মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ৩০+ কার্যকরী উপায়

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে চান ? যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখান থেকে আপনি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার সেরা ৩০+ কার্যকরী উপায়

পোস্ট সূচিপত্র: আমি এই আর্টিকেলে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

যেভাবে বেকারত্বের হার বাড়ছে এখন মাসে ১০ হাজার টাকা আয়ের কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। তাই আমরা অনেকে ইন্টারনেটে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় লিখে সার্চ করে থাকি। মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম থাকলে একটি ছোটখাটো পরিবারের খরচ খুব সহজে বহন করা যায়।

সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাওয়া এখন যেন সোনার হরিণ। যে হারে বেকারত্ব বাড়ছে সেই ভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। আপনি যদি একজন সত্যিকারের পরিশ্রমী হয়ে থাকেন, আপনার উচিত হবে চাকরি পেছনে অযথা সময় অপচয় না করে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আশা করি মাসে ১০ হাজার টাকার 

বেশি আয় করতে পারবেন। আপনি যদি নিজেই নিজের কর্মসংস্থান বেছে নিতে পারেন এটাই আপনার জন্য মঙ্গল হবে। এই আইডিয়া আপনাকে পেশাদার উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবে। সহজ কিছু কিছু কাজ বেছে নিলে মাসে 10000 টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না। মাসে ১০০০০ টাকা ইনকামের জন্য চাকরির চাইতে নিজস্ব 

একটি কর্মসংস্থান থাকাটা অনেক ভালো। আপনার যদি নিজের একটি আলাদা কর্মসংস্থান থাকে আপনি সেখানে প্রতি মাসে 10000 টাকার বেশি ও আয় করতে সক্ষম হবেন। অনেক শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা চাকরির পিছনে না ছুটে বর্তমানে তারা আত্মকর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকছে। কারণ, এই পেশাতে রয়েছে নিজস্ব সম্মান এবং আত্মমর্যাদা। 

এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে যে উপায়ে অবলম্বন করে একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে 10000 টাকার বেশি রোজগার করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত। এজন্য আপনাকে শুরুর দিকে একটু বেশি শ্রম দেওয়া লাগবে। একসময় আপনি অনায়াসে প্রতি মাসে 10000 টাকার মতো আয় করতে সক্ষম হবেন।

১) ইউটিউবে ভিডিও নির্মাণ করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করুন

নিজের ইচ্ছামতো যে কোন বিষয়ে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ করে ইউটিউবে আপলোড করে মাসে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা যায়। যারা ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিষয়ের সচেতন তারা প্রত্যেকে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে আয় করে। ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ এবং ইউটিউব চ্যানেলে 

আপলোড পুরো বিষয়টি শিখার রয়েছে। আপনি কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করবেন সে বিষয়ে কোনো ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট থেকে শিখতে পারেন অথবা ইউটিউবে সার্চ করে বেসিক বিষয়গুলো শিখে নিতে পারেন। যখন আপনার ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও কনটেন্ট এ বেশি

আরো পড়ুন: কোটি টাকা আয় করার ২১টি কার্যকরী বিশ্বস্ত উপায় জেনে নিন

ভিউজ হবে তখন আপনি ইনকামের কথা ভাবতে পারেন। Youtube থেকে ইনকামের জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। যখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে তখন আপনার ইনকাম শুরু হবে। যত ভিউজ তত বেশি আয়। আপনার একাউন্টে যখন একশ ডলার পূর্ণ 

হবে তখন আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এজন্য শুরু থেকে আপনাকে ভিডিও কনটেন্ট গুলো নির্মাণ করা শিখতে হবে এবং কোন কোন ভিডিও কন্টেন্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি সে বিষয়টি আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। দর্শক যেন আপনার ভিডিও কনটেন্ট পছন্দ করে সেভাবে নির্মাণ করতে হবে। যারা বড় বড় ইউটিউবার তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।

