কোটি টাকা আয় করার ২১টি কার্যকরী বিশ্বস্ত উপায় জেনে নিন
কোটি টাকা আয় করার উপায় জানতে চাচ্ছেন ? আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমি কোটি টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্র:আশা করি আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়লে কোটি টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কোটি টাকা আয় করার উপায়
কোটি টাকা আয় করা খুব একটি সহজ কাজ নয় আবার খুব বেশি কঠিন কাজও নয়। কোটি টাকা আয় এটা একটি সাধনার বিষয়। কোটি টাকা ইনকামের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং অধ্যবসায়। এজন্য পরিশ্রমের পাশাপাশি দরকার সঠিক গাইডলাইন। যার মাধ্যমে আপনি কোটি টাকার মালিক হতে পারেন।
আর্থিক স্বাধীনতা জীবনের সব থেকে বড় স্বাধীনতা। রাতারাতি কোটি টাকা ইনকাম করা যায় না। স্মার্ট ওয়ার্ক+ পরিশ্রম+ সঠিক কৌশল পারে আপনাকে কোটি টাকার মালিক বানাতে। কিন্তু এ স্বপ্নকে বাস্তবে কিভাবে রূপ দেওয়া যায় ? স্বপ্ন দেখা যতটা সহজ বাস্তবে তা অতটা কঠিন। তাই, আপনার স্বপ্ন পূরণের কাজটি আরেকটু সহজ করতে আমরা এই আর্টিকেলটি লিখছি।
টাকা ইনকামের অনেক উপায় রয়েছে সেটা হতে পারে অনলাইন অথবা অফলাইন। আপনি যেভাবে পারেন সেভাবে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া, বর্তমানে অনলাইন সেক্টর গুলো অর্থ ইনকামের বিশ্বস্ত মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটি টাকা আয় করার কিছু বিশ্বস্ত উপায় নিয়ে এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব। কাজেই,
এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার স্বপ্নের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবেন। আমি ইন্টারনেট থেকে রিসার্চ করে কিছু বিশ্বস্ত উপায় বের করেছি। যে উপায় গুলো যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে আপনি হতে পারেন কোটিপতি। সুতরাং, আপনার স্বপ্ন পূরণের কাজকে আরো কিভাবে গতিশীল এবং প্রাণবন্ত করবেন সে বিষয়ে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে কোটি টাকা আয়
গোটা বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও ই-কমার্সে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনা-কাটা করতে বেশি আগ্রহী। সব ধরনের প্রোডাক্ট অফলাইন বাজারে পাওয়া যায় না। এজন্য মানুষেরা ই কমার্স প্রতিষ্ঠানে খোঁজ করে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রতিষ্ঠান যেখানে সব ধরনের পণ্যের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।
এজন্য প্রয়োজন নিজের কাছে পণ্য থাকা। আপনি অফলাইনে পাইকারি বাজার থেকে কম দামে প্রোডাক্ট ক্রয় করে সেগুলো অনলাইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাভে বিক্রি করবেন। আশা করি এই পদ্ধতিতে আপনি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখতে পারেন। গোটা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হলো amazon, ওয়ালমার্ট, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কমার্স প্রতিষ্ঠান হল দারাজ।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে দুর্দান্ত সেরা ৫০টি app এর তালিকা
আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে নিজে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলুন এবং সেখানে পণ্যের ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য আপলোড করুন। যদি নিজে ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলতে না চান তাহলে অন্যের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হয়ে ব্যবসা কন্টিনিউ করতে পারবেন। যেমন: অনেক ব্যবসায়ী দারাজ, amazon, Walmart এর অংশীদার হয়ে ব্যবসা করছে।
তাছাড়া, ফেসবুকে একটি বিজনেস পেজ খুলবেন। সেখানে আপনার পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ এবং বিস্তারিত আপডেট সব সময় পোস্ট করবেন। এত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ব্যাপক পরিচিতি বাড়বে। যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ব্যাপক পরিচিতি বাড়বে তখন ব্যবসা করা আপনার জন্য সহজ হবে।
২) ড্রপশিপিং এর কাজ করে কোটি টাকা আয়
ড্রপশিপিং ব্যবসা করার জন্য নিজের কাছে প্রোডাক্ট থাকা জরুরি না, প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। আপনাকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হয়ে ড্রপ শিপিং এর কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে বসে অনেকে অ্যামাজনের হয়ে ড্রপশিপিং এর কাজ করে।
১) এজন্য আপনাকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠার হয়ে ড্রপশিপিং এর জন্য স্টোর খুলবেন।
২) যে যে প্রোডাক্ট এর মার্কেটে চাহিদা রয়েছে ওই ওই প্রোডাক্ট গুলো আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
৩) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গুগল এড এর মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাবেন।
