প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে হাত খরচ জোগানোর জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অবসর সময়ে এই সাইটে কাজ করে অর্থ ইনকাম করে বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে উত্তোলন করে বিকাশে উইড্রো নিতে পারবেন।
14) Jumptask site:
অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার একটি মাধ্যম হলো Jumptask. এই সাইটে কাজ করতে কোন প্রকার ডিপোজিট করতে হয় না। এই সাইটের জনপ্রিয়তা অনেক। এই সাইটে আপনি অ্যাপ টেস্টিং করে, ডাটা এন্ট্রি করে, গেম খেলে, টাইপিং করে, ট্রান্সলেশন করে ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইটে কাজ করে ইনকাম করা খুবই সহজ।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 - দেরি করলে মিস !
কাজ করার পূর্বে উক্ত সাইটটি আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই সাইটে আপনি ছোট ছোট কাজের অপশন দেখতে পারবেন, সে কাজগুলো করার বিনিময়ে আপনি ডলার পাবেন। এই সাইট থেকে আপনার আয়ের টাকা ক্রিপ্টো-কারেন্সির মাধ্যমে উত্তোলন করে বিকাশে ট্রান্সফার করতে হবে। এভাবে আপনি Jumptask site থেকে আয় করতে পারেন।
15) Work up job site:-
মাইক্রো টাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হলো Work up job site. এই সাইটে কাজ করে আপনি দিনে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে এই সাইটে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে,, একাউন্টে ড্যাশবোর্ডে গেলে বিভিন্ন ধরণের কাজ আপনি পাবেন যেমনঃ- ফেসবুক/ইউটিউবে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার,, ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব, ওয়েবসাইট ভিজিট, অ্যাপস ডাউনলোড, ফেসবুক পেজ ফলো, রিভিউ ইত্যাদি। এই কাজ গুলো করতে বিশেষ কোন দক্ষতা বা অভিজ্ঞার প্রয়োজন হয় না। আপনার উপার্জিত অর্থ বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে বিকাশে রুপান্তর করতে পারবেন।
16) Rewardy site:-
অনলাইনে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার একটি বিশ্বস্ত সাইট হলো Rewardy. এই সাইটে আপনি বিভিন্নভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন যেমনঃ- সার্ভে করে, গেম খেলে, ভিডিও দেখে, রেফার করে ইত্যাদি। এই কাজগুলো করতে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকলে এ কাজগুলো আপনি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম apps ২০+ ২০২৫ সালের জন্য দেখে নিন
প্রথমে, এ সাইটে প্রবেশ করে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনাকে ছোট ছোট কাজগুলো করে পয়েন্ট কালেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে উক্ত পয়েন্টগুলো আপনাকে ডলারের রূপান্তর করে নিতে হবে। আপনার উপার্জিত অর্থ এই সাইট থেকে সরাসরি বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন না, তবে আপনাকে পেপালের মাধ্যমে ডলার উত্তোলন করে বিকাশে ট্রান্সফার করতে হবে।
অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম ( 17 - 27 )
আমরা সচরাচর অনলাইনে বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। উপরে আমরা ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করার কিছু সাইট সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেখানে কাজ করে আপনি হাত খরচ চালানোর মত ইনকাম করতে পারবেন। তবে বিশ্বস্ত ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলো থেকে আপনি প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার উপার্জিত অর্থ সরাসরি নিজ ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
17) Google Adsense:- গুগল থেকে টাকা ইনকামের একটি বিশ্বস্ত এড-নেটওয়ার্ক। এই এড-নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গুগল সব থেকে বেশি পেমেন্ট করে থাকে। আপনি নিজেও চাইলে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। কনটেন্ট মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আয় করার একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম হলো Google Adsense. যখন আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউবে ১০০ ডলার যুক্ত হবে তখন আপনি Google Adsense থেকে সরাসরি নিজ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