২) ওয়েবসাইট থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

আগে মানুষের নিকট ওয়েবসাইটের গুরুত্ব না থাকলেও, বর্তমানে মানুষের মতো ওয়েবসাইটের গুরুত্ব অনেক। যারা অনলাইনে আর্টিকেল লিখে বা লেখালেখির কাজ করে আয় করতে চান তারা ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন। যে কোন বিষয়ের উপরে আর্টিকেল লিখতে 

পারেন যেমন: নিউজ, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, অনলাইন ইনকাম, প্রোডাক্ট রিভিউ ইত্যাদি। ওয়েবসাইট থেকে একাধিক ভাবে ইনকাম করা যায় যেমন: গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিজনেস প্রোডাক্ট সেল ইত্যাদি। অধিকাংশ ওয়েবসাইটের মালিকেরা গুগল 

এডসেন্স ইনকাম করে। এজন্য আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। সেখানে আপনি নিয়মিত বাংলা বা ইংরেজি ভাষা আর্টিকেল পাবলিশ করবেন যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমানে ভিজিটর আসবেন তখন গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করিয়ে ওয়েবসাইট থেকে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন।

৩) কনটেন্ট রাইটিং করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

আপনার যদি নিজের কোন ব্লগার ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে অন্যের ওয়েবসাইটে মাসিক বেতনে আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে জব করতে পারবেন। আপনি যদি লেখালেখির কাজ করে আয় করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখানে আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে 

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো যেমন: ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক এ একজন ইংলিশ আর্টিকেল রাইটার হিসেবে জব করতে পারেন। যেহেতু মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান অনেক বড়, আশা করি আপনি ইংরেজি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন।

৪) ফেসবুক থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

আজকাল ফেসবুকে বিভিন্নভাবে আয় করা সম্ভব হচ্ছে যেমন: ভিডিও আপলোড করে এড মনিটাইজেশন চালুর মাধ্যমে মানুষ এখন ফেসবুক থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া, আপনি চাইলে নিজের ফেসবুক পেজ সেল করে আয় করতে পারবেন। অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে ফেসবুক পেজ থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।

৫) অস্থায়ী চায়ের দোকান থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

চা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট ছোট জায়গায়, অস্থায়ী অনেকগুলো চায়ের দোকান দেখা যায়। আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন, কোন চাকরি না পান, তাহলে আপনি অস্থায়ী টি স্টল খুলে প্রতি মাসে অনায়াসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন। চায়ের সাথে যদি হালকা নাস্তা যেমন: 

আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে দুর্দান্ত সেরা ৫০টি app এর তালিকা

বিস্কুট, পাউরুটি, কেক সাথে যুক্ত করেন তাহলে আশা করি মাসে 10000 টাকার বেশি আপনি আয় করতে পারবেন। চা বানানোর কোয়ালিটি যদি ভালো হয় তাহলে আরো বেশি বিক্রি সম্ভব। যত বেশি বিক্রি তত বেশি ইনকাম। চায়ের মধ্যে ভ্যারাইটি যেমন: লাল চা, দুধ চা, গ্রীন টি যদি রাখতে পারেন তাহলে আরো ভালো। 

৬) মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

ফলের মৌসুমী: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বাঙ্গি ইত্যাদি সহ আরো অনেক ধরনের ফল বাজারে উঠে। আপনি মৌসুমীর ফলের ব্যবসা করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন স্বল্প পুঁজির মূলধন। ধরুন, আপনি প্রথমে ১০ কেজি আম নিয়ে ব্যবসা শুরু করুন, ১০ কেজি আমের 

দাম ৪০*১০ = ৪০০ টাকা। আপনি বাজারে এই আম ৫০*১০ = ৫০০ টাকায় বিক্রি করবেন। এভাবে আপনি ব্যবসা গুলো গ্রো করবেন। এই আম গুলো অবশ্যই সরাসরি আম বাগান থেকে ক্রয় করবেন। আমগুলো যেন তাজা, সুস্বাদু, খেতে মিষ্টি হয়। অর্থাৎ, আমি যদি খেতে মিষ্টি হয় তবে কাস্টমার আপনার কাছ থেকে ক্রয় করবে।