৪) ধরুন, আপনি অ্যামাজনের হয়ে ড্রপ শিপিং করছেন। এখন আপনাকে অ্যামাজনে যে পণ্যের দাম ১০০ টাকা, আপনার স্টোরে ওই পণ্যের দাম ১১০ টাকা রাখবেন। যখন কেউ আপনার কাছে পণ্যের অর্ডার করবে তখন অ্যামাজন সরাসরি কাস্টমারদের নিকট পণ্য ডেলিভারি করে দিবে। মাঝখান থেকে ১০ টাকা আপনার লাভ।
৫) dropshipping এই কাজের জন্য কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেম ভালো হওয়া চাই। নতুবা কাস্টমাররা আস্থা হারাতে পারে।
৩) ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে কোটি টাকা আয়
এখন মার্কেটিং পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। আগের সময়ে মার্কেটিং হতো মানুষের দুয়ারে গিয়ে, মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে। কিন্তু ডিজিটাল দুনিয়ায় অনলাইন সিস্টেমে এখন মার্কেটিং পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কেটিং ছাড়া এখন ব্যবসা বড় করা প্রায় অসম্ভব।
কোটি টাকা আয় করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা সর্বোত্তম মাধ্যম। আপনার যদি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি থাকে সেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো জানতে হবে। ডিজিটাল
মার্কেটিং সেবাগুলো দিতে পারলে ভালো পরিমাণে চার্জ ডিমান্ড করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের মধ্যে রয়েছে: Google ads, SEO, Facebook ads ইত্যাদি। এজন্য আপনাকে শুরুর দিকে ছোট ছোট প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। কাস্টমারদের কাছ থেকে রিভিউ নিতে হবে।
যখন কাজের চাহিদা বেড়ে যাবে তখন আপনি নিজে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির জন্য জনবল খাটাতে পারবেন। একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে নির্দিষ্ট স্থান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা গুলো দেওয়া যায়। তাছাড়া, কোর্স আকারে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখিয়ে ইনকাম করা যায়।
৪) শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে কোটি টাকা আয়
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কৌশল ঠিকমতো রপ্ত করা গেলে এখান থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে, এটা কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে ঝুঁকি বেশি ইনকাম বেশি। এখানে টাকা বিনিয়োগ করে আয় করতে প্রচুর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতা না থাকলে আর্থিক লোকসানের সম্ভাবনা অনেক বেশি। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পাশাপাশি অনলাইনে ট্রেডিং করতে পারেন। অনলাইনে ট্রেডিং এটিও ঝুঁকিপূর্ণ। অনলাইনে ট্রেডিং সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকলে না করাটাই ভালো। যদি আপনার অনলাইন
ট্রেডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সফল হতে পারবেন। এজন্য আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো: আগে শেয়ারবাজার বিনিয়োগ এবং অনলাইনে ট্রেডিং কাজ ভালো করে শিখুন, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, এরপর এখানে বিনিয়োগ করুন।
৫) সম্পদে বিনিয়োগ করে কোটি টাকা আয়
সম্পদে বিনিয়োগ করে কোটি টাকা আয় করা এখন কোন ব্যাপার না। তবে এর জন্য প্রয়োজন মোটামুটি টাকা বিনিয়োগ। ধরুন, আপনি একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল ৫০,০০০ টাকা দিয়া কিনলেন, এখন আপনি ওই মোটরসাইকেলটি মেরামত করে নতুনের মত করে তুললেন। এখন আপনি ওই মোটরসাইকেলটি ১২০,০০০ টাকায় বিক্রি করলেন এটা আপনার পুরোটাই লাভ।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট সেরা ২৩টি তালিকা, নতুনদের জন্য পারফেক্ট
ধরুন, আপনি জমি কিনলেন ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে। কিছুদিন পর ওই জমি আপনি আবার বিক্রি করলেন ১৫ লক্ষ টাকায়। এই ৫ লক্ষ টাকা আপনার পুরোপুরি লাভ। এভাবে আপনি ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
৬) ইউটিউবিং করে কোটি টাকা আয়
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায়ে হল ইউটিউব। সকলে আমরা ইউটিউবে ভিডিও দেখে অভ্যস্ত। Youtube থেকে ইনকাম হয় এটা আমাদের জানা কথা, কিন্তু কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম হয় সেটা আমাদের অনেকের হয়তো জানা নেই। ইউটিউব এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে মার্কিন মুদ্রা ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক ছেলে এবং মেয়েরা ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। আপনার ইউটিউব আপলোড করা ভিডিওতে যত বেশি ভিউজ হবে তত বেশি ইনকাম হবে। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করে নিয়ে ইউটিউব থেকে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। এভাবে কয়েক বছরের ব্যবধানে আপনি কোটি টাকার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যাবেন।
৭) ব্লগিং করে কোটি টাকা আয়