18) Adsterra.com:- এড মনিটাইজেশন নেটওয়ার্ক। গুগল এই এড-নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। অনেক ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে Adsterra এড নেটওয়ার্ক যুক্ত করে থাকে। আপনিও চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য Adsterra এড নেটওয়ার্ক সেট-আপ করতে পারেন। যখন আপনার একাউন্টে ৫ ডলার অথবা ১০০ ডলার যুক্ত হবে তখন আপনি পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন। কারণ, এখানে পেমেন্ট উত্তোলনের দুটো অপশন চালু আছে।
আরো পড়ুনঃ- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ২৫+ উপায় ২০২৫ সালে
19) Google AdMob:- এটিও একটি এড-নেটওয়ার্ক। তবে এই এড-নেটওয়ার্ক টি মোবাইল অ্যাপসের জন্য। যেমনঃ- ইমো, ইমো চালু করার সময় দেখবেন বিভিন্ন ধরণের এড চলছে মূলত এটা Google AdMob এর কারণে চলছে। মূলত অ্যাপস ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপসে এই ধরণের Google AdMob চালু ইনকামের জন্য। যখন আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জড়ো হবে তবেই এই এড-নেটওয়ার্ক থেকে পেমেন্ট উত্তোলন করতে পারবেন।
20) Blogger.com: মূলত আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার জন্য জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হল Blogger.com. আপনি যদি লেখালেখির কাজ করে আয় করতে চান তাহলে Blogger.com এ প্লাটফর্মে আপনার জন্য। আজকাল অনেকে ব্লগিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকায় ইনকাম করছি। আপনিও চাইলে Blogger.com এ সাইন ইন করে ডোমেইন, হোস্টিং, থিম ক্রয় করে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা শুরু করে দিতে পারেন।
যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণে ট্রাফিক অথবা ভিজিটর আসবে তখন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রোভ করিয়ে ব্লগিং থেকে আয় শুরু করে দিতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এডস্ট্রা এড নেটওয়ার্ক চালু করে আয় করতে পারেন।
21) YouTube.com: ভিডিও দেখে ইনকাম করার জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হল YouTube.com. আপনি যেকোনো ধরনের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন যেমনঃ- হতে পারে সেটা অনলাইনে পাঠদান, হতে পারে সেটা শিক্ষা মূলক, হতে পারে সেটা বিনোদনমূলক, হতে পারে নিউজ, হতে পারে ব্যক্তিগত ব্লগ ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ- ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট ২০২৫ ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
আপনার যে বিষয় জ্ঞান আছে সে বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম হবে তখন গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেকে ইউটিউবিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া, আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে স্পন্সরশিপ করে, অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
22) Facebook.com: জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে এড নেটওয়ার্ক চালু করার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি নিজে শুধু একটি বিজনেস থাকে, তাহলে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টি ফেসবুকে প্রচার প্রচারের মাধ্যমে ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার ব্যাপক পরিচিতি থাকে তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার, ব্রান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারবেন।
23) Fiverr.com: বিশ্বের সবথেকে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো Fiverr.com. সব ধরনের কাজের চাহিদা এ মার্কেটপ্লেস এ রয়েছে যেমনঃ- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, এসইও, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোতে দক্ষ হতে হবে। আপনি যা টাকা উপার্জন করবেন, তা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে বিদেশি ক্লায়েন্টদের নিকট থেকে কাজ আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে।