৭) শরবতের দোকান থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

শরবত গ্রীষ্মকালের অতি প্রয়োজনীয় পানীয়। সকলে শরবত খেতে পছন্দ করে। আপনি যদি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে চান তাহলে অল্প কিছু অর্থ বিনিয়োগ করে রাস্তার ধারে, যেখানে প্রচুর পরিমাণ পর্যটকদের সমাবেশ হয়, বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেমন: 

হাসপাতাল, বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির সামনে শরবতের দোকান দিয়ে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের শরবত বিক্রি হয় যেমন: লেবুর শরবত, অ্যালোভেরা শরবত, বেলের শরবত, আনারসের শরবত অর্থাৎ সব ধরনের ফলের শরবত তৈরি করে বিক্রি করা যায়। 

৮) টিউশনি/প্রাইভেট পড়িয়ে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

ছাত্র পড়ানো বা টিউশনি এটি বর্তমানে শিক্ষিত স্টুডেন্টদের জন্য একটি চমৎকার পেশা হতে পারে। যারা একটু পড়াশোনায় ভালো তারা টিউশনি করিয়ে মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারে। বর্তমানে টিউশনি পেশার চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যে বিষয়ে 

টিউশনি করাবেন সে সাবজেক্টের উপর আপনার বেসিক নলেজ খুব ভালো হওয়া লাগবে। ধরুন, আপনি গণিত, ইংরেজি, হিসাব বিজ্ঞান, ফিজিক্স, বায়োলজি খুব ভালো পারেন এ সাবজেক্টগুলোর চাহিদা অনেক। যদি আপনার স্টুডেন্ট সংখ্যা বেশি হয় তাহলে আশা করি এ সাবজেক্ট 

আরো পড়ুন: ২৪০ টাকা ফ্রী নগদ পেমেন্ট নিন সময়ের সেরা ১৫টি উপায়ে

গুলো থেকে আপনি প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া, ( 2 - 10  ) পর্যন্ত সব সাবজেক্টে প্রাইভেট পরিয়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি মাসে ( ১৫০০ - ২০০০ ) টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। এভাবে যত বেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে আপনি তত বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন।

৯) প্রোডাক্ট বা ফুড ডেলিভারি বয় এর জব করে আয়

আজকাল ব্যবসায় বাণিজ্য সবকিছু অনলাইন নির্ভর হওয়ার কারণে মানুষ অনলাইনের সবকিছু অর্ডার করে থাকে। সেটা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা ফুড। যেমন অনেক মানুষ দারাজ থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করে, সে পণ্যগুলো মানুষের বাসায় পৌঁছে দেয় একজন ডেলিভারি বয়। মানুষ এখন পণ্যের পাশাপাশি ফুড 

অনলাইনে অর্ডার করে। যেমন: ফুড পান্ডা সেখানে খাবার মানুষের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য একজন ডেলিভারি বয় এর প্রয়োজন। আপনি চাইলে ফুড পান্ডার ডেলিভারি বয় এর জব করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন। তাছাড়া, কুরিয়ার সার্ভিসের মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জব করেও ভালো টাকা আয় করা যায়। 

১০) ছবি বিক্রি করে মাসে আয়

হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আমরা কত না ছবি তুলেছি তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু এই ছবি বিক্রি করে আমরা কত টাকা ইনকাম করেছি ? শুনে অবাক হচ্ছেন তো 🤔 জি, সত্যি শুনছেন। আপনার মোবাইল ফোন অথবা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে আপনি প্রতি মাসে বৈদেশিক মুদ্রা হাজার 

হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। উক্ত ওয়েবসাইট গুলোতে আপনাকে একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং আপনার তোলা ছবি গুলো সেখানে আপলোড করে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ছবি বিক্রি করে আয় করার ওয়েবসাইট গুলো হল:

  • Gettyimages.com
  • Pond5.com
  • Istock.com
  • Shutterstock.com
  • 500Px.com

১১) বিজ্ঞাপন দেখে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম সম্পর্কে এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেলে আমি একাধিক বার আলোচনা করেছি। বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার জন্য অনলাইনে একাধিক এ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে বলে রাখা ভালো, এইসব অ্যাপস বা ওয়েবসাইট থেকে আপনি সামান্য পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন তবে বেশি ইনকামের জন্য আপনার উচিত হবে:

১) একাধিক জিমেইল দিয়ে ওই অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ইন্সটল করা।

২) একাধিক অ্যাপস বা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা।

তাহলে আশা করি আপনি বিজ্ঞাপন দেখে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। 

১২) লন্ড্রি ব্যবসা করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

লন্ড্রি বলতে জামা কাপড় ইস্ত্রি করা, ধৌত করা, রং করা ইত্যাদি। লন্ড্রি ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়, সব জায়গাতে লন্ড্রি পাওয়া যায় না। যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি, বড় বড় বাজার রয়েছে, ছাত্রাবাস রয়েছে এমন জায়গা লন্ড্রি ব্যবসার জন্য উপযুক্ত। 

ছোটখাটো একটি রুম ভাড়া নিয়ে আপনি লন্ড্রি এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই কাজে যদি আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আশা করি ভালো আয় করতে সক্ষম হবেন।

১৩) ফলের দোকান দিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম 

আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি এ জাতীয় শুকনো ফলের দোকান দিয়ে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আর মানুষ যখন বেড়াতে যাই তখনই শুকনো ফল গুলো নিয়ে মেহমানের বাসায় যায়। সুতরাং, এই শুকনো ফলগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। যেমন: ১ কেজি 

আপেলের দাম ২৫০ টাকা। আপনি যদি দিনে চার কেজি আপেল বিক্রি করতে পারেন তাহলে ২৫০*৪=১,০০০ টাকা। এভাবে ১০০০*৩০ দিন = ৩০,০০০ টাকা। এ ফলের দোকানগুলো আপনি অস্থায়ীভাবে দিতে পারেন। যাতে করে যে কোনো সময়ে সরিয়ে নেওয়া যায়। আশা করি শুকনো ফলের ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।

১৪) কাপড়ের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম 

আপনি যদি ছোটখাটো মূলধন নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে লুঙ্গি, গামছা, ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড়, ছেলেদের ট্রাউজার ইত্যাদি এই জাতীয় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এখানে আপনি অল্প পুঁজির ব্যবসা নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন। এগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় মানুষের ব্যবহৃত জিনিস। এই জিনিসগুলো মানুষ ক্রয় করবে, এটা স্বাভাবিক। যে সকল এলাকায় জনসমাগম বেশি ওই সকল এলাকায় এ ধরনের কাপড় গুলো ভালো চলে। আশা করি এই ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা রোজগার করতে সক্ষম হবেন। 

১৫) ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম 

যারা মোটামুটি টাইপিং করা জানে তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ কোন ব্যাপার না। যে কেউ ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো করতে পারে। ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে বেসিক তথ্য জানতে youtube-এ সার্চ করতে পারেন। ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করার জন্য জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং 

আরো পড়ুন: অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট সেরা ২৩টি তালিকা, নতুনদের জন্য পারফেক্ট

প্ল্যাটফর্ম যেমন: fiverr, upwork, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এগুলোতে খোঁজ করতে পারেন। কারণ, এ সকল জায়গায় ডাটা এন্ট্রি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি কাজে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি প্রতি মাসে শত শত ডলার আয় করতে পারবেন।

১৬) কেক এর ব্যবসা করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

কেক হচ্ছে এমন একটি মিষ্টান্ন ফুড, যা যেকোনো আচার অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হয়। যেমন: জন্মদিন, বিদায়ী দিন, অর্থাৎ যে কোন স্পেশাল দিবসকে কেন্দ্র করে কেক কাটা হয়। এই কেক গুলো ঘরে বসে খুব সুন্দর করে তৈরি করা যায়। আপনি যদি কেক তৈরি করতে পারেন আশা করি এগুলো ভালো দামে বিক্রি করে প্রতি মাসে 10000 টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন। 