লেখালেখির কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকামের অন্যতম উপায় হলো ব্লগিং। ফ্রিল্যান্সিং জগতে লেখালেখির কাজের চাইতে আর কোন সহজ কাজ হতে পারে না। লেখালেখির কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রতিনিয়ত
বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। মানুষ যখন আপনার আর্টিকেলগুলো পড়তে আসবে তখন আপনার ইনকাম হবে। ব্লগিং করে অনলাইন থেকে ইনকামের উপায় হল গুগল এডসেন্স। মানুষ যখন আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়তে আসবে তখন তারা
বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে এখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। ব্লগিং থেকে আয় করা তুলনামূলক অনেক সহজ। যারা বড় বড় ব্লগার তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
৮) ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয়
ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয়ের জন্য প্রয়োজন লম্বা একটি সময়। এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি কাজে বিশেষ ভাবে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখলে শুরুর দিক থেকে ভালো ইনকাম হবে এমন গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। কারণ, আপনার চাইতে বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেট দখল
করে রেখেছে। এখানে যে আপনার সম্ভাবনা একেবারে নেই এটা বললে ভুল হবে। আপনি যদি তাদের থেকে ভালো ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন তাহলে তাদের থেকেও ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিছু কিছু কাজের ব্যাপক চাহিদা আজন্ম থাকবে সেগুলো হলো:
- এসইও
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- ব্যানার ডিজাইন
- লোগো ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ইউটিউবের জন্য থাম্বনেইল তৈরি
আপনি যদি এই কাজগুলো খুব ভালো করে শিখেন তাহলে আশা করি অনলাইন থেকে ৪-৫ বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন। বিশেষ করে বর্তমানে যেভাবে বেকারত্ব হার বাড়ছে সেখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেকার যুবক যুবতীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
৯) ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ করে কোটি টাকা আয়
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বড় বাজেটের কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইন কাজ শিখতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অথবা কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন। সামনের দিনগুলোতে ওয়েব ডিজাইনিং
কাজের চাহিদা আরো বাড়বে এবং ওয়েব ডিজাইন কাজের মার্কেট যে কত বড় এটি সংখ্যায় প্রকাশ করা যাবে না। ইন্টারনেট প্রযুক্তি যতদিন থাকবে ওয়েব ডিজাইনিং এর চাহিদা ততদিন থাকবে। এই কাজ রপ্ত করতে হলে শুরুর দিক থেকে আপনাকে আন্তরিক
পরিশ্রমের সাথে লেগে থাকতে হবে। যদি আপনি ঠিকমতো পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে আশা করি এই কাজ থেকে দিনশেষে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১০) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে কোটি টাকা আয়
কোডিং হচ্ছে কম্পিউটারের ভাষা। আপনার যদি কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অথবা বড় বড় জায়েন্ট টেক কোম্পানিগুলোর সাথে বেতন চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন। কম্পিউটারের ভাষা জানা এটা এখন যুগের চাহিদা। যে যত কম্পিউটার
ভাষা জানবে সে তত অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবে। আর এই কাজে রয়েছে বিশেষ ডিমান্ড। আপনি যদি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেন তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের এই কাজ করতে পারেন। এই কাজগুলো শেখার জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়। সাধনা ছাড়া এ কাজগুলো শেখা যায় না।
১১) ঘোস্ট রাইটিং করে কোটি টাকা আয়
বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে আপনি ঘোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এই কাজটি তুলনামূলক সহজ হওয়ার কারণে সকলে এই কাজের পিছনে ঝুঁকছে। এই কাজ করে একজন ব্যক্তি অল্প সময়ে সফল হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ঘোস্ট রাইটারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কাজগুলো করে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১২) সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কোটি টাকা আয়
সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা পরিচিত মুখ তারা বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রোমোটার হয়ে কাজ করে। তখন তারা ওই কোম্পানির হয়ে চুক্তিবদ্ধ ভাবে কাজ করার সুযোগ পাই। এবং নিজের ইচ্ছামত পারিশ্রমিক চার্জ করতে পারে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ তাদের কথা সকলে শোনে।
আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ হতে চান তাহলে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এ আপনার উপস্থিতি বাড়াতে হবে। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। তাছাড়া, ভিডিও কনটেন্ট এ এড নেটওয়ার্ক চালুর মাধ্যমে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
১৩) ডাটা এন্ট্রির কাজ করে কোটি টাকা আয়
ডাটা এন্ট্রি বলতে কোন কিছু টাইপ করে নির্দিষ্ট ফাইলে আপলোড করা। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডাটা এন্ট্রি সব থেকে সহজ কাজ। আমরা সকলে চাই অনলাইন থেকে কিছু টাকা আয় করতে। ডাটা এন্ট্রি এমন একটি কাজ যা যে কেউ করতে পারে। এর জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতা অথবা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। নতুনরা
আরো পড়ুন: ফটো বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ১৮টি ওয়েবসাইটের তালিকা
কিছুদিন ট্রেনিং নিয়ে এ কাজগুলো অনায়াসে করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট যেমন: ফাইবার, upwork, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি বড় বড় মার্কেটপ্লেস এ ডাটা এন্ট্রির কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এ সকল মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রি কাজ করেন আশা করি ৪ - ৫ বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবেন।
১৪) ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তে ইংরেজি আর্টিকেল লিখে কোটি টাকা আয়
ডাটা এন্ট্রি এবং আর্টিকেল লেখা এই কাজগুলো তুলনামূলক অনেক সহজ। ইংরেজি যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা। সুতরাং, ইংরেজি ভাষার আর্টিকেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা। এজন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষা বুঝা এবং ইংরেজিতে আর্টিকেল লেখার অভ্যাস থাকতে হবে। প্রতিটি ইংরেজি ভাষার
আর্টিকেলের জন্য আপনি $৫ - $২০ চার্জ করতে পারবেন। ইংরেজি ভাষা আর্টিকেল নিজের ওয়েবসাইটে লিখে অথবা ক্লায়েন্ট এ নিকট থেকে আর্টিকেল লেখার অর্ডার নিয়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। এভাবে ৫ - ৬ বছরের ব্যবধানে আপনি ইংরেজি আর্টিকেল লিখে কোটি কোটি টাকার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারেন।
১৫) অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ও ডিজাইন করে কোটি টাকা ইনকাম
একজন অ্যাপ ডেভেলপার কখনো বেকার বসে থাকে না। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সামনের দিনগুলোতে অ্যাপ ডেভেলপিং এই কাজের চাহিদা আরো বাড়বে। বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাপ ডেভলপার নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অ্যাপ ডেভেলপিং এই কাজ করে
লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। দেশে এবং বিদেশে যেকোনো জায়গায় নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবেন। এই কাজ গুলো আপনাকে শিখতে হবে। তখন আপনি এই কাজে এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তখন আর চিন্তার কোন কারণ নেই। শুরুর দিকে একটু সময় লাগলেও, ধীরে ধীরে এ কাজগুলো করে আপনি নিজের একটি শক্ত অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারবেন।
১৬) ফ্ল্যাট ক্রয় বিক্রয় করে কোটি টাকা আয়
ক্রয় বিক্রয় জনিত ব্যবসা থেকে সব থেকে বেশি লাভ করা যায়। ফ্ল্যাট এটি যেহেতু স্থায়ী সম্পদ, এই সম্পদের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। ধরুন, আপনি একটা ফ্ল্যাট ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনলেন, সেটা পুনরায় ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করলেন। ১০ লক্ষ টাকা আপনার
লাভ। এভাবে আপনি যদি ১০ টা ফ্ল্যাট ক্রয় বিক্রয় করে ফ্ল্যাট প্রতি ১০ লক্ষ টাকা লাভ করেন তাহলে আপনার এক কোটি টাকা হয়ে গেল। তবে এই কাজগুলো একক মূলধনে করাটা অনেকটা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। এজন্য চেষ্টা করবেন যৌথ মূলধনে ব্যবসা করার জন্য। তাহলে আশা করি আপনি খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন।
১৭) শিল্প প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে কোটি টাকা আয়
যদি আপনি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন তাহলে বছরে কোটি টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না। তবে শিল্প প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো এতটা সহজ কাজ না। এর পেছনে রয়েছে কঠোর অধ্যাবসায়, লেগে থাকার মানসিকতা, ধৈর্য, স্মার্ট ওয়ার্ক ইত্যাদি। একজন দক্ষ উদ্যোক্তা একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সময়ের সেরা ২২ টি apps
আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান প্রথমে আপনাকে অনুধাবন করতে হবে মানুষের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি। ধরুন, শার্ট তৈরি কারখানা রয়েছে। আপনি চেষ্টা করবেন বাজারে যতগুলো শার্ট তৈরির কারখানা রয়েছে তাদের থেকে ভালো মানের শার্ট তৈরি করার জন্য এবং শার্টের মূল্য যেন তাদের থেকে তুলনামূলক কম হয়। এভাবে যেকোনো আইডিয়াকে আপনি শিল্প প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়ে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারেন।
১৮) বই লিখে কোটি টাকা আয়
বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান সাবজেক্টে দুর্বল। আপনি এমন একটি বই লিখলেন যে বইটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং শিক্ষার্থীরা আপনার বই পড়ে উপকৃত হচ্ছে। আপনি যখন বই লিখবেন, দেশের লক্ষ লক্ষ
শিক্ষার্থীরা যখন আপনার বইগুলো ক্রয় করবে সেখান থেকে আপনি বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। একজন দক্ষ বই লেখকের মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ঐ সকল লেখকদের বই পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে, যে সকল লেখকদের বই থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়।
১৯) বড় বড় গাড়ি ( ট্রাক, হায়েস গাড়ি, মোটরসাইকেল, কার ) ব্যবসা
গাড়ির ব্যবসা এটা কিন্তু লাখ লাখ টাকার ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা গুলো করার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট। এখানে যেমন বিনিয়োগ বেশি অনুরূপভাবে লাভও বেশি। এজন্য প্রয়োজন সঠিক মার্কেট রিসার্চ করা। যাতে কাস্টমাররা আপনার গাড়ি ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
গাড়ি বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীর মানুষেরা ক্রয় করে। এলিট শ্রেণীর মানুষেরা যে সকল এলাকায় বসবাস করে ওই এলাকায় আপনাকে গাড়ির শোরুম দেওয়া লাগবে। তরি তরকারি শাকসবজি যেরকম বিক্রি হয় গাড়ি কিন্তু ওইরকম বিক্রি হয় না। মাসে একটি গাড়ি বিক্রি হলে ওই মাসের লাভ হয়ে গেল।
২০) ইলেকট্রনিকস ( টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ) জিনিস বিক্রি করে আয়
বর্তমানে এ সকল জিনিসের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। এখানে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। এই ইলেকট্রনিক্স জিনিসগুলোর দাম হাজার হাজার টাকা। প্রতিমাসে এই ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো বিক্রি করে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। এবং এক বছরে অথবা দেড় বছরের মধ্যে আপনি কোটি টাকার ঘরে পৌঁছে যেতে পারেন।
এই ব্যবসা গুলো তুলনামূলক অনেক কঠিন। দক্ষ ব্যবসায়ী ছাড়া এ ব্যবসা গুলো করা প্রায় অসম্ভব। এখানে মার্কেট রিসার্চ করা এবং মানুষের রুচি ও অরুচি চিন্তা করা, কোন কোন ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয়ের প্রতি মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছে সে বিষয়গুলো লক্ষ্য করা। এই ব্যবসা গুলো দাঁড় করতে পারলে, এবং ভালো পরিমাণে সেল আনতে পারলে আশা করি কোটি কোটি টাকা অনায়াসে ইনকাম করা সম্ভব হবে।
২১) পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা ( ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল, মবিল ), তেলের ডিপো ( কেরোসিন তেল, গ্যাসের সিলিন্ডার ) ব্যবসা
তেলের ব্যবসা জমজমাট ব্যবসা। এই ব্যবসা গুলো দাঁড় করাতে কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। ভবিষ্যতে তেলের গাড়ির সংখ্যা আরো বাড়বে। মানুষ যানবাহনের ব্যবহারের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। আমার দেখা মতে, এমন অনেক পেট্রোল পাম্প হয়েছে যেখানে দিনে ১৫ - ২০ লক্ষ টাকার তেল বিক্রি হয়।
আরো পড়ুন: বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
তাছাড়া, তেলের ডিপো, গ্যাসের সিলিন্ডার এগুলো মানুষেরা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই ব্যবসা গুলো অনেক লাভজনক। আপনি করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে চান তাহলে এই ব্যবসা গুলো দাঁড় করাতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য - কোটি টাকা আয় করার উপায়
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, এই আর্টিকেলে আমি কোটি টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যে সকল কাজ করে অথবা ব্যবসা গুলো দাঁড় করিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করা যায় সেগুলো বিষয়ে আমি বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি।
আশা করি এই আর্টিকেল থেকে কোটি টাকা আয় করার উপায় জানতে পেরে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে, আমি আমার এই ওয়েবসাইটে ব্যবসা-বাণিজ্য, অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্য আরো পাবলিশ করব। আমাদের সাথে পোস্টটি উপভোগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 22.12.25

আপনি পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url