24) Upwork.com: এটা একে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। ঘরে বসে আপনি এ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাহিরে অনেকে Upwork.com মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে ইনকাম করছে। আপনিও এ মার্কেটপ্লেসে কাজ করে সরাসরি নগদ টাকা ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো জানতে হবে যেমনঃ- আর্টিকেল লেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি এ ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো আপনাকে জানতে হবে। সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা Upwork.com এ মার্কেটপ্লেসে রয়েছে। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বিদেশী ক্লায়েন্টদের নিকট থেকে কাজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন। সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা Upwork.com এই মার্কেটপ্লেসে রয়েছে।
25) Freelancer.com: আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে Freelancer.com আপনার জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। এখানে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই, আপনি যদি Freelancer.com এ সাইট থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে হবে। হতে পারে তা ডিজিটাল মার্কেটিং, হতে পারে তা এসইও, হতে পারে তা ভিডিও এডিটিং, হতে পারে তা গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। আপনি যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজে দক্ষ হলে এ সকল মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। কাজেই, প্রযুক্তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমাদের উচিত অনলাইন থেকে ইনকামের চেষ্টা করা।
26) Pathao.com:- মূলত এটা একটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ। রাইড শেয়ারিং এটা ড্রাইভিং সেবা দেয়ার মত, যা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। আপনার যদি একটা মোটরসাইকেল অথবা গাড়ি থাকে তাহলে Pathao.com এ রাইড শেয়ারিং করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি রাইড শেয়ারিং করতে চান তাহলে Pathao.com এ আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে। যাত্রীরা রাইড শেয়ারিং এর জন্য আপনাকে নক দিবে,,তখন আপনি তাদের সেবা দিবেন।
27) Bikroy.com:- পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো Bikroy.com. আপনি যদি আপনার ব্যবহার করা পুরাতন জিনিস পত্র বিক্রয় করতে চান তাহলে Bikroy.com এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট আপনি Bikroy.com এ বিক্রি করতে পারেন যেমনঃ- ঘড়ি, সাইকেল, টেবিল, গাড়ি, আরও অন্যান্য জিনিস। এখানে আপনি একটি একাউন্ট খুলে সেখানে আপনার বিক্রয়কৃত প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করবেন,,, এবং যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা দিয়ে দিবেন,,,ক্রেতারা তখন আপনার সাথে যোগাযোগ করে পন্য ক্রয় করে নিবে।
28) ওয়েবসাইট বিক্রি করে বিকাশে পেমেন্ট
অনেকে একাধিক ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে। ফলে অনেক সময় ওয়েবসাইট গুলো তে সময় দেয়া হয় না। আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিদিৃষ্ট পরিমাণ কনটেন্ট পাবলিশ গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করিয়ে নিয়ে তা পুনরায় অন্যদের নিকট বিক্রি করতে পারেন। যদি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করা থাকে,,,ওয়েবসাইট যদি নতুন হয় তাহলে ২০/২৫ হাজার টাকায় ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ( ১০০% বিশ্বস্ত উপায় )
অন্য দিকে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বয়স যদি বেশি হয় তাহলে ৭০/৮০/৯০/১ লক্ষ টাকায় ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের দাম এটা পুরোটা নির্ভর করবে ওয়েবসাইটের বয়স, ওয়েবসাইটের কত গুলো কনটেন্ট রয়েছে, কনটেন্ট গুলো কোন ক্যাটাগরির, ওয়েবসাইটে কেমন ট্রাফিক আসছে এই বিষয়গুলোর উপর। আপনার ওয়েবসাইট যত বেশি হাই প্রোফাইল হবে,,তত বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
29) কনটেন্ট বিক্রি করে আয়
যারা প্রফেশনাল ব্লগার তারা মূলত তাদের কনটেন্ট বিক্রি করে থাকে। আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার লেখা কনটেন্ট গুলো অন্যদের নিকট বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ধরুণঃ- আপনাকে কেউ বলল, আমাকে “ জাম খাওয়ার উপকারিতা ” নিয়ে আমাকে একটি কনটেন্ট লিখে দাও। সেই আপনাকে সময় বেঁধে দিবে, উক্ত সময়ের মধ্যে কনটেন্ট লিখে জমা দিতে হবে। তাছাড়া, আপনার লেখা কনটেন্ট গুলো অন্যদের নিকট বিক্রি করে বিকাশে পেমেন্ট কালেক্ট করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় নগদে ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