১৭) গুগল এডসেন্স বা গুগল adsterra থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। এ বিষয়ে এই আর্টিকেলের উপরে পর্বে আমি আলোচনা করেছি। আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে 100 ডলার পূর্ণ হলে আপনি তা উইথড্র করতে পারবেন। অন্যদিকে adsterra থেকে ইনকামের জন্য আপনার একটি 

ওয়েবসাইট থাকলে চলবে। আপনার adsterra একাউন্টে ৫ ডলার পূর্ণ হলে আপনি তা উইথড্র করতে পারবেন। আশা করি গুগল এডসেন্স বা গুগল adsterra থেকে আপনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন।

১৮) কারিগরি কাজ থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

কারিগরি কাজ বলতে: কারেন্টের কাজ, টেইলার্স, এসি রিপেয়ারিং, মোবাইল রিপেয়ারিং, অর্থাৎ রিপেয়ারিং জাতীয় যেকোনো ধরনের কাজ করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করা অনেক সহজ। এজন্য আপনার কারিগরি কাজের মান ভালো হতে হবে। 

আপনার কারিগরি কাজের মান যত ভালো হবে আপনার জন্য ইনকাম করা অত সহজ হবে। এটি একটি দক্ষতার কাজ। আর বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে কারিগরি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশা করি কারিগরি কাজ আপনার জানা থাকলে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। 

১৯) সবজির ব্যবসা করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

সবজি খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সবজি চাষ করে। আপনি ছোট পরিসরে একটি সবজির দোকান দিয়ে আয় করতে পারেন যেমন: আলু, পটল, পেঁয়াজ, পুঁইশাক, লাল শাক, করলা, ঢ়েডশ, মরিচ ইত্যাদি। আপনি এগুলো হয় নিজে 

চাষাবাদ করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন অথবা ক্ষেত খামার থেকে পাইকারি দামে ক্রয় করে খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন। সবজি বিক্রিতে ভালো পরিমাণে লাভ রয়েছে। আপনি যদি সংসার চালানোর মতো খরচ ব্যবহার করতে চান তাহলে সবজি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২০) মাইক্রো জব টাক্স কমপ্লিট করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

বর্তমানে অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় সেগুলো হলো: ডাটা এন্ট্রি, সার্ভে করে, অ্যাপ ডাউনলোড করে, অ্যাপ টেস্টিং করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে, 

ভিডিও দেখে, গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলো ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে আপনি কাজ করে মাসে পকেট খরচ যোগানোর মতো টাকা আয় করতে পারেন। উক্ত মাইক্রো জব ওয়েবসাইট গুলো হলো:

  • Swagbucks.com
  • Inboxdollars.com
  • ySense.com
  • Survey junkie.com
  • Online Survey.com
  • MyPoints.com
  • Freecash.com
  • Paidwork.com

২১) ট্রান্সলেশন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম 

এটা একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের মত, ট্রান্সলেশন বলতে ভাষার অনুবাদকে বোঝায়। সাধারণত, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৃদ্ধির জন্য ভাষার অনুবাদ করা জরুরী। ভাষা জানার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি ওই অঞ্চলের মানুষের রুচি অরুচি, চাহিদা সম্পর্কে বিস্তারিত। ট্রান্সলেশন এই 

আরো পড়ুন: ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১৮টি ওয়েবসাইটের তালিকা

কাজের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং বাজারে অনেক যেমন: Fiverr, Upwork, freelancer.com ইত্যাদি। আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটার থাকে এবং ভাষার অনুবাদ করার দক্ষতা যদি আপনার থাকে তাহলে ট্রান্সলেশন সার্ভিস দিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। 

২২) এসইও এক্সপার্ট হয়ে ইনকাম 

সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ১ নম্বরে নিয়ে আসতে এসইও করার প্রয়োজন পড়ে। মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করার জন্য এসইও করা খুবই প্রয়োজন। আর একজন দক্ষ এসইও এক্সপার্ট এর প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর 

গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হল এসইও, এসইও এক্সপার্ট দের কাজ হল: ওয়েবসাইটের জন্য কীবোর্ড খোঁজা এবং কোন কিওয়ার্ড rank করানো যাবে সে বিষয়ে ক্লায়েন্ট কে সহযোগিতা করা। এসইও করে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।

২৩) ওয়েব ডিজানিং করে আয়

ওয়েব ডিজাইনের মার্কেট কত বড় তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। ইন্টারনেটের যুগে ওয়েব ডিজাইনের কাজে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবস্থা যতদিন থাকবে ততদিন ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। যারা দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার তারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকে। বর্তমান যুগে যার কাছে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে সে সব থেকে স্বাবলম্বী ব্যক্তি। ওয়েবসাইট ডিজাইনাররা প্রতিটি ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য ১৫ - ২০ হাজার টাকা চার্জ করে থাকে। 

২৪) ভিডিও এডিটিং জব করে আয় 

বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি হল ভিডিও এডিটিং কোম্পানি। ইন্টারনেট ব্যবস্থা যতদিন থাকবে ততদিন ভিডিও তৈরি করার প্রয়োজন পড়বে। যখন ভিডিও তৈরি করা হবে তখন ভিডিও এডিটিং করার প্রয়োজন হবে। যে যত ভালো ভিডিও 

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সময়ের সেরা ২২ টি apps

এডিটিং করতে পারে সে তত বেশি আয় করতে পারে। ভিডিও এডিটিং জব এর জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো: ফাইবার, upwork, ফ্রিল্যান্সার.কম ইত্যাদি ভিডিও এডিটিং এর জন্য সব থেকে সেরা আর্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে ভিডিও এডিটিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

২৫) প্রোডাক্ট টেস্টিং জব করে মাসে ১০ হাজার টাকা আয়

সাধারণত, যে কোন পণ্য বাজারে রিলিজ করার আগে তা টেস্টিং করা দরকার হয়। এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যারা প্রোডাক্ট টেস্টিং করে। প্রোডাক্ট টেস্টিং এর কাজটি সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা করতে পারে। এক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের কোন ধরনের ত্রুটি দেখা দিলে তা শুধরে দেওয়া এর কাজ। পরবর্তী কোম্পানিগুলো সে পণ্যের ত্রুটি গুলো শুধরে নেই। প্রোডাক্ট টেস্টিং জব করে প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করা যাবে।

২৬) অনলাইন টিউশনি করে আয়

আমরা এতদিন জেনে এসেছি অফলাইনে টিউশনি সম্পর্কে অর্থাৎ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক এর মধ্যে সরাসরি পাঠদান কর্মসূচি। বর্তমানে অনলাইনে টিউশনি চাহিদা অনেক বাড়ছে। অফলাইনে প্রাইভেট পড়তে গেলে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। মানুষ সময় 

সাশ্রয়ের জন্য অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচিকে বেছে নেয়। আপনি যদি অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ইউটিউব অথবা ফেসবুকে কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করতে হবে। যাতে মানুষ আপনার সম্পর্কে 

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সময়ের সেরা ২২ টি apps

জানতে পারে। যখন কেউ আপনাকে অনলাইনে পেমেন্ট করবে তখন আপনি তাদেরকে ক্লাস করার এক্সেস দিবেন। এভাবে অনলাইনে টিউশনি কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়। তাছাড়া কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি পাঠদান কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারেন: 

  • 10 minute school - Bangladeshi platform
  • Chegg - বিদেশি প্লাটফর্ম
  • TutorMe - বিদেশি প্লাটফর্ম
  • Vedantu - বিদেশি প্লাটফর্ম

অনলাইনে টিউশনি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ওই সাবজেক্টের উপর বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। এবং শিক্ষার্থীদেরকে পড়ানোর কৌশল জানা থাকতে হবে। আপনি অনলাইনে পাঠদান করিয়ে সফল হতে পারবেন।

২৭) হস্ত শিল্পের কাজ করে আয়

হস্তশিল্পের কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহের কোন কমতি নেই। মানুষ হস্তশিল্পের কাজ কে বেশি পছন্দ করে। হস্তশিল্প বলতে হাতের তৈরি এমন কোন কিছু যেমন: মাটির তৈরি পণ্য, বাঁশের তৈরি কারু কাজ, কাঠের তৈরি যে কোন ধরণের পন্য, কাপড়ের তৈরি যেকোনো ধরনের পণ্য ইত্যাদি। হস্তশিল্পের পণ্যগুলো 