কনটেন্ট কত টাকায় বিক্রি করবেন এটা নির্ভর করবে কনটেন্ট কত শব্দের, কনটেন্ট কতটা ইউনিক ইত্যাদি সহ আরোও অন্যান্য বিষয়ের উপর। উদাহারণস্বরুপঃ- যদি কনটেন্ট ১২০০ শব্দের হয় তাহলে ঐ কনটেন্ট ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন, যদি ২০০০ শব্দের হয় তাহলে ঐ কনটেন্ট ১২০ টাকার উপর বিক্রি করতে পারবেন। এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার উপর। এজন্য আপনার নিজস্ব একটি ব্লগার ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমনঃ- ফেসবুকে কনটেন্ট বিক্রি সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা করবেন।
30) ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করে আয়
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, সেখানে যদি গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করানো থাকে তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল অনেক বড় হয় তাহলে আরো বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল কত টাকায় বিক্রি করা যাবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের বয়স কত, কত গুলো ভিডিও রয়েছে, কি পরিমাণ ট্রাফিক পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয়ের উপর।
আরো পড়ুনঃ- রিয়েল টাকা ইনকাম app & website ( বিস্তারিত গাইডলাইন )
যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অল্প পরিমাণে ভিডিও থাকে, গুগল এডসেন্স এপ্রোভ করানো যদি থাকে, এডসেন্স থেকে যদি মোটামুটি ভালো ইনকাম হয় তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল আরো বড় হলে, আরো বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। সুতারাং অনলাইন জগতে এই ব্যবসা গুলো মন্দ নয়। এজন্য প্রয়োজন লেগে থাকা, সঠিক কৌশল অনুসরণ করা।
31) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে এই ওয়েবসাইটের একাধিক কনটেন্টে আলোচনা করেছি। সাধারণ ভাষায়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলোঃ- যদি আমি আপনার প্রোডাক্ট/পন্য বিক্রি করে দিই, খুশি হয়ে আপনি আপনাকে কমিশন দিবেন এটা হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং গুলা হচ্ছে অনলাইনে। বর্তমানে অনেক বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে, উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ- ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার কার্যকরী ইউনিক আইডিয়া গুলো দেখুন
যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হয়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য। এরপর উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টের বিভিন্ন লিংক আপনি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব, ব্লগ, ইনস্টাগ্রাম শেয়ার করবেন, যদি কেউ উক্ত লিংকে করে উক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট ক্রয় করে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন, এটা হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য জনপ্রিয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম হলো দারাজ।
32) ব্রান্ড প্রমোট করে আয়
বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো বা নতুন লঞ্চ করা হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের ব্যবসা বা পন্যের প্রচার-প্রচারণার জন্য অনলাইনে মার্কেটিং করে থাকে। মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখদের। আপনি নিজেও যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ হতে চান ? আপনার যদি অসংখ্য ফলোয়ার থাকে তাহলে ব্রান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। ব্রান্ড প্রমোটার করার জন্য প্রয়োজন অসংখ্য ফলোয়ার। যখন আপনি ব্রান্ড প্রমোটার হিসেবে কাজ করবেন তখন নিজ ইচ্ছে স্বাধীন ডিমান্ড করতে পারবেন।
33) অনলাইনে শিক্ষকতা করে আয়
সময় বাঁচানোর জন্য মানুষ এখন অনলাইনে পাঠদানের দিকে ঝুঁকছে। আগে পাঠদান কর্মসূচী গুলো হত অফলাইনে। কিন্তু, প্রযুক্তির ছোয়ায় এখন অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচী গুলো পরিচালিত হচ্ছে। আপনি যদি কোন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখাতে চান ? তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে শিখাতে পারবেন, নিদিৃষ্ট ফি এর বিনিময়ে, উক্ত ফি গুলো আপনি বিকাশে নিতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, আরবি শিক্ষকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি অনলাইনে ক্লাস গুলো ইউটিউব অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ- সেরা ৩০+ নিরাপদ উপায়ে এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন
যখন কেউ আপনাকে প্রাইভেট ফি প্রদান করবে আপনি তাদের ক্লাসে জয়েন করার একসেস দিয়ে দিবেন এবংআপনার প্রাইভেট ক্লাস গুলো যেন রেকর্ডেড থাকে। মানুষ সাধারণত রেকর্ড ক্লাস গুলো পাওয়ার জন্য অনলাইন পাঠদান কে বেছে নিয়েছে। তাছাড়া, অফলাইনে ক্লাসে একদিন না গেলে শিক্ষকের কাছ থেকে ঐ পড়া পুনরায় পাওয়া যায় না, সহপাঠীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। এ কারণে অনলাইনে পাঠদান অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে কোন প্রকার প্রতারণার আশ্রয় নেয়া যাবে না, নতুবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হতে পারে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
34) টেলিগ্রাম থেকে আয়
ফেসবুকে যেমন গ্রুপ তৈরি করা হয়, অনুরুপভাবে টেলিগ্রামে গ্রুপ তৈরি করে আয় করতে পারবেন। টেলিগ্রাম গ্রুপে যত মানুষ যুক্ত হবে তত মার্কেটিং করা সহজ হবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে টেলিগ্রামে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এরপর ফেসবুক গ্রুপের মত এটি পরিচালনা করবেন। টেলিগ্রাম থেকে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি টেলিগ্রাম ্চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করবেন উক্ত লিংকে ক্লিক করে কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করলে বিনিময়ে আপনি কমিশন পাবেন,,এই ভাবে ইনকাম করতে পারেন।
35) টিকটক থেকে আয়
মূলত শর্ট ভিডিও দেখার জন্য সেরা মাধ্যম হলো টিকটক। আপনি যদি টিকটক থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে টিকটকে একটি একাউন্ট খুলে ভেরিফাই করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে ছোট ছোট শর্ট ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে হবে। যখন ভালো পরিমাণে ভিউজ পাওয়া যাবে, তখন এড নেটওয়ার্ক চালু করার মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারেন। তাছাড়া, টিকটকের পরিচিত মুখরা ব্রান্ড প্রমোটার হয়েও কাজ করছে।
সতর্কবার্তা - অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট
অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য বিশ্বস্ত অ্যাপস বা সাইট নির্বাচন করা দরকার। যে ভাবে বিশ্বস্ত অ্যাপস বা সাইট নির্বাচন করা উচিত তা হলোঃ-
- উক্ত অ্যাপস বা সাইটের রিভিউ, রেটিং স্কোর, কমেন্টস চেক করে নিবেন। যদি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় তবেই কাজ করবেন।
- উক্ত অ্যাপস বা সাইটের পেমেন্ট মেথড, নীতিমালা গুলো ঠিক মতো পড়ে নিবেন।
- কোন পার্সোনাল তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
- যদি পেমেন্ট না করে তাহলে উক্ত অ্যাপস বা সাইটে কাজ করা বন্ধ করুন।
- প্রত্যেকটি অ্যাপস বা সাইট আপনাকে নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করতে হবে। আপনার আর্থিক ক্ষতির জন্য আমরা দায়ী নয়।
তবে অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য বিশ্বস্ত মাধ্যম গুলো হলোঃ- Google Adsense, Adsterra.com, google Admob, Blogger.com, Facebook.com, Youtube.com, Fiverr.com, upwork.com, Freelancer.com, Pathao.com, Bikroy.com ইত্যাদি। তাছাড়া ওয়েবসাইট বিক্রি, কনটেন্ট বিক্রি, ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, টেলিগ্রাম থেকে আয়, ব্রান্ড প্রমোটার, অনলাইনে শিক্ষকতা ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য - অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট
প্রযুক্তির দুনিয়ায় আমরা সকলে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চায়। কিভাবে ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিব সেই বিষয়ে অনেকে জানে না। আশা করি আর্টিকেলটি থেকে অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং সাইট ব্যবহারে পূর্বে কিভাবে সতর্কতা অবলম্বন করবেন সেই বিষয়ে জেনেছেন।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অন্যদিন অনলাইন ইনকাম নিয়ে ভিন্ন কোন আর্টিকেল দেখতে পারবেন। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন। নিতুনতুন তথ্য আরও পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন নিয়মিত। অসংখ্য ধন্যবাদ, সকলকে। 19.11.25

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url