আপনি যেখানে মেলার আয়োজন করা হয় সেখানে বিক্রি করতে পারেন, নিজস্ব দোকান খুলে বিক্রি করতে পারেন, অনলাইনে দোকান দিয়ে এই পণ্য গুলো বিক্রি করতে পারেন। এই হস্তশিল্পের কাজের দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই হস্ত শিল্পের কাজগুলো করে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

২৮) ড্রাইভিং করে মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম 

ড্রাইভিং পেশার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশে-বিদেশে এই পেশা জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। যারা ড্রাইভিং কাজ জানেন তারা ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। ড্রাইভিং করে যেভাবে ইনকাম করা যায়: 

  • নিজের ভাড়া চালিত গাড়ি অর্থাৎ আপনি নিজে যাত্রীদের পরিমান সেবা দিবেন বিনিময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিবেন।
  • কোম্পানির অথবা মহাজনের গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে জব
  • আপনার যদি ড্রাইভিং স্কিল থাকে তাহলে uber, পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন 
  • তাছাড়া, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য ড্রাইভার এর প্রয়োজন হয়

এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ড্রাইভিং পেশাটা খুব ভালো করে শিখতে হবে। ভুলভাল, ড্রাইভিং করলে রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোম্পানি অথবা সরকারি অফিসের ড্রাইভার হিসেবে জব করতে পারলে বেতনের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক সুবিধা পাওয়া যায়।

২৯) ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

গোটা বিশ্বের মার্কেটিং জগতে এক বিপ্লবের নাম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর টা অনেক বড়। এখানে প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে যেমন: এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিং করে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হল: upwork, fiverr, freelancer.com ইত্যাদি। 

৩০) রেস্টুরেন্ট ( পেঁয়াজু, সিঙ্গারা, সমুছা, ডাল পুরি, ফুচকা, চটপটি, শীতের পিঠা, মুড়ি মাখা, বাদাম বিক্রি ) এর ব্যবসা 

এগুলো ছোট মূলধনের ব্যবসা। এ ব্যবসা গুলো করতে অল্প পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। আর এই ব্যবসা গুলো খুবই চলে। যেহেতু এই খাবারগুলো মুখরোচক, এই খাবারগুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। আপনি চাইলে পর্যটন স্পট, বাজার, যেখানে জনসমাগম 

আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা

বেশি হয় সেখানেই এই ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন। এগুলো করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখানে প্রয়োজন অল্প পরিমাণে মূলধন এবং নিজস্ব পরিশ্রম। আপনার খাবারের মান যত ভালো হবে মানুষ তত আগ্রহ দেখাবে। 

৩১) মুদির দোকানের ব্যবসা 

মুদি দোকানের ব্যবসা করে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সব জায়গাতে ছোট ছোট মুদির দোকান রয়েছে। মুদির দোকান ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তের জন্য চলতে পারে না। আপনি যে এলাকায় মুদির দোকান চালু করবেন ওই এলাকায় 

কোন কোন ধরনের পণ্য বেশি চলে সেদিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মানুষ যে পণ্যগুলো কিনতে বেশি আগ্রহী ওই পণ্যগুলো সেখানে বিক্রি করতে হবে। এভাবে মুদি দোকানের ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য - মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, এই আর্টিকেলে আমি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যারা মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে চেয়েছেন তারা আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি উপকৃত হয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত পাঠকদের উদ্দেশ্যে ইনকাম সম্পর্কিত তথ্য 

পাবলিশ করে থাকি। কেননা, মানুষের এখন প্রধান দুশ্চিন্তার জায়গা ইনকাম। এজন্য আপনার কাজকে আরেকটু সহজ করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে মাসে ১০ হাজার টাকা কিভাবে ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট আইডিয়া পেয়েছেন। এতক্ষণ 

মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে ইনকাম সম্পর্কিত অন্য কোন আর্টিকেল নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত হব। সেই এ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, আসসালামু আলাইকুম। 26.12.25

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url